![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রদায়িকপশুদের ভয়ংকর থাবা!
দেশে-দেশে মানুষে-মানুষে এখন পরিকল্পিতভাবে ভেদাভেদসৃষ্টি করছে একটি চিহ্নিত-পশুগোষ্ঠী। এরা মানুষ-নামের অযোগ্য। এদের নরাধম বলাই সমীচীন। যত দিন যাচ্ছে একদল পশু ধর্মের জিগির তুলে মানবজাতিকে বিষিয়ে তুলছে। এদের চরিত্রে আজ সামান্য মনুষ্যত্ব নাই। কিন্তু এরা ধর্মের ধ্বজাধ্বারী। আর এই ধর্মকে অপব্যবহার করে আজ এরা মানবসভ্যতাসহ সমগ্র মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করার এক ভয়ানক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে শুধু ইসলামধর্মের তথাকথিত অনুসারীরাই ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভেদসৃষ্টি করছে এবং রাষ্ট্রবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে। সবখানে এই সাম্প্রদায়িকপশুগোষ্ঠী থাবা বসাচ্ছে।
সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর দিক দিয়ে আমাদের বাংলাদেশ বিশ্বের ভিতরে প্রথম সারিতে রয়েছে। ঘরে-বাইরে সাম্প্রদায়িকপশুগুলো আজ ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। এরা নানাভাবে আর ইনিয়েবিনিয়ে ইসলামধর্ম প্রচারের নামে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এদের কাছে আজ লোকদেখানো-মুসলমান-পরিচয়ই বড়। এরা অপর ধর্মের মানুষদের আজ মানুষই মনে করছে না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখসহ অপরাপর সকল ধর্মের মানুষকে এরা শত্রুজ্ঞান করছে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ধীরে-ধীরে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দেশটাকে আজ হিন্দুশূন্য করার জন্য একটি পশুগোষ্ঠী অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। এরা সাম্প্রদায়িক-কুকুর। আর এদের একমাত্র কাজ হলো মানুষকে কামড়ানো।
সাম্প্রদায়িকপশুরা সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে বিষ ছড়াচ্ছে। এই পশুরা আমাদের শহীদমিনারে ফুল দেওয়াকে হিন্দুয়ানি বলছে, জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়াকে শিরক বলছে, বাঙালির নববর্ষবরণকে হিন্দুয়ানি বলছে, মঙ্গলপ্রদীপ-প্রজ্জ্বলনকে হিন্দুয়ানি বলছে, এমনকি দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে আজ হিন্দুয়ানি বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে!
সাম্প্রদায়িক-কুকুরগুলো আজ আমাদের প্রতিনিয়ত কামড়াচ্ছে। আর কতকাল এভাবে আমাদের কামড়াবে? আমরা কি তাহলে জলাতঙ্করোগী হয়ে মারা যাবো?
এখন দেশের সর্বত্র এসব ঘটছে। আর স্কুল-কলেজের কোমলমতীশিক্ষার্থীদের মন ও মস্তিষ্ককে পাকিস্তানী বিজাতীয় ভাবধারায় গড়ে তোলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এরা বাংলাদেশরাষ্ট্রের চিরশত্রু। আর সাম্প্রদায়িকতার এই বিষবাষ্প ছড়ানোর মূলে রয়েছে দেশের ‘হেফাজতে শয়তান’, ‘কওমীমাদ্রাসার পাতিহুজুরচক্র’, ‘জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান’, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির পাকিস্তান’, ‘তাবলীগজামাতের পাতিহুজুরচক্র’, ‘চোরমোনাইয়ের মতো একশ্রেণীর দেশদ্রোহী ভণ্ডপীরগোষ্ঠী’ ও ‘বিভিন্নজাতের পাতিহুজুরচক্র’।
৩০লক্ষ শহীদের বাংলাদেশ আজ বড় অসহায়! এর কোনো অভিভাবক নাই। শাসক নাই। কিন্তু শোষক আছে। তাই, দেশবিরোধী ভণ্ডদের দাপট এতো বেশি। এরা জাতির মূলস্তম্ভ শিশুদের মন ও মস্তিষ্কের মধ্যে আজ কুপরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানী-নষ্টবীজের চারা রোপণ করছে। তবুও কেউ দেখার নাই। তবু কেউ ভাবার নাই!
দেশটাকে এভাবেই খুবলে খাবে বুঝি একাত্তরের পরাজিত সেই শকুনগোষ্ঠী?
©somewhere in net ltd.