![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জঙ্গীবাদ এবং বর্তমান মুসলিম জাতি।
ইসলাম ধর্মে যে জিহাদ আর কিতাল বলে কিছু শব্দ আছে তা এই ইসলাম ধর্মকে নিয়ে যাচ্ছে এক অসম্মান জনক পরিস্থিতির দিকে। আজ বিশ্বের সকল প্রথম শ্রেনীর দেশ গুলিতে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দিকে একটু বেশি নজর দেও্য়া হয়ে থাকে।তাছাড়া পুরো পৃথিবী জুড়েই এখন মুসলামান নিয়ে আতংক বিরাজ করছে। ইউরোপ, আমেরিকার ট্রেনে বাসে চড়তে গেলে বোরখা পড়া নারী উঠলেই অন্য যাত্রীরা কেউ কোন কথা না বলে ভয়ে নেমে যায়। দাড়িওয়ালা মোল্লা দেখলেই তারা মনে করে এই বুঝি আত্মঘাতী বোমা মেরে দিল। এয়ারপোর্টে মুসলমান নাম দেখলেই দশবার করে চেক করা হয়, কোন বোমা সাথে নিয়ে সে যাচ্ছে কিনা কোথা থেকে এসেছে কি বিত্তান্ত। গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর আমি গুলশান এলাকায় দেখেছি দাড়ি টুপিওলা লোক দেখলেই নিরাপত্তা কর্মীরা তার ব্যাগ ও শরীর ভালো করে চেক করে গুলশান এলাকার মধ্যে ঢুকতে দেয়।
ধর্মীও সন্ত্রাস আছে এবং ছিলো। কিন্তু আমরা কেউ খুজে দেখতে চাই না কিভাবে এদের সৃষ্টি হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদীদের একটি অংশ সব সময় চেয়েছে এই জাতীয় সন্ত্রাস দিয়ে তাদের সাম্রজ্যবাদকে টিকিয়ে রাখতে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরিচালনা করতে প্রয়োজন পড়ে অনেক অর্থের। তার যোগান দিতে হলে প্রয়োজন হবে একটি মাধ্যমের। যেই মাধ্যম ব্যবহার করে সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল আর ধর্মীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের মধ্যে অর্থনৈতিক লেনদেন সম্পন্ন করা যাবে। সেটা হচ্ছে ধর্ম ব্যবসা।পৃথিবীতে কালো টাকা হাতবদল করার মাধ্যম গুলো সবসময় থাকে লোক চক্ষুর আড়ালে।সাধারন মানুষের ধারনার বাইরে এই কালো টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী, মাফিয়া চক্র, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে এই জাতীয় লেনদেনের খবরাখবর। এদের একটি বড় অংশ আজ পৃথিবীর সকল নিম্ন শিক্ষিত দেশ গুলিতে ধর্ম নামের কালো অধ্যায় টিকিয়ে রেখেছে এই কালো টাকার অবাধ লেনদেনের জন্য।
ধর্মের নামে অর্থ লেনদেনে প্রয়োজন পড়ে না কোন ট্যাক্স বা ভ্যাটের। আজকের ইসলামী জঙ্গী সংগঠন গুলি যাদের অর্থে পরিচালিত হচ্ছে তারা এই কালো টাকার মূল হোতা। সাধা্রন ধার্মিকদের ধারনার বাইরে চলে এসব ঘটনা। ধর্ম ব্যাপারটি এতই সেনসেটিভ একটি ইস্যু যেটা ব্যবহার করলে একসাথে পুরা একটি ধর্মীও জাতি বা গোষ্ঠীর সাপোর্ট পাওয়া সম্ভব। আজকের মায়ানমার এর আরাকান বা রাখাইন রাজ্য যার জলজ্যন্ত প্রমান। মায়ানমার এর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা ইস্যুটি মুলত কোনভাবেই ধর্মীও কোন ইস্যু ছিলো না। রোহিঙ্গাদের আসল পরিচয় ও পুর্ব ইতিহাস জানা যে কেউ তা খুব ভালো বুঝবে। এখানে একটি পক্ষ ধর্মকে জড়িয়ে অন্য কোন ফাইদা নিতে চাচ্ছে যা ধর্মান্ধ অনেকের ধাওরনার বাইরে। মূলত রোহিঙ্গা ইস্যুর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। এই রোহিঙ্গাদের ভেতরে অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়ে আছে ইসলামী সন্ত্রাসী জঙ্গী গোষ্ঠী যারা মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গীগোষ্ঠী গুলার মদতে হৃষ্টপুষ্ট বলা চলে। তবে সরাসরি রোহিঙ্গা জঙ্গীদের সাথে এদের সম্পর্কের কথা বলা যাবে না। কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই একই কথা দড়াবে এরা সবাই ধর্মীয় সন্ত্রাস। এরা পরিচালিত হচ্ছে সাম্রজ্যবাদীদের কালোটাকা দারা।
নাইজেরিয়ার বোকো হারাম, আফগানিস্তান এর তালেবান, মধ্যপ্রাচ্যের আইএসআইএস, আল-কায়েদা এরা কি একদিনে তৈরি হয়েছে বলে মনে হয়। জানি সবাই বলবেন না। তাহলে এদের বীজ বোনা আছে কোথায়। দেখুন আমি এদের কাউকে বা মুসলিম জাতীকে কোন প্রকার দোষারপ করছি না। কারন আমি জানি এরা যদি বিজ্ঞান আর দর্শন নিয়ে পড়ালেখা করতে পারতো তবে এই জাতীয় জঙ্গী না হয়ে তারা হতে পারতো একেকজন একেকটি বিষয়ের উপরে অভিজ্ঞ মানুষ। এদেরকে শিশুকাল থেকেই শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে অন্যভাবে। ইসলাম শিক্ষা কখনই বিজ্ঞানের পক্ষে কথা বলেনা, নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলে না। আফগানিস্তানের তালেবান জঙ্গী তাদের ধর্মীয় কিতাব বাদে অন্য যেকোন বইকেই শয়তানী কিতাব বলে থাকে এবং তা পড়তে সবাইকে নিষেধ করে। আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন যায়গায় জঙ্গী গ্রেপ্তার করছে দেশের নিরাপত্তা বিভাগ। খোজ নিয়া জানা যায় যে জঙ্গী ছেলেটিকে ধরা হয়েছে সে দেশের আর ১০টা পরিবারের মতো একটি সাধারন পরিবার থেকেই এসেছে। ইসলামী জীবন বিধান মেনেই সে চলতো সবাই জানেন। শান্ত এই ছেলেটি কবে কবে কিভাবে এই জঙ্গী সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়েছে তা কেউ জানে না। যখন তার এই চেহারা সবার সামনে আসলো তখন সবাই হায় হায় শুরু করে দিলো।
কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছেন এই জঙ্গীপনা ছেলেটি কিভাবে শিখেছে। এখনকার যুগের মডারেট মুসলিমদের কথা হচ্ছে ইসলামে জিহাদ বলে কিছু নেই জঙ্গীপনা নেই, সন্ত্রাস ইসলাম কায়েম করে না। কিন্তু তারা এটা বলে খুব একটা সফল হতে পারছে না সব যায়গায়। কারন ইসলাম ধর্মে খুবই পরিস্কার করে এসব কথা লেখা আছে। অনেকেই এসব কথা অবিশ্বাস করতে গিয়ে হাদীস, কোরানের বানী অবিস্বাস করছেন। এরা প্রায় বলে বেড়ায় উগ্র মৌলবাদিরা সঠিক ইসলাম পালন করছে না বরং তাদের কারনেই আরো ইসলাম কলঙ্কিত হচ্ছে। আদর্শগত ভাবে যেসমস্ত দেশ মুক্তচিন্তার দেশ বলে পরিগনিত হয় তাদের কথা আসলে এই মুসলিম জাতি কখনই বুঝতে চাই না। তাইতো কিছু না বুঝেই তা্রা সবসময় বলে থাকে সবই ইহুদী নাসারার ষড়যন্ত্র। আসলে মুক্তমনারা কখনই কোন মানুষ ও মানবতাকে আক্রমন করে কথা বলে না। কিসের জন্য ও কি কারনে তাদের সাথে ধর্মান্ধদের প্রায় লেগে যায় আর কেনই বা ধর্মীয় সকল জঙ্গীগোষ্ঠী মুক্তমনাদের হত্যা করে তা একটু গভীরে গিয়ে ভেবে দেখবেন।
ইসরায়েল আর আমেরিকার করা দাবী প্রায় এক সাথে মিলে যাবার কারন হচ্ছে তারা কেউই ইসলামকে সাপোর্ট করে না আবার খারাপও বলে না। কারন এই ধর্ম দারাই সম্ভব তাদের অশিক্ষিত করে রাখা আর প্রকৃত জ্ঞানের আলো থেকে দূরে রাখা।যা করতে পারলে সকল রাজনৈতিক দল ও দেশ গুলার ফাইদা নিতে সুবিধা হয়। অশিক্ষিত জাতিকে ধর্মের দোহাই দিয়ে বশে আনা সহজ। আর আমেরিকা ইসরায়েল হচ্ছে ব্যবসায়ী যারা টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না। প্রয়োজন মতো মুসলিমদের ব্যবহার করে লাথি দিয়ে ফেলে দিতেও তাদের কোন সমস্যা নাই। আমেরিকা প্রায় বোমা মেরে বিভিন্ন মুসলিম দেশের সন্ত্রাসী নির্মুল কার্যক্রমে সহোযোগিতা করে থাকে। কিন্তু যারা মারা যাচ্ছে তার কিভাবে তৈরি হলো আর কেনইবা তাদের এভাবে মরতে হচ্ছে তা কিন্তু সাধারন মানুষ খুব খতিয়ে দেখতে যায় না।
আমার লেখার উদ্দেশ্য ছিলো জঙ্গীবাদ এবং বর্তমান মুসলিম জাতির মধ্যে পার্থক্য খোজা। কিন্তু তা খুজে না পেয়ে সেটাকে এই ভাবেই উপস্থাপন করলাম। । এখানে কারো ধর্মীয় অনূভুতিতে যাতে আঘাত না লাগে তার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি বিভিন্ন কথা এড়িয়ে যাবার।
©somewhere in net ltd.