![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম মানুষকে পশুত্ব অর্জন করতে শেখা
ধর্ম মানুষকে শুধু হিংস্র পশু বানানোর ক্ষমতাই রাখে না বরং পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দানবে পরিণত করার ক্ষমতাও রাখে। অথচ দুঃখের বিষয়, এসব দানবরাই বহু সাধারণ ধার্মিকসহ বিশিষ্ট ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি, উচ্চ শিক্ষিত, পেশাজীবি সম্প্রদায়, রাজনীতিবিদ… তথা কথিত খাঁটি ধার্মিদের কাছে মহামানব বা ধর্মগুরু হিসেবে প্রণামী পেয়েই মোটাতাজা হয়ে আসছে। উদাহরণস্বরূপ, বিশেষ তিনটি ধর্মের আদলে সৃষ্ট কাল্ট তথা দানব, রাম-রহিম-সিং (যদিও অন্যদের তুলনায় এ দানবটা শিশু)। এরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্টতম ইতর জীব হলেও, এদের কারো কারো সহস্র-কোটি অনুসারী, কারো কারো মাথার উপর বড় বড় রাজনীতিবিদ ও ধর্মজীবিরাও আছে। আসলে সমস্যা যতোটা দানবদের নিয়ে তারচেয়ে কম নয় রাজনীতিবিদ ও উচ্চশিক্ষিত শ্রেণীর মানুষ নিয়ে! তবে জানি না, ধর্ম বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষেরই মূর্খতার শেষ কোথায়?
যাহোক, হিংস্র পশুরাও আক্রান্ত না হলে আক্রমণ করে না; বিষধর সাপও অনর্থক ছোবল মারে না। কিন্তু ধর্মদানবগুলো বিনা কারণেও নারকীয় তান্ডব ঘটাতে পারে। যেমন ওদের কথিত ঈশ্বর! ঈশ্বরেরা (মূলত ঈশ্বর সৃষ্টিকারীরা) প্রায় বিনা কারণেই মানুষদের শাস্তির ব্যবস্থা করছে। যেমন, নিয়মিত পুঁজার্চনা না করলে কিংবা অন্য ঈশ্বরের পুঁজা বা তাকে বিশ্বাস করলে… ভয়ংকর শাস্তির বিধান। বাধ্য না থাকলে তাদের ধ্বংস চায়, অভিশাপ দেয়, নিজের অনুসারী বৃদ্ধির জন্য যুদ্ধ-দাঙ্গা চায়, দখলদারিত্ব চায়, প্রয়োজনে কাপুরুষের ন্যায় গোপন আক্রমণ করতে আদেশ দেয় (যা কথিত ধর্মসৈনিকদের অস্ত্র), বিধর্মীদের শত্রু ভাবে এবং কখনো কখনো সরাসরি হত্যার আদেশ দেয়… আবার এসব কাজ যারা করে, তাদের অকল্পনীয় সুন্দর ও বিভিন্নপ্রকারের পুরষ্কারের ব্যবস্থাও রেখেছে…। অতএব এসব নৃশংস্যতম বর্বরতার জন্য শুধুমাত্র দানব ধর্মানুসারীদের দোষ দেয়া যায় না! এর সাথে ধর্মের প্রায় সবকিছু এবং কথিত কিছু খাঁটি ধার্মিকও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী। তবে বিধর্মীদের উপর এদের ঘৃণা পর্বতসম। কারণ কম হোক বেশি হোক ধর্ম ঘৃণা করতে শিখায়। অতএব ধর্ম ঘৃণা করতে শিখায় না; ধার্মিক ও বিশিষ্টজনদের এমন বক্তব্য ঠিক নয়। কারণ ধর্মে হিংস্রতা ও ঘৃণার কাহিনী… ঐতিহাসিক সত্য এবং গ্রন্থসম্মত।
যেহেতু ধর্মের ঘৃণা, ঈর্ষা, অহংকার… এসব ঐতিহাসিক এবং গ্রন্থসম্মত; সেহেতু এসব দানবরা নিষ্পাপ শিশুই নয়, আপন পিতা-মাতাকেও ঘৃণা কিংবা শত্রু মনে করতে দ্বিধাবোধ করে না। কারণ এ ঘৃণা মানব সৃষ্ট নয় বরং ঐশ্বরিক(!)। অতএব ঐশ্বরিক(!) যা কিছু তার পুরোটাই দানব এবং এর সমর্থকদের কাছে প্রিয় ও অবশ্যই পালনীয়! সেজন্যই হাসতে হাসতে এরা শুধু বিধর্মীই নয়, স্বধর্মী অথচ যারা ঐশ্বরিক(!) আদেশ মানে না, এমন যে কাউকে কথিত ঈশ্বরের নামে নৃশংস্যতার চরম উদাহরণ সৃষ্টি করে, হত্যা করতে পারে এবং উল্লাসে মেতে ওঠে। অর্থাৎ ওদের চোখে নিজদের সমর্থক এবং নিজেরা ছাড়া সবাই পাপী ও ঘৃণিত। বিধর্মীরা তো যারপর নাই ঘৃণিত, এর প্রমাণ গুলশান হত্যাযজ্ঞসহ বহু নৃশংস্যতা (খাঁচায় বন্দি করে পুড়িয়ে মারা, গাড়িচাপা দিয়ে বাটাবাটা করা, মৃতের মাথা দিয়ে ফুটবল খেলা, মৃত্যুর পরেও কুপিয়ে কিমা বানানো ইত্যাদি)। এমন নৃশংস্যতা, এমন ঘৃণা কেবল ধর্মদানবদের দ্বারাই সম্ভব। কারণ এরা অর্থের প্রয়োজনে এসব করে না, বরং ঈশ্বরদের প্রয়োজনেই করে। অর্থের প্রলোভনে করলে এতো জঘন্যতম ও নৃশংস্যতম হত্যাযজ্ঞ ঘটাতো না। উদাহরণস্বরূপ, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন। এতে খুনিরা দ্রুত ও নিরবে খুন করেছিলো, উল্লাস করেনি, গর্বিত হয়নি বরং লুকিয়েছিলো এবং আজো বাঁচার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর গুলশানের খুনিরা, খুন করে উল্লাস করেছে, বিশ্বব্যাপী তা প্রচার করেছে, সারারাত বসে বিধর্মীদের লাশগুলো কুপিয়ে কিমা বানিয়েছে, আপন সৃষ্টিকর্তার গুণগান গেয়েছে, কথিত ঈশ্বরের মহানামে(!) শ্লোগান দিয়ে তাকে খুশি করেছে, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাই করেনি, স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছে…। কারণ তথাকথিত ঈশ্বর নির্দেশিত ও সৃষ্ট প্রত্যেক জঙ্গিই খুন করার পর নৃশংস্যতা দেখাতে গর্ববোধ করে (যা ঐতিহাসিকই নয়, ঐশ্বরিক আদেশও বটে)। এতেই প্রমাণ হয়, ধর্মদানবরা তাদের ঈশ্বরের বাণী ও সম্মান রক্ষার জন্য কতোটা ভয়ংকর এবং ডেসপারেট থাকে। এ ব্যাপারে যদি সত্যিই ঈশ্বরের সমর্থন না থাকতো, তাহলে ওরা কখনোই এতো ভয়ংকর হতো না। কারণ ওরা এতোটাই খাঁটি ধার্মিক যে, কখনোই ধর্মের বাইরে গিয়ে কাজ করে না। বরং সাধারণ ধার্মিকরাই ঈশ্বরদের আদেশ-নির্দেশ সঠিকভাবে না জেনে কথা বলেন। এসব এ মূর্খের বক্তব্য নয়, খোদ ধর্ম অনুসারেই এসব দানবরা একেবারে খাঁটি ধার্মিক (প্রমাণ ধর্মপুস্তকের পাতায় পাতায়)।
অতএব, এসব দানবদের ব্যাপারে বিশষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য ডাহা-মিথ্যা। কারণ দানবরা প্রত্যেকেই সুনির্দিষ্ট ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত এবং ধর্মের নির্দেশানুসারেই কাজ করে। অথচ সাধারণ ধার্মিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বারবার একই মুখস্ত বুলি আওড়িয়ে ধর্মকে বাঁচিয়ে প্রকৃত সত্য এড়িয়ে যাচ্ছেন; যা পরোক্ষভাবে দানবদের পক্ষেই যাচ্ছে। কারণ বিশ্বের সবচাইতে দানবীয় ঘটনাগুলো ধর্মের নামেই ঘটছে। কারণ ধর্মে যা নেই তা জঙ্গিরা করে না, করতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, ধর্মে যদি বিধর্মী কিংবা ধর্মত্যাগিদের ঘৃণা ও হত্যা করার কথা উল্লেখ না থাকতো, তাহলে অবশ্যই ওরা তা করতো না (প্রমাণ ধর্মপুস্তক)। অথচ এসব দানবদের বিপক্ষে যে জোরালো লড়াই প্রয়োজন, তথা ঈশ্বর ও ধর্মপুস্তকের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রয়োজন… সেই ইচ্ছা/চেষ্টা কথিত প্রকৃত ধর্ম পালনকারী ও বিশিষ্টজন কিংবা কোনো জাতি-গোষ্ঠির মধ্যে আদৌ দেখা যাচ্ছে না। কথিত ধার্মিক বলছি কারণ, একই ধর্মের ও একই ঈশ্বরের অনুসারী হলেও বিভিন্ন গোত্রের কেউ কাউকেই ধার্মিক বলছে না, মানছে না, বরং একে অপরকে চরম অবিশ্বাস করছে, ঘৃণাও করছে, ভাবখানা এমন যেন পারলে খুন করে (প্রায়ই করেও)…। তথাপিও প্রত্যেকেই আপন গোষ্ঠির কাছে প্রকৃত ধার্মিক! অতএব তথাকথিত প্রকৃত ধার্মিক দাবিদার ও সমাজের সভ্য মানুষ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উচিত কথিত সত্যিকারের ধর্ম কোনটি এবং কথিত প্রকৃত/
খাঁটি ধার্মিক কারা, তা নির্ণয় করা। নতুবা দানব সৃষ্টি কোনোদিনও বন্ধ হবে না। কারণ ধর্মে-ধর্মে শত্রুতার কারণেই কেবল নয়, একই ধর্মের বিভিন্ন গোষ্ঠিদ্বন্দ্বেও বিরামহীনভাবে ধর্মদানব সৃষ্টি হতেই থাকবে। মনে রাখবেন, ভূয়া চিকিৎসকের ন্যায় রোগ নির্ণয় না করে ওষুধ দিলে যেমন রোগ না সেরে বরং বাড়ে। কিংবা ক্যান্সার সারাতে প্যারাসিটিমল দিলে সাময়িক ব্যাথা কমতেও পারে কিন্তু ক্যান্সার সারে নl
©somewhere in net ltd.