![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘ইসলামী সংস্কৃতির সুষ্ঠু চর্চার লক্ষ্যে’ ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্ধোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই মসজিদ নির্মাণ করে সরকার উল্লেখযোগ্য যে ভবিষ্যত ফলাফল চাচ্ছে, ৫৬ হাজার মুসল্লী দ্বিনী দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ এই মসজিদ থেকে বের হবে। ১৬ হাজার ৮০০ শিশুর প্রাথমিক শিক্ষাই হবে এই মসজিদ থেকে। ১৪ হাজার হাফেজ প্রতি বছর বের হবে মসজিদগুলো থেকে। ৩৪ হাজার পাঠক ইসলামী জ্ঞান অর্জন করবে এখনকার লাইব্রেরি থেকে।…
একই রাষ্ট্রের সরকার বাঙালী সংস্কৃতি, একুশের চেতনা, পহেলা বৈশাখ, রবীন্দ্র জয়ন্তী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করছে। যে ৫৬ হাজার মুসল্লিকে ৫৬০টি মসজিদ থেকে সরকার দ্বিনী দাওয়াতে সহায়তা দিবে তাদের কাজই হবে সমস্ত ‘কুফরি’ সংস্কৃতিকে বিতাড়িত করে ‘ইসলামী সংস্কৃতি’ গড়ে তোলা। অর্থ্যাৎ সরকার নিজেই রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করে বাঙালী উৎসব, একুশে চেতনা, মেলা, এসো হে বৈশাখ’, রমনায় উৎসব মুখর নারী পুরুষের বিরুদ্ধে, জেলা শহরগুলোর সংস্কৃতি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে এন্টি গ্রুপ! ১৪ হাজার হাফেজ রবীন্দ্রনাথকে ঘৃণা করবে। পহেলা বৈশাখকে ঘৃণা করবে। নারী পুরুষের মিলিত উৎসবকে ঘৃণা করবে। আর এসবের জন্য ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে!
মডেল মসজিদগুলোর লাইব্রেরিগুলো ইসলামী বইপত্র রাখা হবে যাতে প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক সহজে ইসলামকে জানতে পারবে। এসব বইপত্রে ইসলামী শাসনতন্ত্র, খিলাফত, আল্লার আইন, মুরতাদের শাস্তি, ইহুদী মুশরিকদের ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, গণিমতের মাল, যুদ্ধবন্দিনী নারী ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা থাকবে। অর্থ্যাৎ সরকার অর্থ ব্যয় করে গণতন্ত্রের প্রতি জনগণকে আস্থাহীন করে তুলবে! অমুসলমানদের প্রতি ঘৃণা জাগ্রত করে তুলবে। ধর্ষণের মত অপরাধকে মানসিকভাবে গ্রহণীয় করে তুলবে!...
আর এসবই বাস্তবায়ন করতে প্রকল্প পাস করেছে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর আদর্শের দল’!
- সংগৃহিত
©somewhere in net ltd.