নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Tanuj82

Tanuj

Tanuj 82

Tanuj › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের মানবতা এবং ধর্মীয় বিভেদ ও ধর্মীয় সম্প্রসারণবাদ।।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৮

মহাবিশ্বটার বিশালতাটা অনুভব করা দরকার। একবার চোখ বন্ধ করে মহাবিশ্বের বিশালতা এবং এর কালের (সময়) পরিধিটা অনুভব করতে পারলে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিশ্চিন্ন হয়ে যাবেই যাবে।

(It is necessary to feel the vastness of the universe. If you can see the vastness of the universe and its perimeter (time) once you close your eyes, then God's existence will disappear)

ধর্মীয় বিভেদের কারণে যে কম মানুষ মরেছে সেটা কিন্তু নয়। ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রসারণবাদের বলী হয়েছে সবচেয়ে বেশী। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগ কিংবা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এই বাংলাদেশেরই লাখ-লাখ মানুষ ধর্মীয় বিভাজনের জন্য প্রাণ হারিয়েছেন। সে ক্ষতচিহ্ন এখনও বাংলার অসংখ্য মানুষ বহে বেড়াচ্ছে।
অতি সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে এক উগ্র শ্বেতাংগ জাতীয়তাবাদী পবিত্র মসজিদে নামাজরত নিরীহ মানুষকে যে ভাবে হত্যা করেছে, তার নিন্দে ও ঘৃণা জানানোর ভাষা নেই। সারা পৃথিবী এ হত্যাকান্ডের ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছে। ঠিক এ রকম কান্ডজ্ঞানহীন হত্যাকান্ড এ বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে যুগ যুগ ধরে। পেছনের কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্মান্ধতা কিংবা উগ্র জাতীয়তাবাদ।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার এক শ্বেতাংগ উগ্র জাতীয়তাবাদী ইউরোপে পাঁচ বছর আগে ঘটে যাওয়া এক হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ হিসেবেই এই বর্বরতা চালিয়েছে। অথচ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে যাঁরা হত্যাকান্ডের শিকার হলেন তাঁরা হয়ত ইউরোপের সে ঘটনার কথা জানেনই না। এভাবেই হয়ত উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়। পৃথিবীও অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করে উগ্র ধর্মান্ধতা এবং উগ্র জাতীয়তাবাদের উন্মত্ততা।
অথচ এ দু’ধরণের উগ্রতাই মানব সভ্যতার জন্য এক বিরাট অভিশাপ ছাড়া আর কিছু নয়। উগ্র জাতীয়তাবাদ একটি জাতিগোষ্ঠীকে অন্যদের বিনাশ এবং নিজেদের আধিপত্যের অজুহাতে একীভূত করে, উগ্র ও উন্মত্ত করে। প্রবল ধর্মান্ধতাও তেমনি একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীকে নানাভাবে উত্তেজিত ক’রে হিংসায় উদ্বুদ্ধ করে।
প্রায় সব প্রচলিত ধর্মেই শান্তি ও মানবতার কথা বলা হয়েছে। যদিও কোনো ধর্মের অতীত ইতিহাসই সে স্বাক্ষ্য দেয় না। প্রচলিত প্রায় সকল ধর্মই শক্তি এবং প্রতিশোধ স্পৃহা দিয়েই প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তির নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারের কাজে ধর্ম ব্যবহ্নত হয়েছে।

বিশ্বময় মানবিক মূল্যবোধ স্থান-কাল-পাত্রভেদে সব সময়ের জন্য জেগে উঠুক। ধর্মান্ধতা এবং উগ্র জাতীয়তাবাদ ছাপিয়ে মানুষ, শুধুই মানুষ বড় হয়ে দেখা দিক – এ প্রত্যাশা সকলের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.