![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে কোন প্রতিষ্ঠানের ড্রেসকোড আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ড্রেসকোড তো অবশ্যই পালন কর্তব্য। এসব শিক্ষিত মানুষকে বুঝানো যাবে, কিন্তু অশিক্ষিত মাথা ভর্তি আরবের গরম বালু যাদের সম্বল তাদের বুঝানো কঠিন। কিন্তু একটি দেশের আদালত কেমন করে রুল জারি করতে পারে- স্কুল কলেজে হিজাব বোরখা পরা শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়া যাবে না? আদালত কি পুলিশ বাহিনী কিংবা সেনাবাহিনীর ড্রেস কোড নিয়ে এরকম রায় দিতে পারবে?
শিক্ষার্থী যদি মুখ ঢেকে রাখে তাহলে প্রবেশপত্রে তার ছবি থাকার কি দরকার? মুখ ঢেকে নকল করতে সুবিধা হয়। কানে ইয়ার ফোন লাগিয়ে উত্তরপত্র লিখতেও সুবিধা। অন্যের হয়ে প্রক্সি দেয়া যায়। তবে এগুলো খুবই গৌণ উদাহরণ। আসল কারণটি বৃহৎ পরিকল্পনার একটি অংশ। আদালতে যিনি আর্জি নিয়ে যান তিনি হলেন দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যেনাত পত্রিকার সম্পাদক আল্লামা মোহাম্মদ মাহবুব আলম। স্কুল কলেজকে মাদ্রাসার মত ধর্মীয় সিম্বল করে তুলতে এরা শুরুতে স্কুল কলেজের জেনারেল শিক্ষার বিরোধীতা করলেও এখন কৌশল পাল্টে স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিকে মাদ্রাসার করে তোলার কৌশল নিয়েছে। দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যেনাত দুটোই জিহাদী জঙ্গি মুসলিম তৈরিতে কাজ করে থাকে। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আদালতের মাধ্যমে যে রুল জারি করেছে তা বাংলাদেশকে আরো বেশি করে ধর্মবাদী করে তুলবে। স্কুল কোড না মেনে নিজের ইচ্ছেমত পোশাক পরা যায় না। কোন মুসলমানই যেহেতু আধুনিক শিক্ষিত মানসিকতার হয় না তাই কখনই এই কমিউনিটিতে এ ধরণের প্রবণতার কোন প্রতিবাদ নেই। ফ্রান্সে যখন একই কায়দায় অভিবাসী মুসলিমরা সেখানকার স্কুলে বোরখা হিজাব পরে যাবার দরুণ স্কুলের বাধার সম্মুখিন হলো তখন টিভি টকশোতে আহমদ ছফার শিষ্য সলিমুল্লাহ খান পরিস্কার করে এটাকে ‘ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ’ বলেছিলো! অথচ ফ্রান্সের স্কুলে শুধু হিজাব বোরখাই নয়, ক্রুশ, ইহুদী টুপিসহ সব রকম ধর্মীয় চিহ্ন পরিধান করাই নিষিদ্ধ এবং কঠরভাবে স্কুল ড্রেসকোড মানতে বাধ্য। এসব জানার পরও পর্দাশীন ও ইসলামের অনুগতরা কেন ইউরোপ যায়? তাদের তো যাবার কথা সৌদি আরব পাকিস্তান আফগানিস্থান। প্রধান কারণ হচ্ছে সেক্যুলার ধর্মনিরপেক্ষতাকে আঘাত করা। উদার ব্যক্তি স্বাধীনতায় ইসলামীকরণ করে পরিবেশ নষ্ট করা। এদেরই দেশী গ্রুপ যারা মাদ্রাসা চালায় তারাই এখন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসলামীকরণ করতে চাইছে। মাননীয় আদালত সেই কাজকে আরো বেগবান করে তুললেন…।
©somewhere in net ltd.