![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় দেশবাসী,
আপনারা আমার সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। হাজার বছরের ইতিহাস, অর্জনের ধারাবাহিকতায় দেশ আজ উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করছে। এই অবস্থাকে স্থিতিশীল রাখতে হলে আমাদের পূর্বসূরিদের পথ, অর্জন, অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে আর নতুনদের ভাবনা-চিন্তার মাঝে বিশ্বায়নের প্রভাবকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। দেশের বর্তমান অবস্থা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি যাতে সুশাসনের বিষয়টি জনগণের নিকট নিশ্চিত হয়। পূর্বের ধারাবাহিক উন্নতির পথ ধরে আজ আমরা এমন একটি দেশ দেখছি যেখানেঃ
রাস্থাঘাটে পিঁপড়া বসবাসের জন্য একটি ক্ষুদ্র ছিদ্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, ময়লার গাড়িগুলোকে প্রায়শঃ ময়লা-বিহীন অবস্থায় চলাচল করতে হয়। ভারস্যুয়েল স্কুল-কলেজের কারণে ৯৯% গতানুগতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে হিমাগারে রূপান্তর করা হয়েছে। অনেক ভবনের প্রতি তলায় বিভিন্ন ফসলের চাষ হচ্ছে। শিশুরা দিনের অধিকাংশ সময় খেলাধুলা ও সৃষ্টিশীল কাজে ব্যস্থ সময় কাটাচ্ছে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিশ্বাস, আদর্শ প্রচারের জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেই একটি করে টেলিভিশন চ্যানেল দেওয়া হয়েছে যেখানে সারাদিন তারা বক্তব্য রাখছেন। এখনো নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের ব্যাপারে অশ্লীলতা বা মিথ্যাচারের কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি।
উড়ন্ত যানবাহনের কারণে বিদ্যমান রাস্থাগুলোকে জনগণের হাঁটার জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। উড়ন্ত যানবাহনের জন্য তাদের আকারের ভিত্তিতে আকাশ পথে ৯৯৯৯টি চলার পথ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোন প্রকার দুর্ঘটনা চিহ্নিত হয় নি। জ্বালানি হিসাবে বাতাস ব্যবহৃত হওয়ায়, কোনরূপ জ্বালানি ঘাটতি পরিলক্ষিত হয় নি। অটোমেটিক পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন বাধ্যতামূলক করায় বেসরকারি খাতে সরকারী বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন পড়ছে না। পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ বিদ্যুতের জন্য আমাদের উপর নির্ভর করছে।
স্বাস্থ্যখাতেও ব্যাপক উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রতি দশজনের জন্য একজন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হলেও অধিকাংশ সময় তারা বহিঃবিশ্বের সেবায় নিয়োজিত থাকেন নিজের দেশের রুগির অভাবে। জনগণের গড় আয়ু তিনশত বছরে উন্নীত হয়েছে যা বর্তমান বিশ্বে বিরল।
বিগত বছর এক বিলিয়ন বিদেশী আমাদের দেশ ভ্রমণ করেছেন। রাষ্ট্রীয় খরচে বছরে দু-বার দেশের প্রতিটি মানুষকে তাদের পছন্দের দেশ ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। মৌলিক অধিকার হরণের শুধুমাত্র ১৭ টি অভিযোগ পাওয়া যায়।
রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে উদ্যান প্রতিস্টিত হওয়ায় বিশ্বে উৎপাদিত প্রায় সকল প্রজাতির ফলমূল, সাক-সব্জি দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। ৯৯,৯৯,৯৯৯ প্রজাতির উপকারি কীটপতঙ্গ এই দেশের আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে রয়েছে। নিরাপদ পরিবেশের কারণে বনভুমির আকার সম্প্রসারিত হয়ে দেশের মোট আয়তনের ৪৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে যেখানে ব্যাপকহারে অন্য দেশের পশু-পাখিদের আগমন লক্ষ্য করা গেছে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে আনিত ১৭টি অভিযোগের সবকটিতে সরকারকে আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে সরকার আদালতের জারীকৃত আদেশ শতভাগ পালনের মাধ্যমে জনগণের সহিত ভুল বুঝা-বুঝির অবসান ঘটান।
এছাড়াও সমাজ-বিজ্ঞানিদের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের মানুষের নৈতিকতা, মূল্যবোধ, চিন্তাশক্তির ব্যাপক উৎকর্ষতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
এতদ উন্নয়ন সত্ত্বেও দেশ যে বিষয়গুলোতে পিছিয়ে রয়েছে তা আমি এখন জনগণের সামনে তুলে ধরছি। ( ঠিক সেই সময় মুয়াজ্জিনের আজানের মধুর শব্দে স্বপ্ন ভঙ্গ আর অদ্ভুত এক তৃপ্তি)।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ??????????