![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারনত যখন বাসায় থাকি তখন চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি।আর যখন বন্ধুদের আড্ডায় যোগ দেই, তখন সম্পূর্ন অন্য আমি-যে অনেক কথা বলে।কখনো কখনো উপন্যাস পড়তে পড়তে নিজেকে কোন উপন্যাসের নায়ক ভাবতে শুরু করি।এই হয়ত গর্ভধারিণীর সুদীপ্ত হয়ে দেশ ও সমাজ ব্যাবস্থা কে বদলে দেবার কথা চিন্তা করি, আবার কখনো কষ্ট পেলে দেবদাসকেই আদর্শ ভাবা শুরু করি।তবে সবথেকে বেশী ইচ্ছে করে হিমু হয়ে ঘুরে বেড়াতে
……………..১ম পর্বের পর……………………. প্রথম পর্ব
ভ্রমনের ২য় দিন আপনি জাফলং এর দিকে যেতে পারেন।জাফলং,তামাবিল,শ্রীপুর,জৈন্তাপুর একি দিকে থাকায় আপনি একদিনে সব গুলো ঘুরে দেখতে পারেন,কিন্তু সে জন্য আপনাকে একদম ভোরে রওনা দিতে হবে এবং একটু দ্রুত দব দেখতে হবে।আপনার হাতে যদি সময় থাকে তবে সব থেকে ভালো হয় এখানে দুইদিন সময় দিলে।প্রথম দিন জাফলং ও তামাবিল এবং পরের দিন শ্রীপুর ও জৈন্তাপুর এভাবে ভাগ করে নিলে আপনি ভালো করে জায়গা গুলো দেখতে পারবেন।
৪) জাফলং
জাফলং সিলেট শহর থেকে ৬৬ কি.মি. দূরে অবস্থিত।বাস অথবা সি.এন.জি. অথবা মাইক্রোবাস ভাড়া করে এখানে যেতে পারেন।সি.এন.জি. অথবা মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিয়ে গেলে আপনার যেমন যাতায়াত সুবিধা তেমনি আবার অসুবিধাও আছে।এক্ষেত্রে আপনি ঘুরার জন্য কম সময় পাবেন এবং ড্রাইভার আপনাকে যত কম দেখানোর চেষ্টা করবে।কিন্তু আপনার হাতে সময় কম থাকলে আপনি এভাবে যেতে পারেন।সি.এন.জি তে যেতে আসতে ভাড়া নিবে ১৪০০-১৬০০ টাকা আর মাইক্রোবাসে ২১০০-২৫০০ টাকা।আর যদি বাসে যেতে চান তাহলে সিলেটের সোবানিঘাট ও কদম তলা বাসা স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি জাফলং এর বাস পাবেন।বাস ভাড়া ৫০ টাকা।জাফলং এ বাস আপনাকে মামার বাজার নামক জায়গায় নামিয়ে দিবে সেখান থেকে মারি নদী অর্ধ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।আপনি রিক্সা অথবা পায়ে হেটেই সেখানে যেতে পারেন।নদীতে চোরা বালি থাকায় এখানে খুব সাবধানে থাকতে হবে।নরম বালি দেখলে সেখানে পা না দেয়াটাই ভালো।এখানে গেলে অনেক মাঝি নৌকা করে চা বাগান ও জিরো পয়েন্টে নিয়ে যাবার জন্য ডাকবে,কিন্তু আপনার হাতে সময় থাকলে এভাবে না ঘুরে আপনি পারাপারের নৌকায় করে নদী পাড় হয়ে ওপারে চলে যান।সেখানে কিছুদূর হাটলেই রিক্সা ও ভটভটি পাবেন ঘুরার জন্য।এখান থেকে চা বাগান,খাসীয়া রাজবাড়ি ও খাসিয়া পল্লি ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য ১০০-১২০ টাকায় রিক্সা পেয়ে যাবেন।খাসিয়া পল্লিতে ছবি উঠানো নিষেধ থাকলেও অনেকে ছবি উঠায় একারনে মাঝে মাঝে খাসিয়াদের সাথে ঝামেলাও হয়।তাই ছবি না উঠানোই ভালো।আর ব্যাক্তিগত ভাবে আমি খাসিয়া পল্লীর ভেতরে প্রবেশ না করার জন্যই বলব কেননা আমি খাসিয়াদের উপর একটি রিপোর্ট করতে গিয়ে দেখলাম টুরিষ্ট দের এই আনাগোনার জন্য ওদের কোন প্রাইভেসি নেই,নিজের বাড়িতেও নিজের ইচ্ছে মত থাকতে পারে না।তার উপর মাঝে মাঝে ছেলেরা খাসীয়া মেয়েদের উত্যাক্ত ও করে।তারা তো মানুষ তারা তো চিড়িয়াখানার পশু নয় যে তাদের দেখতে যেতে হবে।
এসব ঘুরে নদী পারে চলে এসে কিছু সময় ঘুরে কাটিয়ে আবার মামার বাজারে ফেরে এসে বাসে উঠতে হবে।এখান থেকে তামাবিলের দূরুত্ব ৫ কিলোমিটার।
৫)তামাবিলঃ
তামাবিলে দেখার মত তেমন কিছু নেই এখন আর,কয়লা আর পাথরের ব্যাবসার জন্য এর সব সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে গেছে।এখানে আপনি তামাবিল জিরো পয়েন্ট দেখতে পারবে।এপাড়ে বাংলাদেশ আর পাশেই ভারতের মেঘালয়।ছোট পাহাড়ি রাস্তার পাশ ঘেসেই দানবের মত মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে মেঘালয় পর্বতমালা।
এছাড়া এখানে দেখার মত আর কিছু নেই।দূরের আবছা মেঘালয় পাহাড় দেখতে দেখতে বড় কোন পাহাড়ে উঠতে ইচ্ছে করতে পারে কিন্তু তখনই খেয়াল করবেন পাশাপাশি দুটো দেশ হলেও মেঘালয়ের একটি বড় পাহাড়ও বাংলাদেশের ভাগে পড়েনি সব ভারতের।তখন কিছুটা খারাপই লাগবে আমাদের ছোট এই দেশটার জন্য।
জাফলং ও তামাবিল দেখতে দেখতে ভ্রমনের ২য় দিনও শেষ হয়ে যাবে।
…………………………………………………………………………………..(চলবে)
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩২
শিশির খান ১৪ বলেছেন:
ভাই খুব সুন্দর আপনার লেখার হাত ,নিম্নের স্তান গুলার বর্ণনা মনে হয় দেন নি যদি দিতেন তা হইলে খুব উপকার হইতো
৬.শ্রীপুর (চা বাগান)
৭.জৈন্তাপূর (পুরানো রাজবাড়ী)
৮.মাধব কুন্ড (জলপ্রপাত)
৯.শ্রীমঙ্গল (চা বাগান,লাওয়াছরা বন,মাধব পুর লেক)
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৮
পাকাচুল বলেছেন: ভালো লেগেছে, আমার যাওয়ার ইচ্ছে আছে।++++