![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. ভাষা আন্দোলন বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতার প্রথম ধাপ। ইতিহাসে ইহার গুরুত্ব তাই অপরিসীম। ভাষা, মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম।ভাষা, মানুষ তার মায়ের কাছ থেকে শেখে। তাই নিজের ভাষার প্রতি মানুষের ভাবাবেগ অত্যাধিক বেশি। (এখন অবশ্য ব্যাতিক্রম দেখা যাইতেছে!) রাজনীতির ক্ষেত্রেও তাই ভাষা বিশেষ গুরুত্বের অধিকারী। সাংঘাতিক স্পর্শকাতর। জিন্নাহ এখানেই ধরা খাইয়াছেন।
২. উর্দু পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা নহে, প্রভাবশালী পাঞ্জাবিদেরও নহে, এমনকি জিন্নাহের মাতৃভাষাও উর্দু নহে, গুজরাটি। পাকিস্তানের মাত্র ৫% জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা ছিল উর্দু! তাহা হইলে জিন্নাহ কেন উর্দুকে স্টেট্ ল্যাঙ্গুয়েজের মর্যাদা দিলেন ? এই প্রশ্ন আমার মনে বহুবার আসিয়াছে। ইহার কারণ উদ্ঘাটন করিতে যাইয়া পাইয়াছি যে, , উর্দু ফৌজি ভাষা (উর্দু হইলো তুর্কি আরবি ও হিন্দির সংমিশ্রণ যাহা উপমহাদেশ আগত তুর্কি সৈন্যদের থেকে উৎপন্ন হয়। ) থেকে জনতার ভাষা হইয়া শেষ পর্যন্ত একাডেমিক ও সাহিত্যের ভাষা হইয়াছিল। ইহার কারণে আপামর মুসলমানের সন্তানদের হাতে খড়ি হইতো উর্দু বর্ণ দিয়া। আজও মাদ্রাসাগুলোতে উর্দু গুরুত্ব সহকারে শিক্ষা দেওয়া হয়। উহার কারণ পাকি প্রেম নহে, পাকি প্রেম হইলে পাঞ্জাবি বা পশতু শেখানো হইতো উর্দু নহে। ইহার কারণ হইল দ্বীন ইসলামের খেদমত আরবির পরে সবচেয়ে বেশি উর্দু ভাষাতেই হইয়াছে। ইসলামের মূল আরবি কিতাবের অনুবাদ ও মৌলিক রচনাগুলোর অধিকাংশই উর্দুতেই হইয়াছে। ইলমের এক বিরাট অংশ উপমহাদেশের জনগণ উর্দুতেই পাইয়াছেন, প্রাথমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষাও উর্দুতে হইয়াছে এক দীর্ঘকাল। তাই উর্দু মাতৃভাষা না হইলেও, অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ না হইলেও একাডেমিক ল্যাংগুয়েজ হওয়ার কারণে উপমহাদেশে মুসলমানদের মাঝে লিঙ্গুয়া ফ্র্যাংকার মর্যাদা পাইতো। ইহার সাথে ধর্মীয় খেদমতের মহিমা যুক্ত হওয়ায় উর্দু মুসলিম জাতীয়তাবাদীদের কাছে বিশেষ মর্যাদা পাইতো। সময়টা খেয়াল করিতে হইবে। একই সময়ে ইন্ডিয়াতেও স্টেট্ ল্যাংগুয়েজ নিয়া সিদ্ধান্ত হইতেছে যে হিন্দি হইবে রাষ্ট্র ভাষা এবং ইহা লইয়া তামিলরাও প্রতিবাদ জানাইতেছে, আত্মাহুতি দিতেছে, বন্ধ ডাকিতেছে। উহার ঢেউ পাকিস্তানেও লাগিবে স্বাভাবিক। পাকিরা যতই জিন্নাহকে সম্মান করুক, আমার কাছে তাহাকে অর্বাচীন, অদূরদর্শীই মনে হয়। ভারত বিভাজনের ক্ষেত্রেই তাহা প্রমাণিত হইয়াছে। রাষ্ট্রভাষার ঘোষণা আরেকখানা বদলামি !
৩. সাহাবা রা. কোনো দেশ অধিকার করিয়া কখনো ওই দেশের ভাষার অমর্যাদা করেন নাই, জনসাধারণকেও বলেন নাই আরবি গ্রহণ করিতে। তারপরও বহু জনগোষ্ঠীর ভাষা পরিবর্তন হইয়া আরবি হইয়াছে। জনগোষ্ঠীকে ভালোবাসিতে হয়। ইংরেজের মত ছলেবলে কৌশলে ভাষা গিলাইলে ব্যাবহারিক ভাষা হইলেও, অভিজাত ভাষা হইলেও সাধারণের ভাষা হয় না। জিন্নাহের বাঙালিদের প্রতি ভালোবাসাও ছিল না, ইংরেজেদের মতন ছলাকলাও জানিতেন না ! যাহার কারণে তাহার ঘোষণা বুমেরাং হইয়াছে !
৪. জাফর ইকবাল স্যার বিদ্বান মানুষ। তাহার অনেক গুন আছে সন্দেহ নাই। কৈশোরে তাহার সাইন্স ফিক্শন গোগ্রাসে গিলিয়াছি। সংবাদপত্রে তাহার কলাম নিয়মিত পড়িতাম। তাহার লেখা ভালো লাগিলেও কিছু লেখা প্রতিচিন্তার উদ্রেক করিত। একদা কোনো কলামে তিনি বিমানবন্দর রোডে বিভিন্ন সাইনবোর্ড , পথনির্দেশিকা আরবিতে লেখার বিরুদ্ধে ব্যাপক লিখিলেন।যতদূর মনে আছে , তাহার লেখার প্রতিপাদ্য ছিল, আরবি মানেই পবিত্র ভাষা নহে, আরবিতে চটিও লেখা হয়। সুতরাং আরবিতে কেন সাইনবোর্ড লেখা হইবে ? অথচ ওই রোডে বহুকাল যাবৎ ইংরেজিতে সাইনবোর্ড ও পথনির্দেশিকা লেখা হইতেছে। উনি কোনোদিনও ইংরেজির বিরুদ্ধে লেখেন নাই ? শুধু আরবির সাথে এই বিমাতাসুলভ আচরণের কারণ কি ? আরবি , ইসলামের ভাষা বলিয়া? ইংরেজিকরণ হইলে সমস্যা নাই, আরবিকরণ হইলে সমস্যা ? দুইশত বছরের গোলামীর কারণে অবচেতন মন ইংরেজির সমালোচনা করিতে পারে না ?
৫.
------একটা বিড়ালকে কাঁচামরিচ খাওয়াইতে পারিবে ?
----- অসম্ভব।
------- সম্ভব !
-------বাজি ?
------- বাজি !
------- অতঃপর, বিড়ালের পশ্চাৎদেশে কাঁচামরিচ ডলিয়া দেওয়া হইলো। ঝাল হইতে বাঁচিতে বিড়াল এখন পশ্চাৎদেশ চাটিতেছে আর কাঁচামরিচ খাইতেছে !
৬.যেই বাংলা ভাষার মর্যাদাকে রক্ষার জন্য আমরা জীবন দিয়াছি, রক্ত দিয়াছি সেই ভাষার মর্যাদা আজ একুশে বইমেলাতেই সীমাবদ্ধ। ভাষার সাথে সংস্কৃতির যোগ আছে। কান টানিলে মাথা আসে, মাথা টানিলে কান ! সাংষ্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে আইজ পোলাপাইনের মুখে হিন্দি ভাষা অহরহ শোনা যাইতেছে, একাডেমিক এবং আনঅফিসিয়ালি অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ হওয়ার কারণে ইংরেজিতো বাধ্যতামূলক। ইংলিশ মিডিয়ামের বহু পোলাপাইন বাংলা জানে না। ইংরেজি ভাষা তথা সংষ্কৃতির কারণে আমরা কতটুকু সভ্য হইয়াছি তাহাতো না বলিলেও চলে ! লিটনের ফ্লাট ও কাছে আসার অশ্লীল সংষ্কৃতি, ভ্যালেন্টাইন ডেতে কন্ডোম বিক্রয়ের রেকর্ড উহার কিঞ্চিৎ উদাহরণ !
৭. বুকের রক্ত ঢালিয়া, উর্দুর একাধিপত্যকে পরাজিত করিয়া, বাংলার মর্যাদা আদায় করিলাম বটে, ইতিহাসেরও অংশ হইলাম বটে, তবে, একখানা প্যাচ রহিয়া গেল ! প্যাচ খানা কি ? উর্দুকে পরাস্ত করিলাম ঠিকই তবে ইংরেজিকে পারিলাম না ! এমনকি সবচেয়ে জনপ্রিয়, প্রভাতভেরির গান "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী " এর প্রথম কলিতেই ইংরেজি (একুশে ফেব্রুয়ারী) রহিয়া গেলো, ৮ ই ফাল্গুন হইল না !
৮.জিন্নাহকে বলদ বলিয়াছি, কারণ বিড়ালকে কাঁচামরিচ খাওয়াইতে তিনি জানিতেন না। ইংরেজরা জানিত। ভারতীয়রা জানে। তাই ইংরেজের ভাষা, সংষ্কৃতি আমাদের মধুর লাগিতেছে, হিন্দির আগ্রাসন মধুর লাগিতেছে ! আমরা চাটিয়া খাইতেছি !
বরং জিন্নাহ যদি একালের হইতেন, পাকিস্তান যদি এক থাকিত, আর ইংরেজিকে স্টেট্ ল্যাংগুয়েজ বলিয়া ঘোষণা দিতেন, তাহা হইলে আমাদের বুদ্ধুজীবী সম্প্রদায় আজ তাহাকে হিরো বানাইতো!!! অর্থনীতিবিদরা বাহবা দিতো ! বলিত, ভাষার সাথে অর্থনীতিরও যোগ আছে, কর্মসংস্থানের যোগ আছে ! গোলামীর জীন তাহাদের ইংরেজি, হিন্দি ভাষা ও তাহাদের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কিছুই বলিতে দিতো না !
৯.ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ! তাহারা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিয়াছেন, আমরা তাহার মর্যাদা রক্ষা করিতে পারিতেছি না ! ইংরেজি , হিন্দি, আরবি , উর্দু কোনো ভাষার প্রতি আক্রোশ নাই। সবই মানুষের ভাষা। তবে মাতৃভাষার আসন পুরোই আলাদা।
বিনে স্বদেশী ভাষা,
মিটে কি আশা !
(উৎসর্গ : নুরুভাই ! প্রাসঙ্গিক ভাবিয়া রিপোস্ট করা হইলো !!)
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২
টারজান০০০০৭ বলেছেন: খারাপ বলেন নাই !! ডিমের বদলে জিন্নাহ ফুলের মালা পাইতেন !!
জাতি হিসেবে আমাদের দ্বিচারিতা চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দেওয়ার দায়িত্ব ছিল বুদ্ধিজীবীদের ! অথচ তাহারাই ইহাকে তৈরী ও সমর্থন করিতেছে !!
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০২
রাজীব নুর বলেছেন: উৎস্বর্গ নুরু ভাই সাহেব (মুরুব্বীকে) করার জন্য ধন্যবাদ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
টারজান০০০০৭ বলেছেন: নুরু ভাইয়ের পোস্ট পড়িয়া ভাবিলাম এই পোস্ট তাহাকেই উৎসর্গ করা উচিত ! উর্দু মূলত ভারতে উৎপত্তি ! পাকিস্তানের চেয়ে ভারতেই তাহার জনসংখ্যা বেশি,চর্চা বেশি। প্রায় ২০কোটি জনসংখ্যা ! উর্দু খুবই সমৃদ্ধ ভাষা !
উর্দু পাকি ভাষা একারণে উর্দু বাঙালিদের উপরে চাপাইয়া দেওয়ার চেষ্টা করা হয় নাই ! বরং উর্দুর অবদান এবং মুসলিম জাতীয়তাবাদীদের চেতনার ভাষা হওয়ার কারণে বাংলার উপরে অযৌক্তিকভাবে চাপাইয়া দেওয়ার চেষ্টা করা হইয়াছে !!
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
অজ্ঞ বালক বলেছেন: কড়া পোস্ট। সত্যি বলতে কি, এর বিপক্ষে কথা বলাটাও কঠিন। তবে, উর্দু আর ইংরেজি এক না এইটা তো ঠিক। ইংরেজ আমলে যখন ইংরেজিকে দাপ্তরিক ভাষা করা হইছিলো তখন নিখিল বাংলার মুসলমান সমাজ এই স্লেছ ভাষাকে অচ্ছুতজ্ঞানে ত্যাগ করায় উপমহাদেশেই নিজেদের জায়গাটা নড়বরে কইরা ফেলছিলো।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ! বাঙালি যেকারণে উর্দুর বিরোধিতা করিয়াছিল ঠিক একই কারণে মুসলমান সেইসময় ইংরেজির বিরোধিতা করিয়াছে ! তাহার উপরে ছিল ভাষার সাথে সংস্কৃতির সম্পর্কের কারণে অপসংস্কৃতির প্রভাবের আশংকা, যাহা পরে সত্যি প্রমাণিত হইয়াছে !
ইংরেজের আগে ফার্সি ছিল দাপ্তরিক ভাষা। হঠাৎ ইংরেজি চাপাইয়া দেওয়ার কারণে মুসলমানের চাকুরীর সুযোগ শেষ হইয়া যায় ! সে এক বিরাট ইতিহাস ! ডিভাইড এন্ড রুলের ইহাও একখানা চাল ছিল। হিন্দু সম্প্রদায় ইহার সুযোগ লইয়া আগাইয়া যায় !! তাঁহাদের অবস্থান কিন্তু বদলায় নাই ! আগে ফার্সি শিখিয়া মুঘলদের সার্ভিস দিতো ,পরে ইংরেজি শিখিয়া ইংরেজদের দিয়াছে ! মুসলমানেরা পিছাইয়া পড়িয়াছে !
ইংরেজির বিরোধিতা করা হইতেছে না। ইসলামে ভাষার উপরে নিষেধাজ্ঞা নাই , বরং শিখিতেই বলা হইয়াছে ! তবে নিজের স্বকীয়তা, সংস্কৃতি বজায় রাখিয়া !! ইংরেজি শিখিয়া ইংরেজ হইতে বিরোধিতা করা হইয়াছে, যাহা ইংরেজদের ঘোষিত প্ল্যান ছিল !!
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাকিস্তান রাষ্ট্রের শুরুতে উর্দু যদি প্রশাসনিক ভাষায় পরিণত হতো, পুর্ব পাকিস্তানের লোকজন সরকারী কাজ কম পেতো; উর্দু নিয়ে এটি ছিলো বড় সমস্যা। ২য় ছিলো, বেশীর বাগ মানুষের চাষা উর্দু ছিলো না।
ইংরেজদর অর্থনীতি, সায়েন্স ও টেকনোলোজী , কলোনিয়েল সিষ্টেমের মুলভাষা ইংরেজী হওয়াতে তখন সারা বিশ্বে ইংরেজীর আধিপত্য ছিলো।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইহা সত্যি ! ভাষার কারণে বাঙালি সমস্যায় পড়িত ! উর্দু পাকিস্তানিদের ভাষাও ছিল না ! উর্দু ছিল ধর্মীয় একাডেমিক ল্যাংগুয়েজ , মুসলিম জাতীয়তাবাদের প্রতীক ! অথচ জিন্নাহের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ বাঙালি মুসলিম জাতীয়তাবাদীরাই প্রথমে করিয়াছিল ! তমুদ্দিন মজলিস ! সেই ইতিহাস হারাইয়া যাইতে বসিয়াছে !
ইংরেজির আধিপত্য ছিল , আছে ইহা সত্যি। তবে উপমহাদেশে হঠাৎ দাপ্তরিক ভাষা পরিবর্তন করিয়া ইংরেজিতে নির্ধারণ করা দুরভিসন্ধিমূলকই ছিল ! কোন সৎ উদ্দেশ্য ছিল না !
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
একাল-সেকাল বলেছেন:
বিভিন্ন বিদেশী ভাষার সংমিশ্রনে বাংলা ভাষার জন্ম হলেও এ অঞ্চলের মানুষ বিদেশী ভাষার চর্চা বলতে ধর্মীয় কারনে আরবিকেই বুঝত। অপরদিকে ইংরেজ শাসনামলে ভারতীয়রা নিজ প্রয়োজনে ইংরেজি চর্চায় মনোযোগী হয়। এগিয়ে যায় আমাদের থেকে।
ভাষা মানুষের জন্মগত অভ্যাস। চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। নিজ প্রয়োজনেই মানুষ ভাষা গ্রহন/ বর্জন করবে। দূরদর্শীতার অভাব পাকিস্থানের ছিল, ভারত সে ভুল করেনাই। আইন, জবরদস্তি,ভর্তুকি ছাড়াই অতি সু কৌশলে পিএম থেকে শুরু করে বস্তিবাসীকে পর্যন্ত হিন্দি শিখিয়ে দিয়েছে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: বিভিন্ন বিদেশী ভাষার সংমিশ্রনে বাংলা ভাষার জন্ম হলেও এ অঞ্চলের মানুষ বিদেশী ভাষার চর্চা বলতে ধর্মীয় কারনে আরবিকেই বুঝত। অপরদিকে ইংরেজ শাসনামলে ভারতীয়রা নিজ প্রয়োজনে ইংরেজি চর্চায় মনোযোগী হয়। এগিয়ে যায় আমাদের থেকে।
ইংরেজি ভারতীয়রা প্রথমে নিজ প্রয়োজনে শিখে নাই ! উহাও আরোপিতই ছিল ! লর্ড ম্যাকলের স্পিচ দেখিতে পারেন ! মুসলমান ব্যাতিত ভারতের অন্য জাতিদের কাছে মুঘল ও ইংরেজের পার্থক্য ছিল না ! একারণে তাহারা ইংরেজের বিরোধিতাও ১৮৫৭ সালের আগে করে নাই ! বরং ন্যাক্কারজনকভাবে ইংরেজদের সমর্থন করিয়াছে ! একই কারণে ইংরেজি শিক্ষায়ও তাহারা অগ্রগামী ছিল ! যেহেতু মুসলমানরাই প্রথম হইতেই স্বাধীনতা আন্দোলন করিয়াছে আর প্রথমদিকের ইংরেজ প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থাও খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রবর্তিত ছিল এবং তাঁহাদের উদ্দেশ্যও শুধুই শিক্ষা বিতরণ ছিল না বরং ধর্মান্তরকরণও ছিল তাই ধর্মীয় কারণেই মুসলমান ইংরেজ প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধিতা করিয়াছে ! কারণ ইহার ফলাফল স্পষ্টই ছিল ! পরবর্তীতে ইংরেজদের প্ল্যানে ধর্মান্তরকরণ বাদ দিয়া সংস্কৃতির পরিবর্তনই মুখ্য হইয়া ওঠে ! কারণ সংস্কৃতি পরিবর্তন হইলে ধর্মীয় চেতনাও ক্ষীণ হইয়া যায় ! একারণে মুসলমানের বিরোধিতা ছাড়া উপায়ও ছিল না ! ভাষার বিরোধিতা না হইলেও তাহাদের সংস্কৃতির বিরোধিতা তাই আজও চলিতেছে !
ভাষা মানুষের জন্মগত অভ্যাস। চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। নিজ প্রয়োজনেই মানুষ ভাষা গ্রহন/ বর্জন করবে। দূরদর্শীতার অভাব পাকিস্থানের ছিল, ভারত সে ভুল করেনাই। আইন, জবরদস্তি,ভর্তুকি ছাড়াই অতি সু কৌশলে পিএম থেকে শুরু করে বস্তিবাসীকে পর্যন্ত হিন্দি শিখিয়ে দিয়েছে।
সাহাবা রা. কোন অঞ্চল দখল করিয়া ভাষার উপর কোন জবরদস্তি করেন নাই , ইসলামে ইহার নির্দেশনাও নাই ! বরং জনগোষ্ঠীর প্রতি ভালোবাসা, তাহাদের অতুলনীয় আদর্শ, নৈতিকতার কারণে জনগোষ্ঠীই বরং স্বেচ্ছায় তাহাদের ভাষা পরিবর্তন করিয়াছে ! মিশর , আলজেরিয়া , মরোক্কো ইহার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ! আর হিন্দির ব্যাপারে আপনার দেওয়া তথ্যে ভুল আছে ! মাত্র কিছুদিন আগেও বিজেপি হিন্দিকেই রাষ্ট্রভাষা বানাইবার প্রচেষ্টা লইয়াছিল ! বিপদ বুঝিয়া ত্যাগ করিয়াছে ! নিচের মন্তব্যে মোস্তফা কামাল ভাইয়ের লিংকে গিয়া পড়িয়া দেখিতে পারেন ! হিন্দি বরং বলিউডের কারণেই ভারতের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কার মর্যাদা পাইতেছে !!
৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৭
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link @ একাল-সেকাল
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৮
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ! বিশাল,বিস্তৃত দরকারি পোস্ট !
৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০০
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: @একাল-সেকাল- ভারত সে ভুল করেনাই। তথ্য সঠিক নয়। ওপরের লিঙ্কে দেখুন। ভারতে ভাষা আন্দোলন আমাদের চেয়ে অনেক বেশিবার হয়েছে। সেখানে আমাদের আগে ও পরে ভাষা আন্দোলনে ভাষা সৈনিকগন শহীদ হয়েছেন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২০
টারজান০০০০৭ বলেছেন: নিচের মন্তব্যে উনি তাহার বক্তব্য পরিষ্কার করিয়াছেন !
৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৫
একাল-সেকাল বলেছেন:
দূরদর্শীতার অভাব পাকিস্থানের ছিল, ভারত সে ভুল করেনাই। আইন, জবরদস্তি,ভর্তুকি ছাড়াই অতি সু কৌশলে পিএম থেকে শুরু করে বস্তিবাসীকে পর্যন্ত হিন্দি শিখিয়ে দিয়েছে।
এখানে বাংলাদেশের উপর উর্দু ও হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেয়ার কৌশল কে বুঝাতে চেয়েছি।
অবসরে লিংক টা পরে নিব।@লেখক ও @এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল কে ধন্যবাদ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
টারজান০০০০৭ বলেছেন: সরি, রিভার্স সুইং তো , খেলতারি নাই !!!
হিন্দি আসলে শিখাইয়াছে বলিউড ! নচেৎ হিন্দির আধিপত্যের বিরুদ্ধে যেই পরিমান বারুদ আছে তাহাতে আগুন দিলে রোমও পুড়িয়া যাইত !
বাংলাদেশে উর্দু চাপাইয়া দেওয়া কৌশলে হয় নাই বিধায় পাকিরা মারা খাইয়াছে ! পক্ষান্তরে , ভারত সেপথে হাটিতেছে না ! পশ্চাৎদেশে সানি লিওনি, সোলেমান খান, সিরিয়াল ডলিয়া দিতেছে ! বাঙালি খাইবে না মানে !!!
৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৫
একাল-সেকাল বলেছেন:
টারজান০০০০৭ দয়া করে উদ্বিগ্ন হবেন না।
ব্লগ কে আমি ঝগড়াপূর্ণ টক শো মনে করি না। এটাকে শ্রেণীকক্ষ মনে হয়। তথ্য দিলে শিক্ষক, নিলে ছাত্র।
ধন্যবাদ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৪
টারজান০০০০৭ বলেছেন: দারুন তো !! তবে দুঃখ হইলো আগের মতন হেভিওয়েট ব্লগাররা আর আসেন না ! আসিলে ব্লগ সত্যিই শিক্ষালয় হইতে পারিত !!!
১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২১
সোহানী বলেছেন: কাভা ভাই আর আমি ছাড়া কেউই লাইক দেই নাই কিন্তু
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: কাভা লাইক দিছে , কস কি মোমিনা !!
আমিতো জানিতাম হ্যাতে খালি পুলিশের কামই করিয়া থাকে !!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৬
একাল-সেকাল বলেছেন:
সেকালের নিগৃহীত জিন্নাহ একালে স্বীকৃত হতেন। উনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হত।