![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনচাই এমন একটি ব্লক যেখানে থাকবে গল্প,ইতিহাস,কবিতা,প্রবন্ধ,নির্বন্ধ, কৌতুক,আলোচনা সমালোচনা আলাদা আলাদা কিন্তু করতে জানি নাতো এমন করতে। যিনি এই ব্লগে লেখার সূযোগ করে দিলেন তাঁকে চিনলাম নাতো! তথাপি অচেনা এই কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা চিত্তে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
গত ৪ঠা জানুয়ারীতে বান্দরবান সদরে পুজনীয় রাজগুরু ভন্তের বিহারে ছিল বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।সেখানে বিলম্বে পৌছার কারনে নিজেকে অপরাধী মনে হল।দান ক্রিয়াধী সমাপনে পুজনীয় ভন্তে দেশনা শুরু করেছেন।যেই পতাকা দান করার জন্য নির্দ্দেশ দিয়েছিলেন তা দান করার সূযোগই পেলাম না।চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যুষে ভোরে বান্দরবান রওয়ানা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু ছেলেমেয়েদের অনুরোধ রক্ষা করতে গিয়ে অর্থাৎ নাস্তার পর্ব ছাড়তে গিয়ে বাস টার্মিনালে পৌছতে প্রায় ৯টা বেজে গিয়েছিল অতপর রাজপূন্যাহর কারনে পর্যটক বা যাত্রীদের ভীড় লেগেই ছিল। কাউন্টারে স্থায়ী বাসিন্দার দাপট দেখিয়ে কোন রকম টিকেট যোগার করে পুরবী বাসে উঠলাম। কিন্তু বান্দরবানে গন্তব্য স্থানে এসে পুজনীয় ভন্তেকে অষ্ঠাঙ্গ প্রনাম করা সত্বেও তিনি বললেন,এটা খুবই খারাপ। নির্দ্দেশিত পতাকা দান করা হল না আমার।তথাপি তিনি নতুন বছরে যে ভয়ংকর বিপদের কথা বলেছেন তাতে আমি আতংকিত নই কারন বছরের সুচনাতেই আমি অসুস্থতা নিয়ে ঘুরছি। প্রতিনিয়ত: বুদ্ধ্রে শরন.ধর্মের ও সংঘের শরন নিয়েই তো চলাফেরা করছি। যেহেতু এই শরন বা আশ্রয় নিয়েই আছি সেইহেতু কোন আপদে বিপদে পুজনীয় রাজগুরু ভন্তেই আমার সহায়।
পুজনীয় রাজগুরু ভন্তের দেশনা শুনলাম।রাজ পরিবারের সন্তান তো তাই অত্র এলাকার ইতিহাস সমর্পকে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত। তিনি বলেছেন,আরাকানী ভাষায় BOঅর্থ সৈন্য ,RUAঅর্থ গ্রাম, BORU Aঅর্থ সৈন্যদের গ্রাম বা সেনানীবাস।আমার সংগৃহীত তথ্যে ও এমন হদিস রয়েছে।যেমন আলেহক্যডং বা আলীকদমে রাজা তৈন সুরেশ্বরীর নামে তৈনছড়ী যা বর্তমান তৈনখাল নামে পরিচিত। ১৩৩৪ সালের দিকে রোহাং বা আরাকান থেকে এসে রাজা তৈনসুরেশ্বরী এই আলেহক্যডং এ বসতি স্থাপন করেন। তার সেনাপতি ছিলেন সাতুয়া বড়–য়া ওরফে পাগলা রাজা। তিনি রাজ জামাতা ছিলেন এবং রাজার মৃত্যুর পর তিনি রাজা হন। অতপর এই রাজা পাগল হওয়া নিয়ে রয়েছে নানা লোক কাহিনী। এখনো চাকমাদের বড়–য়া গঝা নামে একটি দল বিদ্যমান। পুজনীয় রাজগুরু ভন্তে কথিত সেই সুবেদার শায়েস্তা খানই প্রথম এই আলেহক্যডং আক্রমন করেন। রাজগুরু ভন্তে দেশনাস্থলে আমার প্রিয় বন্ধু বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রকৌশলী মি:সুইহামং মার্মা ও সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন। পুজনীয় ভন্তে যে আওরঙ্গজেবের কথা বলেছেন তার কীর্তি তো এই সুইহামং সহ দেখেছি ১৯৯০ সালে । ,ঢাকার সেই লালবাগ কেল্লাটি।পুজনীয় ভন্তে যে বড়–য়াদের কথা বলেছেন একই কথা বলে আমার জ্ঞাতী ভাইদের কে শান্তনা দিতাম সেই ঢাকা ধর্মরাজীক বৌদ্ধ বিহার অনাথালয়ে। পড়–য়া আমার জ্ঞাতী ভায়েরা বড়–য়াদের পর্বত সমতুল্য মনে করে। আমি বলতাম, তাদের তুলনা হয়না। বড়–য়ারা জেগেছে আমাদের ৩শ বছর পূর্বে। তাদের চেতনা,তাদের সভ্যতা,শিক্ষা,ত্যাগ,প্রজ্ঞা আমাদের অনেক পূবেই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে *মহামনি* তার উজ্জল দৃষ্ঠান্ত। শুনেছি পাহাড়ীদের প্রথম বিঝু এখানেই উদযাপিত হত।
পুজনীয় রাজগুরু ভন্তে যে উইজ্যাদের কথা বলেছেন তা অনেকের কাছে অবিশাস্য মনে হতেই পারে।যারা এটা অবিশ্বাস করে তারা এই কাসের ছাত্র নয়। আমি কিন্তু অতীব বিশ্বাস করি এই আকাশ আয়তনে সাধকদেরকে। আমি যখন শ্রমন ছিলাম তখন বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শত শত ভিক্ষু সংঘ সান্নিধ্য লাভ করতাম। তখন দর্শকদের দিকে না তাকিয়ে শুধু ভিক্ষু সংঘদের দিকে শেয়ালের মত তাকিয়ে থাকতাম। কিভাবে জানবো? কে শ্রোতাপত্তি? কে সকৃতাহামী? কে অনাগামী? কে অরহত? কৌতুহল সংবরন করতে না পেরে জনৈক বিজ্ঞ ভন্তেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,ভন্তে বলেছিলেন,আমরা চিনতে পারি না, তুমি কিভাবে চিনবে?যে শ্রোতাপত্তি সেই শ্রোতাপত্তিকে চিনবে,যে সকৃতাগামী সে সকৃতাগামীকে চিনবে,যে অনাগামী সে অনাগামীকে চিনবে আর যে অরহত সে অরহতকে চিনবে। এই ছাড়া চেনার কোন উপায় নেই।
এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল,দুর্গম পাহাড়ে আমার এক ভগ্নী পতœী আমার ক¤্পউিটার দেখিয়ে বলল, এখানে কি কি কাজ করা যায় ? আমি বললাম,সারা বিশ্বে যে কোন প্রান্তে কয়েক মিনিটের মধ্যে যোগাযোগ করা যায়। লোকটা আমার কথা বিশ্বাসই করল না অধিকন্তু চোখ রাঙিয়ে আঙ্গুল উচিয়ে বলল,বেশী গপ্প মারবে না। ওয়াক টু করে টুটু ফেলে বেরিয়ে গেল। ধর্মীয় আলোচনায় ও এমন অবিশ্বাস্য আছে। শ্রমন অবস্থায় একটু মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় পরম শ্রদ্ধেয় বনভন্তের সান্নিধ্যে গিয়েছিলাম।আমার আচরনে তিনি হেসে ফেলেন। কারন তার দুটি পা গেরুয়া বসনের উপড় এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেছিলাম যে বলতেই পারছি না। সাধ শুধু একটি বার প্লায়িক লেগ বা উড়ন্ত পা গুলি বসন খুলে দেখা কিন্ত দেখা হয়নি।লোকিক অবস্থা হচ্ছে শ্রদ্ধেয় ভন্তে জড়া ব্যাধিতে আক্রান্ত,আমাদের মত চলাফেরা করতে পারেন না।হুইল চেয়ারে এবং অন্যের সহায়তায় চলাফেরা করতে হয়। লোকত্তর তথা আমার ধারনা হচ্ছে শ্রদ্ধয় ভন্তে সবার অগোচরে স্বর্গ মত্ত্য যেথায় ইচ্ছা যেতে পারেন এই উড়ন্ত পা দিয়ে তাই এই উড়ন্ত পা দেখার বাসনা।এই প্রসঙ্গে শ্রদ্ধেয় বনভন্তের দেশনা হচ্ছে যে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে তাকে এম.এ কাশের পড়া দিলে সেকি পারবে?আমি যখন শ্রমন ছিলাম তখন ভাবনা করার চেষ্ঠা করতাম। রাতে আমার ভাবনা কালে সুন্দর সুন্দর ভন্তেরা ফড়িঙের মত উড়ন্ত লাফ দিয়ে আমার চারিপার্শ্বে নীরবে দাড়িয়ে থাকে। আমার ভাবনা ত্যাগ করে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে ও কথা বলতে ইচ্ছে করে। অত পর ধ্যান ভেঙ্গে সারারাত তাদের মত একাকী খালী লাফ দিতাম কিন্ত কোথায় পাবো সেই উড়ন্ত পা?পরম শ্রদ্ধেয় রাজগুরু ভন্তে যাদেরকে উইজ্যা বলেছেন।
পরম শ্রদ্ধেয় রাজগুরু ভন্তেকে আমি প্রথম দেখি ১৯৮৩ সালে প্রবারনা পুণির্মাতে। সেখানে সাবেক রাষ্ঠ্রপতি এইচ,এম এরশাদ সাহেবের উপদেষ্ঠা প্রয়াত উপেন্দ্র লাল চাকমা এসেছিলেন। আরো ছিলেন প্রয়াত বোমাং রাজা মংশৈপ্রু চৌধুরী ও বর্তমান রাজা কে এস প্রু চৌধুরী। এই ভন্তেকে দেখে আমার বন্ধু মংসানু প্রায় চীৎকার করে উঠেন,মুন্সেফ মুন্সেফ মুন্সেফ,এই আমাদের মুন্সেফ। অতি সাধারন পোষাকে থলে একটা কাদে নিয়ে আমাদের পাশ দিয়ে বিহারে প্রবেশ করেছিলেন।
বান্দরবানে গিয়ে মানসিক অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গীদের কে একটি বার রাজ গুরু ভন্তের কাছে নিয়ে যাবার অনুরোধ করি।আমাকে দেখার সাথে সাথে রাজগুরু ভন্তে যে আচঢ়ন করেন তা সঙ্গীদের কাছে নাকি অবাক করেছে, তা নাকি ছিল লাথি মারার ভঙ্গী কিন্তু আমার কাছে ছিল অতীব স¦াভাবিক। তার পা এগিয়ে দেয়ার সাথে সাথে সাথেই আমি দু,হাতে জড়িয়ে ধরি।আমার ধারনা ছিল এই. শ্রদ্ধেয় ভন্তে মুক্তির পথে উড়ে যাচ্ছেন,আমি মুক্তির পথ খুজে পাচ্ছি না.উড়তে পারছি না। টেনে তোলার উদ্দেশ্যে পা এগিয়ে দিলে তাৎক্ষনিক ভাবে আমি দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি।
শ্রমন থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকবার পরম শ্রদ্ধেয় রাজগুরু ভন্তের সান্নিধ্যে গিয়েছিলাম। একবার সোয়াইং খাবার সময়ে পৌছলে তিনি অতি স্নেহাদরে আমাকে আহার করান।এই স্নেহাদর ছিল স্বর্গীয় ও অতুলনীয় এবং পিতা ও সন্তানের মত। নিজেই পানি ঢেলে আমার হাত ধুয়ে দেন। এই আমার হাতে পানি ঢেলে দেয়ার সময় ও মা গঙ্গাকে সাক্ষী রেখে আমার দুহাত জুড়ে প্রার্থনা ছিল,হে জৈষ্ঠ,এই জন্মে নয় শুধু, আগামী জন্মে ও আমি যদি কোন অপরাধ করে থাকি তার শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা,এই বিচার করার ক্ষমতা যেন আপনার উপড় ন্যাস্ত থাকে।সাধারনত অন্যান্য বৌদ্ধ বিহারে ভিক্ষু ও শ্রমনের খাবার টেবিল আলাদা এবং আলাদা সোয়াইং বা খাবার খাওয়ার বিধান রয়েছে।কিন্তু তিনি বলেছেন, আমার কাছে এই বৈষম্য নেই, তুমি আমার টেবিলে খাও। আমি শাক সবজী অর্থাৎ নিরামিশ দিয়ে খেতে চাইলে তিনি নিজে আমিষ খাদ্য তুলে দেন।একটা খাদ্য দেখিয়ে বলেন, এটা চেনো? আমি মাথা নাড়লাম।তিনি বললেন,সমুদ্রের অক্টোপাশ।
আরেকবার রাজগুরুর ভন্তের কাছে গিয়ে একটি অপূর্ব সুন্দর রমনীকে আমার ভয়ে পিছু পালাতে দেখলাম,যাকে সাধারন মানবী বলেই মনে হয়নি। অপর জন ছিল আমার পেছনে,তাকে দেখিনি কিন্তু শব্দ শুনেছি. যে নাকি শ্রদ্ধেয় রাজগুরু ভন্তেকে নতুন ভাবে আমার পরিচয় করে দিয়েছিল। মার্মা ভাষায় বললেও আমি ¯পষ্ঠ বুঝতে পেরেছি।শ্রদ্ধেয় রাজগুরু ভন্তেকে পেছনে মহিলাটি বলছে,তুমি যাকে খুজছো,এই সে কোবরা সাপটি।আমি প্রায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।দু,হাত জড়ো করে পুজনীয় রাজগুরু ভন্তের দিকে করুন দৃষ্ঠি ছিল, আমি তো মানুষ এবং শ্রমন, কোবরা বা সাপ হতে যাবো কেন? অতপর রমনী গুলি অদৃশ্য হয়ে যায়।
পুজনীয় রাজগুরু ভন্তে সর্ব দিক দিয়ে আমার জৈষ্ঠ। তিনি জৈষ্ঠ জন্মে ও বয়সে। তিনি যখন এই পৃথিবীতে পা রাখেন তখন আমি মায়ের পেটে ও ছিলাম না। গুরু জৈষ্ঠ বংশে। তিনি রয়েল ফেমিলি অর্থাৎ রাজবংশের সন্তান আর আমি সাধারন এক কার্বারীর সন্তান।গুরু জৈষ্ঠ শিক্ষায়। তিনি এল,এল,বি অনার্স ,বি,সি,এস আমি সাধারন বি,এ মাত্র।তিনি জৈষ্ঠ পদে ও কর্মে।চাকুরী জীবনে তিনি ছিলেন প্রথম শ্রেণী মুন্সেফ ও সাব জর্জ।আমি দ্বিতীয় শ্রেণী পদ মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের একজন প্রকলপ সংগঠক ছিলাম। তিনি জৈষ্ঠ ত্যাগে। এই চাকুরী,এই পদ মর্যাদা ত্যাগ করে ব্রম্মচারী ভন্তে হয়েছেন। এই জীবনে তিনবার শ্রমন হলেও সংসার একে বারে ত্যাগ করতে পারিনি। তিনি প্রজ্ঞাবান যা আমার নেই।এই বয়সে,শিক্ষায়,কর্মে,ত্যাগে ও প্রজ্ঞায় সর্ব গুনে জৈষ্ঠ বলেই আমার পরম পুজনীয়।আমি আছি কামাবচর ও রুপাবচরে তিনি বিজ্ঞানায়তন থেকে আকাশায়তনে নি:শ্চয় পা দিতে যাচ্ছেন। এই কামাবচর ও রুপবচর টা হচ্ছে প্রাথমিক স্তর,যেখানে কবি সাহিত্যিকরা ও বিদ্যমান। পার্থক্য হচ্ছে তারা ভোগী ও অবাধ বিচরন করেনএবং নীতি অনুসরন করেন না আর আমরা শীল বা নীতি অনুসরন করি। বিজ্ঞানায়তন-যেখানে পুজনীয় ভিক্ষু সংঘ অবস্থান করেন। বিশ্বে সকল বিজ্ঞানী এই স্তরে অবস্থান করেন যদিও পুজনীয় ভন্তেদের মত ব্রম্মচারী নহেন। এই স্তরে আমাদের আচার্য্য-ভারত রতœ,ভারতের সাবেক রাষ্ঠ্রপতি ও পারমানবিক বিজ্ঞানী ড: এ,পি.জে আবুল কালাম ও রয়েছেন।তারপর স্তর হচ্ছে –আকাশায়তন।যারা লোকোত্তর পর্যায়ে এবং দেবতাদের ও শান্তা .যারা উড়ন্ত এবং সাধারন মানুষের দৃষ্ঠির আড়ালে।অতপর পুজনীয় রাজগুরু ভন্তের সংজ্ঞায়তন ও নৈবসংজ্ঞায়তন। তিনি এই স্তরে পৌছে যেতে সক্ষম হন, ভগবানের কাছে এই প্রার্থনায় করি।
পুজনীয় রাজগুরু ভন্তের দেশনা শেষে দারিদ্র কষাঘাতে জর্জরিত মানুষদের শীত বস্ত্র বিতরন ছিল। একটি ব্যানার লক্ষ্য করলাম,*ওয়াল্ড বুড্ডিষ্ঠ শাসানা সেবকা সংঘ* । এটি একটি সম্যক কর্ম ও সম্যক প্রচেষ্ঠা যা পুজনীয় রাজগুরু ভন্তে কর্র্তৃক স¤পন্ন হচ্ছে । শ্রদ্ধেয় ভন্তের এই জাদি নির্মান ও সম্যক কর্ম। আমাদের পরম পুজনীয় তথাগত ভগবান বুদ্ধ বলেছেন,*দ্বিগীজয়ী সেই,যে নিজেকে জয় করেছে*। বুদ্ধের এই বানী বাস্তবায়নের যোগ্যতা বোধহয় পরম পুজনীয় রাজগুরু ভন্তে অর্জ্জন করতে যাচ্ছেন এবং এই বিজয় পতাকা হাতে দাড়িয়ে রয়েছেন তিনি।
©somewhere in net ltd.