![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনচাই এমন একটি ব্লক যেখানে থাকবে গল্প,ইতিহাস,কবিতা,প্রবন্ধ,নির্বন্ধ, কৌতুক,আলোচনা সমালোচনা আলাদা আলাদা কিন্তু করতে জানি নাতো এমন করতে। যিনি এই ব্লগে লেখার সূযোগ করে দিলেন তাঁকে চিনলাম নাতো! তথাপি অচেনা এই কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা চিত্তে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আজ আন্তরজাতিক আদিবাসী দিবস। সারা বিশ্বে ৭০টি দেশে ৪০কোটি অধিকার হারা,স্বীকৃতি হারা মানুষের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করছি। এই দিনে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশে বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামে আগ্রাসী ও সম্প্রসারনবাদী ক্ষমতাসীদের মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাতেই এই লেখা শুরু করেছি ।
সমপ্রতি খাগছাছড়ী পার্বত্য জেলার মাটিরাংগা উপজেলায় সেটেলাররা আদিবাসী গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে,মনটা বিষন্নতায় ভরে উঠেছে। কার কাছে এই বিচার চাইবার আছে? যেখানে রক্ষকই ভক্ষক। এই দ্বায় এই জালেম আওয়ামীলীগ সরকারের, যারা ১৯৭২ সাল থেকে আজ অবধি আমাদের কে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়নি। সেই ১৯৭২সাল থেকে আজ অবধি সেনা ছত্রছায়ায় পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ী গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে,সহায় সম্পতি দখল করে আমাদের সর্বহারা করা হচ্ছে।
মাটিরাংগা তাইন্দং এলাকায় যে দুশতাধিক চাকমা ও ত্রিপুরার ঘর বাড়ী জ্বালিয়ে দিয়ে ভারতে শরনার্থী হতে বাধ্য করেছে,এই দ্বায় সংশ্লিষ্ট বিজিবি সেক্টর কমান্ডারের,এই দ্বায় খাগড়াছড়ী পদাধিক বিগ্রেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এর। কারন স্থানীয় সাংবাদিকদের কে এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ না ছাপানোর জন্য জি২ কর্তৃক মোবাইল মেসেজ পাটানো হয়েছে বলে পত্রিকা সূত্রে জানা যায়।পাবর্ত্য চট্টগ্রামে এই সেনা কমান্ডেনদের নির্দ্দেশ বা ইশারা ব্যতীত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা সূচীত হয় না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস,একদিন এই সকল জ্বালিয়ে পুঁড়িয়ে উচ্ছেদ করার ঘটনার জন্য তাঁেদরকেই জবাব দিহি করতেই হবে,সেই ইহকালের হোক কিংবা পরকালের হোক জবাব দিতেই হবে।এই সামরিক আমলারাই পার্বত্য এলাকায় নতুন নতুন রাজনৈতিক ইস্যু সৃষ্টি করে আসছে,জন্ম দিচ্ছে রাজনৈতিক দল। তাঁদের স্বার্থের ব্যাঘাত সৃষ্টি হলেই এই নতুন নতুন রাজনৈতিক ইস্যুর জন্ম দেয়। যার নিরাপত্বার প্রশিক্ষন ব্যতীত রাজনৈতিক প্রশিক্ষন নেই তাঁর যদি রাজনৈতিক অভিলাষ জাগে তবে দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভোমত্বের নিরাপত্ত্বা কতটুকু সুদৃঢ় তা সন্দেহ রয়ে যায়!
সম্প্রতি সিএইচটি কমিশন কে নিয়ে রাজনৈতিক তাফালিং ও বুদ্ধিজীবিদের খুব হৈ চৈ শুরু হয়েছে। ইতি পূর্বে এই কমিশনের লোকজন কে পার্বত্য এলাকায় সফরে ও নানা হাঙ্গামা প্রদর্শন করা হয়েছিল বিধায় আমার নজর কেড়েছে এবং কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। বলা হচ্ছে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম কে বিচ্ছিন্ন করে খ্রীষ্টান রাষ্ট্রে পরিনত করার চক্রান্ত চলছে। এই সব পাঠে আমার মুখ কেমন জানি কাচুমাচু করে কিছু বলার জন্য,অগত্যা আত্মসংবরন করতে না পেরে এই আন্তরজাতিক আদিবাসী দিবসে এই বিষয়ে কিছু মতামত জানাতে হলো।
যে যা মনে করবে করুক,আমাকে যে বলতেই হবে।
ইউরোপিয়ান কমিশনের অন্যতম সংগঠন হচ্ছে সিএইচটি কমিশন,যার সদর দপ্তর হচ্ছে ডেনমার্কের কোপেন হেগেন। এই সিএইচটি কমিশনের সূচনা মূলতঃ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে। তিনি তাঁর ১৯ দফায়-এই খাল কেটে কুমীর এনেছিলেন।এই পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী আন্দোলনকে বর্হিবিশ্বের আড়ালে রাখতে চেয়েছিলেন। এটা প্রতিবেশী দেশ ভারতের চক্রান্ত বলেই ইসলামী কান্ত্রি গুলোতে প্রচার করতেন এবং এই সব আন্দোলন কারীদের দমনে সহায়তা চাইতেন। আমেরিকা কিংবা ইউরোপ কান্ট্রিগুলোর দাতা সংস্থাকে তিনি জানাতেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন রাজনৈতিক সমস্যা নেই,এটা অর্থনৈতিক সমস্যা। এই অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান কল্পে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সময়ে গঠিত হয়েছিল ডেনমার্কের রাজধান কোপেন হেগেনে “সিএইচটি কমিশন” এবং রাংগামাটিতে “পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড”। এই সিএইচটি কমিশন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে ফান্ড পাঠানো হয়। পরে সিএইচটি কমিশনের সাথে এশিয়া ডেভলাপমেন্ট ব্যাংক,ইউনিসেফ,বিভিন্ন দাতা সংস্থা, মন্ত্রনালয় /স্পেসিয়াল এপেয়ার্স যুক্ত হয়। স্পেসিয়াল এপেয়ার্স ছিল রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রনে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার। ইউনিসেফের তহবিল দিয়ে স্বয়ং শহীদ জিয়া বান্দরবান জেলার সোয়ালকে ম্রো আবাসিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও উদ্ভোধন করেন।স্বসস্ত্র আন্দোলন কারীদের দমনে যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং সম্পদ আহরন শুরু হয় সেই ১৯৮০ইং সাল থেকে। উচুভূমি বন্ধোবস্তি করন প্রকল্পে রাবার বাগান সৃষ্টি করা হয় রাংগামাটি ও খাগড়াছড়ীতে। এই সিএইচটি কমিশন বা ইউরোপিয়ান কমিশনের অর্থ বরাদ্ধে পার্বত্য এলাকায় সেটেলার পূর্ণবাসন শুরু হয়। যেহেতু পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার বা জিওসি সেহেতু এই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থে বা এই সিএইচ টি কমিশনের অর্থ বরাদ্ধে শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল সেনা অপারেশন “উত্তরন”। দুর্গম এলাকায় বসবাসরত পাহাড়ীদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়ে যৌথ খামার ও গুচ্ছ গ্রামে পূর্ণবাসিত করা হয়। সেনা শাসক শহীদ জিয়ার এই কঠোরতার পন্থা কিন্তু স্বৈর শাসক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ গ্রহন করেননি। তিনি দমনের পরিবর্তে আলোচনার পথ “ট্রাইবেল কনভেনশন” গঠন করেন। বেকার থাকলে ভূল পথে পরিচালিত হবে পাবত্য যুব সমাজ। তাই তিনি বিপদগামীদের প্রতি শুধু সাধারন ক্ষমা নয়,গণহারে চাকুরীর ব্যবস্থা করেন। তাঁর আমলে আমার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ইউনিসেফ প্রজেক্টে চাকুরী হয়েছিল। আমাদের পরিবহন মালামাল সরাসরি এই সিএইচটি কমিশন তথা কোপেন হেগেন থেকে আসত। ৫টি হোন্ডা এক্সেল ১২৫ কোপেন হেগেন থেকে এসেছিল যার প্রাপ্তী ছিল আমার একটা কিন্তু তৎকালীন মেম্বার সেক্রেটারী আমাকে তা বরাদ্ধ বা ব্যবহারের সূযোগ দেননি। আজো মনে পড়ে সেই স্মৃতি,ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর ছিলেন কোল্ডফি ডজ আর ফিল্ড অপারেশনে ছিলে চিনচ নামে এক কৃঞ্চাঙ্গ। এই চিনছ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ইউনিসেফ প্রকল্প পরিদর্শনে আসলে বোর্ডের এয়ারকন্ডিশন কনফারেন্স রুমে এক সম্বর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মেম্বার সেক্রেটারী ও মেম্বার ফাইনেন্স ইংরেজীতে তৈল মর্দনের বক্তব্য রাখলেন। অতপর আমাদের মধ্যে কেউ কিছু বলবে কিনা যাচাই করা হচ্ছে কিন্তু কি আশ্চর্য! কেউ সাহস করছে না। আমাদের মধ্যে ইংলিশে এম,এ অনার্স ও আছেন কিন্ত নীরব। অগত্যা আমি দাড়িয়ে গেলাম। ইংরেজী শুদ্ধ হোক বা না হোক বলা শুরু করলাম,অন্ততঃ সাহস বাড়ানোর দরকার মনে করে। পার্বত্য এলাকার উপকারভোগীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো এবং শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য সর্ম্পকে সমস্যা জানানোর চেষ্টা করলাম।অত পর এই চিনছ আমাকে ইশারায় তার সফর সঙ্গী করতে চেয়েছিলেন কিন্তু উর্ধতনদের তীক্ষè দৃষ্টি,চোরের মনে পুলিশ পুলিশ ভাব। ফলে তার সান্নিধ্যে যাওয়া সম্ভব হয়নি, ছোট কর্মচারী বলে কথা। পরবর্তীতে আমাকে উন্নয়ন বোর্ডের রেস্টহাউসে অবস্থান পর্যন্ত বারন করা হয়। বৈষম্যতার কারনে চাকুরী করা সম্ভব হয়নি বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগমুহুর্তে সেই ১৯৯৫ সালে। এই কোপেন হেগেন থেকে আমাদের মালামাল আসত বিধায় এই স্বপ্নপুরীর প্রতি তথা এই সিএইচটি কমিশনের প্রতি বরাবরই কৌতুহল ছিল,আছে এবং থাকবে। যে ডেনমার্কের তথা সিএইচটি কমিশনের পার্বত্য এলাকার মানুষের অতীব ভালবাসা ও আর্থিক সহায়তা রয়েছে সেই ডেনমার্কের লোকজন কে অপহরণ করা হয়েছিল রাংগামাটি নানিয়াচর ও বান্দরবানের থানচি উপজেলা থেকে অনেকটা সরকারী মদদে । তাঁদের কে বুঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে “তোমরা যাদেরকে সহযোগীতা করতে চাইছো তারা আসলে হীংস্র/সন্ত্রাসী,ভালমানুষ নয়,এই অপহরনই তার উজ্জল দৃষ্টান্ত”। সেই ডেনমার্কের প্রকৌশলী বা ডানিদার লোকজনই জানে আসলে এই অপহরনের জন্য দায়ী কারা? নিঃসন্দেহে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার। সুদীর্ঘকাল যাবৎ এই সিএইচটি কমিশনের তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সকল সূযোগ সুবিধা ভোগ করার পর যখন বঞ্চিত হবার আশংকা পরিলক্ষিত হয়েছে তখনই এই হেন তালবাহানা সুচীত হয়েছে। পাবর্ত্যচট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারী কার্যে কত শতাংশ স্থায়ী আদিবাসীদের অংশ গ্রহন রয়েছে তা আমার জানা নেই। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীত হবার পর যে গাছ,বাঁশ ও পাথর আহরন করা হয়েছে তার কত শতাংশ আদিবাসীরা সুফল পেয়েছে তা আমার জানা নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আর্থিক সহায়তায় অনেক হাট বাজার উন্নয়ন করা হয়েছে তার কত শতাংশ আদিবাসীরা বিপনী ও ব্যবসা বাণিজ্যে সুযোগ সুবিধা পেয়েছে সেই পরিসংখ্যান আমার কাছে নেই। অতীব সুকৌশলে আদিবাসীদের অর্থনৈতিক অবরোধ করে রাখা হয়েছে। আদিবাসীবাসীদের জায়গা জমি বিক্রয় ব্যতীত বিকল্প কোন আয় উপার্জ্জন নেই। এই জায়গা জমি ও আজ নেই বললেই চলে।
স্বাধীনতার পর থেকে লক্ষ্য করে আসছি, আদিবাসী পাড়া বা গ্রামের পাশেই দোকান বা হাটবাজার গড়ে উঠে অনেকটা মাছ ধরার লুই বা ছাইয়ের মত। মাছ ধরা লুই বা ছাইয়ে যেমন মাছ প্রবেশ করে তেমনি এই আদিবাসীদের সকল উপার্জ্জন চলে যায় এই হাটবাজারের দোকানদারদের পকেটে। সেটেলার বা রিপিউজিরা আর হোল্ডিং এ জায়গা নিয়ে ক্ষান্ত হয়নি,অনেক অনেক ভূয়া কবুলিয়ত আছে যা প্রদর্শন করে আদিবাসীদের জায়গা দখল করা হয়েছে।
বিভিন্ন পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানলাম,পার্বত্য চট্টগ্রাম কে বিচ্ছিন্ন করে খৃষ্টান রাষ্ট্রে পরিনত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই সংবাদ কতটুকু সঠিক ? না, জুজুর ভয়? আমার মনে হয় এটা মিথ্যা অপপ্রচার। হলেই বা আমাদের কি আসে যায়? ইসলাম যেমন আদর্শের ধর্ম তেমনি খৃষ্টান ও আদর্শের ধর্ম। একটি আদর্শকে গ্রহন করলে জাত বিলুপ্ত হয় না। স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে এই দেশ ও জাতীর উন্নয়নে যারা সাহায্য ও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের মধ্যে আমেরিকা ও ইউরোপ অন্যতম। এই আমেরিকা বা ইউরোপ তো মুসলিম রাষ্ট্র নয়,সবাই খ্রীষ্টান। এত সাহায্য ও সহযোগীতা করেছে, বাংলাদেশের মানুষ তো খ্রীষ্টান হয়ে যায়নি। এই আমেরিকা বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যদি পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষকে সাহায্য এবং সহায়তার হাত প্রসারিত করে পার্বত্য এলাকার মানুষ সবাই খ্রীষ্টান হয়ে যায় কিভাবে?
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিয়ন্ত্রনাধীন। উন্নয়ন খাত বা বৈদেশিক সহায়তা তিনি যাচ্ছে তাই করার ক্ষমতা রাখেন কাজেই পার্বত্য এলাকায় আদিবাসীদের নামে বরাদ্ধ প্রাপ্যদের বঞ্চিত করে গরিষ্ঠ বাঙালীদের নামে বরাদ্ধ করতেই পারেন। এই পার্বত্য চট্টগ্রাম অটোনোমাস হয়ে গেলে বা স্বায়ত শাসিত হয়ে গেলে পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন বরাদ্ধ আর যাচ্ছে তাই বা বাঙালীদের প্রাধান্য দিয়ে ব্যবহার করা যাবে না বলেই আগাম এই জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে বলেই আমার ধারনা,অনেকটা শেয়ালের আঙ্গুর ফল টকের মত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে তথা জাতীসংঘে যখন সফর করেন তখন জাতী সংঘের মহাসচিব মিঃ বানকি মুন নাকি জিজ্ঞেস করেন,বাংলাদেশের আদিবাসীরা কেমন আছে? তিনি নিলর্জ্জের মত জবাব দেন,আমরাই আদিবাসী,ওরা আমাদের পরে। এই যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা।আমরা তো বলিনি এই শেখ পরিবার ইরাক কিংবা আর্মেনিয়া থেকে এই বাংলায় এসেছিল। তার বাঙালীরা কেন আমাদের চৌদ্ধপুরুষের কাসুন্দী ঘাটাঘাটি করছে আজ মিথ্যা ইতিহাসের পাতা দাখিল করে। এই বাংলায় সেই পাহাড়পুর,ময়নামতি তথা বুদ্ধের সভ্যতা ধ্বংসের জন্য দ্বায়ী সম্প্রসারনবাদী এই বাংলার মুসলমান, কোন খ্রীষ্টান নয়। আজকে আদিবাসীদের কে নাগরীক হিসেবে বেঁেচ থাকার সুযোগ সুবিধা তো নয়,স্বীকৃতি পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না।সেই ১৯৭২ থেকে আজ অবধি সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়নি এই আওয়ামীলীগ তথা শেখ পরিবার।
যাকে বঙ্গবন্ধু বন্ধু বলা হচ্ছে তিনি তো “পার্বত্য শুত্রু”। তাঁর মুর্র্র্তি জোড় করে স্থাপিত হয়েছে রাংগামাটি ও বান্দরবানে আমাদের পুজার জন্য। কারন আমরা তো মুর্তির পুজারী। এই মুর্তি তার জন্মভূমি গোপালগঞ্জে ও ঠাই নেই কারন মুসলমানরা মুর্তি পুজা করে না। শুনেছি,এই পার্বত্য শত্রুটা কলকাতার নাস্তীকবাদীদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছিল,কথায় কথায় ইনশাল্লাহ বললেও কেউ তাঁকে নামাজ দোয়া পড়তে দেখেনি। স্বাধীনতার পর সামান্য সহানুভূতি প্রদর্শন করে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করলে আজ আমাদের এই দৈন্য দশা হত না। এই আওয়ামীলীগ শব্দটা মূলতঃ বাংলা শব্দ নয়,উর্দু শব্দ। এই শব্দে লুকিয়ে আছে সেই ভয়ংকর হায়েনা। এই পার্বত্য শত্রুর কন্যা বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শান্তিচুক্তির নামে যে মোনাফেকী করল তা রীতিমত ভয়ংকর। কি ভয়ংকর শেখ নামে ক্রোমোজম গুলি!
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: লিগ তো দেখতাছি সেনা ব্যরাক ওইখান থেকে উঠাইয়া দিতাছে, আর ওরা আদিবাসীর কোন সজ্ঞার মাঝে পরে তা আগে বলেন। পরিস্থিতি যা হচ্ছে বর্তমানে সেখানে বিমান ঘাটি রাখা দরকার। আর ওদের দাবি নামক কিছু মামুর বাড়ীর আবদার আমরা বাংলাদেশীরা কখনই মেনে নিব না। বাংলাদেশে বাংলাদেশি হয়ে থাকলে তাদের কেউ কিছু বলবে না কিন্তু উলতা পাল্টা করলে ছার দেয়া হবে না।