![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনচাই এমন একটি ব্লক যেখানে থাকবে গল্প,ইতিহাস,কবিতা,প্রবন্ধ,নির্বন্ধ, কৌতুক,আলোচনা সমালোচনা আলাদা আলাদা কিন্তু করতে জানি নাতো এমন করতে। যিনি এই ব্লগে লেখার সূযোগ করে দিলেন তাঁকে চিনলাম নাতো! তথাপি অচেনা এই কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা চিত্তে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাঙালীরা ভেঙ্গেছে আমার হৃদয়,
মানবতাহীন বাঙালী কেন এমন হয়?
জীবনে একি পরাজয়?
আমাদের প্রতি কেন বৈমাত্রেয় ভালবাসা,
অধিকার হারাদের কি বা আছে স্বপ্নের আশা?
সম্প্রতি আমার ভাবনা একটায়,কখন এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারবো? এত চক্রান্তের পর আমার বেচেঁ থাকার কোন স্বার্থকতা খুঁজে পাচ্ছি না। মানুষ মাত্রই ভ’ল করে।নিজের চোখের ময়লা নাকি নিজেই দেখতে পায় না। আমার ভ’ল ত্রুটি আমি দেখার কথা নয়,অন্যরাই দেখতে পায় হয়ত। অন্যরা দেখার পর তা যদি বলে না দেয় কিংবা সমালোচনা না করে তবে আমি নিজের ভ’ল সংশোধন করবো কিভাবে?
আমার তো অন্য দশজন কবি সাহিত্যিকের মত অন্য কিছু বিষয় নিয়ে লেখালেখি করার কথা । কিন্ত এই বিদগ্ধ হৃদয়ে শুধু এই দেশের ক্ষমতাসীন বাঙালীদেরকে নিয়ে লেখতে হচ্ছে । এই বাঙালী ছাড়া আমার গল্পের প্লটে বা লেখনিতে অন্য কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কোন অবকাশ খুঁজে পাচ্ছিনে।
ইন্টারনেটে বাংলাদেশ সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ব্রাউজিং করে দেখলাম,আমার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নির্বন্ধনে অন্য নাম পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাদের কাছে আমি বিশ্বস্থ তাদের কাছে দুই নম্বরের মানুষ হতে চলেছি। কারন আজ আমার নির্বন্ধন সম্পূর্ন ভ’য়া বলেই প্রমাণিত হচেছ।
একদা এই সমাজ সেবা অধিদপ্তর বা মন্ত্রনালয়ে আমি একজন হিসেবে মনে করতাম। সেই ১৯৮৪ইং থেকে ১৯৮৭ইং পর্যন্ত সমাজ সেবা অধিদপ্তরে গ্রামীণ সমাজ কর্মী হিসেবে চাকুরী করেছি,এই সমাজ কল্যানে আমি স্নাতকে পড়া লেখা করেছি এবং নিজেকে সমাজ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব করি। জাতীয় সমাজ কল্যান পরিষদে কিংবা মন্ত্রনালয়ে যারা ছিলেন তাঁদের কাছে আমি অতীব স্নেহাদরের পাত্র ছিলাম। আজ তাঁদের প্রতি আমার বিদ্বেষ কিংবা আমার প্রতি বান্দরবান জেলা সমাজ সেবার কিছু কর্মীর বিদ্বেষ ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে এই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে।যার ফলে আমার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের নাম নিশানা ও মুছে দেয়া হল।বাংলাদেশ সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে রেজিষ্টার প্রতিষ্ঠানের তালিকায় বান-২৬/৮৬ তে- পার্বত্য চট্টগ্রাম আদি জনগোষ্ঠী সমন্বয় পরিষদ-এর নাম মুছে দিয়ে “লামা উপজাতীয় সাংস্কৃতিক কাব” দেখা যাচ্ছে। যারা আমাদেরকে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী রং লাগাতে চাই তাদেরই এই চক্রান্ত বলে আমার ধারনা।
১৯৮১ইং সালে একটি শিশু জন্ম হলে তার বয়স আজ হত ৩২ বছর। কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেতে তা হয়নি। ভেসে উঠে স্মৃতির পাতায় তার জন্ম কথা। আমাকে অতীব স্নেহাদর করতেন সেকালে লামা মহকুমা প্রশাসক জনাব জুলফিকার হায়দর চৌধুরী,অতিরিক্ত মহকুমা প্রশাসক জনাব ফজলুর রহমান। লামা থেকে আলীকদমে সফরে আসলে তাদেরকে সঙ্গ দেয়ার তেমন লোক ও ছিল না । যারা ছিলেন তারা প্রাইমারী শিক্ষক বিধায় কর্তাদের কাছে যেতে সংকোচ বোধ করতেন । চেয়ারম্যান ও তেমন সাধুভাষা জানতেন না।তখন রেষ্ট হাউস ছিল না। বাজারে তিন রুমের একটি ডাকবাংলো ছিল তা ও পোষ্ট অফিস হিসেবে ব্যবহার এবং মাত্র দুই রুম গেষ্ঠরুম হিসেবে ব্যবহার করা হত কিন্তু প্রায় বুকিং থাকতো।ফরেষ্ট বাংলোতে এই ভি,আই,পিরা এসে অবস্থান করতেন। সেই মহকুমা প্রশাসক জনাব জুলফিকার হায়দর চৌধুরীর পরামর্শে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় আলীকদম উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছেলেমেয়েদের নিয়ে ১৯৮১ইং সালে গঠন করা হয় “আলীকদম উপজাতীয় সাংস্কৃতিক কাব”। প্রশাসনের পাশাপাশি সেনা জোনের ও পৃষ্ঠপোষকতা ছিল।বর্তমান আলীকদম বাজারের পাবলিক হলের পাশে একটি রুমে এই কাবের কার্যক্রম সূচীত হয়।মান উন্নীত থানা করার পর ১৯৮৩ ইং সালে মান উন্নীত থানার নির্বাহী অফিসার জনাব তাজ মোহাম্মদ এই কাবের ভিক্তি স্থাপন ও আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ভোধন করেন। ১৯৮৬ইং সালে কাবটি বান্দরবান জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধীকরন লাভ করে।যার নং-বান্দ-২৬/৮৬। কাবের সদস্য/সদস্যারা উচ্চ শিক্ষাতে অনত্র,শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়া কিংবা চাকুরীতে অবস্থানের কারনে কাবের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। ১৯৯৮ ইং সালে বান্দরবান জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে দেখা গেল “আলীকদম উপজাতীয় সাংস্কৃতিক কাব” এর ফাইলে আমাদের রেকড পত্র গায়েব করে “লামা ন্যাশনাল কাব” এর রেকড পত্র রাখা হয়েছে। এই লামা ন্যাশনাল কাবের সভাপতি হচ্ছেন রহুল আমিন। রহুল আমিন ছিল আমার কাশ ফ্রেন্ড যার সাথে একই সময়ে লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি এবং চকরিয়া কলেজ থেকে এইচ,এস,সি পাশ করেছি। কিন্তু তার পরশ্রী কাতরতার স্বভাবটা আজো মুছে ফেলতে পারেনি। কলেজে পড়ার সময় একই সময়ে চকরিয়া লামা প্রেস কাবের সাথে আড্ডা জমাতাম। আমাকে বলতো সে দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক। একবার আসল দেশ পত্রিকার সাংবাদিকের কাছে ধরা পড়ে গেল। এই দেশ পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন রহুল আমিন মুকুল। চকরিয়ার দেশ পত্রিকার সাংবাদিকের পত্রিকা পোষ্ট অফিস থেকে গায়েব করত এই লামা রহুল আমিন। আমি যখন চাকুরীতে যোগদান করি তখন এই রহুল আমিন আমাকে বলল,দোস্ত,আমি লামা আলীকদম প্রেস কাব করতেছি,তুই আমাকে সহযোগীতা কর এবং সদস্য হিসেবে থাক। তার কথায় আমি রাজী হয়ে গেলাম। এই দোস্তটার আড়ালে যে চক্রান্ত করেছিল তা আমার জানা ছিল না। তার অনেক গুলো প্রতিষ্ঠানের কথা বলতো তথাপি আমার প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার দূর্বলতা ছিল এটা জানা ছিল না।যখন জানলাম তখন করার কিছুই ছিল না।১৪ই আগষ্ঠ,১৯৯৮ইং তারিখে ঢাকা জাতীয় প্রেস কাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে “পার্বত্য চট্টগ্রাম আদি জনগোষ্ঠী সমন্বয় পরিষদ” গঠন করলাম। সাধারন সদস্যদের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে আলীকদম উপজাতীয় সাংস্কৃতিক কাব টির নাম পরিবর্তন করে “পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিজনগোষ্ঠী সমন্বয় পরিষদ” নামে সমাজ সেবা থেকে নবায়ন সনদ নিয়েছিলাম। সম্ভবত সেই রহুল আমিন আবার একই চক্রান্ত করে “পার্বত্য চট্টগ্রাম আদি জনগোষ্ঠী সমন্বয় পরিষদ” এর রেকড পত্র গায়েব করে লামা উপজাতীয় সাংস্কৃতিক কাবের রেকড পত্র অন্তরভ’ক্ত করে দিয়েছে। আমি আছি সেনা ব্যাটেলিয়ন হেডকোয়াটারে। অথচ একদা এই রহুল আমিন লামা থেকে আলীকদম এসে জোন কমান্ডার ও অন্য অফিসারদের আমার বিরুদ্ধে নানা কুটসা রটিয়ে সেনা অফিসারদের বিরাগভাজন করে রাখতো। শুনেছি, সেনা অফিসাররা সেকালে রহুল আমিনের সম্পাদনায় লামা আলীকদম প্রেস কাব কর্তৃক প্রকাশিত “মাতামুহুরী” তে প্রকাশিত আমার লেখা প্রশংসা করতেন বলে প্রতিহীংসায় জ্বলে সাথে সাথে জানিয়ে দিত, স্যার, ওকে ক্যাপ্তেন মুহাম্মদ শীতকালে লামাতে মাতামুহুরী নদীতে ডুবাইছিল। বান্দরবান থেকে লামা পযন্ত যে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছিল সে রাস্তা তার বাড়ী পাশ্ব দিয়ে না আসায় সরাসরি সেনা প্রধান কে রিপোট করেছিল । তাই জনৈক কোম্পানী কমাডেন্ট এই রহুল আমিন কে গাছে ঝুলানোর জন্য কসম খেয়েছিল। এই সেনাবাহিনীর ভয়ে লামা ছেড়ে দুবাই চলে গিয়েছিল।সে বেশী বিলম্বের কথা নয়। আলীকদম প্রেস কাবের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহাম্মেদ “গিরি নন্দিনী আলীকদম” নামে একটি বইয়ের পান্ডুলিপি তৈরী করেন। সেনা বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় বইটি ছাপানোর কথা ঢাকার নির্ধারিত এক প্রেসে। মমতাজ নিজে ঢাকা যেতে না পেরে এই রহুল আমিন কে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকা পাঠায়। মমতাজউদ্দিন আহাম্মেদ এর গিরি নন্দিনী আলীকদম লেখক রহুল আমিন নামে ছাপিয়ে বাজারে বিক্রয় শুরু করে দেয়।অধিকন্তু এই প্রকাশনা বাবদ লামার তৎকালীন পৌরসভা চেয়ারম্যান জনাব ইসমাইল কর্তক ৫মে:টন খাদ্য শস্য বরাদ্দের অর্থ নিয়ে নেয়। এই ঘটনায় আলীকদম জোন কমান্ডার অত্যন্ত ক্ষেপা ছিলেন। পরে যে ৫মে:টন বরাদ্দের টাকা রহুল আমিন নিয়েছিল তা একটি চেকে চেয়ারম্যান ইসমাইলের মাধ্যমে জোন কমান্ডারের কাছে পাঠিয়েছিল এবং গিরি নন্দনী আলীকদম পূণরায় মমতাজ উদ্দিন আহাম্মেদ এর নামে ছাপা হয়। এই চির পরশ্রী কাতর রহুল আমিন নিশ্চয় লামার কাউকে দিয়ে আমার স্বেচ্ছাসেবী নির্বন্ধন টি দখল করেছে। লামা প্রেস কাবের সভাপতি মাষ্টার প্রিয়দর্শী বড়–য়া বলতেন,এই রহুল আমিন যার বন্ধু তার শত্রুর প্রয়োজন হয় না। বাঙালীদের এই হেন চক্রান্তের শিকার হতে হতে আমার হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
মমতাজ-কলি বলেছেন: কোন ব্যক্তি বিশেষের অপরাধের ভার সমগ্র জাতিগোষ্ঠীর ওপর দেয়া ঠিক নয়। আপনি কলম সৈনিক। সৈনিকের একটি গুলি যদি ভুলভাবে বের হয়, তাহলে আহত করে নিরীহ প্রাণকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
মমতাজ-কলি বলেছেন: “লামা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাষ্টার প্রিয়দর্শী বড়ুয়া বলতেন, এই রুহুল আমিন যার বন্ধু তার শত্রুর প্রয়োজন হয় না”। ------ কথাটি খুবই ভাল লাগলো।