![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শব্দ প্রয়োগ করে পৃথিবীতে এখন আর মানুষকে আহত করা যায় না। সারা পৃথিবীতে মানবতাবাদীদের তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা, ঘৃনাও ইসরাইলের ফিলিস্তানে ছোরা একটা বোমা প্রতিরোধের সমপরিমাণ প্রতিরোধক তৈরি করতে পারে নাই। প্রতিদিন পৃথিবীর কোনে কোনে ক্ষমতাধরদের জুলুম যত বেড়েছে প্রতিবাদও তত বেড়েছে; তবে প্রতিবাদ যা হচ্ছে তা একই পক্রিয়ায় তাই ‘মানবাধিকার’- এর মতন শব্দও এখন কথার কথায় রুপান্তারিত হয়েছে, ছোটশিশু থেকে মৃত্যু পথযাত্রী সবার কানেই ঘণ্টায় ঘণ্টায় ঘুরে ফিরে বাজছে মানবতার বানী কিংবা তা লঙ্ঘনের নেক্যারজনক মাত্রা।
মানবতার ব্রত নিয়ে পাড়া আর মহল্লার মোড়ে মোড়ে খোলা হয়েছে শান্তির সোল ডিট্রিবিউট্ররশীপ, প্রভুত্ববাদের জয় জয়কার চলে ভিতরে ভিতরে। যাদের ঈসারা ও ইঙ্গিতে চলে মানবাতার তুমুল ধর্ষণ তাদেরই পয়সায় তার সহনীয়মাত্রা মনিটর করেন তাদের এজেন্টগন। এ চিত্র সমসাময়িক পৃথিবীর, শুধু বাংলাদেশের না। কাঠামোর মধ্যে বসেই হত্যাযজ্ঞের সার্কাস দেখে পৃথিবীর সব মিজানুর রহমান কিংবা আইরিন খান গং’রা।
শান্তির দূত অর্থনীতির মারপ্যাঁচে বন্ধি করে ফেলেছেন নিজেকে,মানুষের অর্থনীতিক মুক্তিই তাদের লক্ষ্য, কাগজে কলমে গড় বাৎসরিক আয় ডলারে হিসেব করে তারপর জীবনের যাবতীয় লেনদেন লোকাল কারেন্সিতেই করতে হয়। কেউ কেউ বলেছিলেন দারিদ্রতাকে জাদুঘরে পাঠাবেন তারই আজ সংঘ আর সাম্রাজ্যবাদের চক্করে বন্ধি হয়ে পরেছেন।
যেখানেই গণমানুষের মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেখানেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে আইকনিক তাকমা আর তারপর আঞ্চলিকতার ক্ষুদ্র পরিসর ছেড়ে আইকন স্বপ্ন বুনেছেন পৃথিবিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়সে। পৃথিবীর যেখানেই কেউ মাথাচাড়া দিয়ে আলোচনায় এসেছে সে ‘নাইট’ কিংবা ‘স্যার’ পদবী নিয়ে গণবিচ্ছিন হয়েছে রাজনৈতিক কারনে।
আমাদের এখানেই তাই সবচেয়ে সৎ ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে দেওয়া হয় সংবিধানের সবচাইতে সন্মানজনক আসন আর তিনি নিস্তেজও হয়ে যান রাজনৈতিক কারনেই। সংবিধানিক কারনেই অসহায়ের মতন দেখেন কিন্তু শব্দ প্রয়োগ করতে পারেন না।
আমরা পরোক্ষভাবে সাম্রজ্যবাদিদের অধিনস্ত,আমাকে প্রত্যক্ষ যে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ তাকে পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে পৃথিবীর প্রভুদ্বয়।
আজস্র মৃত্যুর মাঝে অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার এই তীব্র প্রয়াস পক্ষান্তরে শুধুই উপভোগ্য, বিনোদনের নতুন মাত্রা মাত্র। পেন্টাগনে বসে ফুটবল খেলা দেখা কিংবা ছেলে আর নাতিকে নিয়ে কোন অপরাহ্ণের ভাত ঘুম শেষে টেনিস খেলা।
©somewhere in net ltd.