নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দাহ কালের প্রণয়

মনিরুল ইসলাম রানা

কিছু বলার নাই

মনিরুল ইসলাম রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমসাময়িক রাজনীতি

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০০



গত অক্টেবরে দেশের বহুল প্রচলিত একটি দৈনিকের জরিপে বিএনপির প্রতি জনগণের সমর্থন বর্তমান ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগের থেকে বেশি ছিলো। জরিপ চালানো সংবাদপত্রটি নিজের সচ্চতার প্রমান দিতে পেশাদার জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সাথেই চুক্তিবদ্ধ ছিলো, যেহেতু পেশাদার প্রতিষ্ঠানের করা জরিপ তার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন বা বিতর্ক করতে হলে নিশ্চয়ই কিছু গ্রান্ড ওয়ার্ক করার ব্যাপার থাকে; জরিপ প্রকাশ হওয়ার পর তৎকালীন ও বর্তমান ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগ তুচ্ছ তাচ্ছিল্লের মন্তব্য ( যাহা ওনাদের সহজাত স্বভাবে পরিণত হয়েছে) করেছে, কিন্তু এর বিপক্ষে কোন যুক্তি ও তর্ক উপস্থাপন করতে পারে নাই। কিংবা তারা তা করতে চান নাই, কারন জরিপের উপরে যে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছেনা দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সেই দখলদাড়ির মানোভাব ছিলো, সেলুকাশ একশো বছর পরে এই ইতিহাস কে কোন চোখে দেখা হবে বর্ষীয়ান কোন নেতাই ভাবেননি।

যে কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সাংবিধানিক রাজনীতিতে সদ্য সাবেক প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র সংখ্যাঘনিষ্ঠতা ও সমর্থন নিয়ে। রাজনৈতিক সমর্থন মানে রাজনৈতিক বিশ্বাস ও আস্থা, সোজা করে বললে আমি যেমনটা চাই আমি যাদের সমর্থন করি তার ঠিক তেমন তেমন সুদিন ও সুফল এনে দিবে। দেশের মোট জনগোষ্ঠির চল্লিশ শতাংশের বেশি মানুষ বিএনপির উপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখে মানে সমর্থন করে, অনান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় এমন কি যে দল স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের থেকে কখনো জনমতে ছাড়িয়ে গিয়েছে দলটি আবার কখনো জনমতে পিছিয়ে পরলেও তার মাত্রা খুব ভয়াবহ রকম নিম্নগামী ছিলো না,দল গঠনের পর থেকে জনমতে এমন সাফল্য ঈর্ষানীয় বৈকি !

সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, তবে পরিবর্তন আসেনি। ’৯০ এর পর থেকে মুখোশ পাল্টেছে সকল রাজনৈতিক দলগুলির, গনতান্ত্রিক যাত্রা এখন এক কথার কথায় পরিণত হয়েছে অথচ আমাদের আগের প্রজন্ম সেই যাত্রা সমুন্নত রাখতে প্রাণ দিয়ে গেছেন। স্বৈর শাসক এরশাদের পতনের পর থেকে এই ছোট দেশটির গনতান্ত্রিক যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিলো তা রাজনৈতিক ভোগ বাদে রূপান্তরিত হয়েছে, এবং বিএনপি সেই পুরোপুরি ভোগবাদের মধ্যে মিশে গিয়ে দিনে দিনে জনগণ বিছিন্ন হয়েছে।

বিরোধিদল বিএনপির বর্তমান রাজনীতিক কর্মসূচি এখন ছোট ছোট কর্পরেট ইভেন্টের মতন হয়েছে, সাত বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে রেয়েছে দলটি, গত সাত বছরের আন্দলনের যদি গড় হিসেব করা হয় তাহলে দেখা যাবে; দলের মহাসচিবের অগণিত হুঁকার, যুগ্ম মহাসচিবের গনতন্ত্র রক্ষায় অগণিত হাকডাক, আর মাননীয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিনিও গনতন্ত্রের এমন দুর্বিষহ দিনে ঠিক আধিনস্তদের মতন মর্মাহত, আর এই গ্রুপ মর্মাহতের ফলাফল পাওয়া যায় প্রেস ক্লাবে বিলি করা প্রেস রিলিজে। দেশের শেষ যে কোন আলোচিত সর্বনাশে তাদের নাটিকা কোন কাজে আসেনি, হত্যা,গুম,খুন, বাজেট, এমন কি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মতন বড় আত্নঘাতি ও জনগণ বিমুখ রাষ্ট্রীয় চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাদের হাঁকডাক জনগণের কাজে আসেনি। তবে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনায় তাদের মন্তব্য যেন বাধ্যতামূলক, মির্জা আলমগির সাহেব বড় মজার মানুষ প্রেস ক্লাবেই তামাম বাংলার যত অন্যায়, নিপীড়ন ও শোষনের বিরুদ্ধে তারা আন্দলন করেন,ঘটনাঅনুযায়ী যথাক্রমে শোক,ক্ষোভ,ঘৃনা ও বিচারের দাবী যানান।বিগত বছর গুলোতে বিএনপি বিশাল বিশাল আন্দোলনের ডাকে মনে হয়েছিলো, যাক রাষ্ট্র ক্ষমতার যোগ্যতার প্রমান না রাখতে পারলেও বিরোধীদল হিসেবে পারবে, বিএনপির প্রেস স্টেটমেণ্ট অনুযায়ী নিজাম হাজারিকে সরাসরি দোষী দাবী করেছিলেন তারা কিন্তু বস্তুত নিজাম হাজারী দিব্যি বেহাল তবিয়তে আছেন কিন্তু বিএনপি কি সে ইস্যু ধরে রেখেছে ? একই প্রফেশনে কিছুটা ছাড় দিতে হয়, এতটা আবেগবিহীন জীবন হয় কি ! নিজাম হাজারী না রাষ্ট্র ক্ষমতা ছাড়ার পর জনগণমুখী যে কোন সুশাসন কিংবা আধিকারের দাবীতে বিএনপি শুধু মাইক্রোফোনে সোচ্চার ছিলো আর কোথাও না। ভোগবাদী রাজনীতির এক তীব্র প্রবঞ্চচনা যা তাদের কে প্রেস কভারেজ দিয়েছে কিন্তু তাদের সমর্থক গোষ্ঠী আর তারা যে জনগণের রাজনীতি’র কথা বলেন তাদের চরিত্রে দ্বিমুখী রুপ প্রতীয়মান, যা তাদের বিচ্ছিন্ন করেছে জনগণ থেকে, বস্তুত এখন প্রতিটি রাজনৈতিক দল দ্বমুখি সত্ত্বা নিয়েও সভ্য হওয়ার ভান করে ।



দৃশ্যমান, বিএনপির প্রতি দেশের জনগনের যে সমর্থন তারা তার প্রতিদান রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে দিতে পারেন নাই, ক্ষমতার বাইরে থেকে সেই প্রতিদান চাইতে গেলে বেশি আশা মনে হতে পারে, তবুও যেই চল্লিশ ভাগের বেশি মানুষ তাদের সমর্থন করেন তাদের সাথে এ নিতান্তই ভার্চুয়াল বিপ্লবের প্রতারনা। প্রেস ক্লাবে মির্জা ফকরুল সরাসরি বিল্পবের ঘোষণাপত্র পাঠ করছেন এই বুঝি বিএনপির সমর্থকদের সামনে চলে আসে তাদের কাঙ্ক্ষিত সুদিন যার অপেক্ষায় তারা এখনো বিএনপির সমর্থন করেন। তা ঘটে না যা দেখা যায়;একা, একজন তারেক রহমানের সন্মানের দোহাই দিয়ে যে সকল কর্মসূচি পালন করা হয় অথচ যে চল্লিশ শতাংশের বেশি মানুষ তাদের উপর আস্থা রাখেন তাদের অধিকার আদায়ের দাবীতে তার এক শতাংশ ও করছে না বিএনপি, মানুষের আধিকারের দোহাই দিয়ে চলমান নাটকীয় শোকসভা প্রতারনা; বললে কি খুব ভুল বলা হবে ?

ঢাকা, জুলাই-২০১৪ ( আমাদের সময় প্রকাশিত Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

খাটাস বলেছেন: শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ। যুক্তি যুক্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.