![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে একটা উৎসব বাদ পরে যায়, আমরা 'জাতীয় শোক উৎসব' আয়োজন করি না, অথচ শোক আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ অংশে পরিণত হয়েছে; পৃথিবীর যে কোন যুদ্ধবিগ্রহ অঞ্চলের সীমান্তে প্রতিদিন যুদ্ধে যে পরিমাণ মানুষ মারা যায় তার কয়েক গুন বেশি মানুষ বাংলাদেশে প্রতিদিন অপমৃত্যুর স্বীকার হয়।
২০১৩ সাল পর্যন্ত ফিলিস্থান ইসরাইল সীমান্তে গড় মৃত্যু সংখ্যা ছিলো গড়ে তিন জন, ২০১৩ সালে শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের গড় মৃত্যু ছিলো ১৯ জন,আপনি ভুল পড়েননি নিসচার তথ্য মতে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মত্যু বরন করে। যদি আর একবছর পেছনে ফিরি " বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ২৮৯ জনের "।
অপমৃত্যুর অন্য হিসেবও আমরা নিতে পারি; বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ২০১৩ সালে শিশু পরিস্থিতি প্রবন্ধে জানায় হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষনসহ বিভিন্ন কারণে অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে ১৭০২টি শিশু। আর শুধুমাত্র রাজনৈতিক সহিংসতায়ই প্রাণ গেছে ৪১ শিশুর এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬৬ জন।
পৃথিবীর প্রতিটি দেশ যখন সড়ক দুর্ঘটনা শূন্য কোঠায় নিয়ে আসার কাজ করছে আমাদের গড় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে; একটি অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দাবি করা হয় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতি জিডিপির ১.৬ শতাংশ। হু হুঙ্কার দিয়েছে এমন চলতে থাকলে ২০২০ সালে গড় মৃত্যু দাঁড়াবে ৪০ জনে।
সারা পৃথিবী যখন তারুন্যের উন্মাদনায় লাইফ সেলিব্রেট করবে আমরা তখন পঙ্গু কিংবা বিকলঙ্গ হয়ে ডেথ সেলিব্রেট করবো। সারা পৃথিবীতে থেকে মানুষ আসবে আমাদের মৃতপুরী'তে মৃত উৎসব দেখবে। আমাদের জাতীয় শোক উৎসবে আমন্ত্রিত হয়ে আসবেন রাষ্ট্র প্রধান কারন স্বজন হারানোর ব্যাথার কপিরাইট শুধু তারই।
বিউগলে করুণ সুর বাজবে, জাতিয় পতাকা হাতে সবাই সমস্বরে উচ্চরন করবে; হ্যাঁ, এই মৃত্যু উপত্যকাই আমার দেশ ।।
©somewhere in net ltd.