![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু বিশ্লেষণধর্মী লেখা। নিতান্তই নিজের মন থেকে লেখা হয়েছে, কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়। সমালোচক সমালোচক একটা ভাব দেখা যেতে পারে :)
ছবি। মানুষের স্মৃতি পটে দাগ কেটে যায় এমন কিছু মুহূর্তকে ফ্রেমে বন্দী করে রাখার উদ্দেশে যার জন্ম। আর ক্যামেরা হল ছবি তোলার আনুসাঙ্গিক বস্তু। আসল কথায় আসার আগে একটু ভূমিকা দিয়ে নিলাম। যাতে করে সহজে সবার বোধগম্য হয়। তো ক্যামেরা মোবাইলের আগমনের সময়কালে এতো বেশি হঠাৎ করেই ছবি তোলার হার অস্বাভাবিক রকমে বেড়ে যায়। হাঁটতে ছবি, বসতে ছবি। তার সাথে যোগ হয় মেগা পিক্সেল নামক শব্দ। সে অনেক আগের কথা। আজকাল ওই শব্দের স্থল দখল করে নিয়েছে ডি.এস.এল.আর নামক বস্তু। যার ফুল ফর্ম না কিন্তু বস্তুটি আছে এমন লোকের সংখ্যাও নিছক কম নয়। ইহা এমন এক বস্তু, যার ছোঁয়ায় বান্দর হয়ে উঠে সুন্দর, পেত্নী হয়ে যায় ডানাকাটাপরী, আর আঁতেল কুমার চন্দ্র (বস্তুটির মালিক) হয়ে যায় রাতারাতি ফেমাস!!!! ফেমাস মানে, যাকে আগে কেউ কোন দিনও বিন্দুমাত্র দাম দেয় নি, তাকেই কিনা সবাই (পড়ুন মেয়েরা!) টিউব লাইট জ্বালিয়ে খুঁজে!!!! অনেকে তো এক স্টেপ এগিয়ে গিয়ে তাকে বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে বসে!!!! এই বস্তুর আরও বহুবিধ গুণ আছে। যেমন ধরুন কোন অনুষ্ঠানে ঢুকতে পারছেন না? হাতে নিন ক্যামেরা, ঢুকে যান ক্যামেরাম্যান হিসেবে!! এই বস্তুটি কিনতে যদিও কিছুটা বিলম্ব ঘটে, কিন্তু একবার কেনার পরে, ফেবুতে ফ্যান পেজ খুলতে মোটেও দেরি হয় না। অলস বালক থেকে রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া সেই ছেলেটি কিছুদিন বাদে আর চিনতে পারে না তার পুরনো বন্ধুদের। সে শুধু বিযি থাকে তার মডেলদের নিয়ে!!!! কিছুদিন পরে নানান সাইযের লেন্স কিনে, আর ছবি তোলার মাত্রা যায় আরও বেড়ে। এভাবেই চলতে থাকে বালকের জীবন, আর তার ওই আজীব বস্তুটির ছোঁয়ায় বদলে যায় তার পাশে থাকা হাজারো মেয়ের জীবন!!!!!!! মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদেরও মাঝে মাঝে শখ হয়। মনে হয় আমার যদি একটা ডি.এস.এল.আর থাকতো তাহলে আমারও...................... বাকি কথাটা তো সবাই বুঝে ফেলেছেন।
বিঃদ্রঃ এখানে সচারাচর যা দেখা যায় তাই বর্ণিত হল। অবশ্যই ভালো ফটোগ্রাফারেরা মাইন্ড করবেন না।
©somewhere in net ltd.