নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

িশরোনামহীন

িকছুই বলার নাই।

ভবঘুের পথিক

আমি সাধারন এক ছেলে। আপাতত এর বেিশ িকছু বলার নাই।

ভবঘুের পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যাসিয়াস বসের বিকল্প হয় না।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১২

কেন জানি ২০১০ সালের কথা মনে পড়তেসে! স্পেইন বনাম সুইজারল্যান্ড। আমি আবার বলসিলাম নাদাল বনাম ফেদেরার! ঐ ম্যাচটায় সুইজারল্যান্ড ১-০ গোলে জিতসিলো। মানুষের কি বয়ান! কত টিটকারী! ব্রাজিল সাপোর্টকারী বন্ধু ফোন দিতে কার্পণ্য করে নাই। 'শৈল্পিক ফুটবল, না?' কিছু বলি নাই সেইদিন। খুব সম্ভবত কষ্ট কইরা একটা হাসি দিসিলাম। আর অনেকে তো ক্যাসিয়াসকে দোষ দিয়া ভরাইলো। তার গার্লফ্রেন্ড নাকি গ্যালারীতে থাকায় সে খেলায় মনোযোগ দিতে পারে নাই! ২য় ম্যাচ, ২-০ গোলে স্পেইনের জয়। আর ডেভিড ভিয়ার ৪৫ মিটার দূর থেকে সেই চমৎকার গোল। যা আমিও দেখসি, অনেকেই দেখসে। গোলকিপারও। কিছুই করার ছিল না। ৩য় ম্যাচে আবারো স্পেইন জিতলো, এইবার ২-১ গোলে এবং গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। নক আউট পর্বে পর্তুগালের সাথে খেলা। স্পেইন জিতলো ১-০ গোলে। ক্যাসিয়াস কিপিং থেকে বেশিরভাগ সময় দর্শকই ছিল। তারপর কোয়ার্টার ফাইনাল প্যারাগুয়ের সাথে। প্যারাগুয়ে পেনাল্টি পাইয়াও মিস করলো। পেনাল্টি ঠেকাইলো ক্যাসিয়াস। স্পেইনও একটা সুযোগ পাইলো। তা ১ম বার গোল হইলেও ফাউল হবার কারনে আবার শুট নিতে হইলো। এইবার পেনাল্টি মিস। পরবর্তিতে স্পেইন ১-০ তে ম্যাচ জিতলো। অতঃপর সেমিতে জার্মানীর সাথে খেলা। জার্মানী ২য় রাউন্ডে তাদের কাউন্টার অ্যাটাকে ইংল্যান্ডকে ৪-১ গোলে এবং কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৪-০ গোলে নাস্তানাবুদ করলো। তাদের কাউন্টার অ্যাটাক এতটাই বিধ্বংসী ছিল! কিন্তু সেমিতে তাদের কাউন্টার অ্যাটাক ক্যাসিয়াসের কাছে পরাস্ত। অবশ্য তারা সুযোগই পাইসে কম। বলই তো পায় নাই। কর্নার থাইকা কার্লোস পুয়োলের হেডারে জার্মানী পরাজিত স্পেইনের কাছে। অবশেষে প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলার সুযোগ পাওয়া, আর প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ড, এর আগেও আরো ২ বার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেললেও কাপ শেষ পর্যন্ত ঘরে নিতে পারে নাই। ৯০ মিনিটের খেলা ১২০ মিনিটে গড়াইলো। তাও গোল হইতেসেনা। আমি যখন মনে মনে ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের মত আরও একটা পেনাল্টি দেখার প্রস্তুতি নিতেসিলাম, তখন ইনিয়েস্তার গোল। জার্সি খুইলা ভিতরের গেঞ্জির লেখা দেখাইলো। ঐ ম্যাচের কিছুদিন আগে তার যেই সতীর্থ মারা গেসিলো, গোলটা তার জন্য উৎসর্গ করলো। ১ম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ। ওহ, কাহিনী সবাই জানেন। তাইলে তো এইটাও জানেন যে পুরা বিশ্বকাপে এই এক ক্যাসিয়াসই গোল বারটা আগলাইয়া রাখসিলো। প্রথম ম্যাচে গোল খাওয়ার পর, ঐ অপবাদ শোনার পর সে-ই সব সামলাইসিলো। দুঃসময় সবারই আসে। এমনকি আমার-আপনারও। এখন আবার দোষারোপ করা হইতেসে ক্যাসিয়াসকে। অবশ্যই লাস্ট ম্যাচে সেই আগের ক্যাসিয়াসকে দেখা যায় নাই। কিন্তু তাকে একটু বেশি-ই দোষ দেয়া হইতেসে। ব্যাপার না, haters gonna hate. সেই আগের ক্যাসিয়াসকে পাবো, যেই ক্যাসিয়াসকে বহুবছর আগে সর্বপ্রথম দেখসিলাম রিয়াল মাদ্রিদের গোল বার আগলাইয়া রাখতে, নিজের সর্বোচ্চ্য চেষ্টার সহিত। আবারও তোমার অপেক্ষায় ক্যাসিয়াস। আবারও অপেক্ষায় রইলাম। পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো। ভিভা এসপানা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আবারও তোমার অপেক্ষায় ক্যাসিয়াস। আবারও অপেক্ষায় রইলাম। পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫০

ভবঘুের পথিক বলেছেন: :)

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: =p~ =p~ =p~ :(( :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.