নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াসেত সাহিন

ওয়াসেত সাহিন

পেশায় একজন প্রকৌশলী । গান শুনতে , বই পড়তে এবং বেড়াতে ভালবাসি ।

ওয়াসেত সাহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে হাইওয়ে কোথায় ?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪২

কোথায় যাবেন ? চিটাগাং ? বাসে ? ভ্রমনে অনেক কষ্ট জানেনতো !

ও আপনি ভাবছেন আরামে যাবেন , বিলাস বহুল স্কেনিয়ায় চড়েছেন , তাই ? বাস চলবে ঢাকা-চিটাগং হাইওয়ে ধরে । হাইওয়ে কই ভাই ? ও , এটিই হাইওয়ে ? বাহ , কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন ! আধা উন্নত কোন দেশের কেউ এদেশে নতুন এসে যদি বাসে করে ঢাকা থেকে চিটাগং রওনা করে সেতো হাইওয়েই খুঁজে পাবেনা । চিটাগাং পৌঁছে ভাববে , কি ব্যাপার , এতোক্ষণ হয়ে গল , বাস শহর ছেড়ে বেরোবে কখন ?

বাংলাদেশ দরিদ্র রাষ্ট্র , রাস্তা না হয় কম প্রশস্ত , লেইনের সংখ্যা না হয় কমন , রাস্তার পৃষ্ঠদেশও হলই বা উঁচু নিচু অমসৃ্- তাই বলে এটি বুঝি হাই ওয়ে নয় ? ঢাকা আর চিটাগাংএ ঢুকতে আর বেরোতে চার ঘন্টা লেগে যায় , আচ্ছা এটিও বাদ দিলাম । তাহলে রাস্তাটিকে হাইওয়ে বলতে দোষ কি ? না , কোনই দোষ নেই । হাইওয়েই যদি না হবে তাহলে স্কেনিয়া, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ভলবোর মত দামী আর আন্তর্জাতিক মানের বাস এতে চলত ? ঠিকইতো ।চলছে , তবে সর্বোচ্চ চারঘন্টার পথ পারি দিতে লাগছে আট থেকে দশ ঘন্টা ।যাত্রাবাড়ি আর পাহাড়তলীর জ্যামের কথা বাদ দিলেও আরো দুই তিন ঘন্টা অতিরিক্ত সময় লাগছে কেন ? লাগছে , কারন হাইওয়েকে এক/দুই/তিন কিলো পর পরই বেষ্টন করেছে ছোট বড় অসংখ্য বাজার ।দোকানপাট রাস্তার কাঁধের উপর নির্মিত হয়েছে ।সারি ধরে লোকজন কেনা বেচা করছে ।লোকজন হাত উঁচু করে চলন্ত গাড়ি বাস থামিয়ে দল বেধে বা একাই রাস্তা পার হচ্ছে । ঠেলাগাড়ি ভ্যানগাড়ি নাক গলিয়ে দিচ্ছে রাস্তার মাঝখানে । এসবের চালকেরা রাস্তায় চলমান দ্রুতগামী যানবাহন রয়েছে সে বিষয়ে নিতান্তই উদাসীন । সুতরাং স্কেনিয়ার চালককেই খ্যাঁচ করে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যেতে হয় ।দেখা যায় সীজনের সব্জিতে রাস্তার পাশ ভরে গেছে , শুধু তাই না সেসবের কিছু উপচে রাস্তার কিয়দংশ দখল করেছে ।খুব সাবধানে অবশিষ্ট চিপা অংশ দিয়ে কৌশলে বাসকে গলিয়ে নিচ্ছে অসহায় চালক ।বেশ কিছু স্থানে রাস্তার পাশে ইট বালু সিমেন্ট রড আরো নানাবিধ জিনিষ রেখে রাস্তাকে সংকুচিত করে ফেলা হচ্ছে । এরই মাঝে কিছু লোকাল বাস বাজারের মাঝে মালামাল ও লোক চলাচলের কারনে সরু হয়ে আসা রাস্তার ঠিক মাঝ বরাবর থেমে যাত্রী উঠা নামা করছে । পেছন থেকে হর্ণের পর হর্ণ বাজালে কি হবে , চালকতো কুম্ভকর্ণ । তার পেছনে দূরগামী যানবাহনের সারি কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেলেও সে নির্বিকার ।

বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ বিভাগ বুঝি খুব অভাবী ! রাস্তার কার্পেটিংএর বাইরে কি তাদের কোন জমিই নেই ? এটাকি হয় ? কার্পেটিং এর দুপাশে শোল্ডার এর পরও দুপাশে বেশ কিছু জমি রয়েছে সড়ক বিভাগের । তার পরিমান কোথায় কতটুকু তা ওই বিভাগই বলতে পারবে ।সেই জায়গায় যদি অবৈধ দোকানপাট গড়ে উঠে সড়ক বিভাগকেই তা খালি করতে হবে । সড়ক সংলগ্ন ব্যক্তিমালিকানার জমিতে হাজারটা মার্কেট হোক তার কোন সরাসরি এন্ট্রেন্স থাকতে পারবেনা হাইওয়েতে । বিষয়টি সড়ক বিভাগকেই নিশ্চিত করতে হবে । প্রয়োজনে ডিসিসি ঢাকায় যেমন উঁচু ডিভাইডার বা কাটাতারের বেড়া দিয়েছে রোডসকেও তেমনি হাইওয়ের পাশের বাজারের কাছে রাস্তার দুইধারে এই ধরনের কোন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে । তাহলেই বাংলদশের হাইওয়েগুলো দূরপাল্লার যাতায়াত ব্যবস্থায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে । ভ্রমন সময় অর্ধেকে নেমে আসবে , সাশ্রয় হবে অর্থ ও সময় ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

সপ্তম ইন্দ্রিয় বলেছেন: /:)
amra parie khali govt re doshaite ...nijera j kobe thik homu /:)
bd highway er eita ekta common drissho

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

ওয়াসেত সাহিন বলেছেন: ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

তারান্নুম বলেছেন: ভাল লিখেছেন।তবে এসব পরামর্শে কান দেবার সময় বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগ নামক আজিব জিনিসের সময় নাই। X(

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

ওয়াসেত সাহিন বলেছেন: ধন্যবাদ তারাম্মুম । তবে ব্যবস্থা তাদেরই নিতে হবে , এব্যপারে সংশ্লিষ্ট সবাইর সচেতন হওয়া প্রয়োজন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.