![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক। ভিক্ষাবৃত্তি
ভিক্ষাবৃত্তি হচ্ছে বৈধ পেশার মধ্যে সর্ব নিকৃষ্ট । তবে এটি একটি সহজ ও স্বাধীন পেশা । নিরাপদও বটে । আর্থিক দৈন্যের সাথে শারিরীক ও মানসিক অক্ষমতা হচ্ছে এর প্রধান যোগ্যতা । অর্থাৎ বিভিন্ন কারনে শারীরিক ভাবে অক্ষম , পঙ্গু , বয়সের ভারে আক্রান্ত ও পাগলরাই হল ভিক্ষাবৃত্তির যথার্থ যোগ্যতা সম্পন্ন । এ যোগ্যতাটুকু থাকলে আর চক্ষুলজ্জা বিসর্জন দিতে পারলে এটি একটি অর্থকরী পেশাই বটে ।
কিন্তু আমাদের দেশে আর সব পেশার মতই এই পেশায়ও যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তির অভাব । যোগ্য ভিক্ষুকের চেয়ে অযোগ্য ভিক্ষুকের আধিক্যই সর্বত্র পরলক্ষিত হয় । ঢাকায় যে সকল মহিলা ভিক্ষা করে তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাঝ বয়সী সুস্থ্য যারা কিনা অতি সহজেই বাসা বাড়ীতে কাজকর্ম করে অন্নের সংস্থান করতে পারে । একটি অংশ বেশ অল্প বয়সী, এরা কোলে একটি ঘুমন্ত শিশু নিয়ে ভিক্ষা করে বেড়ায় । শোনা যায় এসব শিশু প্রায়ই ভাড়া করা এবং এদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে রাখা হয় । একই বিষয় পুরুষ ভিক্ষুকের বেলায়ও । এদের বড় একটি অংশ কর্মক্ষম । বেশ সুস্থ্য । কেউ কেউ নানান ভান করে । অনেক শিশুকেও ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত দেখা যায় । আমরা অবশ্য শিশু শ্রম নিয়ে অনেক কথা বলি । তবে শিশু ভিক্ষুকের বিষয়ে নীরব থেকে যাই ।
পেশাটি আসলেই নিরাপদ । যোগ্যতাবিহীন ভিক্ষুকদের কেউ তেমন কিছু বলেনা । বড় জোর বিরক্তি প্রকাশ করে বলে,’ কি সব লোক যে ভিক্ষা করে !’ ব্যস , প্রতিরোধ বা মারধোরেরতো প্রশ্নই উঠেনা ।
দেখা যাচ্ছে আপাত নিরীহ অসংখ্য ভিক্ষুক প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরন না করে এবং প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে পেশাটিতে নিয়োজিত আছে ।
খ। ভ্রাতৃত্ব বোধের অভাব
এই শ্রেণিটির মাঝে ভ্রাতৃত্ব বোধের অভাব প্রবল । একজন আরেকজনকে প্রবল হিংসা করে । পেশাগত প্রতিযোগীতার ক্ষেত্রে ঝগড়াঝাটি এবং পস্পরের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ লক্ষনীয় । সেদিন দেখা গেল এক ভদ্রলোক বিজয়স্মরর্নী মোড়ে গাড়ীর কাঁচ খুলে হাত পেতে দন্ডায়মান দুই ভিক্ষুককে দশ টাকা দিয়ে বললেন পাঁচ টাকা করে ভাগ করে নিতে । টাকাটা তিনি দিলেন কাঁচা পাকা দাড়ির মাঝ বয়সী বেশ সমর্থ পুরুষ ভিক্ষুকটির হাতে । বাকী মহিলাটি বেশ বৃদ্ধা এবং জবু থবু । পুরুষ ভিক্ষুকটি টাকা হাতে নিয়েই হাঁটা ধরল । মহিলাটিকে পাঁচ টাকা দিল না । বুড়ি পেছন থেকে চিৎকার করে ডাকলেও সে কর্ণপাত না করে দ্রুত অন্য গাড়ীর আড়ালে অদৃশ্য হয়ে গেল । এটি স্পষ্ট ছিনতাই । পরস্পরকে ঠকানোর দেশীয় সামাজিক প্রবনতা ওরা নিষ্ঠার সাথেই ধরে রেখেছে ।
গ। সমর্থ ব্যক্তিরাও কেন এই পেশা বেছে নিচ্ছে
ওরা এই পেশাটি বেছে নিচ্ছে কারন বর্তমানে এটি একটি বেশ লাভজনক পেশা । ঢাকা মহানগরীর বিপুল জনগোষ্ঠি নেকী কামানো অথবা মানব সেবার জন্য ভালই দান খয়রাত করে থাকে । এই লোভই ক্রম বর্ধমান ভিক্ষুক সংখ্যার কারন । দান করতে গিয়ে পূণ্যের বদলে পাপ সঞ্চয় হচ্ছে কিনা ভেবে দেখা দরকার । একটি শ্রেণী অযথা কর্মহীন ভিক্ষুক হয়ে দেশ ও সমাজের সম্পদের বিপরীতে বোঝা বনে যে অন্যায় কাজ টি করছে সচেতন নাগরিক হয়ে তা উস্কে দিচ্ছি কিনা ভেবে দেখা দরকার ।
ঘ। মহানবী (সঃ) এর সেই ঘটনাটি
এক ব্যক্তি মহানবী (সঃ)এর কাছে এসে তার গরীবীর কথা বলে কিছু সাহায্য চাইল । মহানবী(সঃ) জানতে চাইলেন তার ঘরে কি কিছুই নাই । জবাবে ভিক্ষুকটি জানাল তার ঘরে শুধু একটি কম্বল আছে । তিনি তাকে তাই নিয়ে আসতে বললেন । সেটি বাজারে বিক্রয় করে অর্ধেক টাকায় একটি কুঠার কিনে নিজেই তাতে হাতল লাগিয়ে দিলেন । বাকী টাকা খাদ্য কেনার জন্য দিলেন । লোকটিকে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বন থেকে কাঠ কেটে রোজগার করতে বললেন । সে কথামত কাজ করল এবং অভাব মুক্ত হল ।
সমর্থ লোকদের ভিক্ষা দেয়া নয় তাদের স্বাবলম্বী করার প্রয়াস প্রয়োজন । একই সাথে প্রকৃত ভিক্ষুকদের আর্থিক সহায়তা করা অবশ্যই দরকার ।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
টুটুল২০০৮ বলেছেন: সহমত । তবে অনেকেই নিরুপায় হয়ে ভিক্ষা করে খাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
টুটুল২০০৮ বলেছেন: সহমত । তবেই অনেকেই নিরুপায় হয়ে ভিক্ষা করে খাকে।