![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু ডিগ্রী ব্যক্তির নামকে বিশেষায়িত করে । যেমন কেউ যদি এমবিবিএস পাশ করে তিনি তার নামের সাথে ‘ডাক্তার’ জুড়ে দেন । বিএসসি ইনিজিনিয়ারিং পাশ করলে ‘প্রকৌশলী’ । এগ্রি ভার্সিটি থেকে পাশ করলে কৃষিবিদ । ইদানিং শুধু গ্র্যাজুয়েটই না , নন গ্র্যাজুয়েট , ডিপ্লোমা ধারী সবাই নামকে বাড়িয়ে নিচ্ছেন । নামের আগে ডিগ্রীর নির্যাসটুকু মেখে নিচ্ছেন । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সর্বশেষ ধাপে ডক্টোরাল স্টাডি করে কোন একটি গবেষনা করে পিএইচডি ডিগ্রীটি হাসিল করতে পারলে নামের প্রথমে ‘ডক্টর’ ঝুলিয়ে নেয়া গেল । নামের শুরুতে সেঁটে নেয়া ডক্টর ( এতে বোঝার কায়দা নেই তিনি চিকিৎসক নাকি পিএইচডি ডিগ্রী ধারক), ইনিজিনিয়ার, কৃষিবিদ সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির হাতিয়ার । শুধু সাধারন শিক্ষার ক্ষেত্রেই এটি সীমাবদ্ধ নয় । দেখুন আলেম ওলামাদের ক্ষেত্রে- মাওলানা, মুফতি ইত্যাদি । এসব কোন ডিগ্রী নয়, এসব ডিগ্রীর নির্যাস । ডিগ্রীর নাম থেকে বিশেষণকে তুলে এনে নামের শুরুতে সেঁটে দেয়া , ঠিক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কৃষিবিদের মত ।
শুধু ডিগ্রীতেই সীমাবদ্ধ নয় এই বিশেষনকে নামের অংশ করে নেয়া । সামরিক বাহিনীর কমিশন্ড অফিসাররা তাদের পদবীকে আমৃত্যূ নামের সাথেই জুরে রাখেন । দেখুননা ধর্মাচারের ক্ষেত্রে, কেউ এবাদতকেও নামের অংশ বানিয়ে ফেলে । যেমন আলহাজ্জ বা হাজী । তবে অধিকাংশ ডিগ্রী আর পেশাই বিষেশন আরোপ থেকে মুক্ত । যেমন পদার্থবিদ্যা, ইংরেজী , অংক ইত্যাদি বিষয় । এসব অসংখ্য বিষয়ের ডিগ্রীধারীদের নামের আগে কোন বিষেশন যুক্ত হওয়ার রেওয়াজ চালু হয়নি । তেমনি সচিব, পুলিশ অফিসার ইত্যাদি পেশার লোকদের নামের শুরুতেও কোন বিষেশন যোগ হতে দেখা যায়না ।
নামের শুরুতে যোগ করা বিশেষনের প্রচলন কবে কি প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে তা না জানলেও এটুকু বলা যায় এটি ব্যক্তি বিষেশের ভাবনায় ও পরিচয়ে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে । বর্ধিত নামের ব্যক্তিটি অবশ্যই নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা ভাবতে শিখছে । সে যেভাবেই হোক না কেন নিজ শ্রেষ্ঠত্বের অর্চনা করছে । নিজের পরিচয় বলতে গিয়ে বিশেষন সহ নামটি সে বেশ ওজন ও গর্বের সাথে উচ্চারন করছে । এটি তাকে বিনয়ের পরিবর্তে অহংকারী করে তুলছে । ছোট একটা উপমা মনে পড়ছেঃ বলা হল, বৃক্ষ তোর নাম কি ? বৃক্ষ বলল, ফলে পরিচয় । একটা কোটেশন শুনেছিলাম এমন, শিক্ষা মানুষকে বিনয়ী করে বৃক্ষ যেমন নুয়ে পড়ে ফলভারে । অহংকারের চর্চার বদলে সেবার চর্চাই মূখ্য হওয়া উচিৎ ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
ওয়াসেত সাহিন বলেছেন: ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
কলমবাঁশ বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য। উপরের যে বর্ণনাগুলো দিলেন তার মধ্যে আমারও একখান ডিগ্রী আছে। কিন্তু ঐ বিশেষণ আমার নামের আগে যুক্ত করি না। এটা অনেক আগের থেকেই আমার পছন্দ না। আমি কি বা কেমন সেটা আমার ব্যবহার বা কাজ দেখে মানুষ বুঝবে। অতো নামের বড়াই কেন? অতো ডিগ্রীর ছড়াছড়ি কেন?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২২
ওয়াসেত সাহিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনি ব্যতিক্রম, সেজন্য অভিনন্দন । ব্যতিক্রমতো অবশ্যই বেশ কিছু আছে । নামের চেয়ে কাজের প্রতিই বেশি যত্নবান হওয়া দরকার । ভাল থাকবেন ।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
চৈতাপাগল বলেছেন: আপনার বক্তব্যে একশত ভাগ একমত।
আজকাল কিছু লোক
নামের আগে বিশেষন
আর পরে এ.বি. সি.ডি-লিখে
নিজেকে পন্ডিত প্রকাশের মাঝে
যেন সুখ খুজে পায়।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪
ওয়াসেত সাহিন বলেছেন: ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
দাদুচাচা বলেছেন:
লিখাটি পড়ে যেন নিজের মনের কথাই চোখ দিয়ে শুনলাম।
উপরোক্ত বিশেষনের একটি বহুল প্রচলিত বিশেষন আমার কাধে আছে।
বিশেষনটি অর্জন করার কয়েক বছর-নামের সাথে ব্যবহার করে,ভাব সাব নিয়ে চলতাম। কিন্তু একদিন হঠাত মনে হল,
বৃক্ষের পরিচয় যদি ফলে হয়,
তা'হলে আমার পরিচয়- নিশ্চয়ই সেভাবেই হলে, সমাজে বেশী গ্রহন যোগ্যতা পাব।
এতে, আত্বস্বীকৃত নয়, বহুজন দ্বারা স্বীকৃত হব।
চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মানুষের মাঝে, মানুষের মত, মানবতা নিয়ে, সমাজে বেচে থাকতে পারি।
ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
ওয়াসেত সাহিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ইনশাল্লাহ, আপনি অবশ্যই সফল হবেন । ভাল থাকবেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০০
টিভি পাগলা বলেছেন: ডাক্তারী পড়ুয়ারা শুধু নামে নয়, দেখানোতেও উস্তাদ।
এপ্রন পড়ে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ায়। ভাব নেয়।