নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারণ মানুষ কিন্তু অসাধারণ কিছু ভাবতে ভালোলাগে।

ইয়াছির মিশুক

আমি ইয়াছির মিশুক এছাড়া পরিচয় দেয়ার মতো উল্লেখ যোগ্য কিছু নেই আমার। লেখালেখির অভিজ্ঞতা বলতে পরিক্ষার খাতায় প্রশ্নের উত্তর লেখার অভিজ্ঞতাটাই উল্লেখ যোগ্য। ভালোলাগে মানুষের হাসিমুখ দেখতে। মলিন, রুক্ষ, বেদনাময় পৃথিবীতে একটু হাসির উপলক্ষ তৈরি করার জন্য লেখার চেষ্টা করি। সফলতা নিয়ে কোন ভাবনা আসেনা তাই লেখতে দ্বিধা করিনা।

ইয়াছির মিশুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট্ট গল্প ৩

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

মিষ্টি মামুন
আমাদের পাড়ার মামুন ভাই, নাদুসনুদুস গোলগাল চেহারা। মিষ্টি খেতে খুবি পছন্দ করেন। পছন্দ করেন বললে ভুল হবে, তিনি ভয়ানক রকমের মিষ্টি খাদক। এজন্য সবাই তাকে মিষ্টি মামুন বলে ডাকে।
অনেক দিন আগের কথা -
আমরা সবাই মিলে যাচ্ছিলাম মামুন ভাই এর বড়ভাই বাবুল ভাই এর জন্য পাত্রী দেখতে। মামুন ভাই এর হাতে ছিল মিষ্টির প্যাকেট। দুই প্যাকেট মিষ্টি, প্রতি প্যাকেটে দুই কেজি করে মোট চার কেজি।
কিছুদূর যাবার পরে মামুন ভাই আমার কাছে এসে আস্তে আস্তে বলে "ছোটভাই, একটা সমস্যা হয়ে গেছে। "
আমি বললাম "কি সমস্যা মামুন ভাই? "
মামুন ভাই -" খুব খুদা লাগছিলো, সহ্য করতে না পেরে এক প্যাকেট মিষ্টি খেয়ে ফেেলছি! "
আমি - "বলেন কি! দুই কেজি মিষ্টি খেয়েফেলছেন? "
মামুন ভাই- " প্যাকেট তো একটা খালি হয়েগেছে, এখন কি করব? আমাকে বাচাও ভাই। "
আর কি করার? অনেক কষ্টে সকলের চোখ ফাকি দিয়ে এক প্যাকেটের মিষ্টি দুই ভাগ করে দুই প্যাকেট করে মামুন ভাই কে বাচালাম আর আমাদের ইজ্জত রক্ষা করলাম।
মামুন ভাই স্বভাবে খুবই ভদ্র এবং ভিষণ লাজুক। মেয়েদের সাথে কথা বলাতো দুরের কথা মেয়েদের থেকে সবসময় অন্তত দস হাত দূরত্ব বজায় রাখে। একদিন আমার বন্ধু তমাল আমাকে বলে সে নাকি মামুন ভাই কে দেখেছে রোকেয়ার পিছে ঘুরঘুর করতে! তমালএর কথা আমি বিশ্বাস করেনি, ভেবেছিলাম তমাল ভুল দেখেছে।
পরদিন সকাল বেলা মামুন ভাই আমার বাসায় এসে হাজির, আমাকে বলে " ছোটভাই, একটা প্রেম পত্র লিখে দিতে পারবা? "
আমি বললাম "ভাই, কাউকে মনে ধরেছে নাকি? মেয়েটা কে? "
মামুন ভাই-" আরে আমাদের মহসিন চাচার মেয়ে রোকেয়া। "
আমি - "কি বলেন ভাই! এইরকম একটা মোটা,কালো মেয়েকে আপনি কিভাবে পছন্দ করলেন? "
মামুন ভাই-" পাগলরে, তুই শুধু মেয়েটার চেহারাই দেখলি? মেয়ের বাবার যে মিষ্টির দোকান আছে তা দেখলি না? "
এতোক্ষনে মামুন ভাইএর মিষ্টি মামুন থেকে প্রেমিক মামুন হওয়ার রহস্যটা আমার কাছে উন্মোচিত হলো!
প্রেমিক হিসেবে মামুন ভাই কিন্তু সফল, রোকেয়া কে সে বিয়ে করতে পেরেছে।
সেদিন তমাল এসে বলে মামুন ভাইএর শশুর নাকি মামুন ভাইকে একটা মিষ্টির দোকান করে দিয়েছে। খবরটা শুনে আমরা বন্ধুরা মিলে মামুন ভাইএর মিষ্টির দোকান পরিদর্শন করতে গেলাম।
বেশ বড়সর দোকান, অনেক প্রকারের মিষ্টি আছে, বসে মিষ্টি খাওয়ার জন্য চেয়ার টেবিলও আছে। আমাদের দেখে মামুন ভাই খুশিই হলেন, বললেন -"তোরা সবাই বস, মিষ্টি খা। "
আমি বললাম "আজ পকেটে টাকা নাই, অন্য একদিন খাব। "
মামুন ভাই বললেন "টাকা লাগবে না, তোদের জন্য ফ্রি।"
ফ্রি শুনে আমরা বসে পরলাম , মামুন ভাই সবাই কে নিজ হাতে মিষ্টি এনে দিলেন।
মিষ্টি খেতে খেতে মামুন ভাই কে জিজ্ঞেস করলাম " মামুন ভাই, দোকানে এতো মিষ্টি, আপনার খেতে ইচ্ছা করেনা? "
মামুন ভাই বললেন "ইচ্ছে তো করেই কিন্তু খাই না, খেলে তো ব্যবসায় লস হবে তাই খেতে ইচ্ছে করলে চেটে চেটে রেখে দেই। "
এতোক্ষণ কি তাহলে মামুন ভাইএর চাটা মিষ্টি খেলাম! ওয়াক, ওয়াক!
ফ্রি মিষ্টি খেতে এসে শেষমেষ মামুন ভাইএর চেটে রাখা মিষ্টি খেলাম!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪২

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: হাহাহা.... গল্প মজার হইছে...

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

ইয়াছির মিশুক বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.