নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরাজয়ে ডরে না বীর

খোলা কলম

খোলা কলম। হাত খুলে লেখার অন্যতম জায়গা।

খোলা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে পীরের আখড়া উচ্ছেদ- আগুন

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৯

মেহেরপুর জেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নে পুলিশের উপস্থিতিতে মসজিদের মাইকে গ্রামবাসীদের ডেকে নিয়ে গ্রামের বাগু দেওয়ান পীরের আখড়া গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় ১০ বিঘা জমিতে আবাদ করা বিভিন্ন ফলে গাছ কেটে ফেলা হয় ও পীরের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়।

মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে বুড়িপোতা ইউনিয়নের গোভিপুর গ্রামের মসজিদে গ্রামবাসীকে ‘ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বাগু দেওয়ান পীরের আখড়া উচ্ছেদে অংশ নিতে বলা হয়। এ সময় বলা হয়, পীরের আখড়া উচ্ছেদে গ্রামবাসীদের কেউ অংশ না নিলে তাকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

এরপর হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী একযোগে পীরের পাকা ‘ইবাদত খানা’ ও রান্নাঘর ভারি শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। তারা ১০ বিঘা জমিতে লাগানো আম, জাম, কাঁঠাল, পেপেসহ বিভিন্ন ধরণের গাছ-পালা কেটে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদের মাইকে আখড়া ভাঙার ফেলার আহবান শুনে মেহেরপুর থানা থেকে একদল পুলিশ বাগু পীরের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। কিন্তু গ্রামবাসীর লাঠি-সরকি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করলে পুলিশ পিছু হটে।জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশের উপস্থিতিতেই পীরের আখড়া উচ্ছেদ করে গ্রামবাসী। এসময় ওই সড়ক দিয়ে সব ধরণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজামালসহ গ্রামবাসীর দাবি, এই আখড়ায় বাউল সম্প্রদায় তাদের ধর্মপালনের নামে গাঁজার আসর বসায়। এতে এলাকার ছেলেরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এজন্য গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

তবে বাগু দেওয়ান পীরের খাদেম আলম হোসেন অভিযোগ করেছেন, পীরের আখড়ার জায়গা দখলে নিতেই পরিকল্পিতভাবে গ্রামবাসী হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত কয়েক লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

সংগ্রহ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৩

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ইনি কোন ধরনের পীর ছিলেন। বর্তমান পীর সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ আখড়ায়ই অনৈতিক কাজ কর্ম বেশি হয়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

খোলা কলম বলেছেন: ইনি গাজা বাবা ছিলেন মনে হয়, তথ্য থেকে তেমন কিছু মনে হয় ;)

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭

গোধুলী রঙ বলেছেন: ভালো হয় নি, মনে হচ্ছে, যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার জন্য দায়ী ওই ১০ বিঘা জমি, না জমির মালিক, না ভন্ড পীর, না পীরের চ্যালারা। মানুষের স্বাভাবিক বিচার বুদ্ধি লোপ পাইয়াছে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

খোলা কলম বলেছেন: সহী পীরের সহী অভিযোগ B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.