নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্ম নিয়া ব্যবসা আমাদের দেশের মোল্লারা ধর্মের দোহাই দিয়া সবকিছু করে থাকেন ।ধর্মকে পুজি করে মুক্তমনা মানুষ হত্যা করে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে উগ্রবাদী মোল্লারা।আমরা কি আজ ও সেই বর্বর যুগ এ বসবাস করছি যেইখানে ছিলনা কোন মত প্রকাশের স্বাধী

আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লা আল মামুন নিষিদ্ধ বাবা

আব্দুল্লাহ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গিবাদের কারখানা

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জঙ্গিবাদের কারখানা :আমরা গত দুই বছর আগে হেফাজতিদের তান্ডব দেখেছি ।তখন হেফাজতিদের হুমকিতে পুরো দেশ যেন অচল হয়ে পড়েছিল বারবার ।শুধু হেফাজতি না ,সারা দেশ জুড়ে মৌলবাদী, জামাত -শিবির -রাজাকার গোষ্ঠী আর ধর্মান্ধদের চিৎকারে কান জ্বালা পালা অবস্থা ।তাদের ভাষ্যমতে এর মূল কারণ হচ্ছে ,নাস্তিকরা নাকি ধর্ম অবমাননা করেছে, রসুলের অবমাননা করেছে তাই তাদের ফাঁসি দিতে হবে,শায়েস্তা করতে হবে ।নাস্তিকদের কেউ যদি ব্লগে ধর্মের বিরুদ্ধে লেখে তবে তার প্রতিবাদ করা যেত লেখা দিয়ে ।প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে যে কোন কিছুর নিন্দা করার, বিরোধিতা করার, মতামত দেয়ার ।কোন ধর্ম বা মতবাদ সত্যি কিনা তা যাচাই করতে হলে এমন একটা পরিবেশ বজায় রাখতে হবে যেখানে মুক্ত ভাবে এর সমালোচনা করা যায় ।যদি এই পরিবেশ না থাকে তবে যে কোন মিথ্যাচারকে ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব ।যদি সতীদাহ প্রথার নিন্দা ও বর্ণ প্রথার সমালোচনা করা না যায় তবে হিন্দু ধর্মের বর্বর রূপ ফিরে আসবে ।একটি ধর্ম সত্য কিনা তা প্রমাণ করা যায় তার সমালোচনার মাধ্যমে ।প্রকৃত প্রশংসা তখনই পাওয়া সম্ভব যখন সমালোচনা করার স্বাধীনতা থাকে ।ইসলামের শুধু প্রশংসা করা যাবে কোন সমালোচনা বা নিন্দা করা যাবে না এটি কোন নীতি ।কিন্তু মোল্লাদের অতশত বুঝে কাজ কী।উগ্র ইসলামী জঙ্গি দ্বারা আগেই নিহত হলেন ব্লগার রাজীব ।হত্যা করে শেষ নয় ।সরকারি প্রণোদনাই তৈরী করা তালিকায় ও তার নাম ও ছিল ।একজন মানুষকে শুধু একবারই হত্যা করা সম্ভব সেই ব্যাপারটা ও তারা উপলব্ধি করতে অক্ষম ।হেফাজতি ও ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য সরকার ও নিরপরাধ ব্লগারদের জেলে পুরল।একই মতাদর্শের মৌলবাদীরা শুধু বাংলাদেশে নয় সারা পৃথিবীতে একই কাজ করে আসছে দিনের পর দিন ।সালমান রুশদির satanic verses এর প্রতিবাদে সেই কী কান্ড বিশ্বজুড়ে ।নিহত হোন অনেকেই ।এমনকি এর অনেক অনুবাদক হামলার হাত থেকে রক্ষা পাননি ।আজ ও রুশদি মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারে না । ডেনিশ কার্টুন ও Charlie hebdo cartoon নিয়ে কী ঘটেছিল স্মরণ হলে শিউরে উঠতে হয়
।মুসলিম মৌলবাদীরা সারা পৃথিবীকে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করেন তাই যারা ইসলামে বিশ্বাস করেন না তারা ও এই ধর্মের সবকিছুকে সম্মান করতে বাধ্য থাকবেন।এমনকি যে দেশে মুসলিম নেই বললেই চলে সে দেশে ও কেউ মুহাম্মদের সমালোচনা করতে পারবে না । আমাদের কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ও মোল্লারা কাফের ফতোয়া দিয়েছিল ।তসলিমা নাসরিনের লেখা ইসলামের সমালোচনা নিয়ে মোল্লারা যা করল তা খুবই আশ্চর্যজনক ।এমনকি মোল্লারা তার মাথার দাম ঘোষণা করল প্রকাশ্যেই ।প্রথম আলোর আলপিন মোহাম্মদ বিড়াল নামক একটি কৌতুক ছাপা হলে সম্পাদক সহ এসে করজোড়ে মাফ চাইতে বাধ্য হলেন ।নির্যাতিত হলেন কার্টুননিসট আরিফ ।তাদের ভয়ে অনেক ব্লগার আজ দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে ।হেফাজতের আমীর মাওলানা শফি যে তের দফা ঘোষণা করেছেন তাতে এইটা পরিষ্কার যে এমনকি তারা স্কুলগুলোকে মাদ্রাসায় পরিণত করতে চাই ।যেখান থেকে সৃষ্টি হবে অসংখ্য জঙ্গি ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২১

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: Soon you will get visa with permanent citizenship in Europe... try with perseverance. You have room to improve.

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:২৪

চলন বিল বলেছেন: কুত্তার কেউকেউ ঘেউঘেউ

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

লাল স্কচটেপ বলেছেন: ব্লগারদের হত্যা করার মত ঘৃণ্য কাজ আর কিছুই নেই। মানুষকে হত্যা করার অধিকার কারোরই নেই।
that said, মুক্তমনারা ব্লগে ইসলামের সমালোচনায় ক্ষান্ত হয়নি, তারা ইসলামকে নিয়ে ও ইসলামের প্রধান ব্যক্তিত্বদের নিয়ে satire লেখে যা কিনা খুবই রগরগে ও উগ্র ভাষায় লেখা। পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে তার মধ্যে ইসলামই এক মাত্র ধর্ম যা এই ধর্মকে প্রশ্ন করতে সকল মানুষকে উৎসাহিত করে, অন্য কোন ধর্মে - ইহুদী, খৃষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ সে ধর্মের মূলকথা প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করে না। কিন্তু, ব্যাপার হচ্ছে - ধর্মের সমালোচনার নামে উগ্র ভাষায় ইসলামের প্রধান ব্যক্তিদেরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করায় কি ধর্মের সমালোচনা হচ্ছে? আপনি ইসলামের সমালোচনা করতে চাইলে ইসলাম নিয়ে আলোচনা করুন। যেমন, আপনার কাছে যদি কুরবানি অমানবিক মনে হয়, আপনি কুরবানির পক্ষে বিপক্ষে অথবা কেন কুরবানি করা অমানবিক বা এটার কোন harmful এফেক্ট থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করুন।

কিন্তু ততাকথিত মুক্তমনাদের সব সমালোচনা গিয়ে পড়ে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর। Charlie hebdo নবীজী (সাঃ) এর ব্যঙ্গ কার্টুন বানায়। ব্লগে মুক্তমনারা নবীজির (সাঃ) জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে যত বাজে ও কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করা সম্ভব তা করে। কেন ভাই? নবীজী (সাঃ) অথবা ইসলামের প্রাথমিক সময়ের যে কোন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রগরগে লেখা/কুৎসিত লেখা লিখে কি কোন সমালোচনা হচ্ছে ইসলামের? না, হচ্ছে না। এতে হচ্ছে মুক্তমনাদের ব্যক্তিগত বিকৃত আক্রোশ ও মনমানসিকতার পরিচয়।

যে ব্লগারদের মারা হয়েছে (আল্লাহ্‌ তাদের ক্ষমা করুন ও সকল অন্যায়কারীদের শাস্তি দিন), আপনি কি তাদের লেখা পড়েছেন? অধিকাংশ লেখায় ধর্মের স্কলারলি আলোচনার বিন্দুমাত্র নেই। সবার লেখার মূল থিম একটাই - নবীজী (সাঃ), তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, কুরআন শরীফের একটি আয়াত (যার context ব্যাখ্যা করা হয়না) - এসবের যত রসিয়ে রসিয়ে রগরগে ভাষায় আক্রমণ করা যায় তা। এগুলো সমালোচনা নয়। এগুলো নিজের কাটতি বাড়ানোর কৌশল অল্প সময়ের জন্য। ঠিক যেমন আপনি এ ব্লগ পোস্টের শেষে আপনার মস্তিষ্ক উদ্ধৃত কিছু মনগড়া কথা বলে নিজের কাটতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

আর আপনার ইউরোপিয়ান ভিসা এসে গেলে পোস্ট দিয়েন। আল্লাহ্‌ আপনাকে হেদায়েত দান করুন, অন্তত আপনার বুদ্ধি ম্যাচিউর করুন। জাজাকআল্লাহ্‌ খায়র। /:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.