নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুমার ব্যাপারী

Nurul Afser Ratan

ব্লগ দেখতে ভালবাসি, লেখার সময় পাই না।

Nurul Afser Ratan › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইলেক্ট্রিনিক সিগারেট সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

(এই লেখাটি আগে আমার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত)

ইলেকট্রনিক সিগারেট কি?

ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট বা পারসোনাল ভ্যাপোরাইজার হচ্ছে প্রচলিত সিগারেটের একটি আধুনিক বিকল্প। এগুলো সাধারণত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি দ্বারা চালিত হয় এবং একধরণের জলীয় বাষ্প তৈরী করে। এ প্রযুক্তিতে ব্যাটারি অন করার পর এটি একটি হিটিং কয়েলকে উত্তপ্ত করে যাকে এটোমাইজার বলা হয়। কম তাপমাত্রায় এটি একটি বিশেষ ধরণের তরল পদার্থকে বাষ্পীভূত করে যেটিকে সিগারেটের ধোঁয়ার মত মনে হয়। প্রচলিত সিগারেটের মতই এ বাষ্প ধুমপায়ীদের দেয় সিগারেটের তৃপ্তি, কিন্তু কোনধরণের ক্ষতিকর প্রভাব ছাড়া।

ই-সিগারেট কি ক্ষতিকর?

এটা জানার আগে আমাদের জানা প্রয়োজন ই-সিগারেটের তরলে (ই-লিকুইড বা ই-জুস নামে অধিক পরিচিত) কি ধরণের জিনিস ব্যাবহার করা হয়। সাধারনভাবে ই-লিকুইডে ৪ টি জিনিস ব্যাবহার করা হয়।

১. প্রোপাইলিন গ্লাইকলঃ এটি একটি বর্ণ, স্বাদ, ও গন্ধবিহীন তরল যেটি বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীতে প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি আমেরিকার এফ.ডি.এ. অনুমোদিত একটি নিরাপদ পদার্থ।

২. ভেজিটেবল গ্লিসারিনঃ সাধারন গ্লিসারিন, যেটি আমরা গায়ে মাখি। এটিও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। মিষ্টি স্বাদযুক্ত। উত্তপ্ত করা হলে এটি ঘন বাষ্পে পরিনত হয়।

৩. ফ্লেভার: ই-লিকুইডের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন উপাদান। আসলে এটি বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীতে যে ফুড ফ্লেভার ব্যবহার করা হয় তা-ই। তবে উন্নতমানের ই-লিকুইডে সাধারনত একাধিক ফ্লেভারের একটি আদর্শ মিশ্রন ব্যবহার করা হয়।এটি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরী বলে নিরাপদে ব্যবহার করা যায়।

৪. নিকোটিন: ই-লিকুইডে নিকোটিন থাকা বা না থাকা ব্যবহারকারীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। নিকোটিনের পরিমানের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শক্তিমাত্রার ই-লিকুইড পাওয়া যায়। এক প্যাকেট বেনসন সিগারেটে নিকোটিনের পরিমান ১.৮মি.গ্রা.। প্রতি ১০ মি.লি. ই-লিকুইডে সাধারণত ০ মি.গ্রা./ ৬ মি.গ্রা./ ১২ মি.গ্রা./ ১৮ মি.গ্রা./ ২৪ মি.গ্রা বিশুদ্ধ নিকোটিন থাকে।

বিশুদ্ধ নিকোটিন আমাদের শরীরে সাধারনত ৪৮ ঘন্টার বেশী থাকেনা। নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সাধারণভাবে মনে করা হয় নিকোটিন ক্যানসারের একটি অন্যতম কারন, কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। প্রকৃতপক্ষে সিগারেটে বিদ্যমান টার এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান-ই মানবশরীরে ক্যানসার তৈরীর প্রধান কারণ, নিকোটিন নয়। আমাদের শরীরে বিশুদ্ধ নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব চা বা কফির মতই। মানবশরীরে নিকোটিনের প্রভাব নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে http://en.wikipedia.org/wiki/Nicotine দেখতে পারেন।

তবে, আরো একটি বিষয়ে আমাদের সকলেরই খেয়াল রাখা প্রয়োজন যে, যেকোন জিনিসই অপরিমিত পরিমানে ব্যাবহার আমাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে। নিকোটিন যদি বেশি মাত্রায় আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তবে তা বিভিন্ন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার তৈরী করতে পারে। ইঁদুরের শরীরে এ মাত্রা ৫২ মি.গ্রা./কেজি।

ই-সিগারেট কাদের জন্যঃ

এটা কেবলমাত্র ১৮ বছরের উর্দ্ধের ধুমপায়ীদের জন্য প্রচলিত সিগারেটের একটি বিকল্প যেটা ধুমপায়ীরা ধুমপান ছাড়ার জন্য অথবা ধুমপানের বিকল্প হিসেবে ব্যাবহার করতে পারেন।

ই-সিগারেটের সুবিধাসমূহঃ

১. ধুমপানজনিত ক্ষতির হাত থেকে ধুমপায়ীদের কমপক্ষে ৯৯% রক্ষা করে।
২. এটি টার, ক্যানসার উৎপন্নকারী কারসিনোজেন, বা কার্বন মনোক্সাইড নির্গত করেনা, ফলে পরিবেশের কোন ক্ষতি করেনা, এবং ধুমপায়ী নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হন না।
৩. সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং বা প্যাসিভ স্মোকিংজনিত ক্ষতি থেকে অধুমপায়ীদের রক্ষা করে।
৪. এয়ার কন্ডিশনার বা নো স্মোকিং জোনেও এটি ব্যাবহার করা যায়।
৫. দীর্ঘমেয়াদে এটি প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় আর্থিকভাবে স্বাশ্রয়ী ।

ই-সিগারেটের প্রকারভেদঃ

মানুষের চাহিদা এবং রুচির সাথে তাল মিলিয়ে অনেক ধরনের ই-সিগারেট আবিষ্কার হয়েছে। মোটাদাগে সাধারণত নি¤œলিখিত গুলোই বেশি ব্যাবহৃত হয়ঃ

১. ডিসপোজেবল বা ওয়ান টাইমঃ একদিন বা দুদিন ব্যাবহার করা যায়। যারা ই-সিগারেট পরীক্ষা করতে চান তাদের জন্য। ই-সিগারেট হিসেবে যথেষ্ঠ সমাদৃত নয়। এটি পরিপূর্ণ ফ্লেভার বা বাষ্প কোনটাই উৎপন্ন করতে পারেন।

২. ই-গো স্টাইল স্টার্টার কিটঃ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ই-সিগারেট মডেল। মধ্যম মানের। এগুলোতে রিচার্জেবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থাকে যার আয়ু কমপক্ষে ৬ মাস। বিভিন্ন ধরণের এটোমাইজার ব্যাবহার করা যায় এবং ব্যবাহরবিধি অত্যন্ত সহজ। ব্রান্ড ভেদে দাম সাধারণত ৮০০ টাকা হতে ৩০০০ টাকা।

৩. এপিভিঃ (APV - Advanced Personal Vaporizer) এডভান্সড পার্সোনাল ভ্যাপোরাইজার এর সংক্ষিপ্ত রূপ। স্টাইলিশ এবং অত্যন্ত উন্নতমানের। ইউরোপ এবং আমেরিকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। ই-সিগারেটের সবচেয়ে ভাল ফ্লেভার এবং তৃপ্তি দিতে পারে। ব্রান্ড বা মডেল ভেদে মূল্য ৪৫০০ টাকা হতে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

৪. মেকানিকাল মডঃ অত্যন্ত সরল প্রযুক্তিতে তৈরী । দেখতে অত্যন্ন সুন্দর এবং মূল্য এপিভির মতই। এটাতে অত্যন্ত শক্তিশালী লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার করা হয় কোন ধরনের সার্কিট ছাড়া। অনভিজ্ঞ ব্যাবহারকারীর জন্য নয়, কারণ না জেনে ব্যাবহার করলে ব্যাটারি লিক হয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের দেশে সহজলভ্য নয়।







মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: কোথায় পাওয়া যায়?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

Nurul Afser Ratan বলেছেন: নিম্ন অথবা মাঝারী মানের ই-গো স্টাইল ই-সিগারেট ঢাকা স্টেডিয়াম বা বায়তুল মোকাররমে পাবেন। মুল্য পড়বে ৮০০/- থেকে ১৫০০/-। তবে এক্সেসরিস আলাদাভাবে পাবেন না।

এপিভি বা মেকানিকাল মড অথবা এক্সেসরিস পাবেন এখানে http://www.facebook.com/vapebd

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

অপ্রতীয়মান বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্যে। জানা থাকলো :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.