নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুমার ব্যাপারী

Nurul Afser Ratan

ব্লগ দেখতে ভালবাসি, লেখার সময় পাই না।

Nurul Afser Ratan › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিকোটিন! নিকোটিন! নিকোটিন! জেনে নিন কিছু অজানা তথ্য

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

(মূল ইংরেজি হতে সংকলিত, ইতিপূর্বে আমার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত)


এটা সবসময়ই বলা হয়ে থাকে যে নিকোটিনের একটি কম ক্ষতিকর উৎস নিয়ে গবেষণা চলছে। কিন্তু নিকোটিন নিজেই কি ক্ষতিকর নয়? ------ না, এটা ক্ষতিকর নয়।

মানবদেহে নিকোটিনের ক্রিয়া বর্তমানে প্রচলিত অন্যান্য কিছু জনপ্রিয় খাদ্য ও পানীয়ের মতই, যেমন - ক্যাফেইন (চা বা কফিতে পাওয়া যায়)।এখন পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, নিকোটিন ক্যানসারের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এমনকি গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে, হৃদরোগের ঝুঁকির পেছনেও নিকোটিনের সামান্যই অবদান আছে। আসলে এন্টি ট্যোবাকো আন্দোলনকারীরা অনেক সময়ই তামাক এবং নিকোটিনকে গুলিয়ে ফেলার কারণেই সবার ভেতরে একধরণের নিকোটিন ভীতি তৈরী হয়েছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে নিকোটিন ব্যাবহারকারীদের মৃত্যুঝুঁকির অন্যতম কারণ হল তামাকের ধোঁয়া।

তবে এটা জানা উচিৎ যে, নিকোটিন অথবা চা-কফি কোনটাই ১০০% বিতর্কের উর্দ্ধে নয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, দুটোরই আমাদের শরীরের উপর ক্ষণস্থায়ী প্রতিক্রিয়া আছে, যেমন - স্বল্পমেয়াদী রক্তচাপ বৃদ্ধি অথবা নাড়ীর গতি বৃদ্ধি, যেটা কিছুক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে। তবে একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ধোঁয়া বিহীন নিকোটিন অবশ্যই ধোঁয়াযুক্ত নিকোটিনের চেয়ে অনেক অনেক নিরাপদ।

যদিও বিশুদ্ধ নিকোটিন বেশিরভাগ মানুষের জন্যই নিরাপদ, তবে মানবভ্রুনের বৃদ্ধিতে এটার কিছু ক্ষতিকর প্রভাব থাকা সম্ভব, তাই গর্ভবস্থায় নিকোটিন ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

কিন্তু এটাতো সত্য যে, নিকোটিন আসক্তির জন্ম দেয়?

সত্যি কখা বলতে কি, আসক্তির বিজ্ঞানসম্মত এবং গ্রহনযোগ্য সংজ্ঞা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। কিছু মানুষ খুব সহজেই নিকোটিন পরিত্যাগ করতে পারে, আবার কিছু মানুষ প্রানপণ চেষ্টা করেও পারেনা। তাই, যারা চেষ্টা করেও নিকোটিন ছাড়তে পারেনা, তাদের জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাই হতে পারে একটি ভাল বিকল্প। তবে এটা মনে করার কারণ আছে যে, কিছু মানুষ নিকোটিন দ্বারা উপকৃত হয় বলেই হয়তো বারবার ছেড়ে দেয়ার পরও তারা আবার নিকোটিন গ্রহণ করা শুরু করে।


নিকোটিনের কি কোন ভাল দিক আছে?

অনেকেরই হয়তো বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে, তবে নিকোটিনের কিছু ভাল দিকও আছে।

একটা বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠির কাছে নিকোটিন ক্যাফেইন বা রিটালিনের মত উপকারী। এটা তাদের মনসংযোগে সহযোগীতা করে এবং কর্মক্ষেত্রে আরো উৎপাদনশীল করে তোলে। কিছু লোকের ক্ষেত্রে নিকোটিন স্ট্রেস, এংজাইটি, এবং আতংকের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস যোগায়। ভয়ংকর মানসিক রোগে আক্রান্ত লোকদের ক্ষেত্রে নিকোটিন তাদের মানসিক যাতনা কমাতে ভুমিকা পালন করে। মানসিক রোগাক্রান্ত ব্যাক্তিদের মাঝে ধুমপায়ীদের সংখ্যা অনেক বেশী হওয়ার এটা একটা মূল কারণ বলে মনে করা হয়।

এটাও মনে করা হয়ে থাকে যে, নিকোটিন পারকিনসন ডিজিজের সম্ভবনা কমিয়ে দেয়। তবে নিকোটিনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা এতো বেশি যে, নিকোটিনের উপকার নিয়ে গবেষণা হয়নি বললেই চলে।

কিন্তু নিকোটিন কি ........?

কিন্তু নিকোটিন কি ইনসেক্টিসাইডে ব্যবহার করা হয়না? কিন্তু বিশুদ্ধ নিকোটিন কি বিষাক্ত নয়? হ্যাঁ, তবে তাতে কি?

তামাকগাছ তার শরীরে নিকোটিন উৎপন্ন করে পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। নিকোটিনের কনসেনট্রেটেড তাই ইনসেক্টিসাইডেও ব্যবহার করা হয়। খেয়াল করবেন, এখানে কনসেনট্রেটেড শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। বাস্তবক্ষেত্রে, উদ্ভিদজাত এমন অনেক কিছুই আমরা ব্যবহার করে থাকি যেটা কনসেনট্রেটেড অবস্থায় আমাদের মারাত্নক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

আবার একথাও সত্য যে, বিশুদ্ধ নিকোটিন বিষাক্ত। তবে এটা কি পরিমানে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে তার উপর নির্ভর করে। যারা নিকোটিন ব্যবহার করে, তারা কথনই সে পরিমান গ্রহণ করেননা যে পরিমান তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তবে আত্মহত্যা করতে চাইলে সেটি ভিন্ন। ইঁদুরের উপর গবেষণায দেখা গেছে, ৫২ মি.গ্রা./কেজি নিকোটিন যদি ইঁদুরের শরীরে ইনজেক্ট করা হয়, তবে ইঁদুরের মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু একইভাবে বিশুদ্ধ ক্যাফেইনও যদি ১২৭ মি.গ্রা./কেজি ইঁদুরের শরীরে ইনজেক্ট করা হয়, তবে সেক্ষেত্রেও ইঁদুরের মৃত্যু হতে পারে। তবে বাস্তব সত্য হল যে, এ পর্যন্ত পৃথিবীতে বিশুদ্ধ নিকোটিন কেবলমাত্র দুজন মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এদের মধ্যে একজন শিশু, যে ভুলক্রমে ফার্মাসিউটিকাল গ্রেডের বিশুদ্ধ নিকোটিন পান করে ফেলেছিল, এবং অন্যজন আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বিশুদ্ধ নিকোটিন নিজের শরীরে ইনজেক্ট করেছিল।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম কিছু এর আগে শুনি নাই। পয়সা দিলে এমন অনেক গবেষণা করাই যায়। নিকোটিন নিপাত যাক।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০২

Nurul Afser Ratan বলেছেন: নিকোটিন খুব ভাল কিছু নয়, তবে যতটা খারাপ মনে করা হয় ততটা নয়।

বিবিসির এই নিউজটা দেখতে পারেন: http://www.youtube.com/watch?v=_cqgbdfZk20

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

নীল আতঙ্ক বলেছেন: কি বলবো বুজতে পারছি না। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.