![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রসিদ্ব হানাফি সুন্নি সম্প্রদায়ের মাওলানা মুঃ মাহে আলম চিশতী সাহেবের ঐতিহাসিক স্বীকারোক্তি প্রনিধানযোগ্যঃ
“ প্রকাশিত কেতাবসমুহ হতে অবগত হওয়া যায় যে,রাসুলের(সাঃ) ওফাতের ২৮ বছর পর ৩৮ হিজরী সনে মুয়াবিয়া ও তার অধীনস্তগন আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আঃ) ও বনী ফাতিমা তথা বনী হাশিমের উপর লানত প্রথা প্রচলন করেন এবং মুয়াবিয়া উক্ত বছরকে ‘সুন্নতের বছর’ নামে অভিহিত করেন”।তারা দীর্ঘ ৭০ বছর যাবত প্রায় ৭০০০০ মসজিদ থেকে আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আঃ) ও বনী ফাতিমা তথা বনী হাশিমের উপর লানত অব্যাহত রাখে।তদ্রুপ আল্লামা ইয়াহিয়া বিন হাসান কোরেশী ‘মিনহাজুত-তাহকীক’ গ্রন্থে লিখেছেনঃ “ যে বছর মুয়াবিয়া হযরত আলীকে(আঃ) গালি দিতে শুরু করে সেই বছরকে সুন্নতের বছর বলে অভিহিত করেছিল।“আল্লামা হাসান সহীল ‘আনোয়ারুল হেদায়া’ গ্রন্থে,আল্লামা ইবনে আব্দে রাব্বাহ ‘আকদে ফারীদে’,সয়ুতী তার ‘তারিখুল খোলাফা’ গ্রন্থে এবং অন্যান্য অনেক ইতিহাস বিদগন নিজ নিজ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন,হযরত রাসুল(সাঃ) এর সাহাবা এবং সাধারন মুসলমানদের নিরপরাধে হত্যা,লুন্ঠন এবং ধ্বংসের কারনে মনোকষ্টে অতিষ্ট হয়ে ইমাম হাসান(আঃ) কতিপয় শর্তে মুয়াবিয়াকে খেলাফত প্রদান করেন আর ঐ ৪১ হিজরী সনকে মুয়াবিয়া ‘আমুলে জামায়াত’ রাখে।তারপর উক্ত বছর ৩৮ ও ৪১ হিজরী দুটির সমন্বয়ে মুয়াবিয়ার সমর্থকদের উপাধী ‘সুন্নত ও জামায়াত’রুপে আত্নপ্রকাশ করে এবং ধীরে ধীরে তা “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত” নামে প্রসিদ্বি লাভ করে।(তাঞ্জিহুল ইমাসাব রাদ্দে হাফোয়াতে শীয়া,২য় খন্ড,পৃঃ৯০)।
লেখক আরো মন্তব্য করেছেন, “ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত” মুয়াবিয়া উদ্ভাবন করেন,মারোয়ানি খোলাফারা সংগঠিত করেন এবং আব্বাসীয় যুগে তা সম্পুর্নতা লাভ করে
©somewhere in net ltd.