নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশ , মানুষ

জীবনের সব কিছু আললাহর সন্তুষ্টির জন্য

আল মাহদী ফোর্স

কোরান ও নবী পরিবারের আঃ অনুসারী।

আল মাহদী ফোর্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাহাস/আলোচনা

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১০

এক বুদ্বিমান যুবকের সাথে আবু হুরাইরার বাহাস

মুহাম্মাদ মুহাম্মাদী ইশ্তিহারদী

অনুবাদঃ মীর আশরাফুল আলম ও সামিউল হক

মুয়াবিয়া কিছু সংখ্যক মিথ্যাবাদী সাহাবি ও তাবেঈনদেরকে ইমাম আলীর(আঃ) বিপক্ষে জাল হাদিস তৈরী করার জন্য টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়েছিল।যেমনঃ সাহাবীদের মধ্যে আবু হুরাইরা,আমর ইবনুল আ’স ও মুগিরা ইবনে শোবাহ এবং তাবেঈনদের মধ্যে উরওয়াতু ইবনে যুবাইর।

ইমাম আলীর(আঃ) শাহাদাতের পর আবু হুরাইরা কুফাতে গিয়েছিল।আর সেখানে গিয়ে সে ( মুয়াবিয়ার ক্ষমতাবলে) আলীর(আঃ) বিপক্ষে জাল হাদিস তৈরী করে রাসুলের(সাঃ) উদ্বৃতি দিয়ে বিভিন্ন আশ্চর্য ধরনের বিষয়কে উল্লেখ করতে লাগলো।রাতের পর রাত ‘বাবুল কিনদাহ’ কুফার মসজিদে বসে বসে লোকজনের মধ্যে তার তৈরীকৃত জাল হাদিস বর্ননা করতো এবং তাদেরকে বিপথে নিয়ে যেত।

এক রাতে তার ঐ সভায় বুদ্বিমান এক যুবক অংশ নেয়।কিছু সময় তার অযৌক্তিক আলোচনা শোনার পর তাকে উদ্দেশ্য করে বললঃ ‘তোমাকে আল্লাহর কসম!তুমি কি শুনেছ যে, রাসুল(সাঃ) আলীর(আঃ) ব্যাপারে এই দোয়াটি করেছিলেনঃ – ‘ হে আল্লাহ! তাকেই তুমি ভালবাসো যে আলীকে ভালবাসবে আর তাকেই তুমি শত্রু ভাবো যে আলীর সাথে শত্রুতা করবে’।

আবু হুরাইরা দেখলো যে, এই মুতাওয়াতির হাদিসটিকে অস্বীকার করতে পারবে না।তাই সে বললঃ আল্লহকে সাক্ষী রাখছি,হ্যাঁ আমি এই হাদিসটি শুনেছি।

ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন যুবকটি বললোঃ সুতরাং আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি যে, তুমি আলীর(আঃ) বন্দ্বুদের সাথে শত্রুতা কর আর তাঁর শত্রুদের সাথে বন্দ্বুত্ব।অতএব,তুমি রাসুলের(সাঃ) অভিশাপ প্রাপ্ত।তারপর ঐ যুবক ঐ সভা থেকে বেরিয়ে গেল( শারহে নাহজুল বালাগাহ-ইবনে আবিল হাদিদ,খন্ড-৪,পাতা ৬৩ ও ৬৮)।



**যদি নবী মুহাম্মাদের(সাঃ) পর আর কোন নবী আসতেন তবে তিনি কে হতেন?

মুহাম্মাদ মুহাম্মাদী ইশ্তিহারদী

অনুবাদঃ মীর আশরাফুল আলম ও সামিউল হক

মরহুম আয়াতুল্লাহ আল উ’যমা সাইয়েদ আব্দুল্লাহ সিরাযী(রঃ)(একজন বিশিষ্ট মার্জায়ে তাকলিদ) বলেছেনঃআমি মক্কায় বাবুস সালামের নিকটবর্তী এক বই বিক্রয়ের দোকানে গিয়েছিলাম কোরান কিনতে।সেখানে এক বিশিষ্ট সুন্নী আলেম আমাকে শিয়া আলেম হিসাবে চিনে ফেললেন।সে আমাকে উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করে আমাকে বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলো,যার ১মটি ছিল নিম্নরুপঃ

আপনারা এই হাদিসের ব্যাপারে কি বলে থাকেন,নবী(সাঃ) বলেছেন, “ যদি আমার পরে আর কোন নবী আসতো তবে সে হতো ওমর ইবনে খাত্তাব”।

বললামঃ নবী(সাঃ) কখনোই এরুপ হাদিস বলেননি।আর এই হাদিসটি হচ্ছে জাল হাদিস এবং ডাহা মিথ্যা কথা।

সে বললোঃ এ ব্যাপারে আপনার দলিল প্রমান কি?

বললামঃ‘হাদিসে মানযিলাত’ এর ব্যাপারে আপনার মতামত কি? এই হাদিসটি কি আমাদের ও আপনাদের মধ্যে মুতাওয়াতির নয় যা নবী(সাঃ) আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলীর(আঃ) উদ্দেশ্যে বলেছেনঃ-“ হে আলী! আমার সাথে তোমার সম্পর্ক হচ্ছে ঐরুপ যেরুপ সম্পর্ক ছিল হারুন ও মুসার(আঃ) মধ্যে।শুধুমাত্র পার্থক্য হলো আমার পরে আর কোন নবী আসবে না( সহী মুসলিম,খন্ড-৩,পাতা-২৩৬;সহি বুখারি,খন্ড-২,পাতা-১৮৫;মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বাল,খন্ড-১,পাতা৯৮,১১৮ ও ........)।

সে বললোঃ আমাদের চোখে এই হাদিসটি মুতাওয়াতির(সঠিক/বহুল প্রচারিত)।

বললামঃ এই হাদিসটি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যদি নবীর(সাঃ) পর আর কোন নবী আসতেন তবে অবশ্যই তিনি হতেন আলী(আঃ)। আর এই হাদিসের কারনেই আমার কাছে যে হাদিসটি আগে উল্লেখ করেছেন তা হচ্ছে ডাহা মিথ্যা,অযৌক্তিক এবং অগ্রহনযোগ্য।

ঐ ব্যক্তি আমার কথা শুনে চুপ হয়ে গেল( আল ইহতিজাজাতুল আশারাহ,পাতা-১৬)।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.