নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশ , মানুষ

জীবনের সব কিছু আললাহর সন্তুষ্টির জন্য

আল মাহদী ফোর্স

কোরান ও নবী পরিবারের আঃ অনুসারী।

আল মাহদী ফোর্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুরা আলে –ইম্রান, আয়াত# ১০৬-১০৭(জাহান্নামী একদল সাহাবীর কথা,তাফসীরে ইবনে কাসীরের মিথ্যা তাফসীর)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

“(সে দিনকে ভয় কর)যেদিন কিছু(লোকের) চেহারা উজ্বল হবে এবং কিছু (লোকের) কাল,সুতরাং যাদের চেহারা কাল হবে,৯তাদের বলা হবে) তোমরা কি বিশ্বাস করার পর অবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিলে(১)?তবে তোমাদের অবিশ্বাসের স্বাদ আস্বাদন কর।এবং যাদের চেহারা উজ্বল হবে তারা তো আল্লাহর অনুগ্রহে(বেহেস্তে) চিরদিন থাকবে"।

সঠিক তাফসীরঃ(১)
বুখারী ও জাম বাইনুস সহীহাইন গ্রন্থে বর্নিত আছে যে, মহানবী(সাঃ) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন ফেরেস্তারা কিছু সংখ্যক লোককে ‘হাউজে কাউসার’ হতে সরিয়ে টানতে টানতে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।আমি তাঁদের চিনে ফেলবো এবং ফেরেস্তাদের বলব, এদের জাহান্নামে কেন নিয়ে যাচ্ছ?এরা তো আমার সাহাবী। ফেরেস্তারা বলবে,আপনি কি জানেন না যে,এরা আপনার পর আপনার ধর্মে কতশত নতুনত্ব সৃষ্ট করেছিল(বিদায়াতের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল)।
যখন থেকে আপনি বিযুক্ত হয়েছেন,(তারা)আপনার ধর্মের বিষয়ে সর্বদা নিজেদের খেয়াল খুশীমত চলত এবং ধর্ম থেকে ফিরে গিয়েছিল।‘

তাফসীরে ইবনে কাসীরে মিথ্যা তাফসীরঃ

.......হযরত ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেন যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়েতের মুখমণ্ডল শ্বেত বর্ন ও আলোকোজ্বল হবে এবং আহলে বিদয়াতের মুখমন্ডল হবে কৃ্ষ্ণ বর্নের।
প্রিয় পাঠক,আমরা জানি যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রতিষ্টাতা আব্বাসীয় খলিফারা।।আর কোরান নাজিল শেষ হয়েছিল ১১ হিজরীতে,রাসুল(সাঃ) ইন্তেকালও করেন ১১ হিজরীতে।সুতরাং এটা দিনের আলোর মত পরিস্কার যে, তাফসীরে ইবনে কাসীরের রেওয়ায়েতটি বানোয়াট ও মিথ্যা;বুখারী ও জাম বাইনুস সহীহাইন গ্রন্থের রেওয়ায়েতটি সত্য।

সুরা সাফফাত,আয়াত# ১০৭
“এবং আমি এর পরিবর্তন্স্বরুপ এক মহাকুরাবানীকে(১) সাব্যস্ত করেছি।“
সঠিক তাফসীরঃ(১)
তাফসীরকারক ও হাদিসবেত্তাগন ‘যিভীন আযীম’(মহাকুরবানী) সম্বন্দ্বে বহু বিষয়ের অবতারনা করেছেন এবং বেহেস্তের স্বাস্থ্যবান দুম্বা উদ্দিষ্ট করেছেন।কিন্তু এটা সম্পুর্ন বিবেক বিরুদ্ব ।কেননা,দুম্বাটি বেহেস্তে ৪০ বছর যাবত চরে বেড়িয়ে যতই স্বাস্থ্যবান হোক না কেন,কোন নবীর তুলনায় মহান হওয়া অসম্ভব।নিষ্পাপ ইমামগনের রেওয়ায়েতে এ আযীম কুরবানীর ব্যাপারে হযরত ইমাম হুসাইনের(আঃ) শাহাদাতের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
মওলানা মউদুদীর মিথ্যা তাফসিরঃ
" বড় কুরবানী " বলতে বাইবেল ও ইসলামী বর্ণনা অনুসারে একটি ভেড়া । সে সময় আল্লাহর ফেরেশতা হযরত ইবরাহীমের সামনে এটি পেশ করেন পুত্রের পরিবর্তে একে যবেহ করার জন্য । একে "বড় কুরবানী " বলার কারণ হচ্ছে এই যে , এটি ইবরাহীমের ন্যায় আল্লাহর বিশ্বস্ত বান্দার জন্য ইবরাহীম পুত্রের ন্যায় ধৈর্যশীল ও প্রাণ উৎসর্গকারী পুত্রের প্রাণের বিনিময়ে ছিল এবং আল্লাহ একে একটি নজীর বিহীন কুরবানীর নিয়ত পুরা করার অসিলায় পরিণত করেছিলেন। এ ছাড়াও একে " বড় কুরবানী " গণ্য করার আর একটি বড় কারণ দিয়েছেন যে , এ তারিখে সারা দুনিয়ায় সমস্ত মু'মিন পশু কুরবানী করবে এবং বিশ্বস্ততা ও প্রাণ উসৎর্গকারী এ মহান ঘটনার স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে থাকবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.