নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিসকল্ টু আজরাইল এক্সপ্রেস্

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

মিসকল্ টু আজরাইল এক্সপ্রেস্
.
একটা বিষ্ময়কর ব্যাপার খেয়াল করলাম। কারো ৩২ টুকরা লাশের খবরেও এ দেশের অন্তত ৮৫ ভাগ মানুষ বলে বসে, তার মৃত্যুটা ওভাবেই লেখা ছিলো!!! যার মৃত্যুর ডাক যখন যেভাবে আসবে তাকেতো তখন সেভাবেই যেতে হবে; না! যে কোন ঘটে যাওয়া ঘটনাকে পূর্ব নির্ধারিত ভাবা মানুষের বোধ হয় পৌরাণিক রোগ।
.
প্রত্যেকটা জীবনেরই একটা মেয়াদ কাল বা এক্সপায়ার ডেট আছে। তার মানে এই না যে বিশ বছরের টগবগে কারো খুন হয়ে যাওয়া মানে তার এক্সপায়ার ডেট বিশ বছরেই লেখা ছিলো। তাহলেতো যে খুন করলো তার এইপার ঐপার কোন পারেই বিচার হওয়ার কথা না। কারণ দোষতো তার না। যে তার হাতে খুনের মাধ্যমে মৃত্যুটা লিখে রেখেছিলেন দোষতো তার হওয়ার কথা!!!
.
পরপারের ডাক আসলে যেতে হয়। কিন্তু ডাক বা কল্ আসার আগেই কি আমরাই ওপারে মিস্ কল্ দিয়ে বসি নাতো প্রায়ই। যার উত্তর হিসাবেই মূলত ওপার থেকে পুর কল চলে আসে আর ওটাই তখন লিখিত হয়ে যায়।
.
মনেতো হয়, কিছু কাজ করে আমরাই মূলত মৃত্যুকে মিস্ কল্ দেই, আর উত্তরে পুরা কল পাই বসি যা অটো রিসিভ হয়ে যায়। যেমন-
.
১. যে কোন নেশায় আশক্ত হওয়া। নিকোটিনের নেশা করা মানেই তো নিয়ত মিস্ কল দিয়ে যাওয়া। তা সে পোড়াই ধোঁয়া খাই আর পানের সাথে মিশিয়ে সাদা হিসেবে খাওয়া।
২. কানে হেড ফোন বা মোবাইল লাগিয়ে বাস রেল যে কোন রাস্তা পার হওয়া। মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জে লাগিয়ে মাথার নিচে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়া।
৩. বয়েসের সাথে লাইফ স্টাইল এ্যাডজাস্ট না করা। বেশি বয়সেও ইচ্ছা মত খাওয়া, ঘুরাফিরা বা জার্নি করা। ঠিক মত না ঘুমানো।
৪. শরীরে যে কোন বড়সড় রোগের লক্ষণ দেখেও ‘আল্লাহ-ভরসা’র নাম করে কোন চিকিৎসা না করানো। অথচ চিকিৎসাটাও আল্লাহরেই দান।
৫. থাকার জায়গাটাকে অনিরাপদ করে রাখা। আগুন, দা-ছুরি, ব্লেড, রেজর, ওষধ নিরাপদে না রাখা। বাড়ি থেকে সহজে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ রাখা। বাড়ির ছাদে বা যে কোন উঁচু জায়গায় অকারন পা ঝুলিয়ে বসে থাকার অভ্যাস।
৬. বাচ্চাদের মুরগীর মত ছেড়ে দিয়ে রাখা। যে কোন সময়েই তারা যে কোন অঘটনে পড়তে পারে।
৭. সাঁতার না শিখেও একা একা সাতরানো বা একা একা সাতার শিখার চেষ্টা করা। অপরিচিত পুকুর, লেক, বিচে একা একা নিরবে নেমে পড়া।
৮. ড্রাইভিং পুরোপুরি না শিখে মূল রাস্তায় গাড়ি বা বাইক চালানোর চেষ্টা করা। ইনষ্ট্রাক্টর ছাড়া নিজে নিজে ড্রাইভিং শিখার চেষ্টা করা। রাস্তায় অকারন রেসে নামা অন্য গাড়ীর সঙ্গে। গাড়ীর ড্রাইভারের দিকে নজর নাদেয়া। তার কি ঘুমঘুম ভাব আছে কিনা, খালি পেটে চালাচ্ছে কিনা, মোড় গুলাতে তাকে সাবধান না করা।
৯. যে কোন বয়েসে, যে কোন বাসায় এক দম একা থাকা। যে কোন অঘটনে উদ্ধার করার কেউ থাকেনা যখন।
১০. আশপাশের মানুষদের সাথে নিয়মিত দূরব্যাবহার এবং অপমান করে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটনো। আর বাজে সম্পর্ক নিয়ে দিনের পর দিন একসাথে বসবাস করতে তাদের বাধ্য করা।
অযাচিত লাইফটা বিলিয়ে লাভ কি! আশরাফুলের মত হাফ ইনিংস না খেলে টেন্ডুলকারের মত ফুল ইনিংস খেলাইতো ভালো।
০৩৩১২০১৫

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: মৃত্যু যতোটা না আমাদের তারা করে বেড়ায়,
তার চেয়েও বেশী আমরা সম্ভবত মৃত্যুর নিকট বর্তি হই।
তাই তো অকালেই ঝরে যেতে হয়।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: হুম, মাঝে মাঝে ব্যাপারটা এরকমই মনে হয় ৥নুর ইসলাম রফিক

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মিস্কল? কন্সেপ্টটা বেশ!

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২২

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: হা.. হা.. হা..৥প্রোফেসর শঙ্কু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.