নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উন্মাতাল পৃথিবী নিঃসংগ আমি

লিখতে চাই অনেক কিছু, কিন্তু কি লিখব। কত যে কথা ছিল মনের মাঝে, আজ এ অসময়ে বুকের মাঝে শুধু বাজে। যাবোই চলে হারিয়ে আমি মহাকালের গর্ভে। অসীম অর্থহীন পথচলা নাকি নতুন স্বপ্নের জাল বোনা।

বেকার যুবক

ভালোবাসি বাংলাদেশ। ---বিদ্বেষ আমার রক্তে নেই, কিন্তু মেয়েরা সুন্দর পোশাক পড়বেনা, এটা আমি মানতেই পারি না।--- ভালোবাসি পৃথিবীর অনেক কিছু যা কিছু সুন্দর। ভালোবাসি ডানা মেলা মুক্ত বিহঙ্গ। ভালোবাসি ভাবতে। ভালোবাসি মন-প্রাণ খুলে হাসতে। ভালোবাসি নীল আকাশ আর বৃষ্টির রিম-ঝিম। ভালোবাসি সমুদ্রের গর্জন আর সভ্যতার নাগপাশে বন্দী মানবজীবন। ভালোবাসি উর্দ্ধমুখী নিঃসংগতা আর ভালোবাসি বেকার যুবক।

বেকার যুবক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাজী হায়াৎ, স্যার, আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই না, শ্রদ্ধা জানাতে চাই। কিভাবে জানাব? প্রসঙ্গ-সিনেমা 'ইভটিজিং' এবং একটু অন্য প্রসঙ্গ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১

বাংলার নবাব সিরাজোদ্দৌলার গুরুত্ব হয়তো আমরা বুঝতে পারিনি, কিন্তু তার চরিত্রকে আমাদের সামনে যিনি দিবালোকের মত ফুঁটিয়ে তুলেছেন, সেই মুকুটহীন নবাব আনোয়ার হোসেন, তার অবিস্মরণীয় সংলাপ আর পর্দার পেছনের ও সামনের খান আতাঊর রহমান কাউকেই আমরা, আমাদের প্রশাসন সঠিক মূল্য দিতে পারি নি, অথবা হয়তো চেষ্টাও করিনি। যাই হোক আমাদের হৃদয়ে হয়তো তোমরা চিরদিন অমলিন হয়ে থাকবে আর এটাই হয়তো তোমাদের একমাত্র পুরষ্কার।

কাজী হায়াৎ, আপনাকে স্যার বলে সম্বোধন করছি। আপনার আগের ছবিগুলোর ভালো-মন্দ বিশ্লেষণ করতে চাইনা, শুধু বলব ‘ইভটিজিং’ এমন একটা ছবি যা আপনাকে হয়তো বাংলার মানুষের মনে আজীবন বাঁচিয়ে রাখবে। অন্যান্য সামাজিক ব্যাধির মত এই ব্যাধি থেকে সমাজকে বাঁচাবার যে যৌক্তিক পন্থা আপনি দেখিয়েছেন, তা যেন সহস্র প্রাণের আবেগকে নাড়া দিয়ে যায়। আজ আমি হয়তো সত্যজিত রায়ের চলচ্চিত্র সমাজকে বদলাতে পারেনা কথার সাথে একমত হতে পারছিনা। আমি বলব চলচ্চিত্র মানুষের মনে যে জোয়ার সৃষ্টি করতে পারে, সে জোয়ারের স্রোতকে সঠিক গতিপথের সন্ধান দিতে পারলে, বিপ্লব অনিবার্য। এত সুন্দর এই দেশ আর তার মানুষগুলো, কিছু দুষ্টলোকের হাতে জিম্মি, বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে। না, শিকল ভাঙ্গবেই, মুক্ত পাখি আকাশে উড়বেই। আপনাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি স্যার।

ভালো ছবি নিয়ে রিভিউ লেখা আসলেই কঠিন। কারণ ভালো ছবির রিভিউ পড়ে, এটা কতোটা ভালো হয়েছে তা সবসময় বোঝা যায়না। ভালো ছবির একমাত্র রিভিউ হতে পারে,

“আপনি ছবিটা দেখুন”।



হ্যাঁ, ছবিটির প্রচারণা আসলেই কম হয়েছে। ভালো ছবিগুলোর প্রচারণা আরো বেশি হওয়া উচিত।



এ বছরের ভালো ছবিগুলো হচ্ছে,

-ইভটিজিং

-পোড়ামন

-অন্যরকম ভালোবাসা

-জটিল প্রেম



একটু অন্য প্রসংগঃ ট্রেলার দেখে ছবি প্রসংগে মন্তব্য করা ঠিকনা, কারণ প্রায়শই দেখা যায়, ট্রেলার দেখে যা মনে হয়েছিল, তার সাথে মূল ছবির পার্থক্য অনেক। তবুও ‘ইভটিজিং’ চলাকালে ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবির ট্রেলার দেখাচ্ছিল। দুই সাবেক জনপ্রিয় নায়িকার দ্বন্ধ, বুঝলাম ভালো কথা, কিন্তু নবাগত নায়িকার পোশাক এত সংক্ষিপ্ত করার প্রয়োজনটা কি? আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি, এই যে নায়িকাদেরকে আপনারা এত সংক্ষিপ্ত পোশাক পড়াচ্ছেন, এটা আপনারা কোথায় শিখলেন? এতে কি নায়িকার ব্যক্তিত্বের হানি হয়না? তার স্বাভাবিক জীবনের ওপর এটা কি একটা আঘাত নয়? এভাবে ছোট কাপড় না পরালে আপনাদের সিনেমা কি চলবেনা? বলেনতো ভাই। আপনারা কোন শ্রেনীর দর্শকের কথা চিন্তা করে নায়িকার হাটু, কাঁধ, পিঠ উন্মুক্ত রাখেন, বলবেন কি?

শ্রমিক শ্রেণীর দর্শকঃ হতে পারে। তবে এটা নাহলেও তাদের বিশেষ আপত্তি থাকবেনা, যাদের বউ আছে তাদেরতো আছেই, যাদের নেই তাদেরও সমস্যা নেই।

অর্থনীতিতে সমাজের একটু উপরের শ্রেণীঃ তাদের অধিকাংশই আপনাদের সিনেমা দেখেইনা।

আমরাঃ না, আপনার নায়িকার হাটু, কাঁধ, পিঠের প্রতি আমাদের কোনই আকর্ষণ নাই।

মেয়েদের বুকে কি আছে তাতো আমরা সকলেই জানি, তা আর অমন করে প্রদর্শনের কি আছে? যদি সম্ভব হয় তবে তাদের হৃদয়ের গভীরতাকে ফুটিয়ে তুলুন, বাংলার দর্শক এটাই দেখতে চায়। ভারতীয় সিনেমাকে অনুকরণের প্রয়োজন নেই। ওদের সাথে অসম প্রতিযোগিতায় যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। ওরা ওদের মতো সিনেমা তৈরী করুক, আমরা আমাদের মতো।

মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, উত্তম আকাশ, প্লিজ, সিনেমা যদি যত্ন করে বানাতে নাই পারেন, অন্তত মেয়েগুলোকে সুন্দর পোশাক পড়িয়ে দিন, বিশ্বাস করুন আপনাদের ব্যবসায় লস হবেনা, আর আমি অন্তত আপনাদেরকে শ্রদ্ধা করব, আমরা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। ভালো থাকবেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

অনন্ত জীবন বলেছেন: জটিল প্রেম, অন্যরকম ভালোবাসা এগুলো ভাল ছবি?
কিছুই বলার নাই মোস্তাফিজুর রহমান মানিক 'দুই নয়নের আলো' বানিয়ে যে কাজ করেছেন তাতে তার সব দোষ মাফ করে দেয়া যায়

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

বেকার যুবক বলেছেন: ছবি ভালো কি মন্দ তা দুই দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়।
১। যে ছবি সবারই ভালো লাগে
২। দর্শকের দৃষ্টিভংগী
অন্যরকম ভালোবাসা, জটিল প্রেম এগুলোর ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টি প্রযোজ্য। আমার কাছে মনে হয়েছে, ছবিগুলোতে গোঁজামিলের আশ্রয় নেয়া হয়নি, কাহিনীর ধারাবাহিকতা রক্ষিত হয়েছে, গতিশীলতা বজায় ছিল।

যাই হোক আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বাংলাদেশী কোন সিনেমা যখন দেখি তখন নায়িকাদের সংক্ষিপ্ত পোশাক দেখে মনেই হয় না এটা মুসলিম কোন দেশ। সিনেমায় মেয়েদের সুন্দর পোশাক পরানোর ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটি চমৎকার লাগলো। আপনার মতো আমিও বিশ্বাস করি সিনেমায় মেয়েদের সুন্দর পোশাক পরালে সিনেমা ব্যবসায় কোন লোকসান হবে না। বরং তখন ব্যবসা আরো বেড়ে যাবে মনে করি। কারণ এখন সংক্ষিপ্ত পোশাক দেখে বিব্রত হওয়ার ভয়ে অনেকেই সিনেমা দেখতে যায় না। কিন্তু মেয়েদের ভালো পোশাক পরিয়ে মার্জিত করে উপস্থাপন করলে তখন সেই সিনেমাটি পরিবারের সবাই মিলে উপভোগ করতে পারবে। আপামর সবাই সেই সিনেমাটি দেখতে পারবে। আপনার যুক্তিপূর্ণ ও সুন্দর বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইল।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪

বেকার যুবক বলেছেন: আপনার মন্তব্যে দারুন উৎসাহ পেলাম।
এখন কিছু করতে পারছিনা তাই লিখে যাচ্ছি, আর সুযোগের সন্ধান করছি, সময় হলে হয়তো কাজের মাধ্যমেই সেটা প্রমাণের চেষ্টা করব, ততোদিন পর্যন্ত লিখে যাওয়া ছাড়া ভিন্ন কোন উপায় নেই।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.