নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসি বাংলাদেশ। ---বিদ্বেষ আমার রক্তে নেই, কিন্তু মেয়েরা সুন্দর পোশাক পড়বেনা, এটা আমি মানতেই পারি না।--- ভালোবাসি পৃথিবীর অনেক কিছু যা কিছু সুন্দর। ভালোবাসি ডানা মেলা মুক্ত বিহঙ্গ। ভালোবাসি ভাবতে। ভালোবাসি মন-প্রাণ খুলে হাসতে। ভালোবাসি নীল আকাশ আর বৃষ্টির রিম-ঝিম। ভালোবাসি সমুদ্রের গর্জন আর সভ্যতার নাগপাশে বন্দী মানবজীবন। ভালোবাসি উর্দ্ধমুখী নিঃসংগতা আর ভালোবাসি বেকার যুবক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ইউনিটে পরীক্ষা দিয়েছে ৪৪ হাজার জনেরও বেশি। এই ইউনিটে আসন সংখ্যা ৭৯০। ৪৪ হাজার কে ৭৯০ দিয়ে ভাগ করে অনেকে বলার চেষ্টা করেন আসন প্রতি প্রতিযোগি ৫৬ জন। একটা অবৈজ্ঞানিক ফালতু ধারণা। মূলত একজন পরীক্ষার্থী যে ৭৯০তম হবে তাকেও কমপক্ষে ৪৩ হাজার জনকে পেছনে ফেলে আসতে হবে।
শিক্ষার্থী বেড়েছে, সবাই চায় ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে কিংবা নিদেন পক্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে। পরীক্ষার্থীদের অনেকের অবস্থান ঢাকার বাইরে। পরীক্ষাকেন্দ্রিক ছোটাছুটি আর ভোগান্তি এবং অর্থনৈতিক ব্যয় অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম করে হলেও ২০ হাজার হবে। তাদের গড়পড়তা খরচ ২ হাজার টাকা ধরলেও অনায়াসে (২০,০০০ × ২,০০০ = ৪,০০,০০,০০০) ৪ কোটি টাকা গায়েব হয়ে যায় (এই খরচ শুধু একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ইউনিটে পরীক্ষা দিতে আসা-যাওয়া-থাকার খরচ)।
প্রত্যেক বিভাগীয় শহর, বৃহত্তর শহর এবং যে অঞ্চলগুলো থেকে শিক্ষার্থী বেশি আসে সেই অঞ্চলগুলোতে পৃথক পরীক্ষাকেন্দ্র বসানো যেতে পারে। প্রত্যেক বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র এ সকল সেন্টারে যথাসময়ে পৌছে যাবে। আবার উত্তরপত্র সেই সেন্টারগুলোতে বা প্রয়োজনে ঢাকায় নিয়ে এসে মূল্যায়ন করে বর্তমান নিয়মের মতই প্রকাশ করা হবে। আরো চিন্তা করলে এই ব্যবস্থাকে আরো উন্নততরো করা যাবে। উদ্যোগ নিয়ে কেউ বা কোন বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করলে, এই ব্যবস্থার অন্তর্নিহিত ত্রুটিগুলো বেরিয়ে আসবে এবং ধাপে ধাপে তা সমাধান করা যাবে। এই ব্যবস্থার ফলে শিক্ষার্থীরা অল্প পরিশ্রমেই তাদের নিজ বিভাগ বা অঞ্চলের নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রা বসেই সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ভেবে দেখার বিষয় বিদেশে উচ্চ শিক্ষার্থে বা অন্যকোন প্রয়োজনে আমরা যে Language Test (IELTS, TOEFEL) দেই, তা দেয়ার জন্য যদি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্যকোন দেশে পাড়ি জমাতে হতো, কিংবা GRE, GMAT এর কেন্দ্র যদি ঢাকায় না থাকতো, তবে কি অবস্থা হতো। Exam Center বা পরীক্ষাকেন্দ্র একটি পরীক্ষীত বিষয়। আমাদের দেশেও এটি বাস্তবায়নযোগ্য। মনে রাখতে হবে যে, কোন নতুন চিন্তা হচ্ছে কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করার ফল, এবং তা বাস্তবায়নের পক্ষে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে চিন্তাটা ভালো করে বুঝতে না চাওয়া এবং তা বাস্তবায়নের অনিচ্ছা (Everything is impossible or Nothing is possible to an unwilling mind.)।
কোন একটা সমস্যা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকলে সেটা মেনে নেয়ার মাঝে কোন সার্থকতা নেই, বরং কি করে তা থেকে উদ্ধার পাওয়া যায় সেই চেষ্টা করতে হয়। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষিত হয়ে অর্জিত বিদ্যা যদি প্রায়োগিক না হয়, তবে বিদ্যার্জনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ। অতএব নিষ্কৃতির উপায় উপকরণ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। শিক্ষা যদি সমস্যা সমাধানে উদ্ধুদ্ধ করতে না পারে, তবে এই অসম, অপ্রয়োজনীয়, অর্থহীন প্রতিযোগিতা আর তাতে সফল হওয়া শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকে সফল মনে করার কোন কারণ নেই। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সঠিক উদ্দেশ্য অর্জিত হোক, এই হোক ‘তোমারই আছি তোমারই থাকবো’ সিনেমার পোস্টারের বসন-সংকটের ভালো বিকল্প।
শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বলেই নয় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রেও প্রায়ই একই অবস্থা। অতএব সামগ্রিকভাবে চিন্তা করে সময়, অর্থ, শ্রমকে সঠিক কাজে লাগানো প্রয়োজন।
একই ধারায় হয়তো অনেকেই চিন্তা করছেন, কিংবা আগেও কেউ এ বিষয়ে লিখে থাকতে পারেন, তবে কোন লেখার সাথে মিলে যাওয়া একান্তই কো-ইন্সিডেন্স।
বেকার যুবক
©somewhere in net ltd.