![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় খুব ছবি তুলতাম।
ব্যটারীর চার্জ শেষ না হোয়া পর্যন্ত তুলতে থাকতাম
তারপর মনে হল ছবি তোলা ঠিক না ।
এতে মানুষ ফ্রেমে বন্দী সৌন্দর্য দেখে ।
তারা মুগ্ধ হয় বটে কিন্তু প্রভাবিত হয়না।
তারচেয়ে বরং উচিৎ প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হোয়া ।
উদাহরণ দেয়া যাক:
এই ছবিটা দেখে মনে হয়- বাহ সুন্দরতো!!
কিন্তু একদিন বিকেলে গোধুলি বেলায় একাকী বাসার ছাদে গিয়ে দাঁড়ান।
আপনার মন কখনো বলবেনা- বাহ সুন্দরতো!
মনে হবে - আহ, সূর্যটা যদি আর একটু সময় থাকতো!!
অথবা মনে হবে-
"তাইতো,একদিন আমিও হয়তো এভাবে....
কত ক্ষুদ্র এ জীবন !"
এখন মাঝে মধ্যে ছবি তুলি অভ্যাস বসে।
কিন্তু পুরনো ছবি গুলি প্রায়ই দেখি।
এটা একধরনের মানসিক ট্যুর।
যে ছবিটা দেখি সেই ছবিটার স্পটে চলে যাই মনের অজান্তে।
একটা অনুভুতি হয় যেরকম অনুভুতি হয়েছিল ছবিটা তোলার আগমুহুর্তে। কি অদ্ভুত !!
প্রথম ছবিটা বছর খানেক আগে তোলা ।
ছবিটার একটা ব্যাগগ্রাউন্ড আছে।
গুলিস্তানে কি যেন একটা সাহিত্য কেন্দ্র অছেনা ?
সরকারী। পাঠাগার আছে, আবার বই বিক্রয় কেন্দ্র আছে।
ঐখানে একদিন ঢুকলাম । ঢুকে তো তাজ্জব, এরা বই বিক্রি করে না।
অথচ বাইরে লেখা আছে বই বিক্রয় কেন্দ্র।আবার থরে থরে বই সাজানো আছে।এগুলো তাহলে কিসের জন্যে ?
সহজ সরল গোছের একজনকে আস্তে আস্তে বললাম ভাই
বিষয়টা কি? যা বলল তার সারকথা হল: কয়েক বছর হয় বই বেচা বন্ধ করে দিছি।
এখন একমাত্র কাজ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন যায়গায় বই বিতরণ করা হয় সেগুলি পাঠানোর ব্যবস্থা করা।
আমি 'আচ্ছা' বলে নেমে আসলাম। নামার পথে সিড়ির দেয়ালের এই লেখাটা নিয়ে আসলাম।
ছবির লেখাটা অন্য একটা ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিল
একদিন ভার্সিটি থেকে ফিরে দেখি আপুর টেবিলে একটা বই।
কাপড় চেন্জ না করেই বইটা হাতে নিলাম ।
অভ্যাসমতো সবার আগে ভুমিকা পড়া শুরু করলাম ।
তারপর একসময় মনে হল পা ব্যাথা করছে।
তাইতো আমি দাড়িয়ে আছি এতক্ষণ !
ততক্ষনে ৭০ পৃষ্ঠা পড়ে ফেলেছি।
সেই বইটার নাম বাংলার রাত বা 'লা নুই বেঙলী' ,
এই জাতীয় বই বাসায় রাখা ঠিক না।
এতে এলকোহল আছে, যা নেশার উদ্রেক ঘটায়।
সব নেশা ক্ষতিকর.....
তবে.......
©somewhere in net ltd.