নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াত-শিবির দ্বিতীয়বার জন্ম নিয়ে মনে রাখবে কি বিএনপিকে!!

১৪ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:০০



বিএনপির কল্যাণে ১৯৭১ সালের পর দুইবার জন্ম লাভ করলো জামায়াত-শিবির;

একবার ১৯৭৬ সালে আবার ২০১২ সালে ।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর কর্মকান্ড ধিকৃত ও স্বাধীনতা বিরোধী হওয়ায় স্বাধীন দেশে সংগঠনটির কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা হয়। একই সাথে ইসলামী ছাত্র শিবির (তৎকালীন ইসলামী ছাত্র সংঘ) জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন হিসেবে স্বাধীনতা যুদ্ধে একই রকম ধিকৃত ও স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা পালন করায় এ সংগঠনটিও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। জামাত-শিবির সংগঠনদ্বয়ের নেতা-কর্মীরা ইসলামের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আধা সামরিক বাহনী রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী গঠন করে পাকিস্তান বাহিনীর দোসর হিসেবে সশস্ত্র কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ও সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতা’কে রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এর ফলে জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও সাম্প্রদায়িক সংগঠন জামায়াত-শিবির স্বাধীনতার পর পাকিস্তানসহ তাদের পৃষ্ঠপোষক ইসলামী রাষ্ট্র সমূহের সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। চক্রান্তকারীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সপরিবারে হত্যা করে। জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালে জামাত শিবিরের রাজনীতি উম্মুক্ত করতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন (বিশেষ অধ্যাদেশ ০৪ মে ১৯৭৬ এবং বাংলাদেশ সংবিধান, ৫ম সংশোধনী, ২২ এপ্রিল ১৯৭৭)। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের স¦াধীনতাপূর্ব জামায়াতের রাজনীতি শুরু হয় এবং ইসলামী ছাত্র সংঘের কতিপয় নেতা ৪ ফেব্র“য়ারি ১৯৭৭ তারিখে ঢাকায় সমবেত হয়ে পরিবর্তিত নাম ইসলামী ছাত্র শিবির নাম ধারণ করে নতুনভাবে কর্মকান্ড শুরু করে। এর মাধ্যমে জামায়াত-শিবির প্রথমবার পুনর্বাসিত হয়।

দ্বিতীয়বার ২০০৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি আওয়ামী লীগ দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধ্পারাধীদের বিচার শুরু করলে জামায়াত-শিবির পুনরায় কোনঠাসা হয়ে পড়ে। গত ১২ মার্চের মহাসমাবেশের মাধ্যমে রাজপথের প্রকাশ্য রাজনীতিতে ফিরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। সোমবার নয়া পল্টনে চারদলীয় জোটের মহাসমাবেশে বিএনপির সমানতালে উপস্থিতি ছিল জামায়াত ও দলটি নিয়ন্ত্রিত ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের। প্রায় তিন বছর রাজধানীতে সমাবেশ করতে পারলো জামায়াত-শিবির দলীয় নেতাকর্মীরা। ' বিগত নির্বাচনে চরম ভরাডুবি ও মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই কোণঠাসা হয়েছিল জামায়াত। সবশেষ ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পল্টন ময়দানে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সমাবেশ করে জামায়াত। এর পর থেকেই সরকারের কঠোর অবস্থানে রাজপথে নামতেই পারেনি দলটি। ২০১০ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক শিবিরের হামলায় নিহত হলে দলটির বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালায় সরকার। ২০১০ সালের ২৯ জুন আটক হন জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের বিচার কাজ চলছে। একই অভিযোগে আটক রয়েছেন দলের সাবেক আমির গোলাম আযম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা। দলীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজপথে 'তাণ্ডব' চালিয়ে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে জামায়াত। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য তাসনিম আলমহ আরও ১২ কেন্দ্রীয় নেতা আটক হওয়ায় অনেকটাই নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে জামায়াত। এমন পরিস্থিতি গত ২৭ সেপ্টেম্বর ৪ দলের জনসভা ও ৩০ জানুয়ারির গণমিছিলে জোট শরিক বিএনপির তুলনায় জামায়াতের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। কিন্তু এবার সমাবেশে লোক সমাবেশ ঘটাতে পেরে জামায়াত বিএনপির আনুকূল্য পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। বিএনপিকে দেখাতে পেরে এবার যুদ্ধাপরাধীর মুক্তির জন্য বিএনপির উপর চাপ সৃষ্টি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। কিন্তু বিএনপি জামায়াতকে এবারসহ দুই বার জন্ম দিল; তা কি জামায়াত মনে রাখবে?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

পক্ষপাতদুষ্ট বলেছেন: বিএনপি'র এখন দরকার আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতা থেকে হটানো।জামাতের দরকার তাদের নেতাদের মুক্তি। আওয়ামীলীগ দ্রব্যমূল্যে ব্যার্থ,শেয়ারবাজারে ব্যার্থ,ব্যার্থ আইন-শৃংখলা,চুরি ডাকাতি-টেন্ডারবাজী নিয়ন্ত্রনে।পুলিশ-বিচারবিভাগ-সংসদ সব প্রশ্নবিদ্ধ
তারা সফল শুধু বিএনপি ও জামাত-শিবির দমনে।
কিন্তু বিএনপি-জামাত-শিবির দমন কি হয়েছে?
হয়নি বরং বিএনপি'র অতীত দূ:শাসন ভুলাতে আওয়ামীলীগ ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
জামাতের প্রতি মানুষের দরদ বাড়ছে।কাদের সিদ্দিকী,আসম রব,কর্নেল অলি সহ বহু খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধারা এখন জামাতের প্রতি নমনীয়।
জামাত কে পূণ:জন্ম দিচ্ছে মূলত: আওয়ামীলীগ।কারণ আওয়ামী লীগ বিএনপি কে আবার ক্ষমতায় আসার রাস্তা করে দিচ্ছে।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:২২

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: জ়ামায়েত শিবিরে অপরাধী আছে এটা সবাই জানে।৭১ এর পরে যার জম্ন সে যদি ছাএ শিবির করে তাহলে সে রাজাকার হয় কি ভাবে? প্রথম সাধারন ক্ষমা করেছে জাতির পিতা নিজেই।আর ফারুক হত্যার কথা বললেন আর গত মাসে চটগ্রামে দুই জন শিবির কর্মিকে গুলি করে আর কুপিয়ে মারলো সেটা তো বললেন না। আবার ভাববেন না আমি জামায়াত বা ছাএ শিবির করি ওদের গুস্টি ওইটা করি।কথা হলো কোন পোস্ট দিলে তা নিরপেক্ষ ভাবে দিবেন,তা আপনি যে দলের সমর্থন করেন না কেন ইতিহাস সবসময় তার নিজের অক্ষের উপর ঘোড়ে।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:২৬

ডেভিড বলেছেন: নরমাংসের সাধ একবার যে পায়, সে যত বড়ই ভেজেটেরিয়ান হউক না কেন যে কোন সময় আবার স্বরূপে আত্নপ্রকাশ করবে

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: রাজনীতিতে বন্ধু বলে কোন কথা নেই।সবকিছুই লাভের উপর নির্ভরশীল।জামায়াত ঠিকই বিএনপিকে ভুলে যাবে।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:১৬

জীবনকেসি বলেছেন: ভাই শুধু হেডলাইনের জবাব:::::

কখনোই না। কখনোই না। কখনোই না। অতীতে দেখেছি। সবার আগে বিএনপি নির্মূলে নামবে তারা। (যদি সুযোগ পায়) ।

কেউ বুঝলোনা বিষয়টি।

অনেক ধন্যযোগ।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ২:০৯

স্বাধীকার বলেছেন:
রশীদ ভাই,

একটু ভুল আছে, অথবা আপনার ইচ্ছাকৃতও হতে পারে। জামাতকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে প্রথম লাইফ দিয়েছে আম্লীগ ১৯৯৬ সালে হাসিনার প্রিয় তত্ত্বাবধায়ক আন্দোলনের মাধ্যমে। এর আগে বাংলাদেশে বহু এলাকায় শিবির প্রকাশ্যে মিছিলও করতে পারতোনা। কিন্তু আম্লীগের সাথে ছবি তোলার সুবাদে তারা অলিতে গলিতে মিছিল করতে থাকে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ভালো রেজাল্টের শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে খাতা কলম ক্যালেন্ডার ডায়রী বিতরণ করার মাধ্যমে সামাজিকীকরণ হয়ে যায় শিবিরের। তখন আমরা দেখেছি কিভাবে শিবির আম্লীগ নেতাদের সাথে পরামর্শ করে এলাকায় এলাকায় বিএনপি-র বিরোদ্ধে মিছিল করেছে। এটা আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলে গেলেন নাকি তখন আপনার বুঝার সময় হয়নি? বাংলাদেশে জ্ঞানী লোকেরাই বড় পাপী-এটার প্রমান এখান হাটে বাজারে ব্লগে। ইতিহাস র্চচায় আম্লীগ সেরা কারণ তালগাছ তাদের বরাবরই থাকবে।

হ্যা আপনার পোস্টের সাথে সুর মিলিয়ে আমিও জানতে চাই, শিবির কি বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ দেখাবে কিনা। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা এটাই বলে যে, না- তাদের কৃতজ্ঞতাবোধ থাকবেনা। তাদের বেঈমানীটাকে তারা ধর্মের মাধ্যমে হালাল করে বলবে, বিএনপিকে সমর্থন দিলেও তারা খারিজি হয়ে গিয়েছে। রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিগত দিনে ছাত্রদলের সহযোগিতা নিয়ে শিবির রাজনীতি করার সুবিধা লাভ করেও বহু ছাত্রদল নেতাকে এরা শেষ করে দিয়েছে, কেবল ইসলাম কায়েমের স্বার্থে, জিহাদী ফরমূলায় ফেলে। কিন্তু কেবল পারেনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানের একজন শিক্ষার্থী হিসাবে, গর্বিত ছাত্রদলের একজন সমর্থক হওয়ার কারণে আমরা মান্নান ভূইয়ার প্রস্তাবকেও অবজ্ঞাভরে প্রত্যাখান করেছি, বলেছি না, শিবিরের সাথে আমরা ক্যাম্পাসে রাজনীতি চাইনা। দুই বার ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে, দখল করেও ওরা টিকতে পারেনি কেবল সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রইউনিয়নের কারণে। উল্লেখ্য জাবি’র দুজন ছাত্রদল নেতাকে শিবিরের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। একজন হাবিবুর রহমান কবির ভাই, অন্যজন শওকত কবির দিপু ভাই। দীপু স্মরণী ও কবির স্মরণী তাদের নামেই করা। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.