![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুরুর অপেক্ষা। রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা এখন শুধু। গোটা বিশ্ব এখন গুনছে সে অপেক্ষার প্রহর। কখন পর্দা উঠবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের’। হিসাবটা এখন এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র কিছু ঘণ্টায়। আসুন তার আগে জেনে নেই ফুটবলের যত অজানা গল্প । বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলে কালের বিবর্তনে এসেছে নানা পরিবর্তন। পাল্টে গেছে অনেক নিয়ম, যোগ হয়েছেও অনেক। এমনই কিছু অজানা তথ্য নিয়ে আজকের আয়োজন।
হাত দিয়ে গোল
১৮৬২ সালের আগে হাত দিয়ে মারলেও গোল হতো। এ বছরই নিয়ম হয়, হাতের সাহায্যে দিলে তা গোল হবে না।
ক্রসবারও ছিল না
১৮৬৫ সালের আগে গোলপোস্টের ভেতর দিয়ে বল প্রবেশ করালেই গোল হতো, তা যত ওপর দিয়েই হোক। এ বছরই ৮ ফুট উচ্চতার ক্রসবার দেওয়ার চল শুরু হয়।
ছিল না অফসাইড
১৮৬৬ সালের আগে খেলোয়াড়রা হাত দিয়ে বল থামানোর নিয়ম বাতিল হয়। এর আগে অফসাইডেরও কোনো নিয়ম ছিল না।
গোলরক্ষকদের কাণ্ড
১৮৭১ সালে নিয়ম করা হয়— ‘গোলরক্ষকই হাত দিয়ে বল ধরতে পারবে।’ তখন গোলরক্ষকরা হাতে বল ধরে মাঠের সবখানে চলে যেত।
খেলার সময়
১৮৭১ সালের আগে খেলার কোনো নির্দিষ্ট সময় ছিল না। আলোচনার মধ্যদিয়ে সময় নির্ধারিত হতো। কয়েক বার বিরতির নিয়মও ছিল। তখন খেলোয়াড়রা গোসল করতো, কাপড় বদলাতো, বিশ্রাম নিতো। ১৮৮৩ সালে খেলা দেড় ঘণ্টার হয়।
প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ
প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে স্কটল্যান্ডের গ্ল্যাসগো শহরে ১৮৭২ সালের ৩০ নভেম্বর। এতে ইংল্যাণ্ডের ৮ জন এবং স্কটল্যাণ্ডের ৬ জন স্ট্রাইকার খেললেও ম্যাচটি গোলশূন্যভাবে শেষ হয়।
ছিল না রেফারি
১৮৭৮ সালের আগে খেলায় কোনো রেফারি থাকতো না। দু’দলের দুই জন প্রতিনিধি থাকতো। সে বছরই বাঁশি ব্যবহারের চল হয়। এর আগে ব্যবহার হতো চিৎকার, ইশারা এবং ছুটির ঘণ্টা।
হাফটাইম নেই
১৮৮৩ সাল পর্যন্ত খেলার প্রথমার্ধ দ্বিতীয়ার্ধ বলে কিছু কিছু ছিল না। ৯০ মিনিটের খেলা চলতো এক টানা। ছিল না প্রান্ত বদলেরও কোনো চল।
নেট ছাড়া গোলবার
নেট ছাড়া আবার গোলবার হয় নাকি! ১৮৯০ সালের আগে নেট ছাড়াই খেলা হতো।
খেলোয়াড়ের সংখ্যা
১৮৯৭ সালের আগে একেক দলে কত জন খেলবে তা নির্ধারিত হতো দলগুলোর চুক্তির মাধ্যমে। এ বছরই নিয়ম হয় খেলোয়াড়ের সংখ্যা হবে ১১।
টিকেট ছাড়া বিশ্বকাপ দেখা
এই কাণ্ডটি হয়েছিল ১৯৫০ সালে, ব্রাজিলে। ব্রাজিল ও উরুগুয়ের ফাইনাল দেখতে যাঁরা এসেছিল তাদের সঙ্গে ঢুকে যায় টিকেট ছাড়াই আরো ৬ হাজার ১৫৫ জন।
ভিডিও দেখিয়ে শাস্তি
মেক্সিকো বিশ্বকাপে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে ৬-০ তে হেরে যায় হাঙ্গেরি। অথচ তা হতে পারতো ১০-০ গোলে। হাঙ্গেরির কোচ তো রেগে আগুন। তিনি সব খেলোয়াড়কে একটি ঘরে বন্দী করে পাঁচ ঘণ্টা খেলাটির ভিডিও ফুটেজ দেখালেন। খেলোয়াড়দের বারবার দেখতে হলো নিজেদের লজ্জাজনক হার।
বিশ্বকাপ ফুটবরের এমন সব অজানা খবর জানতে বিশ্বকাপ জুড়ে থাকুন আমাদের সাথে .......
©somewhere in net ltd.