নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহমদ-মুসা

একজন সাদামাটা বাঙ্গালী

আহমদ-মুসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রস্তাবিত পে-কমিশন রিপোর্ট : অন্তরালে কি (২)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

দুই দিন আগের এক স্টেটাসে প্রস্তাবিত পে-কমিশন রিপোর্ট নিয়ে দেখিয়েছিলাম সরকারি চাকরিজীবিদের বেতন দ্বিগুন হলে আগামি দিনে বাজারের অবস্থাটা কি হবে ? এর পেছনে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কি? আজ আরো একটু উপরের দিকে যেতে চাই :



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ উত্তরকালে যে সকল রাষ্টের সৃষ্টি হয়েছে। ঐ রাষ্টগুলো বাহিয্যিক ভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্যের হাতে থাকলেও, মূলত রাষ্টের ভাগ্য নির্ধারিত হয় দুটো শক্তির হাতে।

(১) সামরিক শক্তি ।

(২) সিভিল ব্যুরোক্রেসি ।



আমাদের দেশে ৯০ এর গণঅভ্যূত্থানের পর সামরিক শক্তি রাষ্টে তার প্রভাব হারিয়েছে বলে মনে হলেও, ২০০৮ এ নিশ্চয় আমাদের সে ভুল ভেঙ্গেছে। তবে তারা এখন আর সরাসরি রাষ্ট ক্ষমতায় আসতে চায়না, বরং ক্ষমতায় না থেকেও সর্বোচ্চো সুযোগ-সুবিধা আদায় করে।



অপরদিকে, বর্তমানে পর্দার আড়াল থেকে যে শক্তি রাষ্ট পরিচালনা করছে, তারা হলো সিভিল ব্যুরোক্রেসি। অর্থাৎ যারা ঐ পে-কমিশন রিপোর্ট প্রস্তাব করেছে। এখানে সরকারের ভুমিকা কিছুটা রাজনৈতিক হলেও, সবচেয়ে বড় ভুমিকা পালনকারি সিভিল ব্যুরোক্রেটদের ব্যাক্তি সার্থই মুক্ষ !



বিষয়টা বুঝার জন্য, প্রস্তাবিত পে-কমিশন রিপোর্টে একটু খেয়াল করলেই দেখবেন । সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ বেতন স্কেল ৮০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হলেও, সিনিয়র সচিব-মূখ্য সচিব-মন্ত্রি পরিষধ সচিবসহ সম মানের সচিবদের বেতন ৯০,০০০ থেকে ১,০০০০০ (১লক্ষ) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ! অর্থাৎ যাদের হাতে এই পে-কমিশন রিপোর্ট তৈরী হল বা যারা এলিট ব্যুরোক্রেট তারা ঠিকই নিজেদেরকে সাধা্রনদের থেকে আলাদা করে নিলো কৌশলে ! টাকার বড় অংকটা ঠিকই নিজেদের পকেটে পুড়েছে ঐ সিভিল ব্যুরোক্রেসি।



অপরদিকে, এইযে বিড়াট অংকের বেতন নিয়ে আমরা এত কথা বলছি। এর বাইরেও একটা অংশ আছে যারা তারও অনেক গুন বেতন-সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বসে আছে আমাদের করের টাকায় ! মনে নিশ্চয় প্রশ্ন ঘুরছে তারা কারা ? উত্তরটা সহজ : সেনাবাহীনি ।



আমাদের বার্ষিক বাজেটের সবচেয়ে বড় খরচের খাত হলো প্রতিরক্ষা। আপনি সবার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবেন, কিন্তু ঐ কেন্টনম্যান্ট ওয়ালারা কি পরিমান বেতন-ভাতা-রেশন সুবিধা ভোগ করছে তা আপনি ভাবতে পারবেন না, জিজ্ঞেসও করতে পারবেন না ! এমনকি হাসিনাও না , মুহিততো বহু দুর .....টু শব্দটি করার ক্ষমতাও কারোর নেই।



একজন মেজর পর্যায়ের সেনার বেতন-ভাতা-রেশন সুবিধা পে-স্কেলের সর্বোচ্চ পর্যায়কে ছাড়িয়ে যায় ! বাকিদের কথা না হয়, নাই বললাম .....রাষ্ট ক্ষমতার বাইরে থেকেও সর্বোচ্চো সুযোগ-সুবিধা, আড়াম- আয়েশ সবই তারা বাগিয়ে নেয়।



তাই বলি ভাই, আমজনতার জন্য এই রাষ্টে কিছুই নাই ! তারা খাবে, আপনেরf খাইল্লা দেখবেন ...



বেতন দ্বিগুণ করার সুপারিশ : অন্তরালে কি ? (১)



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

নতুন বলেছেন: তাই বলি ভাই, আমজনতার জন্য এই রাষ্টে কিছুই নাই ! তারা খাবে, আপনেরf খাইল্লা দেখবেন ...

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আহমদ-মুসা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

বাংলার পথিক বলেছেন: কিন্তু একটি বিষয় লক্ষ করেন যে এরা তো এখনও সরকারী চাকুরীজীবিদের থেকে বেশী সুযোগ সুবিধাই পাচ্ছে । আর সরকারী চাকুরীজীবিরা যে পরিমাণ খাটে তারা সেই পরিমাণ অর্থ আসলে পায়না এইটাই ঠিক ।তাদের বেতন বাড়ুক এইটা আমি চাই কিন্তু যারা বাকিরা সুবিধাভোগিরা এইগুলার বিষয়ে আসলে একটু নজর দেওয়া উচিত । এদের ক্ষমতা আসলে একটু বেশী দিয়ে দিছে সংবিধান । /:) /:) /:)

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

নিলু বলেছেন: ইহা বুজতেই হবে নতুবা আপনি রাজনীতি করবেন না এবং ইহার নামই রাজনীতি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.