নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিক আহসান

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি,কিন্তু পরিশ্রম করতে চাই না...

অনিক আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাতের বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল এবং জামাত শিবির নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সমস্যা ও সম্ভাবনা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫০

বিগত কিছুদিন ধরেই জামাত শিবির কর্মীরা জঙ্গী স্ট্যাইলে পুলিশের উপরে হামলা করে আসছে। পুলিশও যথেস্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে পাল্টা গুলিছোড়া থেকে বিরত আছে।তবে জামাতের বুদ্ধিমত্তা আন্ডার এস্টিমেট করার সুযোগ নাই। যতদিন যাবে এবং যত রায় বের হবে ততই পুলিশের উপরে হামলা বাড়বে ধরে নেয়া যায়।



জামাতের এ মুহুর্তের পরিকল্পনা স্পস্টতই পরিস্কার। জামাত আন্তর্জাতিক মিডিয়া, মার্কিন যুক্তরাস্ট্র,ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলির সামনে নিহত দলীয় নেতা কর্মীর লাশ উপস্থাপন করে ফায়দা নিতে চাচ্ছে। বিচারকার্য চলাকালিন সময়ে বাইরে আন্দোলনরত জামাত সদস্যরা গুলিতে মারা গেছে এমনটা দেখানোই জামাতের উদ্দেশ্য। সরকার এখনো জামাতের ফাঁদে পা দেয় নাই সেইটা সবচেয়ে বড় খবর।



ব্লগে, ফেসবুকে,ঘরোয়া আড্ডায়, জনসভায় টক শোতে আমি আপনি অনেক সময় জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী তুলি। আসুন দেখার চেস্টা করি এর সমস্যা ও সম্ভাবনা কতটা প্রাপ্তির সম্ভবনা ও ক্ষয়ের আশংকা কেমন। বিষয়টা বাংলাদেশ সরকার বা বাংলাদেশ রাস্ট্রের জন্য তুলনামুলক কতটা সহজ বা কতটা জটিল সিদ্ধান্ত তা নির্মোহ ভাবে অনুধাবনের চেস্টা করি।



জামাত শিবির নিষিদ্ধ করা না করাঃ

সংগঠন হিসাবে জামাতে এ ইসলামি প্রকাশ্যে বেশি বিপদজ্বনক নাকি আন্ডার গ্রাউন্ডে বেশি বিপদজ্বনক? এ নিয়ে বিতর্ক আছে। বিতর্ক আছে প্রকাশ্যে জামাত শিবিরের রাজনীতি হ্যান্ডেল করা তুলনামুলক নিরাপদ নাকি এদের নিষিদ্ধ করে নিশ্চিন্ন করার ঝুকি নেয়াটা ভাল? অনেকেই বলেন (আমিও প্রশ্ন তুলি) ব্যাপক মেজরিটি থাকা সত্যেও সরকার ক্যানো জামাতকে নিষিদ্ধ করছে না? নাকি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক হাতিয়ার বিসাবে ব্যবহার হয় বলেই আওয়ামী লীগ জামাত নিষিদ্ধ করছে না। নাকি সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে?



এখন দেখি জামাত শিবির নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে কিছু পজেটিভ ও নেগেটিভ আফটার ম্যাথ।



পজেটিভ সিনারিওঃ




দৃশ্য ১। ১৯৭১ এ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অক্সিলারি ফোর্স হিসাবে জামাত ও ইসলামি ছাত্রসংঘ(শিবির) কাজ করছে বিধায় শ্রেফ নৈতিক কারনেই এই স্বাধীন দেশে এদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই।



দৃশ্য ২। নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে জামাত স্কুল, ক্যাডেট মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাসরি কর্মী রিক্রুট করার সুযোগ হারাবে।ফলে ছাগু উৎপাদনের প্রধান ফ্যাক্টরি সাময়িক ভাবে হলেও বন্ধ হবে। সমগ্র উপমহাদেশে ধর্ম ভিত্তিক মৌলবাদি রাজনীতি বিরাট ধাক্কা খাবে।



দৃশ্য ৩। প্রকাশ্যে সংগঠন চালানোর সুযোগ হারানোয় দলের পক্ষে চাঁদা আদায় করা ও সমর্থকদের চাঁদা দেয়া বেআইনী হওয়ায় তা একদম কমে আসবে।এরই মধ্যে বর্তমান অ্যাকশনের খরচ চালাতে নেতা কর্মী ও শুভানুধ্যায়ি মাসিক চাঁদার হার দেড়্গুন বাড়ানো হইছে।



দৃশ্য ৪। নিষিদ্ধ সংগঠন হিসাবে এর সমস্ত আর্থিক প্রতিস্টান সরকারের ফেবারে বায়েয়াপ্ত হবে।ফলে অর্থনৈতিক মেরুদন্ড সাময়িক ভাবে ভেঙ্গে যাওয়ায় আন্ডার গ্রাউন্ডে কাজ চালানো কঠিন হয়ে যাবে। নেতা কর্মীরা সাময়িক আর্থিক সমস্যার ফলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যাবে ফলে এদের ৯০ ভাগ কে সমুলে উৎপাটনের সম্ভবনা তৈরি হবে।





দৃশ্য ৫। নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হবে না। শিবির কিছু দিন ডাক চিৎকার দিলেও সরকার সহজেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে। কিছু কর্মী রাজনীতি বাদ দিয়ে সৌদি কুয়েত মালয়শিয়া এসব দেশে চলে যাবে। এক সময় সিনিয়র নেতাদের ফাঁসী বা জেল হয়ে যাওয়ার পর জামাতের বাদবাকি সক্রিয় কর্মীরা বিএনপিতে মার্য হয়ে যাবে। ফলে জামাত শিবির নামের সংগঠন এমনিতেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।



দৃশ্য ৬। বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থেই প্রথমবারের মত সেক্যুলার ডেমক্রেসী প্রতিস্টার পাওয়ার সম্ভবনা তুলনামুলক ভাবে অনেক বেশি সামনে চলে আসবে।



দৃশ্য ৭। শিবির কর্মীরা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে ও সেখান থেকে চোরাগোপ্তা হামলা ও বোমাবাজি শুরু করলে নিশ্চিত ভাবেই কিছু পাবলিক ক্যাজুয়েল্টি হবে এবং যার ফলে তাদের উপর দেশের সাধারন জনগন দ্রুত ক্ষেপে যাবে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এরা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে বিবেচিত হবে। সরকার তখন সেনাবাহিনী, র‍্যাব,বিজিবি নামায়ে কঠোর হাতে নির্বিচারে দমনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জামাত শিবির চ্যাপ্টারের ইতি ঘটাবে। এই সিনারিওতে বিদেশী কিছু বন্ধু রাস্ট্রের সমর্থন থাকবে ও আওয়ামী লীগের আরেক টার্ম নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত হবে।





নেগেটিভ সিনারিওঃ



দল হিসাবে জামাত শিবির নিষিদ্ধ করা আর এর কর্মীদের বাতাসে উবে যাওয়ার প্রত্যাশা করা এক জিনিস না। দল বিলুপ্ত হলেও এরা থেকে যাবে। ভোটার ৮ কোটি হলে এর ২% জামাত সে হিসাবেও ১৬ লক্ষ কর্মী সমর্থক।



ওহাবিজম এর মত বিপদজনক ও সক্রিয় আইডিওলজি আছে এমন লোকজনের ক্ষেত্রে ১৬ লক্ষ তুরী দিয়ে উড়ায় দেয়ার মত কোন সংখ্যা না।



এখন দেখি কি কি নেগেটিভ সিনারিও ঘটতে পারে।



দৃশ্য ১। গনবিস্ফোরন ঘটবে এবং বিএনপি ও জনগন সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসে অনাস্থা জানাবে। বিবিসি আল জাজিরা সহ বড় বড় গনমাধ্যম যুদ্ধাপরাধের বিচারকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আখ্যা দেয় শুরু করবে। বিদেশী চাপ আর ব্যাপক আন্দোলনের পরিনতিতে সরকারে পতন হবে।



দৃশ্য ২। জামাত শিবির কর্মীরা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে এবং জেএমবি অথবা নকশালের মত কৌশল গ্রহন করে সরকারী কর্মচারি,স্থাপনা,আওয়ামী লীগ পার্টি অফিস সহ জনসমাগম স্থলে চোরাগোপ্তা হামলা বোমাবাজি শুরু করবে । ব্যাপক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যার্থ হয়ে সরকার জরুরি অবস্থা জারি করলে এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী টেক ওভার করবে এবং সব ধরনের পলেটিক্স ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে দিবে।



দৃশ্য ৩। নিষিদ্ধ ঘোষিত বিলুপ্ত জামাতের বেশিরভাগ সক্রিয় কর্মী বিএনপিতে যোগ দেয়ার কারনে আক্ষরিক অর্থেই বিএনপি’র তার জাতীয়তাবাদী আদর্শ হারাবে ও পার্টি হিসাবে বিএনপির অস্তিত্ব হুমকীর মুখে পড়বে। বিএনপি’র মুল কর্মীদের তুলনায় জামাতের কর্মীরা ডেডিকেটেড হওয়ায় তারাই বিএনপি’র মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করবে। সক্রিয় মাঠকর্মী ও ফান্ডের জোরে বিএনপি’র স্ট্যান্ডিং কমিটি সহ বেশির ভাগ কৌশলগত গুরুত্বপুর্ন পজিশনে প্রাক্তন জামাত নেতারা ঢুকে যাবে। বিএনপির ভিতরে যারাই এর বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের সরিয়ে দেয়া হবে। ফলে জামাতের নিজেস্ব গোপন এজেন্ডার পিছনে যোগ হবে বিএনপির বিশাল ভোটের জোর।



দৃশ্য ৪। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হলে ৩/৬ মাস ছোটখাট আন্দোলন করে এরপর জামাত কর্মীরা ধীরে ধীরে দুইটা বড় রাজনৈতিক দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা কর্মীদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ৭০ ভাগ বিএনপিতে আর ৩০ ভাগ আওয়ামী লীগে যোগ দিবে।২০১৯ সালকে টার্গেট করে পরবর্তি কয়েক বছর ঐ সব দলের ভিতরে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে নিজেদের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে আরো সমর্থক যোগার করবে এবং অবস্থান শক্ত করে সুবিধাজনক সময়ে দুইটা দল ভেঙ্গে নতুন একটা নামে আত্মপ্রকাশ করবে ও সত্যিকার অর্থেই প্রথমবারের মত একক ভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়ে যেতে পারে।



দৃশ্য ৫। জামাত শিবির আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যাবে ও আওয়ামী লিগ নেতা কর্মীদের টার্গেট করে চোরাগোপ্তা হামলা করবে এমন কি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতার উপরে প্রাননাশের হামলা হবে এবং প্রকাশ্যে জামাতের কোন অস্তিত্ব না থাকায় সব দোষ বিএনপির উপরে পড়বে। ফলে দেশে লম্বা সময়ের জন্য অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করবে ও সাধারন নির্বাচন অনিদৃস্ট কালের জন্য স্থগিত হবে। এই সুযোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি উতপ্ত হওয়া সহ তেল গ্যাসের ব্লক বিদেশী কোম্পানীর কাছে হাতছাড়া হয়ে বাংলাদেশ স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখিন হবে। অথবা জরুরী অবস্থা জারি করে নাম মাত্র নির্বাচন অনুস্টিত হবে কিংবা দেশে যুদ্ধাবস্থার দোহাই দিয়ে রাস্ট্রপতি সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে সদ্য মেয়াদউত্তীর্ন পার্লামেন্টকে রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব চালায় যেতে বলবে।





দৃশ্য ৬। জামাত শিবির নীরবেই আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকবে। সরকার বদল হলে নতুন নাম নিয়ে রাজনীতি শুরু করবে। যুদ্ধাপরাধ ও কোলাবরেটর খাতা থেকে আনুস্টানিক ভাবে জামাতের দায়মুক্তি ঘটবে।



দৃশ্য ৭। কঠোর ভাবে প্রতিপক্ষ দমন করে ২০১৩ সালের শেষের দিকে দলীয় সরকারের অধীনে হওয়া একদলীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করবে ও দুই বছরের মাথায় আবার নির্বাচন দিবে। তখন আন্তর্জাতিক চাপ ও কৌশলগত কারনে তারা সুবিধাজনক সময়ে জামাতের রাজনীতির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠায়ে নিয়ে জামাতকে আবার রাজনীতি করার সুযোগ দিবে।ততদিনে কিছু সিনিয়ার লিডারের ফাঁসি ,জেল অথবা বাধ্যতামুলক রাজনৈতিক অবসর হবে ও বাকিদের সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করে এর বিনিময়ে ভোটের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ জামাতের সমর্থন নিশ্চিত করবে।





(কারো আর কোন সম্ভাবনার কথা পজেটিভ ও নেগেটিভ দু রকমই মাথায় আসলে লিখুন যোগ করে দেয়ার চেস্টা করবো।)

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৯

টয় বয় বলেছেন: জামাতের সাপোর্ট বা জোট করা ছাড়াও বিএনপি ফোয়ার ইলেকশনে ৯১ সালে ক্ষমতায় এসেছে| সুতরাং জামাত থাকলে বা ব্যান করলে বিএনপির কোন লাভ লোসকান নাই|


আর জামাত নিষিদ্ব হইলে আম্লীগের লোকশান ১০০ ভাগ|


জামাত আর যুদ্বাপরাধী না থাকলে আম্লীগ রাজনিতী করবো কি লইয়া?? শেয়ার বাজার লুট-পাট, সোনালী ব্যাংক লুট-পাট, কুইক রেন্টাল লুট-পাট আর পদ্মা সেতু গায়েব করে দেওয়ার মত জাতীয় ইস্যুকে আম্লীগ এখন দিগম্বর|

জামাতি চাদ্দর দিয়া আম্লীগ তার পশ্চাত দেশ ঢাইকা রাখছে, আম্লীগ চাইবো না কেউ জামাতকে নিষিদ্ব কইরা হেচকা টানে সেই চাদ্দরটা খুইলা নিক|


৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৯

অনিক আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ টম বয় ।বিএনপি জামাত পরিত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়ার মত সাহস করুক। সাধারন জনগন তাদের পক্ষে রাজপথে নামবে।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৬

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: টয় বয়ের কথা ঠিকাছে কিন্তুও আছে ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৩

অনিক আহসান বলেছেন: আমি আইজকা এ বিষয়ে অবজারভার :D

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৯

তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: হুম..

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২১

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: জামাত শিবির নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে জনমত গড়ে তোলায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মূল ধারার গনমাধ্যমকেও অবশ্যই সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সম্মিলিত উদ্যোগ অবশ্যই নিতে হবে দেশের স্বার্থে। সাধারন মানুষের নিরাপত্তাও এরা হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

অনেক ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্লেষনধর্মী লেখা দেওয়ার জন্য।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৯

অনিক আহসান বলেছেন: আমি একটা বিষয়ে কনফার্ম যে দলমত নির্বিশেষে বেশির ভাগ মানুষ এই যুদ্ধাপরাধিদের বিচার ও দন্ড দেখতে চায়। সাধারন রাজনীতি সচেতন মানুষ ও ব্লগার আক্টিভিস্টরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ও সরকারের উপর এ বিষয়ে একই সাথে চাপ ও দলমত নির্বিশেষে সমর্থন দিলে এদের ফাঁসিতে খুবই সম্ভব একটা ব্যাপার। এবং একাধিক নেতার ফাঁসি কার্যকর হলেও বড় কোন প্রভাব এরা দেশে ফেলতে পারবে না বলেই আমি মনে করি। তবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তর ক্ষেত্রে আমি এখনো কনফিউজড। তাই এ বিষয়ে আমার ভুমিকা এখনো অবজারভারের।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৩

নান্দাইলের ইউনুস বলেছেন: জামাত শাঁখের করাত । দুই দিকেই কাটে। আগে গোলামকে ফাঁসি দেয়া হোক। তারপর চিন্তা।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৩

অনিক আহসান বলেছেন: বিচারের রায় কার্যকর করতেই হবে।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৯

এস্কিমো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একটা সুচিন্তিত লেখার জন্যে।

ফিজিবিলিটি স্টাডি করে সাধারনত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। আর যদি হয়ও তা রাজনৈতিক থাকে না। যেমন ১৯৯০ সালের ভোটারের হিসাব নিকাশ করে বিএনপি জামাতকে ধরে রেখেছে - আওয়ামীলীগ ধরে রেখেছে জাতীয়পার্টিকে। এরা সাহস পাচ্ছে না এর বাইরে যেতে - কারন তাদের কাছে বিগত নির্বাচনে জামাতকে নিয়েও বিএনপি ডুবেছে - আর জাতীয় পার্টিকে ছাড়াও আওয়ামীলীগ নির্বাচিত হতো। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট হলো নেতৃত্বের সংকট। দৈনন্দিন কাজ চালানোর মতো নেতা আছে - কিন্তু জাতিকে টেনে নেওয়ার মতো নেতৃত্ব নেই। শেখ হাসিনার সামনে পদ্ম সেতু একটা সুযোগ করে দিয়েছিলো - উনি উপদেষ্টার আর সুশীলদের পরামর্শে তা হারিয়েছেন।

যাই হোক, উপরের কথাগুলো বলার কারন হলো রাজনীতি এখন রাজনীতিকদের চেয়ে উপদেষ্টা নির্ভর হয়ে পড়েছে। এরা প্রচুর জ্ঞানী কিন্তু সাহসী না। এরা নানান লাভ লোকসানের হিসাবে বুঝাতে পারে - কিন্তু আউট অব বক্স চিন্তা করতে পারে পারে না।

জামাত নিষিদ্ধ করে এই সরকার জনমত তাদের পক্ষে নিয়ে আগামী নির্বাচনে সুবিধা পেতে পারে - কিন্তু তার জন্যে দরকার সংগঠক এবং নেতা। যারা জামাতের রাজনীতির অধিকারের নৈতিকতাকে জনগনের কাছে নিয়ে যেতে পারে।

আজ থেকে দশ বছর আগেও যুদ্ধাপরাধীর বিচার আর গোলাম আযমের জেলে যাওয়া নিয়ে কথা বললে মানুষ নানান হিসাব নিকাশের ফিরিস্তি দেখিয়ে দিতো - তার মধ্যে ছিলো সৌদি আরব থেকে প্রবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে - শিবির দেশকে তামা বানিয়ে ফেলবে। কিন্তু শুধুমাত্র নিরিহ পুলিশ ( যাদের অনেকেই শিবির কর্মী ছিলো) পিটানো ছাড়া এরা কিছুই করতে পারছে না। এইটাও শেষ হয়ে যাবে।

সরকারের হাতে এখনও সময় আছে - জামাতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত এখনই।

ধন্যবাদ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৫

অনিক আহসান বলেছেন: আমি কিছুটা জাতীয়তাবাদি ঘেষা এটা সম্ভবত জানেন, তবে এদের বিচার ও রায় কার্যকর কর করার ক্ষেত্রে এবং সে রায় কার্যকর হওয়া দেখার জন্য যে কোন সমর্থন দিতে প্রস্তুত। অনেক জাতিয়তাবাদী ব্লগারই এদের সর্বচ্চো শাস্তি দেখতে চায়।বেশির ভাগ বিএনপি শুভাকাংখির মত আমিও চাইনা বিএনপির মত দলকে জামাতের মত একটা সংগঠন গ্রাস করে ফেলুক। তাই সব বিষয়ে না হোক অন্তত কিছু বিষয়ে জাতীয় ঐক্য হতেই হবে। আর এই বিচার এমনই একটা বিষয় সেখানে জাতীয় ঐক্য সবার আগে দরকার।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪২

ম.র.নি বলেছেন: ৭১ এর চিহ্নিতদের সবার কাছে গ্রহনযোগ্য একটা বিচার করে যত দ্রুত এই কাহিনী শেষ করে সামনের দিকে এগিয়ে হাওয়াই হবে বিচক্ষনতা।আমার মনে হয় না জামাত কখনো এ দেশে ক্ষমতার মসনদে আসীন হতে পারবে।বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগন মুসলীম হলেও তারা চরম গোড়া না,তারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করবেই বলে আমার বিশ্বাস।শুধু জামাত কেন আওয়ামীওলামালীগ সহ অন্যান্যদের একটা কাঠামোতে সেট করে দিয়ে ছেড়ে দিলে কোন আশংকা থাকবে না বলে মনে করি।জামাত অলরেডি তাদের গঠনতন্ত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছে জা্স্ট টু এক্সিস্ট এ্যাজ এ্যা পলিটিকাল পার্টি।তারপরেও যদি জোর জবস্তি করা হয়,তাহলে সাধারন মানুষের সহানুভূতি পাবে তারা।'এক্স ফেক্টার' যা জানি না,তা হলো,তারা যদি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়ে বোমাবাজী সহ অন্যান্য এক্সট্রিম মেসার নেয়।সোমালিয়া,ইরাক, আফগানিস্থান, পাকিস্থানের পরে বাংলাদেশের নাম যুক্ত হবে।যা কখনই হতে দেয়া যাবে না।আমরা বাংলাদেশীরা শন্তীপ্রিয় মানুষ,ভারতের চেয়েও প্রচুরগুণে অসাম্প্রদায়িক।তাই বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে ব্যাক্তিগত হীনমণ্যতা ভুলে,হিংসার অবসান ঘটিয়ে সবাই মিলে বাংলাদেশ গড়াই হবে যৌক্তিক সিদ্বান্ত।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৪

অনিক আহসান বলেছেন: জামাতকে প্রকাশ্যে পঁচানো উচিত না আন্ডারগ্রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে সর্ব শক্তিতে দমন করা উচিত সেইটাই সিদ্ধান্ত নেয়া গুরুত্বপুর্ন। বাংলাদেশের মানুষ এক্সট্রিমিজম পছন্দ করে না এ কথা সত্য। কিন্তু বিএনপি'র মত বিশাল ফিক্সড ভোটার সমর্থকের দল সম্পুর্ন ভাবে জামাতের গ্রাসে চলে যাওয়াটাও অনেক বেশি বিপদের।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০

রিওমারে বলেছেন: টয় বয় বলেছেন: জামাতের সাপোর্ট বা জোট করা ছাড়াও বিএনপি ফোয়ার ইলেকশনে ৯১ সালে ক্ষমতায় এসেছে| সুতরাং জামাত থাকলে বা ব্যান করলে বিএনপির কোন লাভ লোসকান নাই|


আর জামাত নিষিদ্ব হইলে আম্লীগের লোকশান ১০০ ভাগ|


জামাত আর যুদ্বাপরাধী না থাকলে আম্লীগ রাজনিতী করবো কি লইয়া?? শেয়ার বাজার লুট-পাট, সোনালী ব্যাংক লুট-পাট, কুইক রেন্টাল লুট-পাট আর পদ্মা সেতু গায়েব করে দেওয়ার মত জাতীয় ইস্যুকে আম্লীগ এখন দিগম্বর|

জামাতি চাদ্দর দিয়া আম্লীগ তার পশ্চাত দেশ ঢাইকা রাখছে, আম্লীগ চাইবো না কেউ জামাতকে নিষিদ্ব কইরা হেচকা টানে সেই চাদ্দরটা খুইলা নিক| :P :P

আওয়ামীলিগ সুবিধা বাদী দল। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার এখন আওয়ামীলিগের কাছে কৈ মাছ গিলে খাওয়ার মত ব্যপার হইছে। এই বিচার না করতে পারলে আওয়ামীলিগের দুইটা সমস্যা ফেস করতে হবে। ১ আগামী নির্বাচনে ভরাডুবি ২ জামাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল প্রদর্শন । যা আওয়ামীলিগের রাজনিতিকে ২০ বছর পিছনে নিয়ে যাবে।।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২২

অনিক আহসান বলেছেন: এই বিচার জনগন সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষন করছে। তবে আওয়ামী লীগও এখন পর্যন্ত এক্ষেত্রে অনেকটা সফল। এর শেষ পরিনতি জনগনের পক্ষে যাবে এবং এ নিয়ে আওয়ামী লীগ খুব বেশি রাজনীতি করবে না সেই প্রত্যাশাই করি। আওয়ামী লীগ যদি দলীয় রাজনীতির উর্ধে উঠতে পারে তাহলে ব্যক্তি শেখ হাসিনার ইতিহাসের মহান অংশে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত। আর না পারলে বাংলাদেশের পাবলিক কখনো ভুল সিদ্ধান্ত দেয়া না। এক্ষেত্রেও দিবে না।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৮

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: দেখি কি হয় ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

অনিক আহসান বলেছেন: দেখি কি হয়। নজরদারি চলবেই।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩০

অনিক আহসান বলেছেন: মুল টপিকের দিকে আলোচনা নেয়ার অনুরোধ করছি।বিচারে ফাঁসি কিংবা জেল যে দন্ডই হোক জামাত শিবির নিষিদ্ধ করার সুযোগ,সম্ভাবনা ও সমস্যা কতটুক তা নিয়ে আলোচনার চালু রাখুন ।

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩২

ম.র.নি বলেছেন: আপনার নেগেটিভ সিনারিওর ৩নং দৃশ্যে বি এন পি'র সাথে জামাতের যে 'মার্জ' হওয়ার শন্কার কথা বলেছেন তাতে আমি বিণীতভাবে দ্বিমত পোষণ করি।জামাতীরা নিষিদ্ব হলে বি এন পি দখল করে ফেলবে এটা বোধহয় ঠিক না।ছোট খাটো পদ হয়ত পাবে কিন্তু কখনই 'স্টিয়ারিং হুইল' ওদের হাতে যাবে না বা বড় রকমের সিদ্বান্তও চাপিয়ে বা 'হিডেন এজেন্ডা' বাস্তবায়ন করতে পারবে না।অরা 'সাইডে বাইডে' শো পিস হয়েই থাকবে।নিজামী কৃষি মন্ত্রী থাকা কালীন ভাল পারফর্ম্যান্স শো করেছিল,তৎকালীন বি এন পি সরকারের অন্যান্য সাফল্য ছাড়িয়ে নিজামী একটু বেশী ক্রেডিট নেয়ার চেস্টায় ছিল।ম্যাডাম খালেদা জিয়া ইনাকে সরিয়ে শিল্প মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেন।এভাবেও ভবিষ্যতে অদের 'ট্টিট' করা হবে।আর উপরে একজন দেশের নেতৃ্ত্ব শূণ্যতার কথা বলেছেন।এ প্রসংগে বলি একদিকে দেশের সম্ভবনাময় তরুন নেতাদের জোর জবস্তি করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিবেন আবার বলবেন দেশের যোগ্য নেতা নেই।আসলে কি চান আপনারা?শেখ হাসিনা বহু বছর আগে বলেছিলেন নেতৃত্ব ছেড়ে দিবেন, কই? কি হলো?এখনতো ভিসন ২০২১ টার্গেট।এই হলো শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কপটতা।তাই উনাকে বলি তারেক জিয়া বর্তমানের সময়ে সবচেয়ে এলিজিবল পারসন টু লিড বাংলাদেশ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৮

অনিক আহসান বলেছেন: ভাই জামাত যদি ঠেকায় পড়ে কৌশলগত কারনে বিএনপিতে মার্য করে একটা জিনিস কনফার্ম থাকেন জিয়াউর রহমানের ফ্যামিলিকে সবার আগে এরাই আউট করার চেস্টা করবে। জামাতকে আন্ডার এস্টিমেট করার সুযোগ নাই। আরো স্পস্ট করে বলি বিএনপির ইনার সার্কেলে সাইদ ইস্কান্দার সবচেয়ে বেশি জামাত ঘেষা লোক ছিলেন।ব্যাচমেট ও আত্মীয় মাসুদউদ্দিন চৌধুরিরে দিয়ে ভাইগ্না তারেকের কোমর ভাঙ্গতে উনি দ্বিধা করেন নাই। আজকে বামপন্থীদের যেমন আওয়ামী লীগে বাড়বারন্ত এর চেয়েও বেশি প্রভাব ভবিষ্যতে বিএনপিতে জামাতিদের হবে যদি না বিএনপি এখনি সতর্ক হয়।

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

মিতক্ষরা বলেছেন: জামাত শিবির তান্ডব করছে কেন বুঝতে পারছিনা। তারা সরকারের সাথে কোনভাবেই পেরে উঠবে না। অধিকিন্তু তাতে নিষিদ্ধ হবার আশংকা রয়েছে পুরোপুরি। এসব জেনেও কেন তান্ডব করছে? সম্ভবত ধরেই নিয়েছে নিষিদ্ধ হওয়াটা তাদের জন্য কোন বাড়তি যন্ত্রনা নয়। জামাত শিবির এভাবে নাশকতা করতে থাকলে একসময় জনমত তাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে এবং সরকারের পক্ষে নিষিদ্ধ করা সহজ হবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

অনিক আহসান বলেছেন: নিষিদ্ধ হতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে জামাতের একাধিক প্ল্যান আছে বলেই মনে হয়।

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইটা রাইখা গেলাম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

অনিক আহসান বলেছেন: হুদামুদা ইটা রাইখা গেলে খেলমু না। আপনার মতামত কইয়্যা যাইতে হইবো। :((

১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৯

নষ্ট ছেলে বলেছেন: পোস্টে++++

বিএনপি'র উপর অনেকটা নির্ভর করছে। জামাত যদি বিএনপিকে বুঝাতে পারে যে, বিএনপিকে পঙ্গু করে দেওয়ার প্রথম ধাপ হিসাবে আওয়ামী লীগ জামাতকে নিষিদ্ধ করতে চায় তাহলে ব্যাপারটা এত সহজ হবে না।

জামাতকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোন প্লান আছে কিনা জানি না। তবে সেটা যে সম্পূর্ন শেখ হাসিনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে সেটা নিশ্চিত।
আওয়ামী লীগ জামাতকে নিষিদ্ধ করলে জামাত কিভাবে ডিফেন্ড করবে সেটা নিয়ে তারা সম্ভবত আগে থেকে প্লান করতেছে।


এই পোস্টে জামাতীদের কিছু বক্তব্য থাকলে ভাল হত। নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটিকে তারা কিভাবে দেখছে?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২১

অনিক আহসান বলেছেন: জামাতিরা বক্তব্য দিতে পারে সমস্যা নাই।

জাতীয়তাবাদ কি, জাতীয়তাবাদের রাজনীতি কি বস্তু এসবই বিএনপি কি আসলেই ভুলে গেছে? মনে হয়। একটা জিনিস আজকেও প্রচন্ড খারাপ লাগলো যে কালকের জামাতের হরতালে বিএনপি আবার নৈতিক সমর্থন দিছে। আচ্ছা বিএনপিতে সিনিয়ার লিডার পর্যায়ে কি একজনও নাই যে জানে নৈতিকতা কি?

এই বিএনপি আমাদের না। জামাত প্রশ্নে বিএনপির আচরনে অসংখ্য জাতীয়তাবাদি চরম হতাশ ক্ষুব্ধ। খালেদা জিয়া নতুন প্রজন্মের পালস অনুভব করতে পারছেন না কারন তার কাছে নতুন প্রজন্মের একমাত্র প্রতিনিধী আন্দালিব পার্থর মত নেতা যার সাথে সাধারন পরিবারের তরুন যুবকদের কোন সংস্রব নাই।আসলে এখন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিশ্বাসীদের জন্য একটা রাজাকার মুক্ত নতুন প্ল্যাটফর্ম অত্যন্ত জরুরি হয়ে পরেছে।

১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩২

মামুন হতভাগা বলেছেন: দেখি কি হয় সামনের দিন গুলাতে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৫

অনিক আহসান বলেছেন: ওয়েট এন্ড সী কিন্তু একটা টাফ ট্যাক্টিক্যাল কৌশল। যা নেগেটিভ ফলও আনতে পারে।

১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: জামার নিষিদ্ধ করার আগে তাদের আর্থিক প্রতিষ্টান নিষিদ্ধ, আর কিছু বড় বড় নেতারে সাইজ করা দরকার , তাহলে আর পরবর্তীতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না ।

আর ভোটের হিসাব যাই বলুক , এটা মানতেই হবে বি এন পির এখনো অনেক জনসমর্থন আছে , এবং তাদের শক্তিমত্তাও কম না , তারা যাদেরকে সাপোর্ট দিবে , তাদের নিষিদ্ধ করার আগে অনেক হিসাব নিকাশের দরকার আছে ।

তবে আমি যেটা সবথেকে বেশী ভয় পাই , সেটা হচ্ছে চার নম্বর দৃশ্যকে , টাকার কাছে লীগ বিএনপি সব সমান । নিষিদ্ধ জামাতের থেকে , ছদ্মবেশী পরগাছা জামাত আরও বেশী ভয়ংকর হবে ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১০

অনিক আহসান বলেছেন: জামাত রাজনীতির দুরদর্শিতার দিক থেকে বিএনপির চেয়ে অনেক ম্যাচিওর্ড। এরা এতো কিছুর পরেও ৪২ বছর ধরে তেলাপোকার মত টিকে আছে। এদের লক্ষ কিন্তু ২০১৯ সাল ও পরবর্তি সময়। প্রায় কাছাকাছি স্টাইলেই কিন্তু তুরস্কের ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় আসছে।

১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৬

রিফাত হাসান০২২৮ বলেছেন: 'রাজনীতিতে শেষকথা বলে কিছু নেই', তাই বলে যুদ্ধাপরাধীদেরকে আঁচলতলে ঠাঁই দেয়াই কি তবে রাজনীতির 'শেষকথা'? শেষকথার আরও কিছু বাকি আছে? আওয়ামি লিগ এবং দেশের সাধারণ মানুষ বরাবরই জামায়াতকে কোণঠাসা করে রেখেছে, নিজস্ব জঙ্গিবাহিনী ছাড়া জামায়াতের পেছনে জনসমর্থন নেই, তাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন কেবল বিএনপি! চিন্তা করে দেখুন তো -- আওয়ামি লিগ ও বিএনপি মিলে একসাথে ধাওয়া করলে জামায়াত পালাবার জায়গা পেত কি না, দুঃসাহস পেত কি না বিজয়ের মাসে হরতাল ডাকার? স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে আঁচলতলে রাখাটাই কি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার নমুনা? 'দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও' স্লোগানের ক্যামোফ্লেজে 'জামায়াত বাঁচাও, রাজাকার বাঁচাও' নীতিই কি খালেদা জিয়ার আপসহীনতার নজির?

এইমাএ নিউজের হেডলাইনে দেখলাম কালকের হরতালে (জামাত-শিবিরের ডাকা হরতাল) বিএনপির নৈতিক সমর্থন X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X((

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আপনাকে বলছি "জামায়াতের সঙ্গ ছাড়লে আপনার ভোট কমবে না, বরং বাড়বে; এবং বিএনপি ও আপনি মুক্তি পাবেন জামায়াত নামক একটি ঐতিহাসিক অভিশাপ থেকে! "

জন্ম সেনানিবাসেই হোক, আর যেখানেই হোক, দল হিশেবে বিএনপি একটি মহীরূহ। সেই মহীরূহ দলটিকে জামায়াতের সাথে মিশিয়ে আপনি কি একটি ঐতিহাসিক ভুল করলেন না? জামায়াত বিএনপি-নির্ভর, নাকি বিএনপিই এখন জামায়াত-নির্ভর? জামায়াতের গর্ভাশয়ে বিএনপির ঢুকে যাওয়া প্রসঙ্গে আপনারই প্রিয়পাত্র আরেক শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছিল, "লেজে কুত্তা নাড়ায়? নাকি কুত্তায় লেজ নাড়ায়?" এহেন মন্তব্যের জেরে আপনি তাকে দল থেকে বহিষ্কৃতও করেছিলেন! আপনার জেনে রাখা দরকার, অনলাইনজগতের অধিকাংশ তরুণ আপনাকে 'বিএনপির চেয়ারপার্সন' নয়, বরং 'বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামির বিএনপি শাখার মহিলা আমির' বলে সম্বোধন করে! আপনি হয়তো নিজেই জানেন না যে, বিএনপি অবচেতনভাবেই বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামির একটি 'শাখা' হয়ে গেছে এবং আপনি হয়ে গেছেন সেই শাখার 'মহিলা আমির'! এর চেয়ে আর কত অধঃপতন ঘটলে তবে আপনার হুঁশ হবে? আপনারই দলের ছাত্রসংগঠন 'ছাত্রদল' বহু আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে যে, ছাত্রদল ছাত্রশিবিরের সাথে কোনো জোটবদ্ধ আন্দোলনে যাবে না। ছাত্ররা জামায়াত-শিবিরকে চিনল এবং বর্জন করল, অথচ আপনি জামায়াতকে চিনলেন না! বিএনপিরই অনেক নেতা আছেন, যারা জামায়াতের সাথে বিএনপির জোটবাঁধার প্রসঙ্গ এলে লজ্জায় মাথা হেঁট করে রাখেন; তাদের হেঁট-হওয়া লজ্জিত মাথা কি আপনার দৃষ্টি পর্যন্ত পৌঁছে না? জামায়াতের সাথে বিএনপির জোটের ব্যাপারে তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপিনেতাদের আপত্তি কি আপনার কান পর্যন্ত পৌঁছে না? আপনাকে দৃষ্টিহীন করে রেখেছে কে? আপনাকে বধির করে রেখেছে কে? আপনাকে কে বানিয়ে রেখেছে জামায়াতপ্রতিবন্ধী?


৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

অনিক আহসান বলেছেন: গত দশ বছর ধরে বাংলাদেশের পলেটিশিয়ানরা জনগনের উপরে নির্ভর করার বদলে নির্লজ্জ ভাবে বিদেশি অক্ষ আর টাকার জোরের উপরে ভরসা করে। তাদের কাছে পাবলিক কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার প্রক্রিয়ায় ভোট কাস্ট করার জৈবিক মেশিন। তাই জনমত তোয়াক্কা না করে একের পর এক গোয়ার্তুমি সিদ্ধান্ত এরা আমাদের উপরে চাপায় দিচ্ছে।
জামাত সাথে না রাখলে মধ্যপ্রাচ্য অসন্তুস্ট হবে এইটা উনি ভাল বুঝেন ও এতে তার আসেযায়ও, অথচ জামাত সাথে রাখলে দেশের বেশির ভাগ জাতীয়তাবাদি তারে পরিত্যাগ করবে এতে তার ভ্রুক্ষেপ নাই ও তার কিছু আসেযায় না। একবার শুধু জনগনের উপরে ভরসা করে দেখতেন জামাত ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া যায় কিনা। খালেদা জিয়ার এটুকু বুঝার মত রাজনৈতিক জ্ঞান এতোদিনে অর্জন করা উচিত। না বুঝলে সে অবসরে যাক,বাড়ি গাড়ি, বেতন ভাতা নিক তবুও অন্তত জামাতকে বিএনপির কাধে চড়া অবস্থায় তো দেখা লাগবে না।

১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪০

মিতক্ষরা বলেছেন: "এই বিএনপি আমাদের না। জামাত প্রশ্নে বিএনপির আচরনে অসংখ্য জাতীয়তাবাদি চরম হতাশ ক্ষুব্ধ। "

বিএনপির ভোট ব্যাংক থাকলেও ক্যাডার ব্যাংক নেই। বাংলাদেশে পেশী শক্তি ব্যতিরেকে ক্ষমতায় যাওয়া দুষ্কর। সেই জন্যই বোধ করি বিএনপি জামাতকে ছাড়ছে না। সামনে সরকার নির্বাচনে গড়িমসি করলে তখনকার কথা চিন্তা করে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৩

অনিক আহসান বলেছেন: হ্যা বিএনপির নিজেস্ব পেশি শক্তি কম। সমর্থক তুলনামুলক ভাবে বেশি। এর কিছু কারনও আছে। জিয়া জীবিত থাকা অবস্থায় দলের নেতাদের রাজনীতির উপরে ক্লাশ নিতেন ও লিখিত পরীক্ষাও নিতে। শাহ মোয়াজ্জেম এর মত সিনিয়ার নেতারও ক্লাশ ও পরীক্ষায় বসতে হইছে। আর এখন ছাত্রদলে অছাত্র ,রাজনৈতিক জ্ঞানহীন বহিরাগত মাস্তান,আর বুড়া আদু ভাইয়ের দল ভর্তি না করলে এতো খারাপ অবস্থা হতো না। নাইলে এক্সময় এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলই ছিলো সবচেয়ে টাফ আর কমিটেড কর্মী সমৃদ্ধ দল।

১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: দেখা যাক কি হয় :(

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

অনিক আহসান বলেছেন: দেখা যাক। তবে রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে যদি সরকার হিসাবে ভুল করে তো পাবলিক কিন্তু ভুল করবো না। বুইঝ্যেন :P

২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮

বিপদেআছি বলেছেন: পাবলিকের কাছে জামাতের কোন মুল্য নাই, এর মাথাগুলাকে(নিজামী, মুজাহিদ, গোআযম etc) প্রকাশ্যে ফাঁসি দিলেই জামাত আর নাম নিশানা থাকবেনা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

অনিক আহসান বলেছেন: ইনজেনারেল ভাগে বেশিরভাগ জনগনের কাছে মুল্য নাই। ফাঁসি হলেও খুব বেশি সমস্যা হবে না। অন্তত বিএনপি মাঠে না নামা পর্যন্ত । তবে আন্ডারগ্রাউন্ডে গেলে সাধারন মানুষের কিছুটা কঠিন সময় পার করতে হতে পারে।

২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩২

রাজকুট বলেছেন: জামাত শিবির নিষিদ্ধ করার আগে দমন করতে হবে ।

এই লেখাটি দেখতে পারেন

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

অনিক আহসান বলেছেন: লিংক কাজ করে না। আবার দেন

২২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

অক্টোপাস পল বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। কিছু চিন্তার বিষয় আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। আসলেই সমীকরণটা এত সহজ নয়। দেখি!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০

অনিক আহসান বলেছেন: সমীকরন অনেক ক্ষেত্রেই ক্রিটিক্যালতো বটেই।

২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: সেটা রণাঙ্গনের যোদ্ধা তৎকালীন রেম্বো,শোয়েজনাগারের দল বিন্পি ক্ষমতায় আসলে কার্যকর করবে /:) মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিতো B-))

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪০

অনিক আহসান বলেছেন: বিএনপি'র মত একটা জনসমর্থন ওয়ালা দলের একথা শুনতে হয় তার কাজের জন্যই। তবে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দলের প্রতি এমন সন্দেহ বাংলাদেশের রাজনীতির জন্যও দুঃখজনক হতাশার লজ্জার এইকথা স্বীকার করি।

আচ্ছা আজকে একটা ইন্টারেস্টিং কথা শুনলাম রুলিং পার্টির গুরুত্বপুর্ন নেতা হানিফ সাহেবের মুখে, "জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করলে অনেক ‘প্রতিবন্ধকতা’ সৃষ্টি হবে" । এখন আমার কোয়েশ্চেন হইলো পার্লামেন্টে মহাজোটের ২৬৮ সিট তাইলে কি মিন করে? মহাজোটের কেউ জামাত নিষিদ্ধ করার বিরোধি ?নাকি মহাজোটের সিট ২৬৮ শুধুই ভার্চ্যুয়ালি সমর্থন আসলে অনেক কম? :P

২৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: কম বুঝি, তাই কম বলে বেশী শুনতে চাচ্ছি।

শুধু বলি-
রিফাত হাসান০২২৮ বলেছেন: 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আপনাকে বলছি "জামায়াতের সঙ্গ ছাড়লে আপনার ভোট কমবে না, বরং বাড়বে; এবং বিএনপি ও আপনি মুক্তি পাবেন জামায়াত নামক একটি ঐতিহাসিক অভিশাপ থেকে! "

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১

অনিক আহসান বলেছেন: পুরাই একমত।

২৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১

রাজকুট বলেছেন: লিংকে কি জানি সমস্যা ।

লেখাটাই তুলে দিলাম


জামাত শিবিরকে কেন দমন করা যাচ্ছে না ? আবেগ, গালিগালাজ পরিহার করে আসুন এর কারণ অনুসন্ধান করি ।।



কখনও কি ভেবেছেন জামায়াতে ইসলামী এবং ছাএশিবিরের প্রথম সারির নেতাসহ হাজার হাজার নেতা কর্মি জেলে । প্রতিদিনই পুলিশ আটক করছে শতাধিক নেতা কর্মিকে । কিন্তু তারপরও তাদের আন্দোলন দমন করা যায় নি ।

কেন সবকিছু করা হলেও জামাত শিবিরকে দমন করা যাচ্ছে না তা আসুন খতিয়ে দেখি ।

১ । জামায়াত – শিবিরের কথা বাদ । বিএনপিসহ বিরোধী দলের প্রতি সরকারের কঠোর আচরণ জনগণকে বিচলিত করে তুলেছে । ফখরুলসহ বিএনপির অনেক নেতা কর্মি বন্দী । সরকার এগিয়ে যাচ্ছে একদলীয় নির্বাচনের দিকে । জনগণ এসব ভালভাবে নিচ্ছে না ।

২ । সাংগঠনিকভাবে জামায়াত-শিবির অনেক সুসংগঠিত । কে গ্রেফতার হলে কে নেতৃত্ব দেবে সবই নির্ধারিত । তাদের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙ্গে দেবার জন্য কোন উদ্যোগ নেই ।শুধু গলাবাজি করে লাভ নেই ।

৩। জামায়াত-শিবিরের আর্থিক উৎসগুলো বন্ধ করা হয় নি ।

৪। দমন পীড়নে পুলিশের ইমেজ বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না । তাই পুলিশকে কে মারল কাটল তাতে জনগণের কমই মাথাব্যথা আছে ।

৫ । দুর্নীতি , ছাএলীগের সন্ত্রাস, তেলের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে মানুষ ক্ষুদ্ধ ।
তাই সরকার যখন বলছে জামাত শিবিরকে মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে , মানুষ খুব একটা সাড়া দিচ্ছে না । মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইলেও সরকারের ইমেজ তলানীতে । পুলিশ হয়ত বলছে আমাকে মারছে, আপনারা একটু দেখুন । কিন্তু যার কাছে সাহায্য চাইছে তিনি হয়ত একজন বিশ্বজিৎ অথবা আব্দুল কাদের

সরকার যদি অন্যান্য দিকে তার ইমেজ বাড়াতে পারে , তাহলে ছাএলীগ-যুবলীগ দরকার নেই , সাধারণ মানুষই নামবে জামায়াত-শিবিরকে মোকাবেলায় । আবুলকে আসামি করুন , ডেসটিনির সকল সম্পদ জব্দ করুন , শেয়ার কেলেংকারীদের বিচারের মুখোমুখি করুন দেখুন জনসমর্থন বাড়ে কিনা । মানুষই নামবে মাঠে , সেদিন জামাত-শিবির পালাবার পথ পাবে না ।



৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

অনিক আহসান বলেছেন: আওয়ামী লীগ শুধু তত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে দেন তারপর দেখি বিএনপি কোন ইস্যুতে মাঠে নামে। আর কিভাবে জামাতের হরতালে সমর্থন দেয়ার মত নোংরামি করে।

২৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০২

রাজকুট বলেছেন: Click This Link target='_blank' >এই হল লিংক

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

অনিক আহসান বলেছেন: :)

২৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: পজিটিভ সিনারিওর ১,২,৩,৪,৫,৭ এর ব্যাপারে একমত ।

আর নেগেটিভ সিনারিওর ২,৩,৪,৫,৬ এর ব্যপারে একমত।

কমেন্টগুলি ফলো করছি, পরে বিস্তারিত কমেন্ট করব বলে আশা রাখি।

জামাত কিভাবে বিএনপিকে গিলে খাবার জন্য প্রস্তুত তা আমি আমার এই পোস্টে বলেছিলাম
Click This Link

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

অনিক আহসান বলেছেন: নেগেটিভ ৩ এর ব্যাপারে আমি বেশি শংকিত। এইটা একটা মেজর থ্রেট।

২৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪২

নাজমুল৪৩৩ বলেছেন: পোস্ট এ প্লাস, রিফাত হাসান ভাই ভাল বলেছেন।

আমি মনে করি, জামাত-শিবির কে নিষিদ্ধ করার পজেটিভ অথবা নেগেটিভ চিন্তা ভাবনার চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে আদর্শ, সততা ও ন্যায় এর কথা। জামাত-শিবির, ছাগু বাদে সর্বজন স্বীকৃত যে জামাত-শিবির জাতীয় কিছু না থাকলেই ভালো। আজ বাস্তবতা জনগন ও দেশের রাজনীতিবিদদের ন্যায় ও সাহসিকতার মঞ্চে সত্যিই দাড় করিয়ে দিয়েছে। ঠিক এই মুহূর্তেই যদি আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতারা নিজ স্বার্থ ভুলে জাতীয় স্বার্থ এ জামাত-শিবির কে সর্বত উপায়ে কঠোর হস্তে দমন না করতে পারে তাহলে উভয়দল কেই অস্তিত্বহীনতার প্রশ্নে পড়তে পারে। আমরা আম জনতা ও রাজনীতিবিদ রা যদি সময়োচিত ন্য্যসঙ্গত, কঠোর ও সাহসী পদক্কখেপ না নিতে পারি তাহলে অতীত ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে দায় থেকে যাবে। আর আমাদের জীবন তো ঝুকিতে পড়েই আছে।

যা ন্যয় সঙ্গত, তা-ই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত, তাতে ঝুকি থাকলে থাকবে। বিশাল সমর্থন নিয়ে আসা সরকার যদি এই ঝুকি না নিতে পারে তাহলে পারবে কে????????? আর যদি ন্যয় সঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে ভয় ই পায় তাহলে বর্তমান রাজনীতিবিদ দের গোটা রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বৃথা। কারন তখন প্রমান হয়, তারা পুরো রাজনৈতিক জীবনে সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়া শীখতে পারেন নি। এখন প্রশ্ন হল, এই সাহসের ভরসা কি??????? আওয়ামীলিগ বাম ঘেঁষা হোক আর যাই হোক তারা অন্তত ঈশ্বরে বিশ্বাসী। আর যিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী, তার যদি সত্যি কোন ভরসা নাই থাকে তাহলে স্বয়ং আল্লাহই তার ভরসা।

১৬ লক্ষ জামাত- শিবির এর ব্রেন ওয়াশ কর্মীরা যদি শুধু আল্লাহ কে ভরসা মেনে প্রশাসনে হামলার মত নিকৃষ্ট,ভয়াবহ ও সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারে তাহলে সরকার কেন পারবে না ১৬ কোটি মানুষের আস্থা পেয়ে, আল্লাহ এর ভরসায় একটি অতি চমৎকার ও সাহসী

সিদ্ধান্ত """ জামাত-শিবির এর রাজনীতি নিষীদ্ধ করতে??????????"""

আর বি.এন.পি এর উদ্দেশে্য ঃ যারা খালেদাকে যুদ্ধের সময় আর্মি ক্যম্পে নিয়ে সাহায্য করেছিল তাদের পক্ষে থাকবেন নাকি, যারা খালেদাকে সম্মান দিয়ে দেশে নিয়ে এসিছেলেন তাদের পক্ষে থাকবেন?? প্রশ্ন রইল।খালেদা জিয়ার কাছে অনুরোধঃ যা সিদ্ধান্ত নেবার দ্রুত নিন, নইলে পরে ""ছেড়ে দে কাইন্দা বাচি কইলেও রেহাই পাবেন না"""

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২

অনিক আহসান বলেছেন: সু চিন্তিত কমেন্ট করছেন ও মন্তব্যের পিছনে কয়েকটা শক্ত পয়েন্ট তুলে ধরছেন। অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৫

নস্টালজিক বলেছেন: বি এন পি সাইডলাইন-এ। দেখে শুনে মনে হচ্ছে জামাত এসে গেছে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে। তবে বি এন পি আরো পিছিয়ে গেলেও ভোটের রাজনীতি ভিন্ন কথা বলবে।

ফেয়ার ইলেকশন হলে দেশে এই প্রথমবারের মত কোয়ালিশন সরকার হবে। লীগ এর ভোট কমবে বিএন পি -র বাড়বে অটোমেটিক।

এখন প্রশ্ন হলো ফেয়ার ইলেকশন!!

১১ মাস বাকি আছে! আমাদের দৃষ্টি সীমার বাইরে এমন কিছু দর কষাকষি হচ্ছে বা হবে, যা হয়তো রুপকথাকেও ছাড়িয়ে যাবে! এ সবই ভাবনাতে আমার!

জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ?

বুঝতে পারছি না!( !!)

বি এন পি যেমন ৯০ এর পর প্রথম ক্ষমতা পেয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সেই ত্যাগ আর সাহসের উজ্জ্বল ইমেজ বিল্ড আপের সুবর্ণ সুযোগ হারাইসিলো লোভ আর রাজনৈতিক অদূরদর্শিতায়, এবার লীগ হারালো লোভ আর উন্নাসিক আচরনে।

বি এন পি-র রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর আসবে না! আসলে এবার তারা রাজাকারদের পক্ষ ত্যাগ করতো কৌশলে!

আর,লীগের সবকিছুতে রাজনীতি খুব অসহ্য ঠেকে মাঝে মাঝে!

রাজাকারদের বিচার হোক! ক্রেডিট কে নিবে বা কে নিচ্ছে ভাবছিনা! বিচারটা চাই শুধু চূড়ান্ত বিভক্তির আগেই!

পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ভালো ঠেকছে না! আমার ধারণা, এই প্রথমবারের মত লীগের থিক ট্যাঙ্ক এর কপালে ভাজ পড়সে!

দেখা যাক!



আর একবার ঘুড়ে গিয়ে আপনার পয়েন্ট ধরে কথা বলার আগ্রহ থাকলো!

সুন্দর একটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, অনিক!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

অনিক আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ নস্টালজিক।ততাবধায়ক ইস্যুতে নেগোসিয়েশন কতদুর সফল হয় নিশ্চিত না।আর বিএনপি'র পক্ষে এক্টাই যুক্তি দেখি।তা হলো তারা সম্ভবত চাচ্ছে জামাত শিবিরের সাথে সরকারের ক্ল্যাশে আওয়ামী লীগের শক্তি ও গ্রহনযোগ্যতা আরেকটু ক্ষয় হোক।সময় মত পাল্টা "জামাত কার্ড" বিএনপিও খেলার মত বিবেচনাবোধ হয়তো শেষ পর্যন্ত রাখবে। তবে বিএনপির কাছে অমন প্রজ্ঞা আশা করাটাও সম্ভবত মস্তবড় দুরশা।দেখা যাক। দিনের শেষে রাজাকারদের বিচার ও দন্ড কার্যকর হতে হবে সেইটা বড় কথা ও গুরুত্বপুর্ন চ্যালেঞ্জ।

৩০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৮

টয় বয় বলেছেন:
নাজমুল৪৩৩ বলেছেন:


আর বি.এন.পি এর উদ্দেশে্য ঃ যারা খালেদাকে যুদ্ধের সময় আর্মি ক্যম্পে নিয়ে সাহায্য করেছিল তাদের পক্ষে থাকবেন নাকি, যারা খালেদাকে সম্মান দিয়ে দেশে নিয়ে এসিছেলেন তাদের পক্ষে থাকবেন?? প্রশ্ন রইল....


=========>> এই সমস্ত ফাউল কথা বইলা নাজমুল নামের ব্লগার পার পাইলো কেম্নে?? খালেদারে কে আর্মি ক্যাম্পে নিয়া গেছে??


আশা করি ওর কমেন্ট মুছবেন, জিয়া-খালেদার চরিত্র হনন করা কমেন্ট আপনি কিভাবে বিনা প্রতিবাদে ছেড়ে দিলেন? আবার আপনি দাবী করতেছেন, আপনি নাকি কিন্চিত জাতীয়তাবাদি!!!!!!!!!!


৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

অনিক আহসান বলেছেন: প্রথম কথা নাজমুল৪৩৩ তথ্যে ভুল করছেন। খালেদা জিয়া ক্যান্টমেন্টে আটক ছিলেন। সে হিসাবে উনি একজন বীরাঙ্গনা। নাজমুল৪৩৩ সম্ভবত একথাই বুঝাইতে চাইছেন। শেখ সাহেবের নির্দেশে জিয়া খালেদা জিয়াকে ফিরায়ে নেন। এনিয়ে বাড়তি কথা স্পেক্যুলেশন মনে হয় এখানে অপ্রাসাঙ্গিক। ব্যাক্তিগত বিষয় বাদ দিয়ে প্রয়োজনিয় বিষয়ে ফোকাস করা ভাল । আর আমরা সবাই নির্বাচিত জাতীয় নেতাদের প্রসঙ্গে শব্দ চয়নে সতর্ক হই। হাসিনা খালেদা যখন নির্বাচিত হন তখন তারা (আপনি ভোট না দিলেও) গনতন্ত্র অনুযায়ি নাগরিক হিসাবে তারা আপনার আমার জাতিয় নেতা।

আর ডিয়ার টম বয়ের উত্তরে বলি ঐ কমেন্ট লিমিটের বাইরে আপত্তিকর মনে হলে অবশ্যই মুছে দিতাম তার জন্য জাতীয়তবাদী হওয়ার দরকার হতো না।

দ্বিতীয়ত আমি পার্টিজান জাতীয়তাবাদি না যে নিদৃস্ট কোন দলের কোন নেতার সামান্য সমালোচনার জন্য উত্তেজিত লাফ দিয়ে পড়বো। আমার জাতীয়তাবাদি চেতনা খালেদা হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকে না।

সো আপনারা ব্যাক্তিগত বিষয়ে কাদাছুড়াছুড়ি না করে পয়েন্ট ধরে তর্ক বিতর্ক করেন। সবাই উপভোগ করি।

৩১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

নাজমুল৪৩৩ বলেছেন: টম বয়, আমার পুরো কমেন্টে জামাত-শিবির এর বিরুদ্ধে কইলাম, তাতে আপনি সহমত জানাইলেন না অতচ জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু কইতেই আপনার ঘা হইয়া গেলো??????????????? মনে হইতাচে আপনে জাতীয়তাবাদি জামাতে ইসলামি করেন। কেমুন জানি ছাগু ছাগু গন্ধ পাইতাছি।


টম ভাই আফনে খেইপেন না।
""" খালেদা জিয়ার, চরিত্র ফুলের মত পবিত্র""" এইবার খুশী?????????

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২

অনিক আহসান বলেছেন: কারো চরিত্র নিয়া মন্তব্য করা এইখানে অপ্রাসাঙ্গিক। খালেদা জিয়া ২ বার ভোটে নির্বাচিত পিএম। তার সমালোচনা অনেক ভাবে করার সুযোগ আছে। প্রপার ওয়েতে করাই ভাল।

৩২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: পার্লামেন্টে মহাজোটের ২৬৮ সিটের সমর্থন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য জনাব.......কোনদলকে নিষিদ্ধ করার জন্য নয়।তবে জনগণ চাইলে সেটা না হবে কেন?কিন্তু সমস্যা জাতীয়তাবাদীরা তো সেটা চায়না।জাতীয়তাবাদীরা নিজেদের এমন একটা ভালো দেহরক্ষীদলরে হারাতে চাইবে কেন?মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা করসে তো কি হইসে?মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা কি সাকা-আলীম করেনাই /:)
দেশের চেয়েও আওয়ামীবিরোধীতা বড় এই সুযোগ ছাড়ে ক্যামনে /:) /:)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

অনিক আহসান বলেছেন: আরে ভাই জাতীয়তাবাদীগো সিট ৩২ টা। জনগন আমু লীগ্রে ভোট দিছে মানে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ম্যান্ডেটও দিছে তাই না? অকুপাইড ইউরোপে যে সব দেশের কোলাবরেটরদের বিচার হইছে সে সমস্ত দেশেই সাথে নাজি পার্টি নিষিদ্ধ হইছে। আপনে আইখম্যান বোরম্যানের বিচার করবেন আর নাজি পার্টির বেলায় মিনমিন করবেন তা কিভাবে হয়? বল আওয়ামী লীগ সরকারের কোর্টে । :)

৩৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

ভিটামিন এ বলেছেন: জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করতে হলে আগে সরকারকে জনমত তৈরি করতে হবে। কিন্তু সরকার জনমত তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। শিবির একজন মানুষ মারে তো লীগ মারে দুইজন। শিবিরের চেয়ে ভাল কিছু করে তো আগে মানুষকে দেখাতে হবে, যে কারনে মানুষ আবার লীগকে নির্বাচিত করবে। এখানে প্রায় ৫০% এর উপর ব্লগার বাপের হোটেলে খেয়ে বড় বড় লেকচার ঝাড়ে। এখানে যেসব বড় বড় কথা বলে এক একজন তাদের উচিত সাধারণ মানুষের আড্ডায়, চায়ের স্টলে গিয়ে এইসব বলা।তাহলে একটু ব্রেন হবে, সাধারণ মানুষের কথা শুনে। জামাত-শিবির খারাপ খারাপ সারাদিন চিৎকার করলেই কি মানুষ জামাত শিবির করা বাদ দিয়ে দেবে?
খুব সহজ একটা উদাহারন দেখুন

আপনার বাসার আশেপাশে কেউ শিবির করলে তার পরিবার এবং এলাকায় অন্তত ২০ জনের মতামত নিন। ৮০% ক্ষেত্রে দেখবেন তার সম্পর্কে পজিটিভ কথা বলছে। কেউ ভাল ছাত্র হবার কারনে, কেউ ভাল ব্যবহারের কারনে। মহল্লার সাধারণ ছেলেরা খুব তাড়াতাড়ি শিবিরের ছেলেদের দ্বারা প্রভাবিত হয়।

অপরদিকে আপনার বাসার আশেপাশে কেউ দল বা লীগ করলে তার পরিবার এবং এলাকায় অন্তত ২০ জনের মতামত নিন। ৭০% ক্ষেত্রে দেখবেন তার সম্পর্কে নেগেটিভ কথা বলছে। কেউ ইভটিজার হবার কারনে, কেউ চাঁদাবাজি, কেউবা খারাপ ব্যবহারের কারনে। মহল্লার সাধারণ ছেলেরা দল বা লীগ এর ছেলেদের আচরনের কারনে এদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখে।

শিবির এর ভেতরকার মূল সমস্যা বুঝতে হলে কিছু জ্ঞান লাগবে। এদের আকিদাগত সমস্যা কোথায় এটা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে ধরা খুব কঠিন।

যাই হোক আসল কথা হচ্ছে, শিবির নিষিদ্ধ করতে হলে অন্যান্য ছাত্র সংগঠন গুলুকে ভাল কিছু দেখাতে হবে। আর যদি দল আর লীগ নিজেদের আত্মশুদ্ধি না করতে চায় তবে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ আর শিবির সবগুলুকে একসাথে নিষিদ্ধ করা উচিত।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮

অনিক আহসান বলেছেন: রাজনৈতিক নেতাদের বোঝা উচিত পাবলিক এখন যথেস্ট স্মার্ট। বিচার থেকে আওয়ামি লীগের শুধুই রাজনৈতিক ফায়দা অর্জন করার চেস্টা পাবলিকের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না।

৩৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পোষ্টটা বুকমার্ক করে গেছিলাম। আজ সময় নিয়ে পোষ্ট এবং মন্তব্যগুলো পড়লাম। সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে একটি বিষয় বিশ্লেষণে আপনার মুন্সিয়ানায় বরাবরই মুগ্ধ হই।


আসলে কোথায় কি ঘটে বা আমাদের ভাগ্যের চাকাটা নিয়ন্ত্রণ হয় আসলে কোথা থেকে সে ব্যাপারে আমরা যারা অজ্ঞ তাদের মন্তব্য সেই নিয়ন্ত্রণকারীদের চোখে শুধুই বালক সুলভ বালখিল্যতা রুপে প্রকাশ পাবে বিধায় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম। শুধু একটাই আশা দেশে যেন একটা সিভিল ওয়ার না লাগে আর এই সিভিল ওয়ারের সুযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা উপজাতী বিদ্রোহ যাতে না হয়। অবশ্য আশাকরি যাই হোকনা কেন এমন কিছু হয়তো ঘটার বা ঘটানোর সম্ভাবনা বা ইচ্ছা কারো নাই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯

অনিক আহসান বলেছেন: নাহ যাই ঘটুক সিভিল ওয়ারের দিকে যাবে না। রাজনীতিবিদরা এতো বেকুব মনে হয় এখনো হয় নাই। ভয় পাইয়েন না। আরে ভাই দেশই যদি না থাকে বা স্থায়ি সরকার ব্যাবস্থাই যদি না থাকে নেতারা রাজা উজির হইবো কোত্থেকে? :D

৩৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

টয় বয় বলেছেন:
লেখক বলেছেন: প্রথম কথা নাজমুল৪৩৩ তথ্যে ভুল করছেন। খালেদা জিয়া ক্যান্টমেন্টে আটক ছিলেন। সে হিসাবে উনি একজন বীরাঙ্গনা। নাজমুল৪৩৩ সম্ভবত একথাই বুঝাইতে চাইছেন। শেখ সাহেবের নির্দেশে জিয়া খালেদা জিয়াকে ফিরায়ে নেন।


=======>> বাহবা বাহবা বেশ!!! নাজমূল মিয়া কি বুজাইতে চাইছে সেইটা বাংলায় লিখছে, আপনি তার মনের ভাব সম্প্রসারনের দায়িত্ব নিয়া আরো ২ টা নোংরা লাইন যোগ করলেন!!!

খালেদা জিয়া নিজের সন্তান সহ বন্দি থাকাতে সে হইছে বীরংগনা আর হাসিনা-রেহানা দুই জনই পাকি মেজরের হাতে গৃহ বন্দি ছিল সেইটা কিছু না??

আপনি নিজেও নাজমুলের ক্যটাগরীর| জিয়া খালেদারে ঘরে নিতে চায় নাই এই সব নোংরা কথা আওয়ামী বামপন্হী কুলাংগারদের পক্ষেই সম্ভব|

আর হাসিনা-রেহানা দুই জনই পাঠান মেজরের অধীনে কিভাবে ছিলেন সেইটা আমরা নাই বা বললাম|


নাজমূলের পরের কমেন্টে আমারে ছাগু ট্যাগ দিছে, সেই কমেন্টও আপনার কাছে শোভনীয় কমেন্ট মনে হইছে ???????!!!!!



০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩

অনিক আহসান বলেছেন: আপনার কাছে বীরাঙ্গনা শব্দটা নোংরা হতে পারে কিন্তু আমার কাছে সেইটা আত্মত্যাগের প্রতীক। এখন দয়া করে অন টপিকে থাকুন।

৩৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১০

টয় বয় বলেছেন:
নাজমুল৪৩৩ বলেছেন:


টম বয়, আমার পুরো কমেন্টে জামাত-শিবির এর বিরুদ্ধে কইলাম, তাতে আপনি সহমত জানাইলেন না অতচ জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু কইতেই আপনার ঘা হইয়া গেলো??????????????? মনে হইতাচে আপনে জাতীয়তাবাদি জামাতে ইসলামি করেন। কেমুন জানি ছাগু ছাগু গন্ধ পাইতাছি।


====>> জিয়ার বিরুদ্বে বলাতে আমার লাগবে কারন সে আমার প্রিয় দলের প্রধান| জামাতের বাল আপনি ছিড়লে আমি বাগরা দিমু কোন দু:খে??

আর ছাগু ছাগু গন্ধ পাওয়ার কারন হইলো আপনি কুত্তালীগ এই জন্য|



আরেক কথা, আপনার প্রিয় নেত্রী ও তার বোন পাঠান মেজরের কাছে বন্দি ছিল, বরিশালের কোন নেতার সাথে ভাইগা সদর ঘাট বিউটি বোর্ডিংয়ে ৩ রাইত ছিল, সেই খান থাইকা আব্বাজান ছাত্লীগের গুন্ডা পাঠাইয়া বিউটি বোর্ডিং ভাং চূর কইরা, ওনাকে ধইরা আনা হইছে|

উপরের কমেন্ট করার ইচ্ছা ছিল না, তয় আম্লীগের কুকুরের জন্য মুগুর ছাড়া আর কোন রাস্তা খোলা নাই|

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

অনিক আহসান বলেছেন: হাসিনা খালেদা রেহানার ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দেয়া লাইগ্যা ঢাকা শহরের ওয়ার্ড কমিশনারগো অপিস আছে। পারলে অন টপিকে কথা কন নাইলে অফ যান।

৩৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

নাজমুল৪৩৩ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাসিনা খালেদা রেহানার ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দেয়া লাইগ্যা ঢাকা শহরের ওয়ার্ড কমিশনারগো অপিস আছে। পারলে অন টপিকে কথা কন নাইলে অফ যান।

৩৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৮

মদন বলেছেন: সবগুলো কমেন্ট না পড়েই আমার মন্তব্য লিখতে বসে গেলাম-
সব সম্ভবনাই লিখেছেন কিন্তু কিছু জিনিস অবশ্যই ভাবার বিষয়:
- জামায়াত নিষিদ্ধ হলে একই কর্মী-সমর্থক নেতারা আরেকটি দল গঠন করা।
- জামায়াত নিষিদ্ধ করলেও তাদের অর্থের উতস বন্ধ হবেনা, যেভাবে চলছে ওভাবেই চলবে।
- কিছু লোক নতুন দলে যাবে আর কিছু গোপন হত্যায় জড়িত হতে পারে।
- জামায়াত নিষিদ্ধ হলে অবশ্যই আওয়ামীলীগের প্রথম সারির নেতাদের জীবন সঙকটাপন্ন হবে।
- টাকা দিয়ে/জোট ত্যাগ করে রফা করতে পারে।

সবশেষে - রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২

অনিক আহসান বলেছেন: বিএনপি'র অস্তিত্ব বিলুপ্তির মুখে পড়লে সেইটা আওয়ামী লীগ, তার শুভাকাংখি ও বাংলাদেশে কারো জন্যই সুখের হবে না। মধ্য ডানের বদলে এক্সট্রিম ডান তখন আওয়ামী লীগ ও তার বন্ধুদের হজম করতে হবে।

আর জামাতিদের একাধিক প্ল্যান আছে এইটা নিশ্চিত।জামাত নিষিদ্ধ হোলে প্রাথামিক অবস্থায় আওয়ামী লীগের যারা বেশি বকছে তারা কিছু মাইর খাবে তবে আওয়ামি লিগের শীর্ষের একেবারে ইনার সার্কেলে বিরুদ্ধে কিছু করার আগে তাদের সম্ভাব্য অন্যান্য বিকল্পগুলি ট্রাই করার কথা। তবে ঐ রকম কিছু ঘটা বাংলাদেশের জন্য একেবারেই সুখের হবে না,দেশ ধংসের মুখে এসে দাঁড়াতে পারে ।ঐ ধরনের হঠকারিতায় বাংলাদেশ এমন কি মিলিটারি থ্রেট এর সম্মুখিনও হতে পারে।

৩৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১

মদন বলেছেন: জনগন গ্রহন না করলে যে কোনো দলই টিকতে পারেনা, উদাহরন হলো "মুসলিম লীগ"। এক সময়ের দাপুটে দল এখন হারিয়ে গেছে। জনগন গ্রহন না করলে জামায়াতেরও একই অবস্থা হবে। আলাদা করে নিষিদ্ধ করতে হবে না। এক সময়ের ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ইউনিয়ন এখন তাদের কার্যক্রম দেয়াল লিখনেই সীমাবদ্ধ। কাজেই সময়ের উপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছে।

বাড়াবাড়ি কারো জন্যই ভালো নয়, বরং এর জের টানতে হচ্ছে নিরীহ জনগনকে। আওয়ামীলীগ যেমন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা অপেক্ষা আগামি টার্মে ক্ষমতায় যাবার হাতিয়ার হিসেবেই বেশি ব্যবহার করবে, তেমনি জামায়াতও নিষিদ্ধ হবার সম্ভবনা মাথায় রেখেই তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে বলেই মনে হয়।

ঘটনা যাই হোক, দেশে শান্তি ফিরে আসুক।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫২

অনিক আহসান বলেছেন: শুধু তত্তাবধায়ক সরকারেই অনেক কিছু আটকায় আছে। তত্তাবধায়ক হয়ে গেলে বেশিরভাগ সাধারন মানুষ ও বিএনপি সমর্থক জামাতের ভাগ্য নিয়া মাথা ঘামাবে না।কিন্তু শেখ হাসিনা সেইটা দিবে কতদুর এ নিয়া সন্দেহ আছে।

৪০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২০

ঘুড্ডির-পাইলট বলেছেন:
এমন সমস্যা সবসময়ই হবে তাই বলে এদের উৎপাত বন্ধ হবে না ?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৯

অনিক আহসান বলেছেন: দেখা যাক। রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করা গেলে সবচেয়ে ভাল হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.