নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!
আমার মতে ভারতীয় সর্বকালের অন্যতম সেরা মুভি আর্টিকেল ১৫. এই মুভি ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থার নগ্ন অবস্থা খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছে। আর একটা মুভি প্রিয়দর্শনের আরাকশান। এই দুটো মুভি দেখলে বোঝা যায় ভারতের ৭০ শতাংশ জনসংখ্যা যারা সংখ্যা লঘু তাদের কে আরও হাজার টা জাতের মধ্যে ফেলে সংখ্যা লঘু তকমা লাগিয়ে শত শত বছর ধরে শোষন করা হচ্ছে এবং যেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে।
মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে কিছু বন্ধুর মধ্যে গর্বের সাথে জাত ফাত নিয়ে আলোচনা হয়। কলেজে থাকতে এক বন্ধু নিজেকে উচু জাতের ব্রাহ্মণ বলে অন্যান্য হিন্দু ছাত্র দের এড়িয়ে চলতো। টাচ করতে দিতনা। তখন এতো কিছু বুঝতাম না। তাই কিছু বলতাম না।
যারা বছররের পর বছর শাসন শোষন নিয়ে হা হুতাশ করে তারাই যখন জাত ফাতের কথা বলে গায়ে ছোয়া বারণ চপকায় তাদের আমার মানুষ মনে হয় না। মানুষে মানুষে বিভেদ থাকার কথা ছিলনা। কথা ছিলনা এতো ঘৃণার।
এই উপমহাদেশে এমন একটা এইন ছিলো জামাই মরলে বউ কে দাহ হতে হতো, না জানি কত হাজার নারী পুড়ে অঙ্গার হয়েছে জীবিত। অ্যানেমারি শিমেলের মতে, মুঘল সম্রাট আকবর ( ১৫৫৬ - ১৬০৫ ) সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে ছিলেন; যাইহোক, তিনি " যেসকল বিধবা তাদের মৃত স্বামীর সাথে নিজেকে দাহ করতে চেয়েছিলেন" তাদের প্রশংসা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অপব্যবহারের প্রতি বিরূপ ছিলেন এবং ১৫৮২ সালে আকবর একটি আদেশ জারি করেন যাতে সতীদাহ প্রথার ব্যবহার রোধ করা যায়। কিন্তু তাও পুরো পুরি বন্ধ করা যায় নাই। এমন কি কাশ্মিরের মুসলিম নারী দের জীবন্ত কবর দেয়া হতো মৃত স্বামীর সাথে। পরে জাহাঙ্গীর কাশ্মীরে এই ধরনের সতীদাহ এবং অন্যান্য প্রথাগত প্রথা নিষিদ্ধ করেছিলেন। ঔরঙ্গজেব ১৬৬৩ সালে আরেকটি আদেশ জারি করেন, কাশ্মীর থেকে ফিরে আসার পর শেখ মুহাম্মদ ইকরাম বলেন, "মুঘল নিয়ন্ত্রণাধীন সমস্ত জমিতে, কর্মকর্তারা আর কখনও একজন মহিলাকে পুড়িয়ে মারার অনুমতি দেবেন না"। আওরঙ্গজেবের আদেশে বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিক ইতিহাসে উল্লেখ থাকলেও ইকরাম আওরঙ্গজেবের সময়ের সরকারি নথিতে লিপিবদ্ধ আছে। যদিও আওরঙ্গজেবের আদেশ আধিকারিকদের ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে এড়ানো যেতে পারে, ইকরাম যোগ করেন, পরে ইউরোপীয় পর্যটকরা রেকর্ড করেন যে মুঘল সাম্রাজ্যে সতীদাহ প্রথা খুব বেশি ছিল না এবং সতীদাহ ছিল "খুবই বিরল, কিছু রাজার স্ত্রীদের ছাড়া, ভারতীয় মহিলাদের পুড়িয়ে মারা হত এমনকি আওরঙ্গজেবের রাজত্বের শেষের দিকে। ঠিক যে সময় গুলোতে এই সতীদাহ চালু হয়েছে এই সময়ের দিকের এতো বিভেদের প্রচলণ হয়েছে। সতীদাহ বিদায় নিলেও এই বিভেদ গুলোর বিদায় এখনো হয় নাই।
এখন আমার প্রশ্ন হলো আর কতটুকু বোকা হলে আমরা এখনো প্রাচীন বিভেদ মেনে চলবো! আর কত টুকু বুদ্ধি হলে আমরা সবাই এক হবো।
এই পোস্ট লেখার কারণ, আজকে দেখলাম এক ভদ্রলোক একজনের গায়ের সাথে লাগতে গিয়ে ছ্যা ছ্যা করে দূরে সরে গেলো, হঠাত ইন্টারের সেই ছেলেটার কথা মনে পড়ে গেলো আর আমার মনে হলো আমি ১৫০০ শতাব্দী তে এসে দাঁড়িয়েছি। দুনিয়ার বয়স বাড়ছে, কিন্তু এখনো যে আমরা অন্ধকারে রয়ে গিয়েছি।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫১
আহসানের ব্লগ বলেছেন: আপনার সাথে একমত প্রিয় ব্লগার।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৪
কামাল৮০ বলেছেন: অনিচ্ছাকৃত কারো গায়ে লেগে গেলে সভ্য দেশে সরি বলে।ইচ্ছাকরে কারো গায়ে আপনি হাত দিতে পারেন না।তার অনুমতি ছাড়া।আপনি আপনার বক্তব্যে স্বপক্ষে কোন প্রমান দেখান নাই।মনে হয়েছে তাই লিখেছেন।
ভারতের সংবিধানের জাত পাত অনুমোদন করে না।কিন্তু বাংলা দেশেরর সংবিধান অনুমোদন করে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বলে।
ভারতের জাত পাত ধর্মীয় কুসংস্কার।সেটা ইসলাম ধর্মে আরো প্রবল।
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।
কুরআন ৯৮ঃ৬
এখানে মুসলমান ছাড়া সমস্ত মানব জাতিকে সৃষ্টির অধম বলা হয়েছে।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫২
আহসানের ব্লগ বলেছেন: অনিচ্ছা কৃতই ছিলো, কিন্তু রিয়েকশন এমন হওয়া উচিৎ না।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বৈষম্য ও ঘৃণা নিন্দা গীবত হিংসা বিদ্বেষ মুক্ত পৃথিবী চাই।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৩
আহসানের ব্লগ বলেছেন: সত্যিই তাই হউক।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
নিমো বলেছেন: আমার মতে ভারতীয় সর্বকালের অন্যতম সেরা মুভি আর্টিকেল ১৫. এই মুভি ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থার নগ্ন অবস্থা খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছে। আর একটা মুভি প্রিয়দর্শনের আরাকশান।
Writing with Fire দেখুন। চলচ্চিত্র নয় বাস্তব। অবশ্য এদেশে বাস্তবতা দূ্র চলচ্চিত্র বানালেও কল্লা থাকবে না।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৩
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ট্রেইলর টা দেখেছি। ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিছু বিভেদ থাকবে, সেটা বৈষম্য - ধনী এবং গরীবে। এটা এড়ানো যাবে না। কিন্তু যে-ধর্ম যাবতীয় বিভেদ-বৈষম্যকেই পরিত্যাগ করার নির্দেশনা দেয়, কিছু মানুষ তো সেই ধর্মের কারণেই গায়ে গা লাগলে ছ্যা ছ্যা করে ওঠে। পানির গ্লাসে টাচ লাগলে গ্লাস উপরে ফেলে দেয়। এটা খুবই অন্যায়।
সুন্দর লিখেছেন আহসান ভাই।