![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীটা বদলাক যুক্তির চর্চার দ্বারা। বিশ্বাসের ভাইরাস ছড়ানো এ দেশটা বদলে যাক...।
আজকাল টিভিতে টক শো দেখি প্রায় প্রত্যকে রাতে। কারণ দুটো; প্রথমত, রাতে ঘুম নেই বললেই চলে। দ্বিতীয়তঃ ইদানীং জামাতি ঘরানার 'সুশীল'রা হাইবারনেশনে আছে। তবু মাঝে মাঝে তাদের দেখা পাই। মানে তাদের প্রেতাত্মারা কিছু কিছু টক শো সাংবাদিকের মাধ্যমে দেখা দেয়।
এখন যেহেতু সময়টা হলো শেখ হাসিনাকে রাজনীতির সবক দেয়া, সেই সুযোগটার সদব্যবহার করছেন এই ছুপাহুয়ারা।
কেউ বলছেন, অন্য উপায় না থাকলে সন্ত্রাস চলবে। কাজেই আলোচনায় বসুন বেগমের সাথে। আমি বলি, এই বিষয় নিয়ে কথা বাড়ানোর দরকার নেই। হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। সংলাপ হবে তাদের সঙ্গে, যারা দেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমর্থন করে, যারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানে, যারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। তো জামাতদিরে মাদাম এর কোনটা মানেন?
আরেক ধরনের টকবাজ আছেন, তারা বলেন; গাড়ি পুড়ানো, মানুষ মারা, এইসব কাজ যারা করে তারা বিএনপি নয়, 'এরা সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারী'। আরেক ধরনের আছেন, বিজ্ঞের হাসি হেসে (সঠিক মাপের হাসি) বলেন, 'আসলে যারা এইসব আগুণ, জ্বালাও পুড়াও করছে, এরা আওয়ামী লিগের লোক হওয়াই সম্ভব। বিএনপির কর্মী হলে তো পুলিশ এদের ধরেই ফেলত'। আর এক ধরনের টকবাজ আছেন, শুধু দুই হাজার টাকার লোভে আসে। অন্যদের কথা শুনে উপস্থিত যা মনে আসে তাই বলে। ঐ ব্যাটারা বলে, যত সন্ত্রাসই হোক, দায় সরকারের। সরকারের দায়িত্ব হলো নাগরিকের নিরাপত্তা। ।
এই শেষোক্ত দলকে বলতে চাই, তোদের কথাই ঠিক। বিএনপির কেউ সন্ত্রাস করছে না। যারা মানুষ ও গাড়ি পোড়াচ্ছে, এরা সবাই হয় দুষ্কৃতিকারী আর না হয় আওয়ামী লিগ। সরকার আজ থেকে শক্ত অবস্থানে যাবে। আজ রাত থেকে আর আগুণ জ্বলবেনা। কিন্তু টক শোতে যেনো শুনতে না হয়, সরকার মানবিক অধিকার হরণ করেছে। তাহলে ওই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তোদেরকেও... (মুরুব্বি বার্তা)
সংগৃহীত ও সম্পাদিত।
©somewhere in net ltd.