নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয়দেশ...

আহসান কামরুল

পৃথিবীটা বদলাক যুক্তির চর্চার দ্বারা। বিশ্বাসের ভাইরাস ছড়ানো এ দেশটা বদলে যাক...।

আহসান কামরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপে দূর্নীতির জেরে ছয়মাস নিষিদ্ধ ভারত, শাস্তি পেলেন 'আম্পায়ার'রাও, প্রধান নির্বাহীকে বহিস্কার করলো আইসিসি

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৬

গত ১৯ মার্চ, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বাংলাদেশ, ভারতের সেই বিতর্কিত ম্যাচে ভারতের দূর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে আইসিসি'র দূর্ণীতি দমন ইউনিট আকসু। এ ম্যাচ পাতানোর জন্য ইন্ডিয়ার ক্রিকেট টিমের নীতিনর্ধারকদের ১২০ কোটি ডলার লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী এ সংস্থাটি। বিতর্কিত রায় দিয়ে বাংলাদেশকে হারানোর জন্য এ টাকার সিংহভাগ দেয়া হয়েছিলো 'আম্পায়ার' আলিমদার, আর ইয়ান গোল্ডকে। এ অপরাধের জন্য ভারতের ক্রিকেট টিমকে আগামী ছয়মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবধরনের ফরম্যাটে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দূর্নীতিগ্রস্থ ওই দুই আম্পায়ারকেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগামী দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি আইসিসি'র সভাপতির বক্তব্যের পর বাজিকরদের হয়ে কাউন্টার বক্তব্য দেয়ায় সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬.৩০টায় দেয়া আইসিসির মিডিয়া বিভাগের প্রধান কলিং গিবসনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।



বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়, তাদেরকে কষ্ট দেয়ার জন্য। সেই সঙ্গে আইসিসি'র প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামালকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়।



বিবৃতিতে বলা হয়, 'সামাজিক গণমাধ্যমে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেট তারকারা এ আম্পায়ারিংকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেছেন। আরো গুরুত্বপূর্ণ হলো, আইসিসির সভাপতিও বিষয়টি নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তার এমন অভিযোগের পর আমরা আর বসে থাকতে পারি না। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করি। আর এ বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা খোঁজে পেয়েছে আমাদের তদন্তকারী টিম।'



আম্পায়াররা ভুল করতেই পারেন এমনটা স্বীকার করে কলিং গিবসন বিবৃতিতে বলেন, 'আমরা এখন পুরোপুরি নিশ্চিত, এসব ভুল পরিকল্পিত ছিলো। আর পরিকল্পিত হওয়ায় স্বাভাবিক ভুলের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। পরিকল্পিত ছিলো বলেই ডজনখানেক ভুলের সব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে দেয়া হয়েছিলো।'



আইসিসি'কে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’ বলে অভিহিত করার বিষয়ে বিবৃতিতে জানানো হয়, 'আইসিসি কখনোই দূর্ণীতিগ্রস্থ ইন্ডিয়ার ক্রিকেট কাউন্সিল না। বিশ্বক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তবুও আমরা যেহেতু ইন্ডিয়া, আর ম্যাচ অফিশিয়ালদের দূর্ণীতির কোনো তথ্য আগে পাইনি, রোধ করতে পারিনি, তাই বিশ্বের সব ক্রিকেটভক্তের কাছে আমরা ক্ষমা চাচ্ছি।'



বিবৃতিতে বলা হয়, 'আইসিসি'র মাননীয় সভাপতি, ক্রিকেটের সাবেক তারকাদের অভিযোগ, আর বিসিবির আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে করা তদন্তে আমরা প্রাথমিকভাবে টিম ইন্ডিয়ার ১২০ কোটি ডলার দূর্ণীতির প্রমান পেয়েছি। তবে আমাদের পাওয়া তথ্যমতে, দূর্নীতির পরিমান আরো কয়েকগুণ বেশী হতে পারে। আমরা এ দূর্ণীতির বিরুদ্ধে জরো টলারেন্সে থাকবো।'



টিম ইন্ডিয়া, আর কলঙ্কিত আম্পায়ারদের শাস্তির ব্যপারে বিবৃতিতে মি. গিবসন জানান, 'ক্রিকেটে যে কোনো টিমের দূর্ণীতির ব্যপারে আইসিসি সবসময় আপোষহীন থেকেছে। এবারো এর ব্যতিক্রম হবে না। আর আমাদের হাতে যেহেতু কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে, আম্পায়ারদের সহায়তায় করা ভারতের দূর্নীতির প্রমান আছে, তাই টিম ইন্ডিয়াকে আগামী ছয়মাসের জন্য টেস্ট, ওয়ানডে, বা টি-টোয়েন্টিসহ সব ধরনের ফরম্যাট থেকে আগামী ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। একইসঙ্গে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ভুল সিদ্ধান্ত দেয়ায় আম্পায়ার নামের কলঙ্ক পাকিস্তানের আলিম দার, ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ড, তৃতীয আম্পায়ার অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ডেভিস, চতুর্থ পল রেইফেল, আর ম্যাচ রেফারি শ্রীলঙ্কার রোশান মহানামাকে বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। টিভির রিপ্লে দেখার পরেও দোষী আম্পায়ার, আর ভারতের পক্ষ নেয়ায় প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।'



তবে ভারতের এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়েছে, 'ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া আইসিসির এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।'



উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যকার ওই ম্যাচে আম্পায়ারদের দেয়া কয়েকটি ভুল সিদ্ধান্ত সবচেয়ে বেশী বিতর্কের জন্ম দেয়। তার মধ্যে একটি ছিলো, রুবেলের একটি বলে রোহিত শর্মা ইমরুল কায়েসের তালুবন্দী হওয়ার পর আম্পায়াররা বলটিকে ‘নো’ কল করেন। অথচ টিভি'র রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিলো বলটা কোমরের নীচে ছিলো। আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব ছিলেন ক্রিকেটের সাবেক তারকারাসহ পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। এমনকি ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের সাবেক তারকারাও বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।



তাদের প্রতিবাদের পর এ প্রসঙ্গে আইসিসির তরফে রিচার্ডসন বলেছিলেন, 'নো বলের সিদ্ধান্তটি ছিলো ফিফটি, ফিফটি। এখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং সেটার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা আবশ্যক।'



অন্যদিকে, ম্যাচ চলাকালে স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় ভারতকে সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে দেয়া বিজ্ঞাপনেরও সমালোচনায় পরে আইসিসি। এ ব্যাপারে আইসিসির প্রধান নির্বাহীকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানানো হলেও বিজ্ঞাপনটি তিনি বন্ধ করেননি।



অবশ্য, 'জোচ্ছুরি' করে কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরুলেও সেমিফাইনালে 'বাংলাদোয়া'র ফলে করুণ পরিনতি নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় টিম ইন্ডিয়া।



(বি.দ্র: গতকাল পহেলা এপ্রিলে বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য 'বিশ্বকাপে ভারত- বাংলাদেশের সেই বিতর্কিত ম্যাচ ফের খেলানোর সিদ্ধান্ত আইসিসি-র' শিরোনামে একটি লেখা প্রচার করে ভারতের Zee Media Corporation Ltd. এর সহযোগী গণমাধ্যম ২৪ ঘণ্টা। যেখানে তারুণ্যের গণজাগরণ মঞ্চ শাহবাগকে বলা হয় শাপলা চত্ত্বর। এর 'প্রতিবাদে, দেশপ্রেমের খাতিরে' ফেসবুকে একজন সাংবাদিক, লেখক বন্ধু মজার ছলে টাইগার হ্যাকারদেরকে ২৪ ঘণ্টার ওয়েবসাইট হ্যাক করার আহ্বান জানান। তখন তার আহ্বানের প্রতিবাদে কমেন্টে লিখেছি, লেখার জবাব লেখা দিয়ে দিন। 'বিনা হিসাবে বেহেশতের টিকিট' পাওয়ার জন্য চাপাতি দিয়ে যারা লেখার জবাব দেয়, আর কোনো ওয়োবসাইট হ্যাক করে লেখার প্রতিবাদ করা আমার কাছে একই মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ মনে হয়। তাই দু'টোর বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম করা দরকার। তখন তিনি বলেছিলেন, 'এটাও তাদেরকে বোকা বানানোর জন্য লিখেছি।' ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গণমাধ্যম ২৪ ঘণ্টার লেখার জবাবে তাদেরকে বোকা বানানোর জন্যই এ কাল্পণিক লেখা।)





আহসান কামরুল

০২-০৪-২০১৫ খ্রি.

ঢাকা

ফেসবুকে প্রিয়দেশনিউজকে লাইক করুন

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩১

In2the Dark বলেছেন: বন্নন্ন

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩২

In2the Dark বলেছেন: বন্নন্ন

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

রাখালছেলে বলেছেন: লিংক দেন দয়া করে ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

আহসান কামরুল বলেছেন: গত ১৯ মার্চ, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বাংলাদেশ, ভারতের সেই বিতর্কিত ম্যাচে ভারতের দূর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে আইসিসি'র দূর্ণীতি দমন ইউনিট আকসু। এ ম্যাচ পাতানোর জন্য ইন্ডিয়ার ক্রিকেট টিমের নীতিনর্ধারকদের ১২০ কোটি ডলার লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী এ সংস্থাটি। বিতর্কিত রায় দিয়ে বাংলাদেশকে হারানোর জন্য এ টাকার সিংহভাগ দেয়া হয়েছিলো 'আম্পায়ার' আলিমদার, আর ইয়ান গোল্ডকে। এ অপরাধের জন্য ভারতের ক্রিকেট টিমকে আগামী ছয়মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবধরনের ফরম্যাটে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দূর্নীতিগ্রস্থ ওই দুই আম্পায়ারকেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগামী দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি আইসিসি'র সভাপতির বক্তব্যের পর বাজিকরদের হয়ে কাউন্টার বক্তব্য দেয়ায় সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

http://www.somewhereinblog.net/blog/ahsankamrul1/30027373

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫১

সুমন কর বলেছেন: ঘটনা কি সত্য !!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২০

আহসান কামরুল বলেছেন: পুরোটা পড়ে দেখুন...।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

রাখালছেলে বলেছেন: শুনে ভাল লাগল কিন্তু সত্যতা কতদুর ! চিলে কান নিয়েছে শুনে লাফাতে মন চায় না ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

আহসান কামরুল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০১

রাখালছেলে বলেছেন: ওহ তাহলে এটা একটা কাল্পনিক লেখা । :P

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

আহসান কামরুল বলেছেন: হুমমমমমমমমমমমমমমম

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৩

প্রবালরক বলেছেন: এখনো বোকা রয়ে গেলাম।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

আহসান কামরুল বলেছেন: হা হা হা

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

রাখালছেলে বলেছেন: তাই যেন হয় । তাইই যেন হয় । সময়ের হিসাব সময়েই হবে ।

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৫

েরজাউল ফারুক বলেছেন: গাঁজাখুরী নিউজ....

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

আহসান কামরুল বলেছেন: নিউজটা আগে ভালোভাবে পড়েন। তারপরেও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.