![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীটা বদলাক যুক্তির চর্চার দ্বারা। বিশ্বাসের ভাইরাস ছড়ানো এ দেশটা বদলে যাক...।
সাল ২০০৫। বিএনপি, জামায়াত জোটের নীল নকশা অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন এম.এ আজিজ। ফলশ্রুতিতে তার পদত্যাগের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের আন্দোলন তুঙ্গে। হাওয়া ভবনের সিগনালে একরোখা সিইসি কিছুতেই পদত্যাগ করবেন না। এস.এস.সি পরীক্ষা শেষে কয়েকমাস আগেই এসেছি ঢাকায়। আন্দোলনের এ উত্তাল সময়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রায় নিয়মিতই যাতায়াত। নতুন এ শহরে চিনি না তেমন কাউকে। ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের যখনি পার্টি অফিসে যেতাম, লম্বা আর ছিপছিপে গড়নের এক ছাত্রকে সবসময় দেখতাম। সেই থেকে পরিচয়, আদর্শিক কারনে বন্ধুত্ব।
সাল ২০০৭। বিএনপি, জামায়াত জোটের অদূরদর্শিতা, ক্ষমতালিপ্সার কারনে দেশে সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন, মঈনুদ্দিন সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায়। মাইনাস টু ফর্মুলার নামে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করার দু:সাহস দেখিয়েছে সেনা সমর্থিত অগণতান্ত্রিক সরকার। দেশে তখন ঘরোয়া পরিবেশের রাজনীতিও নিষিদ্ধ। দূর্নীতি দমনের নামে রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র হননের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার পাঁয়তারা চলছে। ঐ সময় আদর্শবিহীন বিএনপি বিভিন্ন দল, উপদলে বিভক্ত হয়ে খান খান হয়ে গেছে। কিন্তু আদর্শিক রাজনীতি, আর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলে আওয়ামী লীগ তখনো ঐক্যবদ্ধ ছিলো। ঐ অগণতান্ত্রিক সেনা সরকারের শাসনামলে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে গুটিকয়েক ছাত্রনেতা শেরে বাংলা নগরে দিন, রাত খেয়ে, না খেয়ে পড়ে থাকতো, তাদের মধ্যে লম্বা আর ছিপছিপে গড়নের ঐ ছেলেটি অন্যতম।
এরপরে ওয়ান ইলেভেনের সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যখন 'রাষ্ট্রের বিপজ্জনক ব্যক্তি' হিসেবে ঘোষণা করে যখন দেশে আসতে বাধা দিয়েছে তখনো অস্থির একটি ছেলেকে আমি দেখেছি, যার নাম জহিরুল কবির জহির। ২০১১ সালে হওয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখার মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক।
কালের পরিক্রমায় তখনকার সেই ছেলেটি আজ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি প্রার্থী। আগামীকাল ৩০ মে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলন। সেই সম্মেলনে ভাগ্য নির্ধারিত হবে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের। নির্বাচিত হবে নতুন নেতৃত্ব। এ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করার কারণে বিএনপি, জামায়াত জোটের হাতে পারিবারিকভাবে নির্যাতিত, দলের ত্যাগী, আর ক্লিন ইমেজের এ নেতৃত্বের হাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেয়ার অনুরোধতো ছাত্রলীগের নীতি নির্ধারকদের কাছে করতেই পারি।
অছাত্র, কুছাত্র, বিয়ে করা আদু ভাই, ব্যবসা, অবৈধ ব্যবসা করা তথাকথিত ছাত্রদের হাত থেকে মহানগর ছাত্রলীগের ঐতিহ্য রক্ষায় এ চাওয়াটুকু কি বেশী হয়ে যায়?
আগামীকাল ৩০ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনের সফলতা কামনায়...।
আহসান কামরুল
২৯.০৫.২০১৫ খ্রি.
ঢাকা।
©somewhere in net ltd.