নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয়দেশ...

আহসান কামরুল

পৃথিবীটা বদলাক যুক্তির চর্চার দ্বারা। বিশ্বাসের ভাইরাস ছড়ানো এ দেশটা বদলে যাক...।

আহসান কামরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুকুল ভাইর চাকরি নট\'র সমর্থকদের বলছি...

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৮

লাকি আইডিয়া বিডি.কম'র সম্মানিত ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারহানা লাকি, মুকুল-নাজনীন দম্পতি ইস্যুতে মুকুল ভাইয়ের চাকরি 'নট' করার দাবিতে আপনার লেখায় কমেন্ট করায় যেহেতু আপনার সঙ্গে পরিচয় আছে কি না জানতে আপনি আমার প্রোফাইল ঘেঁটেছেন, তাই আপনার অবগতির জন্য প্রথমেই জানাচ্ছি, আপনার সঙ্গে আমার পরিচয় নাই। আপনার ওয়েবসাইটটি এর আগে কোনো একটা দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে দেখেছিলাম, আপনাকে না। তবে আপনার লেখাটি ফেসবুকে আমার প্রোফাইলের নিউজফিডে আসার কারনে আমি কমেন্ট করেছি। তাছাড়া, আপনি যে বিষয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত কোনো স্ট্যাটাস না। আপনার ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ে আমি নাক গলাইনি। আর আপনি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড না হওয়ার পরেও যেহেতু আপনার লেখায় কমেন্ট করার অপশন ছিলো, তাই আপনার লেখায় কমেন্ট করে কোনো অন্যায় করিনি।





আপনার লেখায় কমেন্ট করার আরেকটা কারন, আপনি সাংবাদিকতায় পেশাজীবিদের বিষয়ে নৈতিকতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নারী সাংবাদিক, বিশেষ করে যারা নতুন করে এ পেশায় আসছেন তাদের চরিত্রের বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তাদেরকে পটানো হয়, বা কাজের সুযোগ পেতে তারা পটে যায় বলে আপনার ধারনা। এটা ঠিক না। আপনি সাংবাদিক কি না জানি না, তবে আমি এ পেশা সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানি, খোজখবর রাখি। এখানে যেসব মেয়েরা আসেন, তারা গার্মেন্টসে কাজ করতে আসা গ্রামীন নারীদের মতো বোকা না যে, তারা কারো কথায় পটে যাবেন। আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে।

সমালোচনা সহ্য করার বিষয়ে আপনি বলেছেন। আপনাকে বলছি, গঠনমূলক যেকোনো সমালোচনা করতে পারেন, মাথা পেতে নেবো। তবে কমেন্টে কেউ সমালোচনা করলেই 'খোকন খোকন ডাক পারি'দের মতো হিংস্র হবেন না আশা করি। জেনে রাখবেন, সুযোগ পেলে এরাই সবচেয়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। আমার ওয়ালে গিয়ে নাজনীন আপু, আর মুকুল ভাই সংক্রান্ত লেখাটা পড়ার আমন্ত্রন রইলো। কেনো বিরোধিতা করেছি তার বিস্তারিত জবাব সেখানে পাবেন।

আমি এখানে নারী পুরুষের বিভেদ করিনি বলেই শুধু নারীর মাপকাঠিতে কারো পক্ষে যেতে পারিনি। আমি মনে করি, মুকুল ভাই পুরুষ, শুধু এ 'অপরাধে' আপনি, বা আপনার মতো অনেকেই তার পক্ষ নেন না। নিজের ইচ্ছায় যদি কাউকে জীবনসঙ্গী করার অধিকার একজন মানুষের থাকে, তবে জীবনের হিসাব না মিললে কারো সঙ্গে বিচ্ছেদের অধিকারও সব মানুষের আছে। এ ব্যপারে নাজনীন আপুর সঙ্গে গতোকাল কথা হয়েছে আমার। তিনি বলেছেন, 'বিচ্ছেদের ইচ্ছেটা মুকুলের ছিলো, আমার না।' আমি ওনাকে বলেছি, তবে এর মাধ্যমে প্রমান হয়, আপনি তাকে তার জীবনের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেননি। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন আপনি। তাকে বাধ্য করেছেন, আপনার সঙ্গে থাকতে। তিনি উত্তর দেননি, বা দিতে পারেননি। নিলুফার ইয়াসমিন, আপনার কাছে জানতে চাই, কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে কারো সঙ্গে 'দাম্পত্য জীবন' টিকিয়ে রাখতে বাধ্য করা কি কোনো অন্যায় না? আপনি জেনে রাখবেন, নাজনীন আক্তার তন্নী আপুও গ্রামীণ কোনো সাধারণ মেয়ে না, শহরের পোড় খাওয়া একজন বাস্তববাদী, ঝানু সাংবাদিক।



Naz Zain নামের আপনার একজন ইতালি প্রবাসী 'বন্ধু' স্বীকার করেছেন, তিনি ২০১৪ সালের জুন মাসে ফেসবুকে মুকুল ভাই'র ব্যক্তিগত আইডি হ্যাক করেছেন। তিনি বলেছেন, তখনি জানতে পেরেছেন...। আপনি কি তাকে বলবেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে এটা শাস্তিযোগ্য, গুরুতর অপরাধ? তিনি কি জানেন এ অপরাধের শাস্তি কি? ভবিষ্যতের জন্য তার স্বীকারোক্তির স্ক্রীনশট রেখে দিলাম। আমারতো এখন সন্দেহ হচ্ছে ঐ লোকটার ওপর। তিনি মুকুল ভাইয়ের আইডি হ্যাক করে নাজনীন আপুকে ভূল বুঝিয়েছেন কি না, জানি না। অনলাইনে না থেকে একবার বাস্তবজীবন কল্পনা করুন। ধরুন, নাজনীন আপু এমন কিছু শুনে কষ্ট পেয়ে মুকুল ভাইকে ভালোভাবে জিজ্ঞেস করলেন। এতে কষ্ট পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন, তিনিও মুকুল ভাইকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। একদিন, দুইদিন, তিনদিন। সন্দেহ আর অবিশ্বাসের দোলাচাল। ভুল বোঝাবুঝির শুরু। সেখান থেকে জেদ। হ্যাকার সফল! এ জন্য এ হ্যাকারের কি কোনো শাস্তি হতে পারে না?

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, পূর্বাচলে কয়েক কাঠা জমি। ১৪ লাখের বদলে ২৭ লাখ অফার, দাবি ৬০ লাখের। জানেন নিশ্চয়ই। নিজেকে প্রশ্ন করুন, এটা কি এ মামলার কোনো মোটিভ হতে পারে না?

আরেকটা বিষয়, মুকুল ভাই এখনো নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত, এখনো তার অভিযোগ আদালতে প্রমানিতো হয়নি। তাই কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিতো হওয়ার আগে আমি তার পাশ থেকে সরে যেতে পারি না। দ্বিতীয় কারন, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেই তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমি সমর্থন করি না। আর মুকুল ভাই'র বিষয়টিতে মোটেই না। কেননা, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিতো হওয়ার আগে, বা অভিযোগ প্রমানিতো হলেও তিনি বাচ্চু রাজাকারের মতো করে দেশ থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে যেতেন না। এটা তার সামাজিক অবস্থানের কারনেই সম্ভব হতো না।

নাজনীন আপুর অভিযোগ, তাকে মারধর করতেন মুকুল ভাই। মুকুল ভাইয়ের 'স্বীকারোক্তি', তার স্ত্রীও মারধর করতেন তাকে। সমর্থন করি আমি এটা। সমানে সমান। এখানেই বিচ্ছেদের ঘণ্টা বাজানো যেতো। কিন্তু নাজনীন আপু এটা করতে দেননি, বিভিন্ন কারনে। দু'জন সমানে সমান থাকা, একজন জেল আর রিমাণ্ডে থাকার পরেও আপনারা তার চাকরি 'নট' করার দাবিতে সোচ্চার হওয়ায় সন্দেহটা আরো বাড়ছে। এখানে এর বাইরে অন্য কিছু নেই তো?

আহসান কামরুল
০১.০৭.২০১৫ খ্রি.
ঢাকা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.