নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয়দেশ...

আহসান কামরুল

পৃথিবীটা বদলাক যুক্তির চর্চার দ্বারা। বিশ্বাসের ভাইরাস ছড়ানো এ দেশটা বদলে যাক...।

আহসান কামরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'নির্যাতনে রক্তাক্ত\' হয়ে হাসপাতালে রোগী, নাপা\'তেই খুশি ইবনে সিনা! (রি-পোস্ট)

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

'হ্যাকারের বক্তব্যে জিটিভির মুকুল ভাই'র বিরুদ্ধে অভিযোগ!' শিরোনামের লেখায় বলেছিলাম, 'এক দুষ্ট মেয়ে আমায় এস.এম.এস করেছেন, রক্তাক্ত অবস্থায় কাউকে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার সাজেস্ট করলেন নাপা! ওই প্রেসক্রিপশন সাবমিট করা হয়েছে এভিডেন্স হিসেবে।' তবে প্রেসক্রিপশনটা দেখিনি আমি এখনো। তবে দেখবো। দেখে যদি এর সত্যতা না পাই, তবে আমার লেখার এ অংশটুকু ফিরিয়ে নেবো।' এটা বলার কারন, তখনো সেই ঘটনাটা আমার পুরোপুরি 'বিশ্বাস' হয়নি। যেহেতু, তখনো আমি প্রেসক্রিপশনটা দেখিনি, তাই সেটা সত্য না হলে আমি আমি আমার লেখা, বক্তব্য ফিরিয়ে নিতে বাধ্য। কারন, গোয়েবলসীয় কায়দায় কোনো তথ্যকে প্রতিষ্ঠিতো করার চেষ্টা আমার কাজ না। মানসিকতাটাকেও ওই ভাবে সেট করার চেষ্টা করিনি কখনো।

আমার লেখার বিষয়ে সিরিয়াস হয়ে আজ আমি দেখেছি সেই প্রেসক্রিপশনটা, যেটা আদালতে এভিডেন্স হিসেবে দেয়া হয়েছে। যে এভিডেন্সের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে, যেটা প্রমাণের জন্য অভিযুক্তকে পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, সেখানে 'গর্ভবতী অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে রক্তাক্ত' এক পেশেন্টকে ডাক্তার শুধু নাপা ট্যাবলেট সাজেস্ট করেছেন! দেখে একটু বিব্রত হলাম। আবার ভাবলাম, আরে, আমিতো চিকিৎসা বিজ্ঞানে অভিজ্ঞ কোনো ডাক্তার নই। কোনো ঘাতোকের সর্বোচ্চ তিন, চারটা কোপ খাওয়ার উপযুক্ত নগন্য এক পুঁচকে 'লেখক' মাত্র! তাই ভাবলাম শিওর হওয়ার জন্য কোনো স্পেশালিস্ট'র কাছে যেতে হবে। কোন হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন, জানার জন্য প্রেসক্রিপশন'র ওপর অংশের দিকে তাকাতেই চোখ দুটো আমার চড়ক গাছের মতো ঘুরতে লাগলো। নিজেকে চিমটি কাটলাম। নাহ, ঠিক আছিতো, বাস্তবেই আছি। কেনো হলো, জানবেন না? কারন, এ প্রেসক্রিপশনটা সৌদি, আর জামায়াতের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিতো হয়। ৫০ টাকার বিনিময়ে নাপা সাজেস্ট করা ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কল্যাণপুর শাখা, ঢাকা'র আউটডোরের প্রেসক্রিপশন!

এখন বলতে পারেন, ইবনে সিনা'র প্রেসক্রিপশনে আমার সমস্যা কি? সরাসরি বলছি, ইবনে সিনা'র প্রেসক্রিপশনে সমস্যা আমার আছে। জামায়াতের সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বর্জনের পক্ষে তারুণ্যের যে জনমত, তা আমি মনেপ্রানে সমর্থন করি। আর জনকণ্ঠের মতো প্রগতিশীল পত্রিকার একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ৫০ টাকার বিনিময়ে নাপা পাওয়ার জন্য কিভাবে জামায়াতের ডাক্তারদের দ্বারে, ইবনে সিনা'র আউটডোরে সিরিয়ালে বসেন? তখন কি একবারের জন্য তার মনে হয়নি, এটা ইবনে সিনা, জামায়াতের প্রতিষ্ঠান? যেখানে তিনি গেছেন, তাদের পূর্বসূরীরা কিভাবে হত্যা করেছেন ৩০ লাখ মানুষকে তা তিনি জানেন না? অবশ্যই জানেন। যারা প্রগতিশীলতার মুখোশ পড়ে অন্তরে জামায়াতের ইবনে সিনাকে লালন করেন, তারা ছদ্মাবরণ লুকিয়ে রাখতে পারবেন না, এটাই স্বাভাবিক! যেমন পারেননি জামায়াতের মতো অনলাইন প্রচারণা না করতে। দোষটা অবশ্য তার না। এমন একজন মহিলা সাংবাদিক তার বন্ধু, যার বন্ধু পাকিস্তানের করাচিতে ক্যারিয়ার গড়ে তৃপ্ত! যিনি পাকিদের নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে অনলাইনে ক্লিনইমেজধারী মুক্তচিন্তার মানুষদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে চাকরি 'নট' করার ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয়, দূরদর্শী দেশনায়কের কাছে সেই ষড়যন্ত্র নিয়ে ঘেঁষতে পারেন না।

ইবনে সিনার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে না থাকলেও যেহেতু প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে আর মামলার ভাষার সঙ্গে খটকা লাগছে তাই তাদের একটা ব্রাঞ্চে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, মামলার বক্তব্যের সঙ্গে প্রেসক্রিপশনের ভাষ্য মিলে না! বললাম, কেমনে কি? প্রেসক্রিপশনে তো 'ফিজিক্যাল এ্যাসাল্ট'! তিনি জানালেন, 'ধরুন, আপনি এসে বললেন, উহ...আমার এখানে ব্যথা...আমি পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি...তবে সেটাও ডেসক্রিপশন অব ডিজিজে লেখা থাকবে। ব্লিডিংয়ের বিষয়টি এখানে নেই। আর মামলার এজহার অনুযায়ী এতোটা আঘাত হলে শুধু নাপা থাকতেই পারে না। তাও আবার, যদি ব্যথা থাকে ভরা পেটে খাবেন। তার মানে প্রেসক্রিপশনের সময় ব্যথা...। আর এটা দিয়ে তারা মুকুল ভাইর বিরুদ্ধে তেমন কিছু করতে পারবেন না।' তাকে দেখালাম, এ তথ্য জানতে অটোমেটিকভাবে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর! আর অনলাইন, অফলাইনেতো তিনি বাংলা ভাই, শায়খ রহমানের চেয়েও ভয়ংকর 'জঙ্গী'। এ গুরুতর অপরাধে জিটিভির থেকে চাকরি 'নট'!

আর হ্যা, রিমান্ডে তিনি বলেছেন, তাকেও তার স্ত্রী মারধর করতেন। অনেকেই বলবেন স্ত্রীর ভাঙ্গা হাত...। তবে তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, হাত ভাঙ্গা হলেও পা কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছে। নারী নির্যাতন সংক্রান্ত আমার দেখা ৭০ শতাংশ মামলা মিথ্যা, এমন একটি বাক্য আমি আগেও লিখেছি। তবে আদালতে বিচারাধীন এ মামলা সত্য, নাকি মিথ্যা তা বলার আমি কে? সেটাতো সময়মতো শুধু মাননীয় আদালতই বলতে পারবেন। প্রেসক্রিপশনটি আদালতে সাবমিট করা এভিডেন্স বিধায় আইনজীবিদের পরামর্শে স্ক্যানকপি প্রকাশ করলাম না।

আহসান কামরুল
০৭.০৭.২০১৫ খ্রি.
ঢাকা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.