নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয়দেশ...

আহসান কামরুল

পৃথিবীটা বদলাক যুক্তির চর্চার দ্বারা। বিশ্বাসের ভাইরাস ছড়ানো এ দেশটা বদলে যাক...।

আহসান কামরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রদলের জুতাপেটা খেয়ে গাফফারকে নিয়ে পার্থর উন্মাদনা!

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৮

২০০৫ সালের রমজান মাস। এখনকার 'ইসলামিক স্কলার আণ্ডালিভ' তখনো ব্যরিষ্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ। স্বনামে তেমন কেউ চেনেন না। পিতার পরিচয়ে পরিচিতো। বিএনপি, জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রায় শেষ সময়। নাজিউর রহমান মঞ্জু'র বিজেপি সেই জোটের 'চার আনা'র শরীক। তাই জোটের 'শরীকপুত্র'র সাধ জাগলো, তিনি সংসদ সদস্য হবেন। তার 'এক আসনের পিতা'র সঙ্গে থেকে তো আর নিজে জোটের টিকিট পাবেন না। বাপের দূর্নীতির টাকায় বিদেশে পড়ে অন্ততো এ জ্ঞানটুকু তার হয়েছে। তিনি হিসাব করলেন। হিসেবে দেখলেন, ভোলা-১ সংসদীয় আসনে তখনকার সংসদ সদস্য মোশারেফ হোসেন শাহজাহান আছেন ধর্মমন্ত্রী হিসেবে। ভাবলেন, পাত্তা পাবেন না। ভোলা-২ আসনে হাফিজ ইব্রাহিম। অঙ্কের হিসাবে দেখলেন, বানরের বাঁশ বেয়ে ওঠার মতো সেখানে তারেকের 'ব্যাম্বু ইজ অন'! কারন, তিনি জানতেন হাফিজ ইব্রাহিমের ভাই গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের তারেকপ্রীতি। ভোলা-৩ আসনের হিসাব মিলাতে পারলেন না। ওই আসনে আছেন মেজর হাফিজ। তিনি তখন খালেদা জিয়ার চরম বিশ্বস্থতায় দুই, তিনটা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। ভোলা জেলার চারটা আসনের মধ্যে তিনি শেষ আসনকেই 'নিরাপদ' মনে করলেন। এ আসনে আছেন, বিএনপি'র এখনকার বিদেশবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দিন আলম। তার দৃষ্টিতে তিনি কোনো হেভিওয়েট নন। তাছাড়া তিনি হলেন, উড়ে এসে জুড়ে বসা পাবলিক। তাই 'প্যাদানী' খাওয়ার সম্ভাবনাও কম!

'প্যাদানীর সম্ভাবনা কম' মনে করায় তিনি ওই রমজানে ভোলা সদর থেকে প্রায় প্রতিদিন ইফতার, আর তারাবীহর রাজনীতি শুরু করলেন। একদিন, দুই দিন, তিন দিন, কয়েকদিন। এক কান, দুই কানের পর এ খবর গেলো নাজিম উদ্দিন আলমের কানে। তিনি তার আসন নিয়ে একরকম নিরাপদই ছিলেন। কারন, আওয়ামীলীগের রাজনীতি এখনকার এম.পি আব্দুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব, আর আরেক নেতা জয়নাল আবেদীন'র মধ্যে বিভক্ত ছিলো। তারা দু'জনেই অনঢ় দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য। চলছে সমাবেশ, পাল্টা সমাবেশ। উভয় পক্ষের সমাবেশে ইট, পাটকেল ছোড়াছুড়ি! এ অবস্থায় আমকুড়াচ্ছেন বিএনপি।

নাজিম উদ্দিন আলমের এ 'বাড়া ভাতে ছাই' দিতে এসেছেন তখনকার পার্থ। তিনি করছেন 'জনসংযোগ'। এলাকায় ঢালছেন স্বৈরাচারের মন্ত্রী থাকাকালীন বাপের দূর্নীতির টাকা। সহ্য করলেন না না.উ আলম। রমজানের 'রাজনৈতিক তারাবীহ'র নামাজ পড়ে বের হয়ে থানা রোডে আসলেই শুরু হলো 'প্যাদানী'! গাড়ির কাঁচভাঙ্গা, জুতাপেটা। যেমনটা খেয়েছিলো বি.চৌধুরী, মাহি বি. চৌধুরী। আমি তখন চরফ্যাশন সদরে থাকি। ইন্টারমিডিয়েটে পড়ালেখার সুবাদে। ছোটো ভাই আকরাম ফোন দিয়ে জানালো। পার্থর বিষয়ে তার উদ্বেগের কারন, বিএনপি বিরোধী রাজনীতির কারনে। আমরা তখন একধরনের খুশি ছিলাম, বিএনপির 'বাড়া ভাতে' পার্থর 'ছাই' ঢালার জন্য! তাই এ খবর শুনে থানায় ফোন করলে সেই যাত্রায় ছাত্রদলের মাহমুদ গ্যাংদের হাতে আরো বড় ধরনের 'প্যাদানি', আর জুতাপেটার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। অবশ্য এর কিছুদিন পরে আবার ভোলা সদরে ছাত্রদলের 'নেতা' মাহমুদকে সেই 'প্যাদানি'র জবাব দেয়া হয়েছিলো। পার্থ তখন গুরুত্বপূর্ণ কেউ না হওয়ায় বিষয়টা মিডিয়ায় তেমন একটা আসেনি। জাতীয় রাজনীতি দূরে থাক, বিএনপি, হেফাজতি জোটে এ 'মূর্খ স্কলার' যদিও এখনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন।

প্যাদানীর পর চুপ থাকলেও বাবা মারা যাওয়াটাই তার জন্য শাপে বর হয়! তার বাবা, আর বিএনপি, জামায়াতের ধর্মমন্ত্রী শাহজাহান না থাকায় গতো ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোলা-১ আসনে চারদলের টিকিট পেয়ে এম.পি! কাজে না থাকলেও, খালি কলসির মতো বেশি বাজার কারনে সরকার বিরোধি অংশের কাছে 'জনপ্রিয়তা' পান। আর অনলাইনে ছাগু সম্পদ্রায়ের করুণা পাওয়ার পর তখনকার এ ব্যরিস্টার হয়ে ওঠেন 'ইসলামিক স্কলার'। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লেখাপড়াবিহীন এ 'স্কলার' ফেসবুকে বিভিন্ন ফতোয়া দেন! ছড়ান ধর্মীয় উন্মাদনা। কারন তিনি জানেন, বিএনপি, জামায়াতের লোকদেরকে কিভাবে উন্মাদ করতে হয়। আর তিনি সে দিক থেকে 'স্বার্থক'।



রসূল, রাসূলুল্লাহ (সা.), হযরত আবু বকর (রা.), হযরত আবু হোরায়রা (রা.) এর নামের অর্থ ইত্যাদি বিষয়ে আবদুল গাফফার চৌধুরির মন্তব্যের বিষয়ে 'আণ্ডালিভ স্কলার' ফেসবুকে তার সবশেষ ফতোয়া 'প্রসব' করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, 'জনাব লতিফ সিদ্দিকি যখন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছিল তখন বলেছিলাম যে এই লোককে জুতা মারলে মিনাতে শয়তানকে পাথর মারার মত সাওয়াব হয়ত হবে না, তবে কিছু সাওয়াব অবশই হবে। এখন এই সংবাদটি পরার পর আমার মনে হছে যে জুতা মারার বেপারটা গাফফার সাহেব এর ওপরও প্রযোজ্য...।। যে যত বড় কলামিস্ত, লেখক, রাজনীতিবিদ বা যাই হোক না কেন, ইসলাম কে অপমান করলে সে সবচেয়ে বড় অপদার্থ, মূর্খ । আপনি দেশে আসুন, বুঝবেন যে জনগন আপনাকে মন থেকে কতখানি ঘৃণা করে...। it is fine to be secular but if you insult my religion I shall insult you and become secular again......NO matter who you are...'। 'আণ্ডালিভ পার্থ'র এ লেখাটি ভুলে ভরা বিধায় হুবহু তুলে দিলাম। তাকে প্রথমে বলতে চাই, যে এখনো ফেসবুকে ঠিকমতো একটা স্ট্যাটাস লেখার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, সে আবদুল গাফফার চৌধুরিকে 'জুতা মারা'র মতো বিষয়ে বলার ধৃষ্টতা দেখায় কিভাবে? আমারতো মনে হয়, আবদুল গাফফার চৌধুরির পায়ের জুতা টানার যে যোগ্যতা লাগে, সেটা এখনো হেফাজতের এ 'নয়া স্কলার' অর্জন করতে পারেননি।

কোনো বিষয়ে লেখার আগে ওই বিষয় সম্পর্কে আগে জানতে হয়। তাই আমি আবদুল গাফফার ভাইর '০০৪৪২০৮৯৫.....৫' নম্বরে কয়েকবার ফোন দিয়ে তা বন্ধ পেলাম। তাই তার কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিতো জানা সম্ভব হয়নি। তারপরেও আবু বকর (রাঃ), আবু হোরায়রা (রা.) এর নামের অর্থ সম্পর্কে আবদুল গাফফার যে মন্তব্য করেছেন, খাদিজাতুল কোবরা (রা.) সহ অন্যান্য সম্মানিতো সাহাবীদের নাম পরিবর্তন না করা সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছেন, তা মিথ্যা হলে তার জবাব দেয়ার জন্য শুধু দেশের না, বিশ্বের ইসলামিক স্কলাররা তার জবাব দিতেন, চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতেন। কিন্তু আমার জানামতে এমন কেউ তার কথার জবাব দেননি। কারন, তারা জানেন আরবী ভাষার অর্থ। আর সে কারনে তার এসব কথার জবাব দেয়া কোনো স্কলারের পক্ষে 'সম্ভব' হয়নি। কিন্তু মদখোর, মিথ্যাবাদী এ 'স্কলার'রা না জেনে, যুক্তিতে না এসে 'অনুভূতি'র জোয়ারে ভেসে ফতোয়া 'প্রসব' করেন! উন্মাদনা ছড়ান। রমজান, বা কোনো বিশেষ উপলক্ষ্য এলেই তাদের সেই জুতাপেটার কথা মনে পড়ে যায়! তাই তারা ছাত্রদলের জুতাপেটার শোধ নিতে চান যুক্তির বিপরীতে।

তাদের এ ফতোয়ার জেরে অতি উৎসাহী, অশিক্ষিতো কিছু 'ধার্মিক, বাঁশেরকেল্লা (বিকে) গ্যাং মেম্বার' ফেসবুকে আবদুল গাফফার নামের বাংলা অর্থ 'শুয়োরের আব্বা' বলে উন্মাদনা ছড়াচ্ছেন। এ অশিক্ষিতোরা কি জানে না গাফফার হচ্ছে আল্লাহর নাম। এ শব্দের অর্থ যারা 'শুয়োর' বলছেন, তারা কিন্তু শিরক, বা আল্লাহর নামের অপমান করছেন না! এতে অনুভূতিওয়ালা এ হুজুগে বাঙ্গালি 'স্কলার'দের অনুভূতিতেও আঘাত লাগে না। কারন, তাদের বিষয়ে অনভূতো হলে কপালে জুতাপেটা আবারো জুটতে পারে। তাই বলবো, যুক্তির জবাব যুক্তির মাধ্যমে না দিয়েই যারা আল্লাহর নামের অর্থ শুয়োর বলেন, আবদুল গাফফারের কল্লা কাটা, বা জুতা মেরে সাওয়াব অর্জনের ফতোয়া দেন, তারা আসলেই একেকটা শুয়োরের বাচ্চা।

আহসান কামরুল
০৮.০৭.২০১৫ খ্রি.
ঢাকা।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩০

টিএম.নীরব বলেছেন: ভাই আপনি দেকছি ভালোই ফতুয়া দিতে শিকছেন, সুদু ছাহাবাদের নামের বিষয় দিয়ে কেটে পরলেন, বিষয় টা আল্লাহ নাম ও নারীর পর্দা নিয়ে আলোচনায় আসছিলো, আপনিত সাক দিয়ে মাছ ডাকার চেস্টা করছেন

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪১

আহসান কামরুল বলেছেন: আল্লাহর নামের বিষয়ে বলছি, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পিতার নাম ছিলো আবদুল্লাহ। মানে আল্লাহর গোলাম। আর তার এ নামটা কোনো মুসলমান দেয়নি। তখনকার পৌত্তলিকরা দিয়েছিলো। আর পর্দার বিষয়ে বলছেন? এখনকার মেয়েরা পর্দা করে বের হয়, আর নেটে ভিন পুরুষের সঙ্গে চ্যাটিং করে! এটা কি মিথ্যা? আমার দেখা একটা ঘটনা বলছি, ক্বওমী মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক মেয়ে/মহিলা দোকানে গিয়ে বোরকার নিচে আইসক্রিম খান, আর কমিউনিটি সেন্টরে বিয়ের অনুষ্ঠানে কড়া মেকআপ দিয়ে হাজির হন...! আমি এখানে কাউকে জুতাপেটার জন্য কোনো ফতোয়া দেইনি। বরং আমার দেখা একটা জুতাপেটার ঘটনা শেয়ার করলাম। এটা পার্থকে জিজ্ঞেস করেন, মিথ্যা কি না? মিথ্যা হলে দায় নিবো। চ্যালেঞ্জ করলাম। কারো লেখা, যুক্তির জবাব লেখা, বা যুক্তি দিয়েই দিতে হয়। উন্মাদনা দিয়ে নয়। আর কোনো স্কলার এর জবাব দেননি কেনো?

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পশ্চিম দিকে কখনো ঠেস দেননি, তিনি এখন ইসলামের সেবক! ব্যাপার না! আন্দালিভ রহমান পার্থ ভাইকে জামাতের আমির করা হোক ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

আহসান কামরুল বলেছেন: 'তরুণ নেতৃত্ব'র প্রতি আমি সবসময়ই দূর্বল। জামাতের যে অবস্থা, তাতে আমি আপনার মতের সঙ্গে 'সহমত' পোষণ করছি! তবে এ স্কলারকে কি কেউ জিজ্ঞেস করবেন, তিনি এ রমজানে কয়টা রোজা রেখেছেন? বা কয়দিন, কয় রাকাআত তারাবীহ পড়েছেন?

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২০

যোগী বলেছেন:
পার্থরা সারা বছর সুজোগ খুজে কেমনে ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করবে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

আহসান কামরুল বলেছেন: তবে তাদের হাতে এ সুযোগ দেয়াও ঠিক না। তারপরেও তাদের এ অপকর্ম, উন্মাদনার বিপরীতে সঠিক তথ্য নিয়ে আপনাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ, কষ্ট করে লেখাটি পড়া, পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

লেখোয়াড়. বলেছেন:
আহসান কামরুল................... আপনার কোন লেখা এই প্রথম পড়লাম।

আপনি সাংবাদিক বা কলাম লেখক বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন কিনা জানিনা।
তবে আপনি যেভাবে বা যে ঢঙে লেখাটা লিখেছেন তার প্রশাংসা করতেই হয়। আপনি লিখতে জানেন।
সেজন্য +++++++++++++++++++++++++++।

আর লেখার বিষয় নিয়ে কি বলবো, ভালভাবেই চপেটাঘাত করেছেন ওই নব্য ইসলামী স্কলারদের।

ধন্যবাদ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

আহসান কামরুল বলেছেন: সঙ্গে থেকে উৎসাহিতো করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের এই উৎসাহ ভবিষ্যতের পাথেয় হবে বলেই বিশ্বাস।

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

ভয়ংকর বিশু বলেছেন:

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

আহসান কামরুল বলেছেন: জনাব বিশু, পার্থকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য আপনার শেষ মন্তব্যটি মুছে ফেললাম। আমি সাধারনতো কোনো মন্তব্য মুছে ফেলি না। নিজে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হলেও সেটা মেনে নিতে চেষ্টা করি। আর কারো বিরুদ্ধে লিখতে হলে, বললে যুক্তির মাধ্যমে বলবেন আশা করি। অশ্লীল গালিতে নয়। সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫০

উদাসীফাহিম বলেছেন: একজন আল্লাহর নাম নিয়ে কুটুক্তি করল, তার জবাব দিতে হইলে কি আমাকে শায়খুল হাদিস হইতে হবে? এই ফতোয়া কি পেলেন?
তবে সুযোগ সন্ধানী পার্থ সম্পর্কে অনেক কোথায় মজা পেয়েছি.

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১০

আহসান কামরুল বলেছেন: আপনাকে, আমাকে শায়খুল হাদিস হতে হবে না, হতে পারলে ভালো। শায়খুল হাদিস যারা আছেন, তারা এর জবাব দেবেন, যুক্তি আর আলোচনার মাধ্যমে। কারন, জানবেন পার্থদের এ অল্পবিদ্যা সবসময় ভয়ঙ্করই হয়ে থাকে। আশা করি আপনার প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন। তার সম্পর্কে জেনে খুশি হওয়ায় ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

বিজন শররমা বলেছেন: We notice great changes in this age in various fields, specially in Religion, Culture and Right of expression of one's opinion and feelings. If not all, at least some of these information regarding Islam religion were known earlier also from some sources. At that time these were discussed (to the best of my guess) secretly by the non-Muslims. As of today these are being discussed by the Muslims, and widely. All these are taking place due to internet and no one can stop it so long internet exists.

৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৩

মোস্তাক খসরু বলেছেন: লেখক হিজাব অর্থ আরবীদের পোশাক এটাই গাফ্ফার চৌ: বলেছিলেন। আর বাঙ্গালীর যা পোশাক তা বাঙ্গালীরা পরবেন। আরবী ভাষার বয়স চার হাজার বছর। আর ইসলাম আসে চোদ্দশত বছর আগে আরবীটা আল্লার ভাষা হয় কিভাবে। মুর্থতা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতেই হবে। জামাত বিএনপি ও পার্থবাবুরা ধর্ম বেচে চলেস বলেই ওদের আতে ঘা তো লাগবেই।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

আহসান কামরুল বলেছেন: হিজাবটা মূল উদ্দেশ্য না। পর্দার ব্যপারে বলা আছে কোরআনে। এখন সেটা কিভাবে করতে হবে, সেটা আলোচনার বিষয়। আরবের ছেলেরা যেভাবে চলেন, আণ্ডালিভরা কি সেভাবে চলেন? আরবদের পাঞ্জাবির ধরন, আর বাংলাদেশের পাঞ্জাবির ধরন কি এক? পার্থ সাহেবরা নিজেদের পছন্দ মতো চলতে পারবেন। পারবে না মেয়েরা। আর কোরানের ভাষা আরবী, এ জন্যই কিন্তু আজ আপনি, আমি আরবী ভাষার বিষয়ে কথা বলছি। গাফফার ভাইর কথাগুলো আণ্ডালিভদের মতো উন্মাদদের নিয়ে, কোরআন নিয়ে না।

৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

রিফাত ২০১০ বলেছেন: আপনি একজন আওয়ামীলীগ। তাই কুত্তার বাচ্চা গাফফার কে ভাই ডেকে তার বক্তব্যকে জায়েজ করার চেষ্টা করা ও পার্থকে ঘৃণা করাটাই স্বাভাবিক। শুনুন শুধু পার্থ না এই দেশে ৯০ % মুসলমান একমত গাফফার এর মতো কুত্তার বাচ্চা জুতা মারার পক্ষে।


নাস্তিকতার লেবাস লাগানো ইসলাম বিদ্বেষীদের যেখানে দেখবেন সেখানেই জুতা মারবেন। মনে রাখবেন ওরা নাস্তিক না ও হিট সিকার ইসলাম বিদ্বেষী ।

১০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন । আপনি আমার কথাই বলেছেন , তারপরেও আমিও একটু বলি । গাফফার চৌঃ স্যার সেদিন যে কথা গুলো বলেছিলেন , তার মধ্যে কিছু কথা বাদে অধিকাংশই যুক্তিযুক্ত । যেমন আল্লাহ বা এল্লাহ ছিল পৌত্তলিকদের একটা প্রধান দেবতার নাম ।নবিজির জন্মের আগেই আরবের পৌত্তলিকরা তাদের পুত্রের নাম রাখতো " আব্দুল্লাহ " বা আল্লাহর দাস । তেমনি তৎকালীন আরব দের রিজিকের দেবতা ছিল , আরবি ভাষায় তাকে তারা বলত রাযযাক । বর্তমানে আল্লাহর গুণবাচক একটা নাম রাজ্জাকুন বা রিজিকদাতা। তবে আল্লাহর ৯৯ নামের সব গুলাই পৌত্তলিক দের কাছ থেকে আসেনি । গাফফার স্যার এখানে একটু ভুল করেছেন । তখনকার পৌত্তলিক দের দেবতা আর বর্তমানে আল্লাহর গুণবাচক নাম মিল থাকার কারন - আরবি ভাষা ।
যাই হোক তার কথা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করেছে নয়া দিগন্ত , আমার দেশ পত্রিকা সহ বি এন পি জামাতের অন্যান্য পোষা অন লাইন নিউজ পোর্টাল গুলি । কিন্তু আসলে উনি কি বলেছেন , তার মর্ম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেনি , কারন এদেশের ছাগল তো একটা দুইটা না । এদেশের এখনো ৬০ থেকে ৫০ % লোক মূর্খ ।

যাই হোক আন্দালিব দের মতো কতিপয় ডানাওয়ালা পিঁপড়ার কাজ হচ্ছে , কখন নয়া দিগন্ত পত্রিকা কাওকে নাস্তিক আখ্যা দিবে , আর এই ছাগলটা তখন তারে পাথর মারার ফতোয়া দিবে । লোল :) :)
আগের টার্মে খুব বি এন পির জন্য চিল্লাইত এই চিনি চোরের পোলা । হেন করেঙ্গা , তেন করেঙ্গা , আওয়ামীলীগের বাল ছিরেঙ্গা ।
এই মূর্খ শিশুটি এখন খুব অসহায়ের সাথে দেখছে যে , বি এন পি নিজেই ক্রমে বিলুপ্তির পথে ।

১১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

নতুন বলেছেন: ব্যাপার না আমারা জাতিগত ভাবেই জজবা ওয়ালা জাতি।

পশ্বিমে আছাড় খায়না সে ফতোয়া দেয় আর বাকিরা সেই ফতোয়া লাফালাফি করেবেই কার ভন্ডামী।

আল্লাহ রাসুলের নামে কথা বললে আপনার কল্লা ফেলে দেবে। কিন্তু সবাই ঠিকই ভন্ডামী করবে।

সুদ/ঘুস/ভেজাল/বাটপারী/ভন্ডামী/পীর/মাজার/তাবিজ সবই জায়েজ কিন্তু আল্লাহ রাসুলের নামে কথা বলা যাবেনা।

তবে গাফফার চৌধুরীর বয়স হইছে তাই বিষয়টা তিনি অতো গুছিয়ে বলতে পারেনাই।

আমাদের দেশের মানুষ ভাবে ইসলামী নাম রাখতে হবে। কিন্তু আমরা যেটা রাখি সেটা আরবী ভাষার শব্দ। অনেকে লবনকে নুন বলে কারন তাতে আরবী নুন উচ্চারনের সোয়াব হয়। অনেকেরই বিশ্বাস এই রকমের।

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২০

আহসান কামরুল বলেছেন: 'অনেকে লবনকে নুন বলে কারন তাতে আরবী নুন উচ্চারনের সোয়াব হয়। অনেকেরই বিশ্বাস এই রকমের!' আণ্ডালিভরা ওই প্রজাতির...।

১২| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৪

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: পার্থ সুযোগ পেলেই ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে , এটা নতুন কিছু না । অরে পাত্তা দেয়ার কিছুই নাই ।

কিন্তু গাফফার ( দুঃখিত আর সম্মান করতে পারলাম না ) , বলেছে হজ্বও ইসলামের হজ্ব নয় , ,এটা ২ হাজার ৩ হাজার বছর আগের কাফেরদের প্রবর্তিত হজ্ব , আমাদের রাসূল হযরত মোহাম্মাদ (স) শুধু একেশ্বরবাদ যুক্ত করেছেন ( নাউযুবিল্লাহ) ।

Columnist Abdul Gaffar Chowdhury about his speech at the UN Permanent Mission

এটা অনস্বীকার্য যে নবী রাসূলদের জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহ্‌ নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেছেন । আমাদের রাসূল হযরত মোহাম্মাদ (স) যাই করেছেন তা সরাসরি আল্লাহ'র হুকুমে করেছেন । ইসলামের প্রতিটা বিষয় আল্লাহ্‌ আমাদের রাসূল হযরত মোহাম্মাদ (স) এর মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন । এখান থেকেই এটা স্পষ্ট যে হজ্বের নিয়ম কানুন আল্লাহ্‌ স্বয়ং রাসূল হযরত মোহাম্মাদ (স) এর মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ।

তাই এবার আপনি বলুন , গাফফার যে বলল "বলেছে হজ্বও ইসলামের হজ্ব নয় , এটা ২ হাজার ৩ হাজার বছর আগের কাফেরদের প্রবর্তিত হজ্ব " এটা কোন দিক থেকে যৌক্তিক ????????

যেখানে সব কিছুই আল্লাহ্‌ নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেছেন সেখানে "আমাদের রাসূল হযরত মোহাম্মাদ (স) শুধু একেশ্বরবাদ যুক্ত করেছেন" এ ধরণের নাফরমানি কথা বলার মানে কি ?????????

গাফফার এর ইসলাম বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বলা অধিকাংশ কথাই চরমভাবে অগ্রহণযোগ্য , আমি শুধু একটি বিষয়ে আলোকপাত করলাম , বুঝলে এতটুকুতেই বোঝার কথা ।


প্রথমে লতিফ সিদ্দিকি , এরপর গাফফার , এরপর সিরিয়ালে আর কে আছে , যারা ইসলাম নিয়ে কটূক্তি আর অপব্যখ্যা করে আওয়ামীলীগকে ইসলাম বিরোধী বানিয়ে আওয়ামীলীগের পতন তরান্বিত করবে ????????? আর কত টাকা পেলে এদের পেট ভরবে ?????????


শেখ হাসিনা কে সাবধানে থাকতে হবে , আরেকটি ১৫ই আগস্ট এর পটভূমি তৈরি হচ্ছে সুকৌশলে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.