![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীটা বদলাক যুক্তির চর্চার দ্বারা। বিশ্বাসের ভাইরাস ছড়ানো এ দেশটা বদলে যাক...।
গল্পের শুরুটা ২০০০ সালে। জুঁই ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রী। রোজ সকালে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে কোচিংয়ে যান। কোচিংয়ে বাংলা পড়াতেন লোকটা। নাম মোশাররফ করিম। ঝাঁকড়া চুল। গম্ভীর। দুজনের কথাবার্তা খুব একটা হতো না। টুকটাক। আর দশজন টিচার, ছাত্রীর মতোই দুরত্ব ছিল তাদের। মোশাররফ করিমকে ‘ভাইয়া’ বলতেন জুঁই। জুঁই ছাত্রী হিসেবে খুব ভালো। ঘটনাক্রমে জুঁই সেই কোচিং সেন্টারেই শিক্ষকতা শুরু করলেন। এবার তিনি মোশাররফ করিমের কলিগ।
ক্লাসের ফাঁকে দুজনের টুকরো টুকরো কথা হতো। সেই কথাগুলো জমতে জমতে কথার পাহাড়ে রূপ নেয়। কথায় কথায় সময় ফুরিয়ে যেত, কিন্তু কথার রেলগাড়িটা যেন থামতোই না! কি বিপদ! এতো কথা আসে কোত্থেকে! কথা না বললে মোশাররফ করিম বুকের ডান পাশটা পোড়ায়। মনটা নিশপিশ করে।
তাহলে কি জুঁইয়ের প্রতি মোশাররফ করিম দুর্বল হয়ে পড়লেন? নাহ! এমনটা তো হওয়ার কথা ছিলো না। ছোটবেলা থেকেই মোশাররফ করিম প্রেম গায়ে মাখেননি। বরং হাত দশেক দুরে থেকেছেন। ছোটবেলায় ক্লাসের বন্ধুরা যেখানে প্রেম করে বেড়াতো, সেখানে তিনি বইয়ে মুখ গুঁজে থাকতেন।
সেই ছেলেটা কি আদৌ প্রেমে পড়তে পারে? প্রশ্নের উত্তরটা হ্ওয়ার কথা ছিলো ‘নাহ!’ কিন্তু প্রেম কি আর বাঁধ মানে! তার মন জুড়ে তখন জুঁই। তার নাকে জুঁই, চোখে জুঁই, আঙ্গুলের ভাঁজে ভাঁজে জুঁই! আনমনে ভাবতেন মেয়েটার কথা। খেতে ঘুমাতে, হাঁটতে। একসময় নিজেই আবিস্কার করলেন, মেয়েটিকে ভালোবাসেন। কিন্তু বলবেন কিভাবে? কথাটা বলা তো শরমের ব্যাপার! আকারে ইঙ্গিতে বোঝানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফলাফল শুন্য। মেয়েটা ঠিক বুঝেও বুঝে উঠে না। ভারি বিপদে পড়া গেলো।
নিজে প্রোপোজ করতেও পারছেন না। কারণ তার মতে, ‘সরসরি ভালোবাসার কথা বললে ব্যাপারটা পানির মতো লাগে। একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বললে ভালো। চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু ঠিকভাবে বুঝতে পারেনি’। শেষে বুদ্ধি আঁটলেন। বন্ধুকে দিয়ে প্রোপোজ করাবেন। পরদনিই প্রোপোজ করলেন। মেয়েটি হ্যাঁ, না কিছুই বলে না। চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি। বারবার মনে ধাক্কা খায়, ‘যদি না বলে! মান সন্মান সব যাবে!’ শঙ্কা কেটে গেলো দিন দুয়েক পর। একটা পত্রিকার কাগজে জুঁই ‘ইয়েস’ লিখে মোশাররফকে দেন। তারপর শুরু হলো তাদের নতুন করে পথচলা।
কিন্তু জুঁই কি কখনো ভেবেছিলেন তাদের দুজনের সম্পর্ক হবে? ‘নাহ! আমি তো ভেবেছিলাম উনাকে আমাদের ফ্যামিলি মেম্বার বানাবো! আমি পরিবারে বিবাহযোগ্য পাত্রীও খোঁজাখুজি করেছিলাম। যার সঙ্গে ওর বিয়ে দিয়ে ফ্যামেলির সদস্য বাড়াবো। কিন্তু ও যে আমাকেই ভালোবাসে এটা ভাবতেই পারিনি। আর আমিই যে ওকে ভালোবেসে ফ্যামিলি মেম্বার বানাতে পারি, এটা মাথায় আসেনি।’-বললেন জুঁই।
একটু সময় পেলেই দুজন ঘুরতে বেরুতেন। পছন্দের উপহার দিতেন। প্রথম উপহারটা দিয়েছিলেন মোশাররফ করিমই। আড়ং থেকে কেনা কান, গলার গহনার সেট দিয়েছিলেন। বছর চারেক চুটিয়ে দুজন প্রেম করার পর ২০০৪ সালের ৭ অক্টোবর বিয়ে করেন। গত এগারো বছর ধরে তারা হাতে হাত রেখে পথ চলছেন। এত বছরের পথ পরিক্রমায় তাদের জীবনে যুক্ত হয়েছে হাজারো অভিজ্ঞতা। স্বামীর হাসিটাই সবচেয়ে আকর্ষনীয় মনে হয় জুঁইয়ের কাছে। অনেকবার অনেক সাক্ষাতকারে বলেছেন ‘ও হাসলে অসাধারণ লাগে’। ছোটখাট মুদ্রাদোষও আছে মোশররফ করিমের। কি সেটা? জানালেন জুঁই, ‘ঘুমের সময় নাক ডাকে। অনেক সময় আধো ঘুমে নাক ডাকে। আমি আসলে বুঝি না ও সত্যি সত্যিই নাক ডাকে না অ্যাকটিং করছে!’
পর্দার বাইরের এই সফল জুটি ক্যামেরার সামনেও জুটি বেঁধে কাজ করেছেন। জুটি বেধে প্রথম নাটকের অভিজ্ঞতাটাও দারুণ। বললেন জুঁই, ‘ওর সঙ্গে আমি বেশ কমফোর্টলি কাজ করেছিলাম। কিন্তু ও আমার অ্যাকটিং নিয়ে খুব চিন্তা করে। তার কথা আমি ভালো পারবো না কেনো। তখন আমার খুব অসহায় লেগেছিলো। কিন্তু এখন ঠিক হয়ে গেছে।’
প্রথমদিন মোশাররফ করিমের কেমন লেগেছিলো?
‘প্রথম শর্টের সময় মনে হলো এটা কি ঠিক হচ্ছে। খুব অস্বস্তি লাগছিলো। সে যে আমার কোআর্টিষ্ট মেনে নিতে অনেক সময় লেগে গেছে। এখন ঠিক হয়ে গেছে।’ মোশাররফ করিমের নাটক মানেই মজায় ভরপুর। পর্দার বাইরের মোশাররফও এমন মজার মানুষ? ‘বাসায় সে খুব গম্ভীর। মাঝে মাঝে একটু আধটু ফান করে। তবে অভিনয়ে যতোটা করে ততোটা নয়।’ বললেন জুঁই।
জনপ্রিয় এ অভিনেতার আজ জন্মদিন। প্রিয়দেশ'র পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন।
সূত্র: প্রিয়দেশনিউজ
আহসান কামরুল
২২ অগাস্ট ২০১৫ খ্রি.
ঢাকা।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
আহসান কামরুল বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আই লাইক দেম বোথ। নাইস কাপল।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
আহসান কামরুল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫১
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল লাগল ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
আহসান কামরুল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রিয় অভিনেতার জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা । এখন টিভি অভিনেতা মানেই মুশাররফ করিম । সুন্দর পোস্ট ।+
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
পড়লাম, তাই মন্তব্য লিখতে হলো।