নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সেকি অন্য তত্ত্ব মানে, মানুষতত্ত্ব যার সত্য হয় মনে\"

আজব লিংকন

শব্দ দাও অথবা মৃত্যু

আজব লিংকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজার ভাঙ্গার ফতোয়া | ধিক্কার ও তিব্র নিন্দা

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮

মাজার ভাঙ্গার ইভেন্ট এবং ক্যাম্পেইন ভাই-ব্রাদাররা গর্বের সাথে ফেসবুকে চালাচ্ছে দেখলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছোট ভাই ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত আমার বন্ধুদের বেশ প্রফুল্লতার সাথে ফেসবুক এমন সব ইভেন্টে যোগ দিতে দেখলাম। তারা চায় সব মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক। আমি তাদের মত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি নি বলে আজ তাদের এই মহৎ কার্যকে পুরোপুরি বুঝতে অক্ষম হয়েছি। তারপরেও কিছু ঘাটাঘটি করে কবর তথা মাজার ভাঙ্গার যে ফতোয়া চলছে সে সম্পর্কিত হাদিস জানার চেষ্টা করলাম।

মিশকাত শরীফে তাবেয়ী আবুল হাইয়াজ আসাদী থেকে বর্ণিত, "হযরত আলী (রা.) আমাকে বলেন, আমি কি তোমাকে ঐ কাজে পাঠাব না? যে কাজে আমাকে প্রিয় রাসূল (সা.) পাঠিয়েছেন। তা হলো কোন মূর্তি পেলে নষ্ট না করে ছাড়বে না এবং কোন উঁচু কবর সমান না করে রাখবে না।"
[মিশকাত শরীফ: পৃষ্ঠা ১৪৮, মুসিলম শরীফ: হাদিস নম্বর ৯৬৯]

এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কবরকে মাটির সাথে সমান করে দিতে হবে। কবর মাটির উপরে হতে পারবে না। অথচ আমাদের দেশে নয় শুধু বিশ্বের প্রতিটি দেশে মুসলমানদের কবর মাটি হতে উপরে। এমনকি সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীনে এজাম, তাবে তাবেয়ীন স্বয়ং নবী করিম (সা.) এর রওজা মোবারক ও এর ব্যতিক্রম নয়। তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে এ হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা ও মর্মার্থ কি?

এ হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা হলো রাসূলে করিম (সা.) যে সব কবর মাটির সাথে সমান করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তা মূলত মুশরিক ও ইহুদী-নাসারাদের কবর এবং হযরত আলী (রা.) হযরত আবুল হাইয়াজ রাদ্বিয়াল্লাহকেও যে নির্দেশ দিয়েছেন তাতে কোন মুসলমানের কবরকে তিনি মাটির সাথে সমান করতে বলেন নি। কারণ সম্মানিত সাহাবাগণকে দাফন করার সময় প্রায় রাসূল (সা.) উপস্থিত থাকতেন অথবা সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সা.) -এর অনুমতি নিয়ে কবর তৈরি করতেন। তাহলে এমন কবর কোথায় থাকল যা ভাঙ্গার জন্য নির্দেশ দিতে হলো?

যেহেতু তখন ইহুদী নাসারা ও মুশরিকদের কবর ছিল বেশী উঁচু, তাই ভাঙ্গার জন্য রাসূল (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন- সহীহ বোখারীতে বর্ণিত আছে- "নবী করিম রাসূল (সা.) মুশরিকদের কবরের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন অতঃপর তা ভেঙ্গে খনন করে ফেলে দেয়া হয়েছে।"
[বোখারী শরীফ: ১ম খণ্ড, ৬১ পৃষ্ঠা]

এর ব্যাখ্যায় শাইখুল ইসলাম হাফেজুল হাদিস ইবনে হাজার আল আসকালানী বলেন- "আম্বিয়ায়ে কেরাম ও তাদের অনুসারীদের কবর ব্যতীত। কারণ তাদের কবর ভাঙ্গার ও খনন করার মধ্যে তাদের প্রতি অসম্মান হবে।
[ফতহুল বারী শরহে সহীহ বোখারী: ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫২৪]

তিনি আরো বলেন- এই হাদিসে এ কথার উপর দলিল যে, "মালিকানাধীন কবরস্থানে লেনদেন করা এবং পুরাতন কবর উচ্ছেদ করা বৈধ। তবে শর্ত হল তা যেন সম্মানিত না হয়। অর্থাৎ সম্মানিত কোন অলী বুযর্গের কবর হলে তা সরানো বৈধ হবে না।"
[ফতহুল বারী, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫২৪]

বুখারী শরীফের উক্ত হাদিসের আসল ব্যাখ্যা, "হযরত আলী (রা.) কর্তৃক হাদিসে কাফির ও মুশরিকদের কবরকে মাটির সাথে সমান করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত অন্য হাদিসে রাসূল (সা.) তখনকার কবরের সাথে ছবি আকার কথাও ইরশাদ করেছেন অথচ মুসলমানদের কবরে কোন ছবি থাকে না। সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, উল্লিখিত হাদিসে মুশরিকদের কবরের কথাই বলা হয়েছে। কারণ তাদের সম্মানিত পূর্ব পুরুষদের কবরে ছবি তথা মূর্তি থাকত এবং মুশরিকরা এগুলোর পূজা করত। তাই রাসূলে পাক (সা.) কবরকে ভেঙ্গে সমান করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যা পরে আলী (রা.) একই নির্দেশ দিয়েছেন।

হাদিসে কবরকে মাটির সাথে সমান করার কথা বলা হয়েছে অথচ মুসলমানদের কবরের ক্ষেত্রে সুন্নাত হলো জমিন হতে কবর এক হাত অথবা এক বিঘত পরিমাণ উঁচু করা। মুসলমানদের কবরকে একদম মাটির সাথে সমান করা সুন্নাতের খিলাফ ও পরিপন্থি। সুতরাং বুঝা যায় উক্ত হাদিসে মুশরিক ও কাফিরদের কবরকে বুঝানো হয়েছে।

মুনতাকা শরহে মুয়াত্তায় এবং ইমাম কাসানী হানাফীর কিতাব ‘বাদায়েউস সানায়ে’ এর বর্ণনায় দেখা যায় যে, প্রখ্যাত সাহাবী হযরত ওমর (রা.) হযরত জয়নব বিনতে জাহাশ (রা.)-এর কবরের উপর হযরত উম্মুল মুমেনীন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) স্বীয় ভাই হযরত আবদুর রহমান ইবনে আবি বকরের কবরের উপর এবং হযরত মুহাম্মদ বিন হানাফিয়া (রা.), হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাসের কবর শরীফের উপর কুব্বা তথা গম্বুজ বানিয়েছেন।

যদি কোন মুসলমানের কবর উঁচু করে বানানো হয় তখনো তা ভাঙ্গা যাবে না। কারণ এতে মুসলমানের অসম্মান হবে। তবে প্রথম থেকে কবরকে উঁচু না করা উচিত।

উল্লেখ্য যে সকল মুসলমানের কবর এক বিঘতের চেয়ে বেশি বানানো হয়েছে তা আর ভাঙ্গা যাবে না। তা যেমন আছে তেমন থাকবে। যেমন: কোরআন শরীফ ছোট আকারে ছাপানো নিষেধ কিন্তু ছাপানো হয়ে গেলে তা ফেলে দেয়া কিংবা আগুনে পুড়ে ফেলা যাবে না। কেননা এতে পবিত্র কোরআনের অবমাননা হবে। আর নির্ভরযোগ্য বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত মুসলমানদের কবরের উপর বসা, ক্ষেত-খামার করা এবং জুতা নিয়ে চলা-ফেরা করা সম্পূর্ণ হারাম ও নিষিদ্ধ। মুসলমানের উঁচু কবর ভেঙ্গে সমান করা অবমাননা ও চরম অপরাধ।

প্রখ্যাত আউলিয়ায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট হক্কানী ওলামায়ে এজামের সম্মানার্থে, জিয়ারতকারীদের জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও কোরআন তেলাওয়াতের সুবিধার্থে এবং সাধারণ মানুষের অন্তরে তাদের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা সৃষ্টির নিমিত্তে তাঁদের কবরে ঘর/ইমারত ও গম্বুজ নির্মাণ করাকে সলফে সালেহীন বিশেষত মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (র.) , শেখ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (র.) , হযরত ইসমাইল হক্কী হানাফী (র.) সহ আরো অনেক মুহাদ্দিস ও ফকিহগণ জায়েয ও মুবাহ বলে ফতোয়া প্রদান করেছেন।

সুতরাং যে সমস্ত খারেজী, ওহাবী ও আহলে হাদীসের মওলভীরা উল্লেখিত হাদিসের আলোকে বিশেষত অলি-আবদালের গুম্বুজ ও ইমারত বিশিষ্ট মাজার ও কবর শরীফ সম্পর্কে বাজে মন্তব্য কটূক্তি ও বেয়াদবী করে মূলত তারা উক্ত হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।

.
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাজারে বিশ্বাসী নই। তাই বলে কারো আস্থার স্থল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেবেন তার পক্ষপাতী আমি মোটেও নই। এ পর্যন্ত বেশ কিছু মাজার ভাঙ্গার খবর চোখে পড়েছে যা ক্রমশ্ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান সার্বিক অবস্থার বিবেচনায় প্রথমটা বিছিন্ন ঘটনা ভেবে এড়িয়ে যাই কিন্তু এখন যে ভাবে জানান দিয়ে এই আক্রমণ চালানোর কথা বলা হচ্ছে তাতে আর চুপ থাকা যায় না।
ধিক্কার ও তিব্র নিন্দা জানাই।

যারা ভাবছে বাংলাদেশকে কট্টের ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণীত করবেন তারা এখনো জানে না যে এই বাঙ্গালিরাই আপনাদের জঙ্গি বলে আখ্যা দিতে একবিন্দু দেরি করবে না। সবচেয়ে বড় মাইনাসে পরবে জামায়াতে ইসলামী দলটা কারন তারা এই বিষয়টা দেখেও না দেখার ভান করে চুপ করে আছেন। যদিও এই ভাংচুরের ব্যাপারে তারা কোন প্রকার ইন্ধন যোগাচ্ছেন না বলে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি। কিন্তু দিন শেষে এক শ্রেণীর মানুষ তাদেই ব্লেইম করবে। জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান সাহেব অত্যান্ত বিচক্ষণ এবং ভাল মানুষ। বিষয়টা নিয়ে তার এখনি কথা বলা প্রয়োজন। কারণ একটা মহল এইসব করে জামায়াতে ইসলামী/শিবির কে বিতর্কিত করছে। যারা অতীতের ভুল থেকে এখনো কোন শিক্ষা নেয় নি বা নিতে চাচ্ছে না।

সেকুলার বাংলাদেশে তারা বিশ্বাসী না এটা লাউড এন্ড ক্লিলিয়ার। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণগুলোর মধ্যে একটা ছিল সেকুলারিজম। জানি না সামনে আরো কি কি দেখতে হবে কারণ এখন সবাই ইসলামের নামে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে নিজ নিজ এজেন্ডা বাস্তবায়নে মত্ত হয়ে পড়েছে।

যে অলি-আউলিয়া ৩৬০ জনের হাত ধরে বাংলাদেশের আনাচের-কানাচে ইসলামের প্রচার ছড়িয়েছিল এরা আজ তাদেরও হেও করতে একবিন্দু দ্বিধা করছে না। ক্ষমতার লোভ আর রাজনীতির খেলা কতই না অদ্ভুত। যারা একসময় গর্ত থেকে বের হতে পারত না তারা আজ মাজার ভাঙ্গায় উন্মাদ। মাজারের পরে কি তরিকা পন্থী মসজিদ দখলের লড়াই? তারপর শিল্প-সাহিত্য আর মিডিয়া ইন্ডাষ্ট্রি ? তারপর গাজওয়াতুল হিন্দ? তারপর...?

লেখাটা অনেক লম্বা হয়ে গেল। ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। শিয়া, সুন্নি, আহমদিয়া, হানাফিয়া সহ যত ধর্মী বিধর্মী তরিকার মানুষজন বাংলাদেশে আছেন সবার মতাদর্শ ও অনুভতির প্রতি সম্মান জানিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে যদি এরা না থাকতে পারে তবে এদেরও পতন হবে এটা সুনিশ্চিত।

- AjobLinkon

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৩

নতুন বলেছেন: কোন কিছু ভাংচুর করা, কারু গায়ে হাত তোলা, হত্যা করা ফৌজদারী অপরাধ।

কোন কিছু পছন্দ না হলে আইনের সরনাপন্য হতে হবে,

ধর্মের নামে এসব অন্যায় করা মূর্খতা মাত্র।

যেই হিন্দুছেলেটিকে পেটানো হলো( অনেকে বলেছে হত্যা করা হয়েছে) এটা কোন মতেই ধর্মের আদর্শ হতে পারেনা।

দেশে এই সব মূর্খতা রুখতে হবে, আলোকিত করতে হবে নতুবা অন্ধকারে ছেয়ে যাবে দেশ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আজব লিংকন বলেছেন: "যেই হিন্দুছেলেটিকে পেটানো হল" দুঃখিত এই বিষয় আমার জানা নেই। ভারতীয় বিএসএফ গুলি করে ১৪ বছর বয়সী স্বর্ণা দাস নামক একটা মেয়েকে হত্যা করেছে সেটা সম্পর্কে শুনে খুব মর্মাহত হলাম।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

এম ডি মুসা বলেছেন: ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আর বাড়াবাড়ি পছন্দ করি না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আজব লিংকন বলেছেন: ধর্ম নিয়ে রাজনীতির ঠিক না।
ধার্মিকেরা রাজনীতি করবে সেটার পক্ষে আমি।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫

দেখা হবে রাজপথে বলেছেন: আপনি এই মাজার আর ওই মাজারকে একসাথে গুলিয়ে ফেলছেন মিয়া ভাই।
আপনি জানেন এইসব বাজারে কত মেয়েকে ধর্ষণ করা হয় কত মেয়েকে গর্ভবতী করা হয়? কত মানুষকে ধর্মের নামে সর্বশান্ত করে দেয়া হয়েছে? নিজেকে আল্লাহ রাসূল দাবি করে এসব বাজারের পীর ও তার কিছু ভন্ড মুরিদরা মিলে কিভাবে দিনের পর দিন মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং ধর্ম ব্যবসা করে?
এদের মহা কুকর্মের লিস্ট যদি দেখতেন বা জানতেন অল্প পরিমাণও তাহলে এসব মাজার ভাঙ্গাকে আপনিও জায়েজ হিসেবে ধরে নিবেন। এর একেকজন ভয়ংকর জীবিত দানব শুধু তো মাজার ভেঙেছে মানুষকে হত্যা করেনি। বংশপরম্পরায় কোনো যোগ্যতা ছাড়াই এরা পীরের উপাধি নিয়ে মানুষকে শোষণ করতে থাকে অত্যাচার করতে থাকে। কেউ নিজের ঘরের ভিতরে কাবা শরীফ বানিয়ে বলে এখানে হজ্জ করতে, কেউ নিজেকে আল্লাহ বানিয়ে বলে তাকে সেজদা করতে; এগুলোতো ধর্মভিত্তিক অপকর্ম মাত্র।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আজব লিংকন বলেছেন: ব্যবসা হত জানতাম, এদেশের কোন জায়গায় ব্যবসা হয় নাহ? অনেক অনেক গুরুতর সিরিয়াস এলিগেশন লাগিয়েছে জনাব এ সব সম্পর্কে আমার জানা নেই। কিছু প্রমাণ দিয়ে অভিযুক্তদের আইনের আওত্তায় এতদিন নেওয়া হয়নি কেন?
পাপ ও অপকর্মের বিরুদ্ধে যেমন ঠিক তেমন মাজার ভাংগার বিপক্ষে।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ মাজার গুলাতে ভন্ডামী আর নেশার উৎসব চলে । এই সব চক্রদের মাজার ছাড়া করা উচিৎ । সব মাজার কেন্দ্রিক মাহাফিল ও অন্যান্য কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ করে দেয়া উচিৎ । মাজার থাকুক ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আজব লিংকন বলেছেন: সেটা তো আমিও চাই মাজার মাজার থাকুক। ভক্ত আশেক গণ ভক্তিতে মাতুক কিন্তু মাজার ভাংগার অধিকার এরা পেল কোথায়? এই আইন হাতে তুলে নেবার এরা কে?

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫

হাবিব ইমরান বলেছেন:

আপানারা তো ভাই মারাত্মক লেভেলের মানুষ। সব দিকেই আপনারা। বৃষ্টি যেদিকে, ছাতা সেদিকে টাইপ অবস্থা।

আপনারা বলেন ধর্মকে কিছু মানুষ ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছে। অথচ এরাই তারা, ধর্মের নামে মাজার ব্যবসা করে যাচ্ছে। এটা কি ঠিক? জায়গা মত আপনারাই ধর্মাবলম্বী মানুষদের অপমান করেন। আবার ভন্ডদের প্রতিহত করলে আপনারাই কান্না করেন।

আইন হাতে নিয়ে মাজার ভাঙার বিপক্ষে আমি।
তবে আইনী প্রক্রিয়ায় উচ্ছেদ করা হোক। ভন্ডামি পছন্দ করি না।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২

আজব লিংকন বলেছেন: ধন্যবাদ নিজে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দিলেন। আমি তাই বলি আইন হাতে নিয়ে মাজার ভাঙার বিপক্ষে আমি।
তবে আইনী প্রক্রিয়ায় উচ্ছেদ করা হোক। ভন্ডামি পছন্দ করি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.