নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংঙ্গালির শুদ্ধ শিল্প সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তাচর্চার দর্শনে দীপ্ত ।

আবুল কালাম আজাদ

লেখক / বিষয়: সমাজ সংস্কৃতি ও রাজনীতি

আবুল কালাম আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের বিপদ আছে!!!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৭


আওয়ামী লীগ কি গৌরবময় অতীতের ধারায় পরিচালিত হচেছ? বঙ্গবন্ধু দর্শনের আদলে কি শেখ হাসিনা দেশ চালাতে পারছে? আমি বুঝি রাজনীতি একটি আদর্শের জায়গা।রাজনীতির প্রধান শক্তি দেশের জনগন আর দলের নিঃস্বার্থকর্মীবৃন্দ,যারা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াচেছ। ।রাজনীতির মুলনীতি বির্সজন দিয়ে শুধু ক্ষমতা আকড়ে থাকা কতটা যুক্তযুক্ত? সেই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের আদর্শের অবমুল্যায়ন হয়,সাথে সাথে দলের আদর্শবান কর্মী ও সমর্থক উভয়েরই আত্মিক ক্ষতি সাধিত হয়। রাজনীতি কোন কৌশলের কিংবা আপসের জায়গা নয়।রাজনীতি হচেছ একটি সমাজ ও রাষ্ট্রে একটি আর্দশকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সেই আর্দশের সুফল দেশের জনগনকে উপহার দেওয়া।বুঝতে পারছি আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছেড়ে দিলে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি ক্ষমতা দখল করবে এটা নিশ্চিত।তাহলে আমি বলবো এই পরিস্হতির জন্য আওয়ামী লীগই কি দায়ি নয়?।আওয়ামী লীগতো যথেষ্ট সময় পেয়েছিল।কেন তাহলে এই মুল্যবান সময়গুলো নষ্ট করলো।শুধুমাত্র সেতু আর উড়াল সেতু নির্মানই দেশের উন্নয়ন নয়।সেতু ভিত্তিক প্রচারনার অন্তরালে আর মধ্যম আয়ের ভাওতা তুলে সাধারন মানুষের জীবন যাত্রাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে ।সরকারী আমলাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি,ব্যবসায়ীদের অবাদে রাজনীতিতে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে বৃটিশদের মত যে সুবিধাবাদী, মধ্যসত্ত্যভোগী মধ্যবিত্ত শ্রেনীর সৃষ্টি হতে যাচেছ এই শ্রেনীই আওয়ামী লীগের দিকে ভুমেরাং হয়ে আঘাত করবে। আনিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমুল্যের বাজার ,নৈরাজ্যময় পরিবহন সেক্টর,নিরাপত্তাহীন চিকিৎসাব্যবস্হা,শিক্ষায় নৈরাজ্য এই সবকিছু বুর্জোয়া,পুঁজিবাদি,অধিক মুনাফাখোর,অসাধু ব্যবসায়িদের নকশার কাছে আওয়ামী লীগের নীতি,নৈতিকত ,রাজনৈতিক আর্দশ,মুল্যবোধ অসহায় ও মুল্যহীন হয়ে গেছে।আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরিন গনতন্ত্রহীনতা ও রাজনৈতিক আদর্শহীনতা এইসব নৈরাজ্যের প্রতিফলন। এই সব অনিয়মের বিরুদ্ধে অতি সম্প্রতি স্কুল ছাত্রদের বিদ্রোহই প্রমান করে দেশের শাসনব্যবস্হা আজ কোন পর্যায়ে আছে।আওয়ামী লীগের তথা বঙ্গবন্ধুর মুল ধারার রাজনীতি (বঙ্গবন্ধু কৃষক,শ্রমিক ও সাধারন মানুষের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য রাজনীতি করেছিলেন) থেকে কেন আওয়ামী লীগ সরে গেল?কেন বেছে নিল ব্যবসায়ি ও আমলাতান্ত্রিক রাজনীতিকে?
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন।সময় পেয়েছিলেন ৫টি বছর(১৯৯৬-২০০১)।এই সময়ে শেখ হাসিনা সরকার দাবি করেছেন তার সরকার এই পাঁচ বছরে দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রন সহ,পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি,বিদুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি ,শিল্পায়ন,রাস্তাঘাট,শিক্ষা,স্বাস্হ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অভূতপুর্ব উন্নয়নের ধারা সুচিত হয়েছিল।বিষয়টি তিনি ২০০৮ সালের ১২ই ডিসেম্বর নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষনার সময় বলেছিলেন।এত উন্নয়ন করার পরও ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে যায়।বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে জয়লাভ করার পরও সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারলো না আওয়ামী লীগ।তাহলে কি ভুলত্রুটি ছিল এই ৫ বছরের শাসনে? আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নীতি নির্ধারকরা অবশ্যই বিচার বিশ্লেষন করেছেন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও গ্রহন করেছিলেন।যার প্রতিফলন দেখলাম ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে "ডিজিটাল বংলাদেশ নির্মান ও ভিশন-২০২১ সাল" ঘোষনা।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই দিন ১২ই ডিসেম্বর'২০০৮ইং তাঁর ভাসনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন যে নতুন প্রজন্মের উজ্জল ভবিষৎ নির্মানের উদ্দেশ্যে "ডিজিটাল বংলাদেশ নির্মান ও ভিশন-২০২১ সাল"
ঘোষনা দিয়েছিলেন।শেখ হাসিনার সেই আখাংকারও ব্যর্থ নমুনা দেখলাম প্রায় দশ বছর পর ঢাকার কিশোর বিদ্রোহের মাধ্যমে। তাহলে বুঝতে হবে যে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের সঠিক সিধান্ত গ্রহনে অপরিপক্ষতা ও কিভাবে গনতান্ত্রিক ভাবে সাধারন মানুষের ভালবাসা নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় সেই পথে চলার অঙ্গিকারের দুর্বলতার সাংগঠনিক বিচ্যুতি।জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অবস্হায় ক্ষমতা গ্রহনের পর গোটা দেশের মানুষের সমর্থন ভালবাসা আওয়ামী লীগের যে কোন বিপ্লবী রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পরিবর্তননে জন্য অনুকুল ছিল।দেশের মানুষ মানসিক ভাবে প্রস্তুুত ছিল যে এবার হয়তো আওয়ামী লীগের মাধ্যেমে কিছু একটা পরিবর্তন হবে।কিন্তু না তা হলো না।হলো বিপরীতটা।আওয়ামী লীগ বেমানুন ভুলে গেলেন দলের নিঃস্বাষর্থ কর্মী ও সাধারন জনগনের কথা। ক্ষমতায় আরোহন করেই ক্ষমতায় কি ভাবে টিকে থাকা যায় তার জন্য কাজ করতে লাগলেন।সাধারন মানুষের রাজনীতি ছেড়ে শুরু করলেন ক্ষমতার রাজনীতি।দলে ক্রমশ কোনঠাসা হতে থাকলো প্রগতিশীল ধারার নেতারা।সামনের সারিতে এগিয়ে আসলেন মৌলবাদীও সাম্রাজ্যবাদী দালালেরা।আওয়ামী লীগেকে ইসলামীকরনের রাজনীতি প্রাধান্য পেল দলের অভ্যন্তরে।যার কারনে প্রগতিশীল আওয়ামী সর্মথক ও কর্মীরা বিকল্প প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির সন্ধান করছে।এই ভাবে আওয়ামী লীগ ক্রমশ তার নিজস্বতাকে হারাচেছ সাথে জনপ্রয়তাকেও।
১৯৯৬ সালের জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা দলটি আজ ২০১৮ সালে এসে জনপ্রিয়তার একেবারে নিন্মে অবস্হান করছে।যার কারনে তারা গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতেও ভয় পাচেছ।আওয়ামী লীগে স্বীকার করুক আর না করুক আওয়ামী লীগের যে জনপ্রিয়তা কমেছে এটা সত্যি।শুধুমাত্র মিছিলে মিটিংয়ে লোক বেশি বেশি দেখালেই জনপ্রিয়তা বেশি সেটা প্রমান করে না।একটি রাজনৈতিক দলে জনপ্রিয়তা নির্ভর করে সেই দলের নেতা কর্মীদের দলের মৌলিক আর্দশগুলোর সঠিক মুল্যায়ন ও চর্চার মধ্য দিয়ে।যেটি বর্তমান আওয়ামী লীগে অনুপস্হিত।
বঙ্গবন্ধু যে সব কারনে একটা সময় (২৪ ফেব্রুয়ারি'১৯৭৫) আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছিলেন ঠিক সেই কারনগুলোরই আধিকাংশ লক্ষন সমুহ এখনকার আওয়ামী লীগের মধ্যে দৃশ্যমান।শুধু পার্থক্য একটাই বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজের দলের লোকজনের অপকর্ম,ঘোষ,দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন।আর শেখ হাসিনা সেটা করতে পারছেন না।বরং দুষ্কৃতিকারী দলীয় নেতাদের পক্ষে কথা বলছেন।সেটা আমরা দেখেছি অর্থমন্ত্রীর বিভিন্ন অসংলগ্ন বক্তব্য ও শেয়ার বাজার কেলেংকারী ,সোনালী ব্যংকের অর্থ আত্যসাত কেলেংকারী সহ সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যংকের অর্থ চুরির ঘটনায় প্রধান মন্ত্রীর নিঃষপ্রভ ভুমিকা ।তাছাড়া অতি সম্প্রতি পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্য নিয়ে মন্ত্রী শাহজাহান খানের বিব্রতকর আচরন ও বক্তব্যের পক্ষে প্রধান মন্ত্রীর ভুমিকা।আর যাই হোক এই সবের কারনে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেছে বটে বাড়ে নাই।
বঙ্গবন্ধু তার এক সাক্ষাতকারে বলেছেন -আমার রাজনৈতিক কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে আমি সাম্রাজ্যবাদের প্রতিনিধি বহুজাতিক পুঁজিবাদী শোষক, তাদের সংস্থা সমূহের লগ্নিকারবার এবং তাদের এদেশীয় সেবাদাস, এজেন্ট, উঠতি ধনিক গোষ্ঠীর একচেটিয়া শোষণ ও অবৈধ প্রভাব প্রতিপত্তি-দুর্নীতি-প্রতারণার সকল বিষদাঁত ভেঙ্গে দেবার ব্যবস্থা করেছি। এজন্য তাদের আঁতে ঘাঁ লেগেছে, তাই তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।
এখন আমরা কি দেখছি - বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উপরোক্ত সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান/প্রতিনিধি ও ধনিক শ্রেনীর পুঁজিবাদী এজেন্ট সমুহকে তার সহযোগী হিসাবে গ্রহন করে নিয়েছে।তাতে বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি কিভাবে আমার জানা নেই।
বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি বিকাশে নিঃস্বার্থ ভাবে অবদান রেখেছে এদেশের প্রগতিশীল শিল্পী,সাহিত্যিক,লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা ।তাদের চর্চার পুরো ফসলটাইতো আওয়ামী লীগের জুড়িতেই গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার প্লাটফর্ম কিন্তু এই শিল্পী,সাহিত্যিক,লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরাই তৈরী করেছিল।অথচ তারাই আজ অবহেলিত ও কোনঠাসা।

আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা সহ প্রসাশনিক আমলা চামচা চাটুকাররা সকলে মিলে শেখ হাসিনাকে একটি অন্ধকার গহব্বরের দিকে টেনে নিয়ে যাচেছ।সেই অন্ধকার গহব্বর হচেছ পুঁজিবাদ ,মৌলবাদ ,অপসংস্কৃতি ,অশিক্ষা-কুশিক্ষা , অনৈতিকতা,ঘুষ-দুর্নীতি,অনিয়ম ও বর্বরতার আখড়া।যেখান থেকে ফেরার আর কোন পথ তিনি খুঁজে পাবেন না।
আওয়ামী লীগের জন্য খুব বিপদ অপেক্ষা করছে।এটাই শেষ কথা।

লেখকঃআবুল কালাম আজাদ
১৯/০৮/২০১৮ইং

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৭

অক্পটে বলেছেন: এতো সত্য কথা লিখেছেন, উচিত কথা শুনতে অনেকেই নারাজ হবে। তবে আপনার বিষ্লেষন নির্মোহ মনে হয়েছে, একেবারে দলান্ধ মনে হয়নি।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি লিখেছেন, "বংগবন্ধুর দর্শনের আদলে কি শেখ হাসিনা দেশ চালাতে পারছে?"

-প্রশ্ন: বংগবন্ধুর দর্শনটা কি?

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "বংগবন্ধু যেসব কারণে একটা সময় (...) আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছিলেন ..."

-শেখ সাহেব তা'হলে ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগকে "নিষিদ্ধ" করেছিলেন?

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোরবাণী কাছে এলে, উদ্ভট ধরণের রাজনৈতিক পোষ্টের সংখ্যা বাড়ে!

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৯

বিলুনী বলেছেন: ৭২ থেকে ৭৫ সময়কালের পুরানো কায়দায় কাল্পনিক কথাবার্তায় বর্তমানে বিশেষ কোন কাজ হবে না বলেই মনে হয় , এতে করে অন্দোলন যে তেমন জমে উঠবেনা তার দুটো প্রমানতো খুব অল্প দিনের ব্যবধানেই দেখা গেছে । আবার আগের মত তৃতীয় কোন শক্তিকেও ডেকে আনা যাবে বলে মনে হয় না । আওয়ামীলীগও বুজে গেছে কোথা হতে , কিভাবে, কোন পথে বিপদ আসে । তাই আওয়ামীদের ছিদ্র অন্বেষন না করে নীজেদের কৃত কর্ম সম্পর্কিত বিশ্লেষনী পোষ্ট দিলে ও জনগনের কাছে নীজেদের দোষক্রুটির বিবরন দিয়ে কান্নাকাটি করলে হয়তবা আওয়ামী লীগের কিছুটা বিপদ হলেও হতে পারে, অন্য কোন পন্থায় নয় । আওয়ামীলীগ আর আগের মত ঘুমিয়ে নেই , মনে হয় নাক মুখ চোখ খোলা রেখেই পথ চলছে । তাই অতীতের কৌশলের পথে চললে তেমন কোন ফায়দা হবেনা বলেই মনে হয় । এখন সকলেই সকলের ভুজং বাজং পরিস্কার বুঝে, এবং সেভাবেই নীজেদের পথ তৈরী করে নেয়, কার্যকরী পাল্টা ব্যবস্থা নিতে তেমন কোন বেগ পেতে হয়না বলেই দেখা যায় । আওয়ামীলীগ গনতান্ত্রিক পথে হাটছেনা কিংবা অন্যেরা গনতান্ত্রিক পথে হাটতে চাচ্ছেনা সে এক বিরাট প্রশ্ন । মাওলানা ভাষানীর মত জনপ্রিয় নেতা বলেছিলেন '', ..... জনগন রইল তোদের নির্বাচন , চললাম আমি নির্বাসনে ''। নির্বাচন বয়কট করে তিনি সেই যে সন্তুসে নির্বাসনে গিয়েছিলেন নির্বাচনে আর ফিরতে পারলেননা তাঁর জীবন কালে । বিষয়টা জানা থাকলে অনেকের জন্য ভাল হবে, তা না হলে পরিনতি কি হবে তা কি আর বলতে হয়! হয়ত বা কালের গর্বে হারিয়েইই যাবে । আওয়ামীলীগ তখন হয়ত চাইবে ভাষানী ন্যপের মত বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের একটি ক্ষীন ধারা মৃদু তালে বয়ে চলুক । অবশ্য বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের বর্তমান প্রকাশ্য অবস্থান সে রকম পরিনতিরই পরিস্কার ঈঙ্গিত দিচ্ছে । বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক চলার পথ কোনসময়ই কুসুমাত্তীর্ন থাকেনা, কন্টক মারিয়েই তাকে পথ চলতে হয় । ঘরে বসে বিবৃতি দিয়ে কিংবা দুরে নিরাপদ কোথাও বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝর তুলে কাজ তেমন হবে বলে মনে হয়না , এই অস্রটিও এখন মনে হয় ভোতা হয়ে গেছে । ইত্যাকার বিবিধ কারণে আওয়ামীদেরদের থেকে বিপক্ষদেরই বিপদের মাত্রাই বেশী দেখা যাচ্ছে ।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৪৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বঙ্গবন্ধু নিজের স্বপ্ন, কথা, ভাবনা সাধারণের কাছে পৌছে দিতে পারেন নি। তাছাড়া গাজীর মতো সন্ত্রাস'রা তখন পার্লামেন্টে ছিলো। তাদের অপকর্মের বিনিময়ে উনাকে জীবন দিতে হয়েছে।

শেখ হাসিনা চোর-ছেচ্চড়দের কারণে উনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। আর স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ হারানোর ভয়ে তাদের ছাড়তেও পারছেন না। এতে সমস্যা বাড়ছে। ফলাফল ভালো হবে না।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: যে জিজ্ঞাসা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলে, জেগে উঠেছ কোন উত্তর নিয়ে?

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

বঙ্গম্যান বলেছেন: শেখের মেয়ের চেয়ে শেখের আদর্শ আপনেরা বেশি বুঝেন? শেখ হাসিনা যা করছেন এগুলাই শেখ মুজিবের আদর্শ। যেমন-
- একনায়কত্ব, এরশাদের মত কিউট বিশেষ দূত মার্কা একনায়কত্ব না, নৃশংস এবং যে কোনও মূল্যে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার একনায়কত্ব।
- যে কোনও প্রকার ভিন্নমতে পরম অসহিস্নুতা এবং দমন পীড়ন- মনে পড়ে রক্ষি বাহিনীর হাতে মানুষ হত্যা? সংসদে কি বলা হয় নাই 'কোথায় আজ সিরাজ সিকদার'? বলা কি হয় নাই 'লাল ঘোড়া দাবড়ায়ে দেবো' ? আজকে কি বলা হয় না যে এটা কোনও আন্দোলন হল? কিছুই তো করতে পারে নাই।
- শেখের প্রতি অন্ধ আনুগত্য দেখাতে পারাটাই সবচেয়ে বড় যোগ্যতা। আপনি যত বড় চোর, ডাকাত, লুটেরা, যৌন নির্যাতনকারী হন না কেন, শেখ যদি বুঝে আপনি তার সাপোর্টার তাইলে সব মাফ (শামিম অসম্মান, বদি, জয়নাল হাজারি, বিশ্বজিতের খুনিরা, দিনের আলোয় যৌন নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ, শেয়ার বাজার, ব্যাংক লুটেরারা, প্রতিটি দিন জনগণকে নিষ্পেষণ করা পরিবহন খাতের নেতারা, ৭৫ এর আগের চাটার দল, কম্বল চোরের দল, খুন, রাহাজানি করা লোকজন, কালবাজারি করা, দুরভিক্ষ সৃষ্টিতে অবদান রাখা আওয়ামীরা )।
- রাষ্ট্রের বা জনগনের সব সম্পত্তি শেখের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি। শেখের লোক হলে শেখ লন্ডনে হাই কমিশনে অদরকারি পদ সৃষ্টি করে রাষ্ট্রের পয়সায় আপনাকে ব্যারিস্টারি পড়াবে। (সুত্রঃ রক্ষীবাহিনীর অজানা অধ্যায়, সরওয়ার হোসেন মোল্লা, পৃষ্ঠা- ১৯। এই সরওয়ার ছিলেন আওয়ামী ক্যাডার এবং রক্ষীবাহিনীর প্রতিষ্ঠাকালীন )। গুরুত্বপূর্ণ এবং অগুরুত্বপূর্ণ সকল রাষ্ট্রীয় পদ পদবী এবং সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির মাপকাঠি হবে পীর এ গোপালগঞ্জির মুরিদি করা। রাষ্ট্রের পয়সায় পোলাপান কম খরচে সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, শেখের মেয়ে এমনভাবে বলে যেন ওর নিজের পয়সায় ছাত্রদেরকে পালছে, এরা কোন সাহসে আন্দোলনে নামে। এরকম অশ্লীল অপমানজনক কথা পাকিস্তানী শাসকরাও মুখে আনতে পারে নাই।

- এক নেতা, এক দেশ। তার দাসত্ব করা ছাড়া আর কারো এই দেশে নেতাগিরি করা নাজায়েজ।
- আওয়ামী লীগের মত বহুজনের শ্রম ঘামে গড়ে ঊঠা একটি রাজনৈতিক দলকে পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত করা। জিয়া নিজের গর্দানের রিস্ক নিয়ে শূন্য থেকে নিজের দল তৈরী করেছেন। একটি প্রতিষ্ঠিত দলকে লালসালুর মজিদের মত নিজের মাজার বানায় ফেলে নাই।
- সবার উপর চাপাবাজী সত্য তাহার উপরে নাই। শেখেরা মনে করে তারাই সব বুদ্ধিমান আর বাংলার মানুষ ভেড়া। মুখে কয় স্বাধীনতার কথা , আর ৭-২৫ মার্চ লাইন ধরে শেরাটনে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বা অন্য কোনো প্রকার ক্ষমতা ভাগাভাগির আলোচনা করে। স্বাধীনতার সংগ্রামের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা বা প্রস্তুতি না থাকায় সময়মত ভদ্রভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের জেলখানায় আতিথ্য নিতে যান। বাংলাদেশীরা যখন তাকে ছাড়াই দেশ স্বাধীন করে ফেলে, তখন অবশ্য ফিরে এসে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিতে বাঁধে না। উন্নয়নের মূলা আয়ূব খান দেখাইত। এটা আওয়ামী লীগের নতুন আবিষ্কার না। উন্নয়ন যেন আগে হয় নাই, সামনেও হবে না, আর যা হইসে সেটা জনগণের পয়সায় না, আওয়ামীলীগের পয়সায় হইসে।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @ বঙ্গবন্ধু যে সব কারনে একটা সময় (২৪ ফেব্রুয়ারি'১৯৭৫) আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছিলেন ঠিক সেই কারনগুলোরই আধিকাংশ লক্ষন সমুহ এখনকার আওয়ামী লীগের মধ্যে দৃশ্যমান।শুধু পার্থক্য একটাই বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজের দলের লোকজনের অপকর্ম,ঘোষ,দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন।আর শেখ হাসিনা সেটা করতে পারছেন না।বরং দুষ্কৃতিকারী দলীয় নেতাদের পক্ষে কথা বলছেন
... এই কথাটাই ক'জন বোঝে??



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.