নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাযহাব ও তরীকা

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১২

মাযহাব ও তরীকা দুটো মানাই ফরজে আইন ।
কারন কোনটাই কেউ ইচ্ছে করে তৈরী করেনী । স্বয়ং আল্লাহ
তৈরী করেছেন । চার মাযহাবের ইমামের নিকটই খিযির ও
জীবরাঈল (আঃ) নাযিল হয়েছেন । খিযির (আঃ) কমপক্ষে
দুইবার আর জীবরাঈল (আঃ) অসংখ্যবার । খিযির (আঃ)
প্রথমবার পরিচয় দেন না , শুধু কিছু মূলনীতি বলে
চলে যান , আর জীবরাঈল (আঃ) প্রথমে হৃদয়ে কথা
ঢেলে দেন , পরে লোক সমাগমে জোরে কথা
বলেন , যা ঐ ব্যাক্তীই শুধু শুনতে পায় । তারপর
আকৃতি ধরে দেখা করেন । এটা তরীকার ক্ষেত্রেও ।


প্রধানত তরীকা চারটি , আর বিশেষ ও মহামূল্যবান
তরীকা হলো ওয়ায়েসী তরীকা । এর বাইরে অন্য তরীকাগুলো
তেমনভাবে গ্রহনীয় নয় অথবা গন্তব্যে পৌঁছতে অত্যন্ত দেরী হয় ।
ওয়ায়েসী তরীকায় পীরের নিকট যেতে হয় না । তাকে
ওসীলা ধরে সাধনা করলেই হয় । এটা সুবিশাল
কঠিন । কারন সাধনা পদ্ধতিগুলো নিজেকেই ঠিক
করতে হয় । সবকিছুই মহান আল্লাহ নিয়ন্ত্রন করেন ।

ইমাম আবুহানিফাকে খিযির (আঃ) একটা হাদীস বলে চলে গেলেন
যে , ইসলামকে কখনও কঠিন করে উপস্হাপন করো না
এবং ইজতেহাদ কর । যাতে মানুষ পথ পায় ।

আবার কোন কোন সময় কোন বিপদের সন্মুখীন হলে
জীবরাঈল (আঃ) তার সমাধান বলে যেতেন ।
তবে এটা হঠাৎ হঠাৎ হত ।
এভাবে মালেকী শাফেয়ী হাম্বলী মাযহাবের ক্ষেত্রেও এরকম
ঘটেছে । তারা ভিন্ন ভিন্ন মাসয়ালা উদ্ভাবন করলেও , আল্লাহর
নিদের্শেই এটা করেছেন । নিজের মনের চাহিদায় কিছু করেননি ।

এইভাবে প্রায় ১০০০ বছর পূর্বে ইমাম গাজ্জালী
শরীয়ত ও তরীকতের সুপ্রশস্ত ইজতেহাদ করে গেছেন ।
তারপর শরীয়তের ইজতেহাদের পথ বন্ধ হয়ে যায় ।

হে বিশ্বাসীগন প্রায় ১০০০ বছর পর বতর্মানে
এক ব্যাক্তিকে আল্লাহ ইজতেহাদের নিদের্শ দিয়েছেন ,
যার মূলনীতিও একটি হাদিস , যেমন - রাসুল (সাঃ) বলেছেন
এমন এক সময় আসবে যে , যখন ইসলামের
আদেশ ও নিষেধের ১০ ভাগের ১ ভাগ পালন করলেও পরকাল
মুক্তি পাবে । প্রায় ১০০০ বছর পূর্বে ইমাম গাজ্জালী
এবং ৪০০ বছর পূর্বে মুজাদ্দিদে আলফে ছানী (রঃ)
সেই সময় এসে গেছে বলে , বলে গেছেন ।

(সংক্ষেপিত)

( ডাঃ আকন্দ ) ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.