নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায় যে , সারা বিশ্বের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এলোপ্যাথি যতটা পরিধি নিয়ে কাজ করে , হোমিওপ্যাথি তার ধারে কাছেও নেই । এমনকি যেখানে হোমিওপ্যাথির স্বর্গরাজ্য সেখানেও নেই । আর এটাই বাস্তবতা ।
কিন্তু আপনি যদি হোমিওপ্যাথি পড়েন এবং বিশদভাবে পড়েন , তাহলে আপনার মনে হবে পৃথিবীতে মানুষের জন্মই হয়েছে হোমিওপ্যাথি চর্চার জন্য । কারন হিসেবে বলা যায় , এসব যারা লিখেছেন , তাদের অধিকাংশই ধর্মভীরু ছিলেন না এবং তারা নিজ লেখাকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে , দেখ আমি কত জ্ঞানী এবং আমি একমাত্র মহান বিষয়ে বিজ্ঞ ।
অথচ পৃথিবীতে শুধু মুসলিম সুন্নি মাযহাবধারী আধ্যাত্মিক লোকেদের বই থেকেই অহংকারের গন্ধ আসতে পারে ( অন্য দলের ব্যাপারে আমি জানি না ) । কারণ তারা ইবাদাত করতে করতে , তাদের চিন্তা - চেতনা , হাত - পা , মুখ ইত্যাদি আল্লাহর হয়ে গেছে অর্থাৎ আজ্ঞাবহ হয়ে গেছে । এসমস্ত লোকের চিন্তা - চেতনা , হাত - পা , মুখ ইত্যাদির সামান্য নাড়াচড়াও ব্যাক্তিগত না , বরং আল্লাহর আজ্ঞাবহ ।
যাই হউক এসব হোমিওপ্যাথিক সাহিত্যে ধর্মের মূল্যায়ন অধিক তো দূরের কথা মোটামোটিও নেই । যদিও কেউ বিতর্ক করবেন । এরা আসলে দুনিয়াদার কবিদের মত স্বপ্নে বাস করেন । কারণ হিসেবে আমি বলতে পারি , কোন বিজ্ঞানই হোমিওপ্যাথির মত এত সাহিত্য হতে পারে না । সত্যিকার অর্থে এরা স্বপ্নের ভিতরে বাস করেন ।
মূলত আমি এখানে ধর্মের অবতারণা করেছি এজন্য যে , কুরঅান ও বিজ্ঞান একে অপরের পরিপূরক , আর এজন্য আপনি কুরআন ও বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন বই পড়ে দেখতে পারেন । তাছাড়া হোমিওপ্যাথি কিছুটা হলেও তো বিজ্ঞান ।
উপরোক্ত আলোচনা অনুযায়ী আমাকে কেউ এলোপ্যাথির দালাল বলতে পারেন । কিন্তু আমি জানি আমি কি করছি । আমি অবশ্যই বাস্তববাদী এবং স্রষ্টায় বিশ্বাসী এক সত্য প্রচারকারী ।
হোমিওপ্যাথি পৃথিবীকে শান্তিতে বসবাসকারী গ্রহ মনে করে । তুমিও যদি এরকম মনে কর , তাহলে আমি বলব তোমার মত মূর্খ আর ২য়টি নেই । কারণ পৃথিবীতে হিংসা - ঈর্ষা , যুদ্ধ - বিগ্রহ থাকবেই এবং এর দ্বারাই স্রষ্টা মানুষকে পরিক্ষা করবেন । কিন্তু হোমিওপ্যাথি স্বপ্ন দেখায় শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর , যা দীর্ঘ সময়ের জন্য কোনদিনই সম্ভব না । এটা একটা অলীক কল্পনা । আর এজন্যই এলোপ্যাথি প্রায় সর্বদা মূল চিকিৎসা হিসেবে বিবেচিত হবে । কোন সন্দেহ নাই ।
হোমিওপ্যাথি শুধু incurable বলেই খালাস , অথচ এলোপ্যাথি দায়িত্ব কাঁধে নিতে ভালবাসে । আর যারা পালিয়ে যায় তারা কখনোই ভাল মানুষ হতে পারে না এবং যারা মানব কল্যাণে ফেলে দেওয়া বিষয় নিয়ে কাজ করে তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ । TB , Diabetes , AIDS , Hepatitis - B ইত্যাদি ফেলানো রোগ নিয়ে এলোপ্যাথি নিরন্তর গবেষণা করে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু সফলতাও পাচ্ছে । তাছাড়া বৃহৎ accidental , বৃহৎ surgical case তো এলোপ্যাথির একমাত্র অধিকারে , replacement surgery , transplant surgery ( এগুলোর অর্থ দেখে নিবেন ) অবশ্যই এলোপ্যাথিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে । যেটা অন্য প্যাথিতে কল্পনার বিষয় । আর হোমিওপ্যাথিতে এগুলোর গবেষণার ফল জিরো ।
টাইপ করা আমার নিকট দূরহ একটি কাজ , তাই লেখাটা দীর্ঘায়িত করতে পারছি না । অতঃপর আমি আল্লাহর কছম করে বলছি , পৃথিবীতে আমি সত্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবই , যদিও সেটা শুধু নিজের উপর প্রতিষ্ঠা করতে পারি ।
পৃথিবীতে অনেক প্যাথি আছে এবং সবারই কিছু ব্যাক্তিগত কার্য্যক্ষেত্র আছে । এরা সবাই যার যার ক্ষেত্রে ভাল কিছু করে দেখাচ্ছে । আর হোমিওপ্যাথি যদি স্বপ্নময় ব্যাখ্যা দ্বারা মানুষের ক্রোধকে না বাড়িয়ে দেয় , অতঃপর আশা করা যায় , এই গ্রহের জন্য কোন কোন সময় এটা প্রধান বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং কখনই প্রধান চিকিৎসা ব্যাবস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে না । তবে স্বপ্নে হতে পারে ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১০
সুমন কর বলেছেন: তবুও দেখা যাচ্ছে অনেকে চর্চা করে যাচ্ছে।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৫
নতুন বলেছেন: হমিওপ্যাথি সুডো সায়ান্স... মানুষের শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলতে চেস্টা করে যাচ্ছে নিরন্তর.... সেই জিনিসটাকেই কাজে লাগায়...
আর হোমিওপ্যাথি প্রমানিত কোন বিষয়না... এটার সম্পকে জনগনকে সচেতন করা ডাক্তার হিসেবে আপনার কতব্য`।
এই বিষয়ে আমার কয়েকটা ব্লগ আছে...