নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঈদে মিলাদুন্নবী ( সাঃ ) এর অর্থ হলো নবী ( সাঃ ) এর আগমনের দিনে খুশি উদযাপন করা । এটা হতে পারে টাকা খরচ করে মানুষকে খাওয়ানো অথবা পরিবারকে খাওয়ানো । হতে পারে কোরান হাদিসের আলোচনা করা , ছুটি কাটানো ইত্যাদি । আর যেহেতু নবী ( সাঃ ) একই দিনে ইনতেকাল করেছেন , সেজন্য দিনটাকে অবশ্যই ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করা আরো সহজ । তাই এইদিন উপলক্ষে বেশি বেশি দরুদ পড়া , নফল নামাজ পড়া , রোজা রেখে নবী ( সাঃ ) এর উপর ছওয়াব রেছানী করা যায় এবং এর মাধ্যমে দিনটাকে ইসলামী সংস্কৃতির অনন্য দিন হিসেবে পালন করা যায় । কোন সন্দেহ নাই ।
রাসুল ( সাঃ ) এর জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন আসলেই কি একেবারে সাধারণ একটি দিন , নবী ( সাঃ ) কি একজন সাধারণ মানুষ ( নাউজুবিল্লাহ ) ছিলেন । তার পৃথিবীতে আগমনের দিনে মুমিনগন কি কোন আনন্দ করবে না । সত্যিকার অর্থে , নবী ( সাঃ ) এমন একটি হীরাখন্ড ছিলেন , যে হীরার মূল্য আল্লাহ ব্যাতীত সকল কিছুর চাইতেও অনেক বেশি । তাছাড়া নবীদের মৃত্যু সাধারণ মানুষের মত গভীর মৃত্যু না । তাহারা বিশেষ অবস্থায় কবরে জীবিত থাকেন , এমনকি তাদের দেহ পর্যন্ত কিছুমাত্র নষ্ট হয় না । এই কারণে নবী ( সাঃ ) এর মৃত্যুর চাইতে জন্মের গুরুত্ব বেশি । তাই এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে , ঈদে মিলাদুন্নবী ( সাঃ ) পালন করা একটা বিদআতে হাসানাহ এবং প্রচুর সওয়াবের কাজ ।
আলোচনা লম্বা করা যায় , কিন্তু আমি সংক্ষেপে বলছি । দ্বীনের মাঝে নতুন হাজার হাজার পদ্ধতি নতুনভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে । অধিকাংশ দল এই হাজার হাজার নতুন পদ্ধতিকে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে এবং চরম হাস্যকর যুক্তি দিয়ে বলছে যে , এগুলো বিদাআত নয় । যেমন - মসজিদে চাকচিক্য , জামা - কাপড়ে চাকচিক্য , মাদ্রাসা সৃষ্টি ইত্যাদি । অপরদিকে সত্যিকারের সুফিগন যদি কোন আমলকে বিদআতে হাসানাহ বলেন , সেখানেই যত আপত্তি ।
সত্যিকারের সুফিগন যখন প্রত্যেক আমলের কোরান হাদিস থেকে দলিল দেন , তখন তারা বলে এগুলো তো বুখারীতে নাই , মুসলিমে নাই , আর কোরানের ব্যাপারে বলে - তোমরা কুরানের অর্থ জাননা । আসল সত্যি হলো সত্যিকারের সুফিগনই কোরানের আসল অর্থ জানেন । উদাহারণ হিসেবে বলা যায় , ইসলামিক সম্মেলন , টিভি নেটে বক্তৃতা , বই ছাপানো , অনেক ধরনের পোশাক , আচার অনুষ্ঠান এগুলোও তো বিদআত । কিন্তু তোমরা খোঁড়া যুক্তি দিয়ে এগুলো অস্বীকার করছ । তাছাড়া , আজকাল তো মাযহাব তরিকা মানা অধিকাংশ দলগুলোও ঈদে মিলাদুন্নবী ( সাঃ ) পালন করাকে বিদআত বলে চিৎকার করছে । এসব আলোচনা শুনলে সাধারণ মানুষ না হেসে পারবে না ।আসলে মাযহাব তরিকাই তো বিদআত , তাহলে মিলাদ ক্বিয়াম বিদআত হলে দোষ কি ?
আলোচনা লম্বা করা যায় , কিন্তু অত টাইপ করা সম্ভব না । আমি যেটা বলছি তা শোন - আগে নামাজ পড়া শিখ , নামাজে আল্লাহকে দেখা শিখ । তবেই বুঝতে পারবে কোনটা ইসলাম এবং কোনটা ইসলাম নয় । তুমি যদি চক্ষুষমান হও , অতঃপর যারা ঈদে মিলাদুন্নবী ( সাঃ ) পালন করে না , তুমি তাদের অন্তরকে অন্ধকারাচ্ছন্ন দেখতে পাবে এবং তারা তোমার সাথে নামাজ পড়লে তুমি চাক্ষুষ দেখবে যে , তাদের হৃদয় থেকে অন্ধকার তোমার হৃদয়ে প্রবেশ করছে । তোমার নামাজে একনিষ্ঠতা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে ।
আরেকটা সাবধান বাণী করছি - অমুসলিমরা যেমন মুসলমান সহ্য করতে পারে না , তেমনি সকল ইসলামী দলেরা সত্যিকারের সুফিবাদ ইসলাম দেখতে পারে না । সকল মুসলমানদের মাঝে যেমন অসংখ্য দল আছে , তেমনি সুফিদের মাঝেও অসংখ্য দল আছে । যেসব সুফি ও তাদের ভক্তরা মানষের ভাল দেখলে জ্বলে পুড়ে মরে এবং মানুষকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে ও খারাপ বুদ্ধি দেয় , তারা শতভাগ মুনাফিক এবং চিরজাহান্নামী । কোন সন্দেহ নাই ।
বর্তমান সময়ে প্রায় সম্পূর্ণ দূর্বল মানুষের দুনিয়ায় আরেক ধরনের অনেক দল আছে , যারা ধর্মকে অসম্ভব কঠিন করে মানুষের সমনে উপস্থাপন করে , আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি , এরা কখনোই জান্নাতের গন্ধ পর্যন্ত পাবে না ।
অতএব , যারা মানবাধিকারকে পূর্ণভাবে মেনে চলে , মানুষকে খারাপ বুদ্ধি দেয় না , মানুষের খারাপ চায় না এবং ধর্মকে কঠিন করে উপস্থাপন করে না , তারাই সত্যিকারের সুফি এবং তাদেরকেই মেনে চল ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৩৮
নতুন বলেছেন: রাসুল সা: একই দিনে জন্মগ্রহন এবং মারা গেছেন এটা কোথায় পেলেন?
তিনি মারা গেছেন সেটা রেকড` করা সাভাবিক....
কিন্তু তার জন্মদিন কিভাবে পেলেন? তিনি তো জন্মের সময় বিখ্যাত ছিলেন না...
মিলাদুন নবীর অনুস্ঠান করে কিছু পীরের অনুসারীরা... যাতে কিছু ধান্দা হয়... সেই কারানে...
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০১
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর একটি পোষ্ট।
এই পোষ্ট টা গত ২১ তারিখ দিলে বেশি ভালো হতো।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০০
ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ডাঃ আকন্দ- জনাব, ইহুদি নাসারারা যখন পৃথিবী হতে 54.6 মিলিয়ন কিলোমিটার দূরের মঙ্গলগ্রহে একের পর এক space probe পাঠাচ্ছে , তখনও .....তখনও আপনারা মুমিন মুসলিমরা মিলাদ সহীহ না বেদাত, বিবি তালাকের সঠিক ফতোয়া, বুকের উপর হাত না নাভীর উপর হাত , আমিন জোরে না আস্তে , পীর ধরা জায়েজ না হারাম এইসব বিষয় নিয়ে মেতে আছেন।
মেধা ও চিন্তাশক্তির কি নিদারুণ অপচয় ! কেয়ামতের আগেও আপনাদের মতপার্থক্য দূর হবে না !
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
⓪ বলেছেন: রাসূল (স) জন্মগ্রহণ করেছেন ২২ এপ্রিল এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ ই জুন। একই দিন হল কি করে?
হিজরী সাল ধরলে একাদশ হিজরী সালের ১২ই রবিউল আউয়াল মাসে তাঁর ওফাত হয়, জন্মও যে ঐ তারিখেই হয়েছিল, তার প্রুফ কি? ওনার জন্মের সময় হিজরী সাল বলেও কিছু ছিলনা, আর রবিউল আউয়াল বলে কোন মাসও ছিলনা।
কোন এক শিয়াল ওয়াজ নসিহত করার সময় হুক্কা হুয়া করে একটা চাপা ছাড়ল, আর বনের সব শিয়ালই সত্য কি না জেনেই তার সাথে হুয়া হুয়া করে উঠল। পাঠার জাত যতসব!
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে একাট বিশাল সংশোধনী মন্তব্য দেব ভেবেছিলাম কিন্তু নীচে এসে দেখালাম ঋণাত্মক শূণ্য আর নতুন আর ⓪ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বলে ফেলেছেন। আমি আপনাকে একটা হাদিস সনদ সহ নীচে দিলাম। আপনি এটা প্রথমে পড়বেন তারপর এর উত্তর দিবেন আশা করি।
বিদায়াত আপনারাই সৃস্টি করেন, মনে রাখবেন রোজ হাসরের ময়দানে এর উত্তর এবং দায়ভার একমাত্র আপনাকেই দিতে আর নিতে হবে। মনে রাখবেন, যারা এই সব হাসানা ফাসানা নামক বিদায়াত সৃস্টি করেছেন, সেই দিন তাদের কাউকে আপনার হয়ে উত্তর দেবার জন্য খুঁজে পাবেন না.......
আল্লাহ আপনাকে সিরাতুল মুস্তাকীমের পথ দেখার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।
৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: রাসূলের (সাঃ) জন্ম দিন নিয়ে কিন্তু ইসলামিক স্কলাররা একমত নন । তাই একটা সন্দেহজনক দিনে (হয়তো সত্যি না এমন দিনে) রাসূলের জন্মদিন পালন করাটাই অন্যায় ।এটাকে রাসূলের (সাঃ)ওপর একটা মিথ্যা চাপিয়ে দেবার মতো বলে আমার মনে হয়।
৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৫
আহলান বলেছেন: হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমার উম্মত তা’ই করবে যা করেছে বনী ইসরাঈলের লোকেরা। এক জুতা অপর জুতার সমান হওয়ার মত। এমনকি যদি ওদের মাঝে কেউ মায়ের সাথে প্রকাশ্যে জিনা করে থাকে, তাহলে এই উম্মতের মাঝেও এরকম ব্যক্তি হবে যে একাজটি করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ছিল ৭২ দলে বিভক্ত। আর আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত। এই সব দলই হবে জাহান্নামী একটি দল ছাড়া। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন-সেই দলটি কারা? নবীজী সাঃ বললেন-যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৪১, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৭৬৫৯, আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৮৮৯, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৬০}
খুবই সুন্দর পোষ্ট ভাই ! ধন্যবাদ!! এই সময়টা ক্বেয়মতের নিকটবর্তী, তাই পূর্বের আহলে হক্ব আলেম ওলামাদের অনেক কর্ম কান্ডই এখন প্রশ্ন বিদ্ধ হবে, এটাই স্বাভাবিক ! ভয় পাবেন না ! চালিয়ে যান।
৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: আহলান কে বলছি? আমি উপরে যে হাদিস টা উল্লেখ করেছই সেটা কি পড়েছেন? এটার অর্থ বুঝেছেন? আপনি যে বললেন সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন-সেই দলটি কারা? নবীজী সাঃ বললেন-যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৪১, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৭৬৫৯, আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৮৮৯, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৬০} সেটা এই সব বিদায়াত কে সমর্থন করে? ঈদে মিলাদুন নবী যে খুব গুরুত্বপূর্ণ, এইটা খালি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীরা বুঝলেন না, তাদের পরের তাবেঈরা বুঝলেন না, তাবে তাবেঈরাও বুঝলেন না। বুঝলেন শুধু এই ব্লগার? আপনার কি মত?
১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯
⓪ বলেছেন: এন্টি ওহাবীরা সব ভেগেছে। আমি একজন পাগড়িওয়ালা দরবারীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, রাসূল (সা) নূরের তৈরি এর প্রুফ কি? কোন জবাব নেই।
আমাকে সৃষ্টি করা না হলে সারা বিশ্বের কোন কিছুই সৃষ্টি করা হতনা - এরকম বেকুবি কথা কোন হাদীসে পয়দা হয়েছে?
কোন জবাব নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম, ঈদে মিলাদুন নবী যে খুব গুরুত্বপূর্ণ, এইটা খালি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীরা বুঝলেন না, তাদের পরের তাবেঈরা বুঝলেন না, তাবে তাবেঈরাও বুঝলেন না। বুঝলো খালি শিয়ারা!
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে দিলেন, প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা; আর সুফিরা বিদ'আতে হাসানা বুঝলেন। রাসুলুল্লাহর চেয়ে কয় কাঠি বেশী বুঝা হলো?
মাযহাব মানতেই হবে এইটাই বা কে বললো? বরং যারা বলে মাযহাব নয় বরং রাসুলুল্লাহর সুন্নাহ অনুযায়ী চলতে হবে, তারাই মূলত ঈদে মিলাদুন নবীকে বিদ'আত বলে! বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মাযহাবীরা তেমন একটা সাহস করে বলে না!
রাস্তা একটাই, রাসুলুল্লাহ যে রাস্তা বলে দিয়েছেন, করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। এইটার থেকে যে সামান্য হলেও সরবে, সেটাই বর্জন করতে হবে। এটাই ইসলাম।