নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের উদ্দেশ্য কি ? শুধু কি - অর্থ বিত্ত , মান ইজ্জত কিংবা যশ খ্যাতি ? নাকি অন্য কিছু ? যাদের সামান্য বিচার বুদ্ধি , বিবেক বিবেচনা আছে , তাদের এক কথায় উত্তর হবে “ না “ এবং জীবনের উদ্দেশ্য অন্য কিছু । হউক সে আস্তিক বা নাস্তিক । পৃথিবীতে এমন কোন দলই নেই , যারা লিখিতভাবে জীবনের উদ্দেশ্যকে অর্থ বিত্ত , মান ইজ্জত , যশ খ্যাতি বলেছেন , বরং জীবনের উদ্দেশ্য বলেছেন মানবতাকে । এইভাবে বিচার করতে পারলে এক কথায় বলা যেতে পারে যে , যারা বাড়ি গাড়ি , সুন্দর নারী বা পুরুষের পেছনে ছুটছে , তারা অমানুষ এবং পশু ।
তারপরও অনেকে আবার সম্পদের পাহাড় গড়েও শান্ত থাকতে পারছে না , এদেরকে আপনি নর্দমার কীট বলতে পারেন । আরও আছে মান ইজ্জত ও যশ খ্যাতির প্রতিযোগীতা , এটার জন্য আপনি প্রতিযোগীকে ইবলিশ শয়তান বলতে পারেন ।
অতীব দুঃখের বিষয় মানুষ নর্দমার কীট হওয়ার জন্য তীব্রভাবে প্রতিযোগীতা করছে । ইবলিশ শয়তান হওয়ার জন্য তীব্রভাবে প্রতিযোগীতা করছে ।
তাহলে মানুষ কে ? এর উত্তরে আস্তিক নাস্তিক সবাই বলবে “ যিনি মানবিক “ । মানবিক মানে হলো - মানুষের ভাল বা কল্যাণ করে যিনি শান্তি পান । যদি অহংকার করেন তবে তিনি মানুষের ভাল করলেন না , বরং ক্ষতি করলেন । তাহলে যিনি অহংকার করেন , তিনি মানুষ নন , বরং শতভাগ অমানুষ , পশু , নর্দমার কীট এবং ইবলিশ শয়তান ।
যারা হোমিওপ্যাথি প্র্যাকটিস করেন তাদের একমাত্র ভয় অন্যের অহংকার । আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি একজন মানবিক মানুষ কখনও অন্যের অহংকারকে ভয় করেন না , যদি করেন তবে তিনিও গুরুতরভাবে অহংকারী এবং তিনিও শতভাগ অমানুষ , পশু , নর্দমার কীট এবং ইবলিশ শয়তান । দুঃখিত এমন মানুষ হোমিওপ্যাথির মত একটি মহৎ পেশায় আসার প্রয়োজন নেই ।
হোমিওপ্যাথি কেন মহৎ ? হোমিওপ্যাথি মহৎ হওয়ার অনেক কারন আছে , যেমন - হোমিওপ্যাথি সাধারনত কোন বস্তুগত বিষয় না , বরং শক্তিগত বিষয় , যা পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় , হোমিওপ্যাথি রোগকে স্থায়ীভাবে আরোগ্য করে , হোমিওপ্যাথি সুক্ষ্ম মানসিক লক্ষণগুলিকেও গুরুত্ব দিয়ে তা দূরীভূত করে ইত্যাদি । মনকে এমনভাবে রিলাক্স করে যা অন্য কোন চিকিৎসায় সম্ভব না । আর এজন্যই হোমিওপ্যাথি একটি মহৎ পেশা । হোমিওপ্যাথির বহুল প্রচারের প্রধান বাঁধা হলো , এটি শিখতে হয় সাধনা করে , কারন এটি সর্ব্বোচ্চ কঠিন বিষয়ের একটি , আর এটি লম্বা সময় নেয় রোগ আরোগ্যের জন্য , যা বেশিরভাগ লোকেই পছন্দ করেন না ।
অতঃপর আমরা যারা আস্তিক অর্থাৎ এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী , বিশেষ করে আমরা যারা মুসলিম , তাদের বিষয়ে বলছি - মহান আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে পথ দেখান এবং যাকে ইচ্ছা তাকে পথভ্রষ্ঠ করেন , এটা একান্তই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা । কোরান রিচার্স করলে আপনি এটা বুঝবেন যে , যারা অহংকারী নন এবং মানবাধিকার লংঘন করেন না , তাদেরকেই মহান আল্লাহ হেদায়েত করেন , আর যারা মানবাধিকার লংঘন করেন এবং অহংকার করেন , তারা নামাজ পড়তে পড়তে জমিন গর্ত করে ফেললেও চিরদিনের জন্য জাহান্নামী ।
জীবনের উদ্দেশ্য কি , এটা নিয়ে লিখতে গেলে শত শত পাতার বই লিখা যাবে , কিন্তু এখানে সংক্ষিপ্ত করতে হবে । আর বই বড় হওয়ার কারন হচ্ছে - আস্তিক নাস্তিক দুইদিক নিয়ে লিখতে গেলে , বিশেষ করে দার্শনিকভাবে এবং তর্কের মাধ্যমে লিখতে গেলে বই বিশাল আকার ধারণ করবেই ।
যাই হউক ইসলামে জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সৃষ্টিকর্তার গোলামী করা । অন্য কোন কাজই নেই । স্রষ্টার গোলামী কাকে বলে - এটা সামান্যভাবে উপলব্ধি করতে চাইলে , আপনি ইমাম গাজ্জালি (রঃ) এর কিছু বই পড়ে দেখতে পারেন , আরও সহজ বই পড়তে চাইলে আপনি “ তাজকেরাতুল আউলিয়া “ বইটি পড়তে পারেন ।
অতঃপর আপনি অর্থ বিত্ত , মান ইজ্জত , যশ খ্যাতি নিয়ে চিন্তা করেন , অথচ সুফিগন দুনিয়ার দিকে দৃষ্টিই দেননি । ভাল কাপড় পড়েননি , স্বাদযুক্ত খাবার খাননি , সুন্দরী নারী বিয়ে করেননি , অধিকাংশ সময় অপমানিত হওয়ার আকাংখা করতেন , যশ খ্যাতির আকাংখা জন্মিলে , অপমানিত হওয়ার জন্য ফরজ ইবাদত ছেড়ে দিতেন ।
হাদিসে আছে - দুনিয়া হলো মৃত প্রাণী বা মৃত প্রাণীর হাড়গোড় , যা কুকুর চেটেপুটে খায় , আরেক হাদিসে আছে - দুনিয়া হলো সাজগোজ করা বৃদ্ধ রমনী ( সারমর্ম ) ।
★ উপসংহার ঃ- মানুষকে তার জীবনের উদ্দেশ্য বুঝাতে চাইলে সুফিবাদ ইসলামের ব্যাপক প্রচার এবং প্রসার ঘটাতে হবে । তবে তা হতে হবে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে , তাহলেই আশা করা যায় পৃথিবী শান্তিপূর্ণ হবে । কারন মুসলমান জাতি শান্তিপূর্ণ না হলে পৃথিবী কখনোই শান্তিপূর্ণ হবে না এবং জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না ।
হোমিওপ্যাথ ডাক্তারদের উদ্দেশ্য হতে হবে রোগীকে অল্প খরচে এবং কোন ক্ষতিকারক ঔষধ না দিয়ে পরিপূর্ণভাবে সুস্থ করে তোলা । কম সংখ্যক রোগী দেখতে হবে এবং অনেক সময় নিয়ে দেখতে হবে । কে সম্মান করল আর কে সম্মান করল না , তা নিয়ে ভাবা যাবে না , কারন ইমাম গাজ্জালী ( রঃ) কোরান হাদিস দিয়ে প্রমান করেছেন যে , যে যত বেশি গরীব , স্রষ্টার নিকট সে তত দামী এবং সাধারণভাবে দুনিয়ায় যার সম্মান কম , স্রষ্টার নিকট সে তত সম্মানী ।
তাছাড়া সুফিগনের নিকট দুনিয়া হলো মলমূত্রের চেয়ে নিকৃষ্ট । আর দুনিয়া অর্থ হলো - মোটা কাপড় এবং ৩ বেলা খাবারের চাইতে বেশি চাহিদা , যেমন - অতিরিক্ত টাকা পয়সা , মান ইজ্জত এবং যশ খ্যাতির অধিক চাহিদা । তবে বর্তমানে পোশাক এবং খাবারের ব্যাপারে কিছু ছাড় আছে , কিন্তু অন্য বিষয়ে নেই ।
অতএব , দুনিয়া নামক মলমূত্রের দিকে না তাকিয়ে , মান সম্মানের দিকে না তাকিয়ে , শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মানব সেবা করে যাও ।
( ডাঃ আকন্দ )
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: লোরচন্দ্রানী, শুনেছ?
শিশির পড়েছিল।
সমুদ্র তার যাবতীয় প্রেমগাথাগুলো
সাজিয়েছিল ধ্রুবতারার মতো।
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪
নয়া পাঠক বলেছেন: একদম ১০০% সত্য ও সঠিক কথা বলেছেন ডাঃ সাহেব। কে কি দেখছে, কে কি ভাবছে, কে কি বলছে, এসব বিষয়গুলো আমলে নিলে মানুষ কোন ভাল কাজ করতে পারবে না। কারণ আমাদের স্বভাবটাই এমন নিজে যা পারি না অন্য কেউ সেটা পারলে তার পারা মেনে নিতে কষ্ট হয়, তাই তাকে ছোট করতে বা তার জানা বিষয়টাকে বা কাজটাকে বিভিন্নভাবে হেয় করতে ছোট করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করে থাকি। এটা শয়তানের কাজরে একটি ধরণ।
যাঁরা মহৎ, যাঁরা মহান, তারা কখনও এইসবদিকে খেয়াল না করে তাদের মানবিক কাজে একান্তভাবে মনোনিবেশ করা উচিত। এতেই তার মহানুভবতা, মানবতা, আধ্যাতিকা আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে। আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন, আমিন!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: জীবনের উদ্দেশ্য কি
....................................................
কারো কারো কাছে,
হেসে খেলে জীবনটা কাটাও ।